এইডসের ঝুঁকিতে দৌলতদিয়া যৌনপল্লীর ৫ হাজার মানুষ



সোহেল মিয়া, স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, রাজবাড়ী
ছবি: বার্তা২৪.কম

ছবি: বার্তা২৪.কম

  • Font increase
  • Font Decrease

আজ বিশ্ব এইডস দিবস। এ উপলক্ষে সারাবিশ্বে পালন করা হচ্ছে নানা জনসচেতনতামূলক কর্মসূচি। এরই ধারাবাহিকতায় বাংলাদেশেও পালন করা হবে দিবসটি। তুলনামূলকভাবে অন্যান্য দেশের থেকে বাংলাদেশে এইডসে আক্রান্তের হার অনেক কম হলেও চরম ঝুঁকিতে রয়েছে রাজবাড়ীর গোয়ালন্দের দৌলতদিয়া যৌনপল্লীর প্রায় পাঁচ হাজার বাসিন্দা। সেই সঙ্গে ঝুঁকিতে রয়েছে পল্লীতে আসা খদ্দেররা। অবাধ মেলামেশার জন্য যৌনকর্মী ও খদ্দেররা সহজেই এইডস রোগে আক্রান্ত হতে পারে বলে আশঙ্কা করছে স্থানীয় স্বাস্থ্য বিভাগ।

দৌলতদিয়া যৌনপল্লীতে খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, এখানে আসা খদ্দেরসহ পল্লীর পাঁচ হাজার যৌনকর্মী ও বাসিন্দারা মরণব্যাধি এইডসের ঝুঁকির মুখে রয়েছে। দেশের বিভিন্ন সীমান্ত এলাকা থেকে আসা ট্রাক চালকসহ প্রতিদিন কয়েক হাজার খদ্দের এখানে প্রবেশ করেন।

পল্লীর একাধিক সূত্র জানায়, এখানে আসা বেশির ভাগ খদ্দেরই দৈহিক মিলনে কনডম ব্যবহারে অনাগ্রহী প্রকাশ করে থাকে। খদ্দেরদের ইচ্ছাপূরণ ও অধিক টাকার আশায় এখানকার যৌনকর্মীরারও প্রতিনিয়ত অনিরাপদ যৌন মিলন করে থাকে। তবে যৌনকর্মীদের নিয়ে কাজ করা একটি বেসরকারি সংগঠনের দাবি এখানে প্রতি মাসে যৌনকর্মীদের মাঝে প্রায় দেড় থেকে পৌনে দুই লাখ কনডম বিনামূল্যে বিতরণ করা হয়।

খদ্দেরের অপেক্ষায় যৌনকর্মীরা

জানা যায়, যৌনপল্লীতে তালিকাভুক্ত যৌনকর্মীর সংখ্যা ১ হাজার ৫২৬ জন, তাদের বাবুর সংখ্যা ৫৬২ জন, বাড়িওয়ালি ২৮১ এবং যৌনজীবীদের শিশুর সংখ্যা ৬৫৩ জন। এর বাইরেও বয়স্ক নারী ও ব্যবসায়ী মিলে আরও প্রায় ২ হাজার মানুষের বসবাস এ পল্লীতে। অর্থাৎ যৌনপল্লীর প্রায় ৫ হাজার বাসিন্দা যারা প্রত্যেকেই প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষভাবে এইচআইভি এইডসসহ নানাবিধ যৌনরোগের চরম ঝুঁকিতে রয়েছে।

সরেজমিন যৌনপল্লীর বাসিন্দাদের সাথে কথা বলে জানা যায়, দেশের বিভিন্ন স্থান থেকে প্রতিদিন কয়েক হাজার পুরুষ এ পল্লীতে যাতায়াত করে। এর মধ্যে স্কুলছাত্র থেকে শুরু করে বিভিন্ন সীমান্তবর্তী এলাকা থেকে আসা ট্রাকচালকরাও রয়েছে। যার বেশির ভাগ লোকজন দৈহিক মিলনে কনডম ব্যবহারের ক্ষেত্রে অনাগ্রহী। খদ্দেরের ইচ্ছা ও বেশি টাকার লোভে অনেক মেয়েই প্রতিনিয়ত অনিরাপদ মিলন করে থাকে। এ ছাড়া পল্লীর বহু মেয়ে দীর্ঘদিন ধরে মাদকাসক্ত। তাদের আয়-রোজগার কম। নেশার টাকা যোগানো, খাবার ও ঘর ভাড়ার টাকা যোগাতে এ সকল মেয়েরা দৈহিক মিলনে নিজেদের নিরাপত্তার কথা চিন্তা করার সুযোগ পায় না।

