সিরাজগঞ্জের চলনবিলের শুঁটকি যাচ্ছে বিদেশে



সুজন সরকার, ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, সিরাজগঞ্জ
ছবি: বার্তা২৪.কম

ছবি: বার্তা২৪.কম

  • Font increase
  • Font Decrease

উত্তরাঞ্চলের বৃহত্তম সিরাজগঞ্জের চলনবিলে এখন থইথই পানি নেই, অনেকটাই শুকিয়ে এসেছে। ফলে বিস্তীর্ণ বিলজুড়ে চলছে ধান কাটাসহ অন্য ফসল রোপণের কাজ। তবে বিলের নিচু জায়গায় বড় খালগুলোতে সুতি জাল, বেড়জাল, পলো দিয়ে মাছ ধরছেন জেলেরা। জালে ধরা মাছগুলো পাশেই অস্থায়ী বাঁশের ছাউনির চাতালে তৈরি হচ্ছে শুটকি মাছ।

টাকি ও চান্দা মাছের ভর্তা, শিং-টেংরা মাছের ঝোল, সেই সঙ্গে মুলা-বেগুনের সবজিতে মিঠা পানির চ্যাং-পুঁটি মাছের শুঁটকি। প্রিয় বাঙালির খাদ্যের মধ্যে অন্যতম দেশীয় প্রজাতির শুঁটকি। ভাতের সঙ্গে এ তরকারির জুড়ি মেলা।

চলনবিলের চাতালগুলোতে, চেলা, চ্যাং, পুঁটি, টেংরা, বাতাসি, চাপিলা, খলসে, মলা, টাকি, গোচই, বাইম, শোল, বোয়াল, গজার, মাগুর, শিং, কৈসহ মিঠা পানির বিভিন্ন ধরনের দেশীয় মাছের শুঁটকি উৎপাদিত হচ্ছে। এই অঞ্চলে উৎপাদিত এসব শুঁটকি মাছ সারাদেশের মানুষের কাছেই প্রিয়।

চাতালে শুকানো হচ্ছে শুঁটকি

স্বাদে ও গন্ধে অতুলনীয় চলনবিলের মিঠা পানির এসব শুকানো হচ্ছেযথেষ্ট চাহিদা রয়েছে। সে অনুযায়ী বাড়ছে শুঁটকির উৎপাদনও। দেশের চাহিদা মিটিয়ে এ অঞ্চলের শুঁটকি রফতানি হচ্ছে ভারতে। বাণিজ্যিকভাবে ভারতে রফতানি হওয়ার পাশাপাশি যুক্তরাষ্ট্র, মালয়েশিয়া, দুবাইসহ বিভিন্ন দেশেও দিন দিন কদর বাড়ছে মিঠা পানির এসব শুঁটকির।

জেলার রায়গঞ্জ, তাড়াশ ও উল্লাপাড়ায় দেখা যায় শুঁটকির চাতালে কর্মব্যস্ত রয়েছেন শ্রমিকরা। উত্তরবঙ্গের প্রবেশদ্বার হাটিকুমরুল-বনপাড়া মহাসড়কের দু-পাশে গড়ে উঠেছে এসব চাতাল। বিভিন্ন প্রজাতির দেশি মাছ শুকিয়ে বাজারজাত করণের প্রক্রিয়া চলছে।

স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, জেলার ৩টি উপজেলায় বর্ষা মৌসুমে উত্তরাঞ্চলের সর্বাধিক দেশীয় মাছ উৎপাদন হয় এ অঞ্চলে। বিলের পানি কমতে শুরু করলে মাছ ধরার ধুম পড়ে যায়। আর তখনই উৎপাদন শুরু হয় শুঁটকি মাছের।

শুঁটকি ব্যবসায়ী আজিজল, আবুল, ফরিদ বলেন, বর্তমান মহিষলুটি মাছের আড়তে কাঁচা পুটি মাছ ৮০ থেকে ৯০ টাকা, চান্দা ৪০ থেকে ৬০ টাকা, খলিশা ৭০ থেকে ৮০ টাকা ও বেলে ১০০ থেকে ১১০ টাকা কেজি বিক্রি হচ্ছে। ৪০ কেজি কাঁচা মাছ শুকালে ১৫ কেজি শুঁটকি মাছ হয়।

