ঢাকা শান্তি ঘোষণা গৃহীত



স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, ঢাকা
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

ঢাকায় দুই দিনব্যাপী ‘বিশ্ব শান্তি সম্মেলন ২০২১’ শেষ হয়ে গেল। বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্মশতবার্ষিকী এবং বাংলাদেশের স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তী উদযাপনের অংশ হিসেবে এ সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়।

রোববার (৫ ডিসেম্বর) বিকেলে হোটেল ইন্টারকন্টিনেন্টালে বিশ্ব শান্তি সম্মেলনের সমাপনীতে ঢাকা ঘোষণা গৃহীত হওয়ার মধ্যে দিয়ে শেষ হয়েছে বিশ্ব শান্তি সম্মেলন ২০২১।

পয়েন্টগুলো হলো-

>> ৪-৫ ডিসেম্বর বিশ্ব শান্তি সম্মেলন উপলক্ষে শান্তি স্থাপন করা এবং সদস্য হওয়ার ঘোষণা দেওয়া।

>> সামাজিক অন্তর্ভুক্তির মাধ্যমে শান্তির অগ্রগতি হিসেবে সম্মেলনের থিমকে স্বীকার করা। করোনা থেকে পরিত্রাণ লাভ করে আরও শক্তিশালীভাবে গড়ে তোলার জন্য চেষ্টা চালাতে হবে। সংঘাত এড়ানোর কথা বলা হয়েছে।

>>সম্মেলনের প্রেক্ষাপট মুজিব বর্ষ ও স্বাধীনতার ৫০তম বার্ষিকী এবং বাংলাদেশের প্রতিষ্ঠাতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্মশতবার্ষিকী প্রশংসা করে বলা হয়েছে, আমরা স্মরণকরি যে গত পাঁচ দশকে বাংলাদেশের যাত্রা মানুষের মুক্তির জন্য একটি বৈধতা। ক্ষমতায়ন শান্তি বজায় রাখার, টেকসই উন্নয়নের প্রচারের এবং সমুন্নত রাখার পথ হিসেবে মৌলিক অধিকার এবং স্বাধীনতার।

>> আমরা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে তার ব্যক্তিগত অঙ্গীকারের জন্য শ্রদ্ধা জানাই কারণ তিনি তার বর্ণাঢ্য রাজনৈতিক ক্যারিয়ার জুড়ে শান্তির জন্য অবদান রেখেছেন।

>> বঙ্গবন্ধুর রাজনৈতিক উত্তরসূরি প্রধানমন্ত্রীর দ্বারা প্রদর্শিত সক্ষম নেতৃত্বের জন্য আমর প্রশংসা করি। শেখ হাসিনা সাহসিকতা ও দৃঢ়তার সাথে তার উত্তরাধিকারকে এগিয়ে নিয়ে যাচ্ছেন। জাতিসংঘে তার শান্তির সংস্কৃতি দর্শন গৃহীত হয়েছে।

>> আমরা ১৯৭১ সালে বাংলাদেশের স্বাধীনতা যুদ্ধের শহীদ ও নিহতদের স্মৃতি স্মরণকরি এবং গণহত্যা, যুদ্ধাপরাধ এবং মানবতার বিরুদ্ধে অপরাধের কাছে কখনো মাথা নত নয় আমাদের অঙ্গীকার পুনর্ব্যক্ত করুন। আন্তর্জাতিক অপরাধের পাশাপাশি সেই অপরাধের জন্য ন্যায়বিচার ও জবাবদিহিতাকে বাধাগ্রস্ত করে দায়মুক্তির সংস্কৃতি। আমরা এই ধরনের কাপুরুষোচিত নিপীড়ন এবং অন্যায়ের অবসান ঘটাতে এগিয়ে যাওয়ার জন্য নিজেদেরকে অঙ্গীকারবদ্ধ করি।