অনুসন্ধানে জানা যায়, কিছু মেয়ে রয়েছে বাড়িওয়ালিদের কাছে জিম্মি। যার ফলে দৈহিক মিলনে এদেরও নিজেদের নিরাপত্তার কথা ভাবার সুযোগ নেই। এছাড়া করোনা পরিস্থিতির কারণে পল্লীতে খদ্দের আসা কমে যাওয়ায় যৌনকর্মীরা যে কোনও উপায়ে খদ্দের টানতে মরিয়া থাকে। অর্থাৎ অবাধ যৌনতার কারণে দৌলতদিয়া যৌনপল্লীতে এইচআইভি এইডস আক্রান্ত হবার সম্ভাবনা বেশি।

 দৌলতদিয়া যৌনপল্লী

বেসরকারি সংগঠন পায়াক্ট বাংলাদেশ দৌলতদিয়া ঘাট শাখার ব্যবস্থাপক মজিবর রহমান জুয়েল জানান, স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের অর্থায়নে তারা এখানে এইচআইভি এইডস বিষয়ে সচেতনতা বাড়াতে নানা ধরনের কর্মসূচি পালন করছেন। পাশাপাশি তারা ২ জন অভিজ্ঞ মেডিকেল অ্যাসিস্ট্যান্টের (কাউন্সিলর) মাধ্যমে নানাবিধ যৌনরোগ শনাক্ত এবং বিনামূল্যে ঔষুধ ও চিকিৎসা সেবা দিচ্ছেন। কর্মসূচির অংশ হিসেবে তারা প্রতি মাসে যৌনজীবীদের মাঝে প্রায় দেড় থেকে পৌনে ২ লাখ কনডম বিনামূল্যে বিতরণ করছেন। সচেতনতা বাড়াতে পল্লীতে তাদের নারী কর্মী বাহিনী প্রতিদিন উঠান বৈঠক, আলোচনা সভা, পোস্টার ও লিফলেট বিতরণ করছেন। তবে যৌনজীবীদের নানাবিধ ব্যক্তিগত সমস্যার কারণে তাদের এ কর্মসূচিগুলোর সুফল পেতে বেগ পেতে হচ্ছে।

যৌনকর্মীদের সংগঠন ‘অসহায় নারী ঐক্য’র সভাপতি ঝুমুর আক্তার বার্তা২৪.কম-কে বলেন, প্রায় ১০-১১ বছর আগে সর্বশেষ এই পল্লীতে এইডস রোগী শনাক্তের জন্যে আইসিডিডিআরবি যৌনকর্মীদের রক্তের নমুনা সংগ্রহ করেছিল। তার ফলাফল এখনো আমরা জানি না। বৃহত্তর স্বার্থে এইচআইভি এবং এইডস আক্রান্ত শনাক্ত করার জন্য নিয়মিত রক্ত পরীক্ষার ব্যবস্থা গ্রহণ করা খুবই জরুরি।

গোয়ালন্দ উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. আসিফ মাহমুদ বার্তা২৪.কম-কে বলেন, দৌলতদিয়া দেশের বৃহত্তর একটি যৌনপল্লী। এখানকার যৌনকর্মী ও খদ্দেররা মারাত্মক এইডস ঝুঁকিতে রয়েছেন। এখানে সবাইকে আরও বেশি সচেতন হতে হবে। সচেতন না হলে সারাদেশ ঝুঁকিতে পড়তে পারে।

এইডস ও অন্যান্য যৌন রোগের ঝুঁকি কমাতে বিভিন্ন বেসরকারি সংগঠনের মাধ্যমে স্বাস্থ্য বিভাগ এ পল্লীতে নানাবিধ কাজ করছে। তাদের কাজের নিয়মিত মনিটরিং ছাড়াও জটিল এবং সন্দেহজনক রোগীদের ক্ষেত্রে তারা চিকিৎসা ও পরামর্শ দিয়ে থাকেন।

   

ডেঙ্গুতে গত ২৪ ঘণ্টায় আক্রান্ত ১৩ জন



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম
ছবি: বার্তা২৪.কম

ছবি: বার্তা২৪.কম

  • Font increase
  • Font Decrease

গত ২৪ ঘণ্টায় ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়ে আরও ১৩ জন ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়ে ভর্তি হয়েছেন। তবে এসময় কোনও মৃত্যুর ঘটনা ঘটেনি। এ নিয়ে চলতি বছরের ১৯ এপ্রিল পর্যন্ত মোট ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়েছেন এক হাজার ৯৫২ জন।