ছয় মাস শুঁটকি উৎপাদন করেন শ্রমিকেরা

উৎপাদিত শুঁটকি মাছ নীলফামারী, রংপুর ও সৈয়দপুরে বর্তমানে পুঁটি ১৩০-২শ টাকা, চান্দা ৮০-৯০ টাকা, বেলে ৩শ টাকা এবং খলিশা ১৫০ টাকা কেজি বিক্রি হচ্ছে। এসব শুঁটকি প্রকারভেদে প্রতি মণ ১৫ হাজার থেকে ২০ হাজার টাকা দরে পাইকারি বিক্রি হয়। মাছগুলো চাতালে নেওয়ার পর বাজারজাত করতে মাস খানেক সময় লাগে যায়।

উল্লাপাড়ার বড়পাঙ্গাসী এলাকার জেলে আয়নাল হক, জামাল শেখ, আবুল কালাম ও নিমাই জানান, শুকনো মৌসুমে তারা ক্ষেতে-খামারে কাজ করেন। বর্ষা মৌসুমের শেষের দিকে তারা চাতাল স্থাপন করে শুঁটকির উৎপাদন শুরু করেন। অনেকে মাছ শিকারের পর আড়তে বিক্রি করেন। সেই মাছগুলো যায় শুটকির চাতালে।

ওই সময় জেলেদের জালে ধরা পড়ে প্রচুর পরিমাণে দেশীয় প্রজাতির মাছ। এসব মাছ জেলেদের কাছ থেকে কিনে শুরু হয় শুঁটকি উৎপাদনের প্রক্রিয়া। স্থানীয় নারী-পুরুষেরা চাতালে কাজ করেন। এভাবে টানা ছয় মাস শুঁটকি উৎপাদন করেন শ্রমিকেরা। এ অঞ্চলে ৭০টির মতো চাতালে শতাধিক নারী শ্রমিক ও অর্ধ শতাধিক পুরুষ শ্রমিক কাজ করেন।

শুঁটকির শ্রমিকেরা জানান, ৩ থেকে ৪ কেজি তাজা মাছ থেকে এক কেজি শুঁটকি উৎপাদন হয়। ভরা মৌসুমে তাজা বড় পুঁটি প্রতি কেজি ১২০ থেকে ১৫০ টাকা দরে এবং ছোট পুঁটি ৮০-৯০ টাকা দরে কেনা হয়। প্রতি মণ শুঁটকি ১৬-১৭ হাজার টাকায় বিক্রি করলে কিছুটা লাভ হয়। প্রকারভেদে অন্যান্য মাছও এভাবেই ক্রয়-বিক্রয় হয়।

জেলার তাড়াশ উপজেলার মান্নান নগর গ্রামের করিম শেখ জানান, শুঁটকির চাহিদা থাকলেও আড়তদারদের সিন্ডিকেটের কারণে ন্যায্যমূল্য পাচ্ছি না আমরা। সকালে এক দামে কিনলেও বিকেলেই মণ প্রতি ১ থেকে ২ হাজার টাকা কমে বিক্রি করতে হয়। এতে শুঁটকি উৎপাদনকারীরা লোকসানের মুখে পড়েন।

চাতাল স্থাপন করে শুঁটকির উৎপাদন

শুঁটকি উৎপাদনকারী সোহেল রানা জানান, শুঁটকি তৈরিতে প্রায় ১০ লাখ টাকা বিনিয়োগ করে শুঁটকি উৎপাদনের ব্যবসা করি। অনেক সময় আমাদের ব্যয় ফিরে পাওয়াই দায় হয়ে পড়ে। আমাদের হাতে তৈরি শুঁটকিগুলো ভারতেও রফতানি হয়। বছর ২ আগে ভারতের ব্যবসায়ীরা সরাসরি আমাদের কাছ থেকে ন্যায্য দামে শুঁটকি মাছ কিনেছে। কিন্তু বর্তমানে সৈয়দপুরের আড়তদাররা সিন্ডিকেট করে ভারতীয়দের আমাদের কাছে আসতেই দেয় না।

