‘দেশ স্বাধীনের আগে চাকরি-ব্যবসার কোন সুযোগ ছিল না’
দেশ স্বাধীনের আগে চাকরি-ব্যবসার কোন সুযোগ ছিল না জানিয়ে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেন, বঙ্গবন্ধু দেশ স্বাধীন করে বাঙালি জাতিকে আত্মপরিচয়ে বিশ্বের বুকে বেঁচে থাকার অধিকার এনে দিয়েছে। দেশ স্বাধীনের আগে চাকরি-ব্যবসার কোন সুযোগ ছিল না। আমরা কেবল শোষিত ছিলাম।
বুধবার (১ ডিসেম্বর) হাতিরঝিলের এম্ফিথিয়েটারে বিজয়ের ৫০ বছর লা-সবুজের মহোৎসব অনুষ্ঠানে উদ্বোধনী বক্তব্যে এসব কথা বলেন তিনি।
বিজয়ের ৫০ বছর পূর্তি উদযাপন উপলক্ষে ১৬ দিনব্যাপী এই মহোৎসবের আয়োজন করে ব্যবসায়ীদের শীর্ষ সংগঠন বাংলাদেশ শিল্প ও বণিক সমিতি (এফবিসিসিআই)।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, পাকিস্তানের একটি প্রদেশকে স্বাধীন বাংলাদেশে রূপান্তরিত করেছিলেন জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান। তিনি দেশ গঠনের একটি রূপকল্প প্রণয়ন করেন। জাতির পিতার রূপকল্পের উপর ভিত্তি করে আমরা রূপকল্প ২০৫০ প্রণয়ন করেছি। বাংলাদেশ সোনার বাংলাদেশ এবং উন্নয়নশীল রাষ্ট্রে পরিণত হবে।
তিনি বলেন, আমরা এমন সময়ে বিজয়ের ৫০ বছর উদযাপন করছি যখন আমরা নিম্নআয়ের দেশ থেকে মধ্যম আয়ের দেশে উত্তীর্ণ হয়েছি। সম্প্রতি আমরা এলডিসি গ্রেজুয়েশন এর মাধ্যমে নিম্ন আয়ের দেশ থেকে মধ্যম আয়ের দেশে উন্নীত হয়েছি।
দেশের শীর্ষ ব্যবসায়ীদের উদ্দেশ্যে প্রধানমন্ত্রী বলেন, বর্তমানে গ্রামের মানুষের ক্রয় ক্ষমতা বেড়েছে। সুপরিকল্পতভাবে বাংলাদেশকে এগিয়ে নিয়ে যাচ্ছি। তাই আপনারা প্রত্যন্ত অঞ্চলের মানুষের ভাগ্য পরিবর্তনে কাজ করুন। সেখানে বিনিয়োগ করুন। উতপাদন বেশি হবে। বেশি পণ্য বিক্রি হবে। আপনাদেরও আয় বাড়বে।
তিনি আরো বলেন, ১৫ আগস্টের হত্যাকাণ্ডের মাধ্যমে দেশে প্রথম অবৈধভাবে ক্ষমতা দখল এবং হত্যাকাণ্ডের সূচনা হয়। ও স্বাধীনতার পরেও ২১ বছর দেশের মানুষ কেবল শোষিত ও নির্যাতিত ছিল। এর ভাগ্যে তেমন কোনো উন্নয়ন হয়নি। উন্নয়ন হয়েছিল কেবল ক্ষমতাসীন ও তার তোষামোদকারীদের।
‘২১ বছর পর আমরা পুনরায় ক্ষমতায় এসে দেশকে পূনর্গঠনের জন্য অর্থনৈতিক সেক্টর কে স্বাধীন করে দিয়েছিলাম। প্রাইভেট সেক্টরে বিনিয়োগের অবারিত সুযোগ দ্বার উন্মোচন করেছিলাম। আইসিটি ডিজিটাল টেকনোলজি সহ টেলিফোন বেসরকারি উদ্যোগে দিয়েছিলাম। বেসরকারিভাবে অর্থনৈতিক অঞ্চল গড়ে তোলারও দ্বার উন্মোচন করেছিলাম। আমরা ব্যবসা করতে আসিনি, ব্যবসায়ীর সুযোগ সৃষ্টি করতে এসেছি।’ বলেন প্রধানমন্ত্রী।
অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন বাংলাদেশ ফেডারেশনে অফ চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রিজ এফবিসিসিআই সভাপতি জসিম উদ্দিন। বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন প্রধানমন্ত্রী বেসরকারি শিল্প উপদেষ্টা সালমান ফজলুর রহমান এবং ঢাকা উত্তর সিটি কর্পোরেশনের (ডিএনসিসি) মেয়র আতিকুল ইসলাম।