শুক্রবার (১৮ এপ্রিল) স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের হেলথ ইমার্জেন্সি অপারেশন সেন্টার ও কন্ট্রোলরুম থেকে পাঠানো ডেঙ্গু বিষয়ক এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।

এতে বলা হয়, গত ২৪ ঘণ্টায় সারা দেশে ১৩ জন ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়ে হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন। তাদের মধ্যে ঢাকা বিভাগের (সিটি করপোরেশনের বাইরে) চার জন, ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনে সাতজন এবং ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনে দুই জন রয়েছেন।

২৪ ঘণ্টায় সারা দেশে মোট সাতজন ডেঙ্গু রোগী হাসপাতাল থেকে ছাড়পত্র পেয়েছেন, চলতি বছরে মোট এক হাজার ৮২৬ জন ছাড়পত্র পেয়েছেন।

চলতি বছরের এ যাবত ডেঙ্গুতে মোট মৃত্যুবরণ করেছেন ২৪ জন। মৃতদের মধ্যে ১১ জন পুরুষ এবং জন ১৩ জন নারী।

২০২৩ সালের ১ জানুয়ারি থেকে ৩১ ডিসেম্বর পর্যন্ত ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়ে মোট এক হাজার ৭০৫ জনের মৃত্যু হয়, পাশাপাশি ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়ে হাসপাতালে ভর্তি হন মোট তিন লাখ ২১ হাজার ১৭৯ জন।

;

ডেঙ্গুতে গত ২৪ ঘণ্টায় আক্রান্ত ১৩ জন



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম
ছবি: বার্তা২৪.কম

ছবি: বার্তা২৪.কম

  • Font increase
  • Font Decrease

গত ২৪ ঘণ্টায় ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়ে আরও ১৩ জন ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়ে ভর্তি হয়েছেন। তবে এসময় কোনও মৃত্যুর ঘটনা ঘটেনি। এ নিয়ে চলতি বছরের ১৯ এপ্রিল পর্যন্ত মোট ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়েছেন এক হাজার ৯৫২ জন।

শুক্রবার (১৮ এপ্রিল) স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের হেলথ ইমার্জেন্সি অপারেশন সেন্টার ও কন্ট্রোলরুম থেকে পাঠানো ডেঙ্গু বিষয়ক এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।

এতে বলা হয়, গত ২৪ ঘণ্টায় সারা দেশে ১৩ জন ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়ে হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন। তাদের মধ্যে ঢাকা বিভাগের (সিটি করপোরেশনের বাইরে) চার জন, ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনে সাতজন এবং ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনে দুই জন রয়েছেন।

২৪ ঘণ্টায় সারা দেশে মোট সাতজন ডেঙ্গু রোগী হাসপাতাল থেকে ছাড়পত্র পেয়েছেন, চলতি বছরে মোট এক হাজার ৮২৬ জন ছাড়পত্র পেয়েছেন।

চলতি বছরের এ যাবত ডেঙ্গুতে মোট মৃত্যুবরণ করেছেন ২৪ জন। মৃতদের মধ্যে ১১ জন পুরুষ এবং জন ১৩ জন নারী।

২০২৩ সালের ১ জানুয়ারি থেকে ৩১ ডিসেম্বর পর্যন্ত ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়ে মোট এক হাজার ৭০৫ জনের মৃত্যু হয়, পাশাপাশি ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়ে হাসপাতালে ভর্তি হন মোট তিন লাখ ২১ হাজার ১৭৯ জন।

;

বিএনপি নেতাদের বক্তব্য সার্কাস মনে হয়: হাছান মাহমুদ



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম
ছবি: বার্তা২৪.কম

ছবি: বার্তা২৪.কম

  • Font increase
  • Font Decrease

বিএনপি নেতা কর্মীদের বক্তব্য ও কর্মকাণ্ড সার্কাস মনে হয় বলে মন্তব্য করেছেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ। 

শুক্রবার (১৯ এপ্রিল) বিকেলে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের অডিটোরিয়ামে 'ভুবনজোড়া শেখ হাসিনার আসন খানি' নামের একটি বইয়ের মোড়ক উন্মোচন অনুষ্ঠানে এ মন্তব্য করেন তিনি।

হাছান মাহমুদ বলেন, বানর যেমন নাচে সার্কাসে বিএনপি নেতা কর্মীর কার্যক্রম সে রকম ভাবেই ফুটে উঠে। কোনো কিছু হলেই তারা বিদেশিদের ধরনা দেয়। বিএনপির রাজনৈতিক দুর্বলতা সেখানেই। চেয়ে চেয়ে তারা মিটিং নেন, বিদেশিদের সাথে আলোচনা করেন। জনগণের কাছে যদি বিএনপি না যায় কোন বিদেশি তাদের ক্ষমতার আসনে বসাতে পারবে না। কারণ বাংলাদেশের ক্ষমতার মালিক এ দেশের জনগণ।