সৈয়দপুরের ইসলামপুর এলাকার আড়তদার শফিকুল ইসলাম বলেন, আমরা সারাদেশেই শুঁটকির সরবরাহ করি। এছাড়া ভারতেও রফতানি হয়। বাজারে যখন যে দাম থাকে আমরা উৎপাদনকারীদের সেই দামই দিয়ে থাকি।

তাড়াশের মহিষলুটি মাছের আড়তের ইজারদার মোহাম্মদ আলী বলেন, চলনবিলের মাছের শুঁটকি সুস্বাদু হয়। দিনে দিনে বিলে মাছ কমে গেলেও দেশে-বিদেশে শুঁটকির চাহিদা বৃদ্ধি পাচ্ছে। তাই উন্নত মানের শুঁটকি তৈরি ও সংরক্ষণের জন্য প্রশিক্ষণ দেওয়া প্রয়োজন। তাহলে প্রচুর বৈদেশিক মুদ্রা উপার্জন করার সম্ভাবনা তৈরি হবে।

এ বিষয়ে সিরাজগঞ্জ জেলা মৎস্য কর্মকর্তা মো. সাহেদ আলী বলেন, জেলার শুঁটকির সুনাম ও চাহিদা দুটোই রয়েছে দেশ ও বিদেশে। আমরা এই শুঁটকির মান বৃদ্ধির জন্য চাতাল মালিকদের প্রশিক্ষণ ও আর্থিক সহযোগিতা দেওয়ার কথা বিবেচনা করছি। প্রক্রিয়াটি শুরু হলে এই অঞ্চলের শুঁটকি ব্যবসা আরও বৃদ্ধি পাবে। তিনি আরও জানান, গত বছর এ অঞ্চলে ১৬৫ টন শুঁটকি উৎপাদন হয়। এখনো প্রায় ২ মাস শুঁটকি উৎপাদনের কাজ চলবে। ফলে এ বছর শুঁটকি উৎপাদন ১৭০ টন ছাড়িয়ে যাওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে।

   

শ্যামবাজার ঘাটে লঞ্চে আগুন



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম
প্রতীকী ছবি

প্রতীকী ছবি

  • Font increase
  • Font Decrease

রাজধানীর শ্যামবাজার ঘাট এলাকায় একটি লঞ্চে অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটেছে। এ ঘটনায় সার্ভিসের চারটি ইউনিট আগুন নিয়ন্ত্রণে কাজ করছে।

মঙ্গলবার (২৩ এপ্রিল) ফায়ার সার্ভিসের কন্ট্রোল রুমের কর্মকর্তা তালহা বিন জসিম এ তথ্য নিশ্চিত করেন।

বিস্তারিত আসছে...

;

বান্দরবানের তিন উপজেলায় নির্বাচন স্থগিত: ইসি সচিব



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

বান্দরবানের থানচি, রুমা ও রোয়াংছড়িতে যৌথ অভিযান চলমান থাকায় এই ৩ উপজেলায় নির্বাচন স্থগিত করেছে নির্বাচন কমিশন।

মঙ্গলবার (২৩ এপ্রিল) সকালে আন্তঃমন্ত্রণালয়ের সভা শেষে ইসি অতিরিক্ত সচিব জাহাংগীর আলম এই কথা জানান।

প্রসঙ্গত, ৮ মে প্রথম ধাপে রোয়াংছড়ি, থানচি ও রুমাসহ বান্দরবানের সাতটি উপজেলার মধ্যে ভোট হওয়ার কথা ছিল। 

;

পরিবহনে চাঁদাবাজি, গ্রেফতার ৭



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, ঢাকা
পরিবহনে অবৈধ চাঁদা আদায়, গ্রেফতার ৭

পরিবহনে অবৈধ চাঁদা আদায়, গ্রেফতার ৭

  • Font increase
  • Font Decrease

রাজধানীর আন্তঃজেলা ট্রাক, কাভার্ডভ্যান, লরী ও অটোরিকশাচালিত সিএনজিসহ বিভিন্ন পরিবহনে অবৈধভাবে চাঁদা আদায়কালে ৭ জনকে গ্রেফতার করেছে র‌্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়ন (র‌্যাব ১০)।

