শান্তির জন্য জবাবদিহিমূলক বিশ্বের বিকল্প নেই: প্রধানমন্ত্রী
শান্তিপূর্ণভাবে এ পৃথিবীতে বসবাস করতে হলে অংশীদারিত্বের ভিত্তিতে একটি জবাবদিহিমূলক বিশ্ব ব্যবস্থা গড়ে তোলার কোনও বিকল্প নেই। জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের শান্তির আদর্শকে পুরোপুরি ধারণ করে পারস্পরিক শ্রদ্ধাবোধ ও সমঝোতার ভিত্তিতে সকলের সঙ্গে কাজ করার জন্য বাংলাদেশ সদা প্রস্তুত রয়েছে।
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা রোববার (৫ ডিসেম্বর) বিকেলে হোটেল ইন্টারকন্টিনেন্টালে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্মশতবার্ষিকী এবং বাংলাদেশের স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তী উদযাপনের অনুষ্ঠান ‘বিশ্ব শান্তি সম্মেলন' এর সমাপনী ভাষণে এসব কথা বলেন।
তিনি বলেন, স্বাধীনতার জন্য আমরা সর্বোচ্চ ত্যাগ স্বীকার করেছি। এর মধ্যে দিয়ে শান্তির মূল্য এবং সমগ্র মানবজাতির গভীরতম আকাঙ্ক্ষাসমূহ উপলব্ধি করেছি। বরাবরের মতো ফিলিস্তিনের স্বাধীনতার পক্ষে আমাদের অবিচল সমর্থন থাকবে।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, সম্পদের সীমাবদ্ধ থাকা সত্বেও আমরা মিয়ানমারের রোহিঙ্গা জনগোষ্ঠীকে সাময়িক আশ্রয় দিয়েছি। এর ফলে ওই অঞ্চলে একটি বড় মানবিক বিপর্যয় এড়ানো সম্ভব হয়েছে। রোহিঙ্গাদের প্রত্যাবর্তনের জন্য শান্তিপূর্ণ কূটনীতিক তৎপড়তা চালিয়ে যাচ্ছি।
শেখ হাসিনা বলেন, গত দুই বছর ধরে করোনাভাইরাস গোটা বিশ্বকে নতুন সংকটের মুখোমুখি করেছে। এটি প্রমাণ করেছে আমরা কেউ আলদা নই। বিশ্বের এ সংকটের সময় আমি অস্ত্র প্রতিযোগিতায় অর্থ ব্যয় না করে সার্বজনীন উন্নয়নে ব্যয় করার আহ্বান জানাই। আসুন আমরা সর্বজনীন শান্তির জন্য প্রতিজ্ঞাবদ্ধ হয়ে কর্মযজ্ঞে নেমে পড়ি। আমরা জঙ্গিবাদ উগ্রবাদের বিরুদ্ধে জিরো সহনশীলতা মেনে চলি।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, বিশ্বে শান্তি প্রতিষ্ঠায় জাতির পিতা নিরপেক্ষ জোট গঠনের ওপর জোর দেন। বঙ্গবন্ধু বলেছেন, কমিউনিস্ট হোক, চীন হোক রাশিয়া হোক যারাই শান্তি চায় আমরা তাদের সঙ্গে রয়েছি।
শেখ হাসিনা আরও বলেন, বঙ্গবন্ধুকে শুধু হত্যায় করা হয়নি তার বিচার আইন করে রহিত করে রাখা হয়েছিল। শেখ হাসিনা বলেন, বঙ্গবন্ধু বলেছেন, বাংলাদেশের মাটিতে সাম্প্রদায়িকতার কোনও স্থান নেই।