তিনি বলেন, স্বাধীনতার ঘোষণা নিয়ে নানা অপ্রচার চালানো হয়েছে। ইতিহাস পরিবর্তনের চেষ্টা করা হয়েছে। স্বাধীনতার খল নায়ককে (জিয়াউর রহমানকে) নায়ক বানানোর অপচেষ্টা করা হয়েছে। তবে এ অপচেষ্টার ফলে যে বিতর্কের সৃষ্টি হয়েছে। সে বিতর্কের কবর রচনার প্রজেক্ট নেওয়া হয়েছে।

পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, পহেলা বৈশাখ বাঙালির প্রাণের উৎসবে পরিণত হয়েছে শেখ হাসিনার জন্য। খালেদা জিয়া পহেলা বৈশাখ পালনে বাধা দিয়েছিলেন। তবে শেখ হাসিনা পহেলা বৈশাখে ছুটি ঘোষণা দিয়েছেন। ভাতা চালু করেছেন। সংস্কৃতি রক্ষায় প্রধানমন্ত্রীর যে চেষ্টা তা সব স্থানেই প্রশংসিত।

শেখ হাসিনাকে মৃত্যুঞ্জয়ী উল্লেখ করে হাছান মাহমুদ বলেন, জিয়াউর রহমান ও এরশাদের পৃষ্টপোষকতায় বার বার প্রধানমন্ত্রীকে হত্যা চেষ্টা চালানো হয়েছে। খালেদা জিয়ার নেতৃত্বে ২১ আগস্ট গ্রেনেড হামলা চালানো হয়েছে। তবে তিনি তো মৃত্যুঞ্জয়ী। বারবার মৃত্যুর হাত থেকে বেঁচে তিনি জনগণের সেবায় নিজেকে উৎসর্গ করেছেন।

এসময় বিশ্বের প্রতিটি দেশে শেখ হাসিনার নেতৃত্বের প্রশংসা আছে উল্লেখ করে বলেন, নারী নেত্রী হিসেবে শেখ হাসিনার নেতৃত্ব অর্জন বিশ্বে বিরল।

;

কটিয়াদীতে ভাতিজার টেটা-বল্লমের আঘাতে চাচা খুন



উপজেলা করেসপন্ডেন্ট, বার্তা ২৪.কম, কটিয়াদী (কিশোরগঞ্জ)
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

কিশোরগঞ্জের কটিয়াদীতে বাড়ির সীমানা নিয়ে বিরোধকে কেন্দ্র করে চাচা মতিউর রহমান বাদশাকে (৬২) দেশীয় অস্ত্র টেটা-বল্লম দিয়ে জখম করে হত্যার অভিযোগ উঠেছে নিহতের ভাতিজার বিরুদ্ধে।

বৃহস্পতিবার সকালে (১৮ এপ্রিল) মতিউর রহমান বাদশা মিয়ার ছেলের নতুন বাড়িতে এ ঘটনা ঘটে।

নিহত মতিউর রহমান উপজেলা মসুয়া ইউনিয়নেন চরবেতাল গ্রামে মৃত ফালু মিয়ার ছেলে।

নিহতের চাচাত ভাই জসিম উদ্দিন জানান মতিউর রহমান বাদশা সঙ্গে চাচাত ভাতিজা ইসমাঈলের জমিজমা নিয়ে দীর্ঘদিন ধরে বিরোধ চলছিল। বৃহস্পতিবার সকালে মতিউর রহমান তার ছেলের বাড়িতে যাওয়ার পর তার ভাতিজাসহ বাড়ির লোকজন মিলে মতিউর রহমানকে টেটা-বলম দিয়ে আগাত করলে বল্লমের আচার ভেঙ্গে টেটা-বল্লম বুকে আটকে যায়। আহত অবস্থায় বাদশাকে উদ্ধার করে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে গেলে চিকিৎসাধীন অবস্থায় বৃহস্পতিবার দিবাগত রাত ২টার দিকে মৃত্যু বরণ করেন।

কটিয়াদী মডেল থানার (ওসি) তদন্ত মো. মোশারফ হোসেন ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন, এ ঘনটার ৫ জনকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য আটক করা হয়েছে। নিহতের পরিবার থেকে অভিযোগ পেলেই মামলা হবে। হত্যাকারীদের বিরুদ্ধে গ্রেফতারের অভিযান অব্যাহত থাকবে।

;