>> আমরা মানবাধিকারের প্রচার ও সুরক্ষার জন্য আমাদের অবিচল প্রতিশ্রুতি পুনর্ব্যক্ত করছি, শান্তিপূর্ণ, ন্যায্য এবং অন্তর্ভুক্তিমূলক সমাজ গঠনের জন্য আমাদের প্রচেষ্টায় নাগরিক, সাংস্কৃতিক, অর্থনৈতিক, রাজনৈতিক এবং সামাজিক অধিকারের প্রতি। আমরা জাতিসংঘের মানবাধিকারের জন্য করা অমূল্য কাজকে স্বীকার করি।

>> আমরা যুদ্ধ এবং শান্তি উভয় সময়েই আন্তর্জাতিক মানবিক আইনের প্রাধান্যকে মানি। আমরা শরণার্থী এবং রাষ্ট্রহীন ব্যক্তিদের জন্য আন্তর্জাতিক সুরক্ষা এবং সহায়তার নীতির সাথে সংযুক্ত থাকুন পৃথিবী জুড়ে। আন্তর্জাতিক নিরস্ত্রীকরণ মেনে পারমাণবিক, রাসায়নিক এবং জৈবিক বিশ্ব অস্ত্র প্রতিযোগিতার গণবিধ্বংসী সমস্ত অস্ত্রের ব্যবহার বা ব্যবহারের হুমকি পরিত্যাগ করি। আমরা সন্ত্রাসবাদের নিন্দা করি।

>> আমরা গণতন্ত্র, সুশাসন এবং আইনের শাসনের গুরুত্বের ওপর গুরুত্ব দেই শান্তি এবং স্থিতিশীলতার জন্য। জাতীয় সংসদ এবং স্থানীয় সরকার প্রতিষ্ঠানগুলির ভূমিকাকে আমরা মূল্যায়ন করি। জনগণের ন্যায্য দাবি ও আকাঙ্ক্ষার প্রতি আওয়াজ তুলি। আমরা ঔপনিবেশিকতা, অবৈধ দখলদারিত্বের নিন্দা জানাই। যে কোনো অজুহাতে অননুমোদিত ক্ষমতা দখলের বিরোধিতা করি। আমরা শান্তি প্রতিষ্ঠা, শান্তি বিনির্মাণ এবং ভূমিকা স্বীকার করি। আমরা জাতিসংঘ শান্তিরক্ষী কর্মীদের তাদের উৎসর্গের জন্য প্রশংসা করি।

>> আমরা একটি স্থিতিশীল, শান্তিপূর্ণ, সামাজিক ন্যায়বিচার এবং অন্তর্ভুক্তিমূলক উন্নয়নের প্রয়োজনীয়তার ওপর জোর দেই। আমরা পরিবর্তিত বিশ্বের মধ্যে সমস্ত প্রাপ্তবয়স্কদের জন্য কর্মসংস্থানের অধিকার রক্ষা করতে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ। সামাজিক শৃঙ্খলার অগ্রগতিতে বেসরকারি খাতের গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা আমরা স্বীকার করি।

>> আমাদের ‘কাউকে পিছিয়ে না রাখার’ প্রতিশ্রুতি পুনরুদ্ধারের জন্য আমাদের কাজ চালিয়ে যেতে হবে। অবশ্যই নারীদের রাজনৈতিক ও অর্থনৈতিক সুবিধার জন্য বর্ধিত সুযোগ তৈরি করতে হবে। শিশুদের বিরুদ্ধে সব ধরনের সহিংসতা ও শোষণ প্রতিরোধে আমাদের প্রচেষ্টাকে দ্বিগুণ করতে হবে। আমরা বয়স্ক, প্রতিবন্ধী ব্যক্তি এবং আদিবাসীদের বিশেষ চাহিদার প্রতি অতিরিক্ত মনোযোগ দিতে হবে সমাজে তাদের অর্থপূর্ণ অংশগ্রহণের জন্য।