রাজধানী ঢাকার শ্যামপুর থানাধীন জুরাইন রেলগেট এলাকা হতে ৩ জন এবং যাত্রাবাড়ী থানার কোনাপাড়া বাসস্ট্যান্ড এলাকায় অভিযান চালিয়ে ৪ জন চাঁদাবাজকে গ্রেফতার করা হয়।

মঙ্গলবার (২৩ এপ্রিল) র‌্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়ন-১০ এর সহকারী পরিচালক (মিডিয়া) সহকারী পুলিশ সুপার এম.জে. সোহেল এ তথ্য নিশ্চিত করেন।

এম.জে.সোহেল বলেন, সোমবার (২২ এপ্রিল) দুপুরে র‌্যাব-১০’র একটি আভিযানিক দল গোপন সংবাদের ভিত্তিতে রাজধানী ঢাকার শ্যামপুর থানাধীন জুরাইন রেলগেট এলাকায় একটি অভিযান পরিচালনা করে। অভিযানে আন্তঃজেলা ট্রাক, কাভার্ডভ্যান, লরী ও সিএনজিসহ বিভিন্ন পরিবহন হতে অবৈধভাবে চাঁদা আদায়কালে ৩ জন জনকে গ্রেফতার করা হয়। 

গ্রেফতারকৃত ব্যক্তিরা হলেন- মোঃ নাসির সরদার (৩৩), অয়ন দাস (২০), মোঃ নজরুল ইসলাম (২৫)। এসময় তাদের কাছ থেকে আদায়কৃত চাঁদা নগদ ১ হাজার ৩৫০ টাকা এবং ১টি কাঠের লাঠি উদ্ধার করা হয়।

এছাড়াও রাজধানী ঢাকার যাত্রাবাড়ী থানাধীন কোনাপাড়া বাসস্ট্যান্ড এলাকায় অপর একটি অভিযান পরিচালনা করে ৪ জনকে গ্রেফতার করা হয়।

গ্রেফতারকৃতরা হলেন- মোঃ সজিব (২৮), মোঃ ইকবাল হোসেন (৩২), দিলদার (৪০), মোঃ রাজন (৩৩)। এসময় তাদের কাছ থেকে আদায়কৃত চাঁদা নগদ ৬ হাজার ৭৩০ টাকা এবং ২টি কাঠের লাঠি উদ্ধার করা হয়।

তিনি বলেন, প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে জানা যায় গ্রেফতারকৃত ব্যক্তিরা বেশ কিছুদিন যাবৎ রাজধানীর যাত্রাবাড়ী, শ্যামপুরসহ আশপাশের বিভিন্ন এলাকায় আন্তঃজেলা ট্রাক, কাভার্ডভ্যান, লরী ও সিএনজিসহ বিভিন্ন পরিবহনের ড্রাইভার ও হেলপারদের সাথে অশোভন আচরণের মাধ্যমে ক্ষয়ক্ষতি ও ভয়ভীতি দেখিয়ে অবৈধভাবে জোরপূর্বক চাঁদা আদায় করে আসছিল।

গ্রেফতারকৃত ব্যক্তিদের বিরুদ্ধে নিয়মিত মামলা রুজু করতে সংশ্লিষ্ট থানায় হস্তান্তর করা হয়েছে বলেও জানান তিনি।

;

তীব্র গরমে বেনাপোল বন্দরে পঁচছে আমদানি করা আলু



আজিজুল হক, সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, বেনাপোল (যশোর)
তীব্র গরমে বেনাপোল বন্দরে পঁচছে আমদানি করা আলু

তীব্র গরমে বেনাপোল বন্দরে পঁচছে আমদানি করা আলু

  • Font increase
  • Font Decrease

বেনাপোল বন্দরে তীব্র গরমে ভারত থেকে আমদানিকৃত আলু ট্রাকে পঁচতে শুরু করেছে। সোমবার (২২ এপ্রিল) রাতে ভারতের পেট্রাপোল বন্দর দিয়ে ১৬ ট্রাকে ৩৭০ মেট্রিক টন আলু আমদানি হয়। তবে আমদানিকৃত আলু ২০০ কিলোমিটার দূরে থেকে লোড করে বেনাপোল বন্দরে পৌঁছাতে ৬ দিন লেগে যায়। এতে তীব্র গরমে ট্রাকে থাকা আলু পঁচে রস পড়তে দেখা যায়।