>> আমরা সমস্ত ধর্ম, বিশ্বাস এবং বিশ্বাস জুড়ে শান্তির অন্তর্নিহিত এবং শাশ্বত বার্তাগুলো মান্য করি। সন্ত্রাসবাদ এবং সহিংস চরমপন্থার সাথে কোন ধর্ম বা জাতিগততা যুক্ত করার প্রচেষ্টা প্রত্যাখ্যান করি। আমরা জাতি, বর্ণ বা লিঙ্গের ভিত্তিতে সব ধরনের সহিংসতা এবং অপব্যবহারের নিন্দা করুন। আমরা দ্ব্যর্থহীনভাবে সাম্প্রদায়িক সহিংসতার নিন্দা করি।

>> আমরা আমাদের বৈচিত্র্যময় সংস্কৃতি, ভাষাকে ঐতিহ্য হিসেবে পুরস্কৃত করি এবং লালন করি। আমরা শিক্ষা, নৈতিক অধ্যয়ন, বিজ্ঞান, কলা, সঙ্গীত, সাহিত্য, মিডিয়া, পর্যটন, ফ্যাশন, স্থাপত্য এবং প্রত্নতত্ত্ব সীমানাকে সম্মান এবং লালনপালন করতে হবে।

>> আমরা জলবায়ু দ্বারা সৃষ্ট ক্রমবর্ধমান নিরাপত্তা, স্থানচ্যুতি এবং পরিবেশগত চ্যালেঞ্জগুলির প্রতি সংবেদনশীল রয়েছি। আমাদের অবশ্যই স্বাস্থ্য সুরক্ষায় বিনিয়োগ করতে হবে এবং মানসম্পন্ন করতে হবে সাশ্রয়ী মূল্যের চিকিৎসা এবং সকলের জন্য টিকা।

>> আমরা এই সত্যটি হারাতে পারি না যে বিশ্বের কোথাও শান্তির অনুপস্থিতি আছে। আমরা আঞ্চলিক সহযোগিতার ভূমিকা স্বীকার করি জনগণের মধ্যে আস্থা, বোঝাপড়া এবং ঐক্য গড়ে তোলার জন্য। আমরা একটি বিশ্বব্যবস্থা প্রতিষ্ঠার আশাকরি যা উন্নতি লাভ করে আমাদের সমগ্র গ্রহের বাস্তুতন্ত্রের সাথে। সামঞ্জস্যপূর্ণ করে গড়ে তুলবে। আমরা প্রেম, সমবেদনা, স্থায়ী শান্তি ও নিরাপত্তা অর্জনের জন্য সহনশীলতা, উদারতা, সহানুভূতি এবং সংহতিকে মেনে চলি।

>> আমরা এই বিশ্ব শান্তি সম্মেলনে আমাদের নিজ নিজ পয়েন্ট থেকে গম্ভীর শপথ নেই শান্তি, সামাজিক অন্তর্ভুক্তি, মৌলিক অধিকার, স্বাধীনতা এবং টেকসই এর কারণগুলিকে অগ্রসর করা বার্তা ছড়িয়ে। আমরা বাংলাদেশের সরকার ও জনগণকে তাদের আন্তরিক আতিথেয়তার জন্য ধন্যবাদ জানাই। শান্তির জন্য আদর্শ এবং দৃষ্টিভঙ্গি ভাগ করি।

   

সিরাজগঞ্জে দুই মাথা ৪ চোখ নিয়ে বাছুরের জন্ম



ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, সিরাজগঞ্জ
ছবি: বার্তা২৪.কম

ছবি: বার্তা২৪.কম

  • Font increase
  • Font Decrease

দুই মাথা ও চার চোখ নিয়ে জন্ম নিয়েছে একটি গরুর বাছুর। এ খবর শুনে উৎসুক জনতা এক নজর দেখতে খামারির বাড়িতে ভিড় করছে।

এই অদ্ভুত বাছুরটি জন্ম হয়েছে সিরাজগঞ্জের তাড়াশ উপজেলার বারুহাস ইউনিয়নের পালাশী গ্রামের খয়বার আলীর বাড়িতে।

শুক্রবার (১৯ এপ্রিল ) বিকালে খামারির বাড়িতে জন্ম নেওয়া পর থেকে বাছুরটি দেখতে ভিড় করছে এলাকাবাসী।