আলুর আমদানি কারক বাংলাদেশে ইন্টিগেটেড ফুডস এন্ড বেভারেজ। ৩২ ট্রাক আলুর চালানটি যাবে রংপুরে।

এদিকে বেনাপোলসহ দেশের বিভিন্ন বন্দর দিয়ে আলু আমদানি বাড়লেও বাজারে দিন দিন বাড়ছে দাম। গতবছর এ সময়ে যে আলু ২২ থেকে ২৫ টাকা বিক্রি হয়েছে এখন তার মূল্য ৫০ টাকা দাড়িয়েছে। বাজার সিন্ডিকেটের কারণে আলু আমদানি বাড়লেও কোন সুবিধা পাচ্ছেনা অভিযোগ সাধারণ ক্রেতাদের। এদিকে প্রচন্ড গরমে ট্রাকে থাকা আলু পঁচতে শুরু করেছে। তবে উদ্ভিদ সংগনিরোধ কর্মকর্তারা বলছেন দ্রুত যাতে পণ্য চালানটি খালাস হয় তার সহযোগীতা করছেন তারা।

জানা যায়, দেশে প্রতিবছর আলুর চাহিদা ১ কোটি মেট্রিক টনের মত। আর চাহিদার বিপরীতে সর্বশেষ ২০২২-২৩ অর্থবছরে কৃষি অধিদপ্তরের পরিসংখ্যান মতে দেশে আলুর উৎপাদন ছিল ১ কোটি ১২ লাখ মেট্রিক টন। চাহিদার তুলনায় উৎপাদন বেশি হলেও মজুদ করতে ব্যবসায়ীরা সারা বছর কমবেশি আলু আমদানি করে থাকে। বৈশ্বিক মন্দায় গেল বছর যখন দেশে নিত্য পণ্যের দাম বাড়ে তখন পাল্লা দিয়ে আলুর দাম বেড়ে দাড়ায় কেজিতে ৮০ টাকা। এতে সরকার বাজার নিয়ন্ত্রণ ও সরবরাহ বাড়াতে গতবছরের ৩০ অক্টোবর নানান শর্ত দিয়ে বেসসরকারি ভাবে আলু আমদানির অনুমতি দেয়।

পরবর্তীতে ২ নভেম্বর থেকে শুরু হয় আলু আমদানি। বেনাপোল সহ দেশে বিভিন্ন বন্দর দিয়ে বাড়ছে আলুর আমদানি। তবে ভরা মৌসুম ও আমদানি বাড়লেও তার সুফল পাচ্ছেনা ক্রেতারা। ব্যবসায়ী সিন্ডকেট দিন দিন বাড়াচ্ছে আলুর দাম। এতে ক্ষোভ সাধারণ ক্রেতাদের। এদিকে ২০০ কিলোমিটার দূর থেকে আলু আমদানি আর আমদানি প্রক্রিয়া সম্পন্ন করতে দীর্ঘ ৬ দিন লেগে যাওয়ায় বেনাপোল বন্দরে ট্রাকে আলু পঁচতে দেখা যায়।

আলুবাহী ট্রাক চালকেরা জানান, তারা ভারতীয় ট্রাক থেকে আলু খালাস করে রংপুর নিয়ে যাবেন। কিন্তু গরমে বন্দরেই আলু ট্রাকে পঁচতে শুরু করেছে। দ্রুত খালাস না হলে আরও নষ্ট হবে।

বেনাপোল বাজারের আলু বিক্রেতা সাইদুর রহমান জানান, বাজারে আলুর সরবরাহ কম থাকায় দাম কমছেনা। বর্তমানে ৫০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে আলু।

সাধারণ আলু ক্রেতারা জানান, ভারত থেকে আলু আমদানি হলেও সিন্ডিকেটের কারণে বাজারে দাম কমছেনা। বাজারে কারো কোন তদারকি নেই।

বেনাপোল স্থলবন্দরের উদ্ভিদ সংগনিরোধ কর্মকর্তা হেমন্তু কুমার সরকার জানান, ভারত থেকে ৩৭০ মেট্রিক টন আলু আমদানি হয়েছে। এসব আলু মান পরীক্ষা শেষে দ্রুত খালাসে সহযোগীতা করা হচ্ছে।

;