খয়বার হোসেন বলেন, গাভীটি আমার গৃহপালিত। চার বছর আগে বিদেশি ষাড়ের মাধ্যমে প্রজনন দিয়ে প্রসূতি গাভীটির জন্ম হয়। পরবর্তীতে গাভীটি বড় হলে প্রজননের জন্য ইনজেকশন ব্যবহার করে গর্ভধারণ করা হয়। দীর্ঘ আট মাস ২৩ দিন পর গাভীটি দুই মাথা ও চার চোখ বিশিষ্ট একটি বকনা বাছুর প্রসব করে। বকনা বাছুরটি এখনো নড়াচড়া করছে। উঠে দাঁড়ানোর চেষ্টা করলেও দুই মাথার কারণে উঠে দাঁড়াতে পারছে না।

তিনি আরও বলেন, বাছুরটি অস্বাভাবিক, দুই মাথা ও চার চোখ বিশিষ্ট। অস্বাভাবিক প্রকৃতির এই বাছুরটিকে দেখার জন্য বাড়িতে ভিড় করছে।

তাড়াশ উপজেলার প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা ডা. মো. ওয়ালিউল্লাহ বলেন, হরমোনাল ইমব্যালান্সের কারণে এরকম বাছুর প্রসব করার সম্ভাবনা থাকে। এ ছাড়াও প্রজনন গত কারণেও এ রকম অস্বাভাবিক বাছুর প্রসব হতে পারে। তবে এমন বাছুর প্রসব খুব একটা পরিলক্ষিত হয় না।

;

বান্দরবান-রাঙ্গামাটি সীমান্তে তীব্র গোলাগুলি



ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, বান্দরবান
বান্দরবান-রাঙ্গামাটি সীমান্তে তীব্র গোলাগুলি

বান্দরবান-রাঙ্গামাটি সীমান্তে তীব্র গোলাগুলি

  • Font increase
  • Font Decrease

বান্দরবান-রাঙ্গামাটির সীমান্তের দুর্গম এলাকায় তীব্র গোলাগুলির খবর পাওয়া গেছে। সেখানে যৌথ বাহিনীর অভিযান চলমান রয়েছে।

শুক্রবার (১৯ এপ্রিল) বিকেলে বান্দরবানের রুমার প্রাংসা-পাইন্দু ও রাঙ্গামাটির বিলাইছড়ির বড়থলি ইউনিয়নে সীমান্তের দুর্গম এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।

রুমায় ব্যাংক ডাকাতির ঘটনায় গত ৬ এপ্রিল থেকে সন্ত্রাসীদের বিরুদ্ধে অভিযান পরিচালনা করছে যৌথ বাহিনী, যা এখনও চলমান রয়েছে।

স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, রুমা খাল, প্রাংসা, পাইন্দু ও রাঙ্গামাটি জেলার বিলাইছড়ি উপজেলার বড়থলি সীমান্ত এলাকায় তীব্র গোলাগুলির চলছে। এ ঘটনায় স্থানীয় বাসিন্দাদের মধ্যে আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়েছে।

রুমা উপজেলা চেয়ারম্যান উহ্লা চিং মারমা জানান, কয়েকদিন ধরে রুমা উপজেলায় যৌথবাহিনীর অভিযান চলছে। এলাকাবাসীরা তাকে আজ বিকেলে জানিয়েছেন পাইন্দু- রুমা সদর ইউপি ও বিলাইছড়ি উপজেলা বড়থলি ইউনিয়নের সীমান্তে দুর্গম এলাকার ভিতরে প্রচণ্ড গুলি বোমার আওয়াজ শুনেছেন। এলাকাবাসীর ধারণা, গোলাগুলি হচ্ছে সশস্ত্র গোষ্ঠী কুকি-চিন ন্যাশনাল ফ্রন্টের (কেএনএফ) সদস্যদের সঙ্গে যৌথবাহিনীর।

রুমা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. শাহজাহান জানান, গোলাগুলির সংবাদ পেয়েছি। তবে বিস্তারিত জানা যায়নি।

গত ৮ এপ্রিল যৌথবাহিনী বিশেষ অভিযান চালিয়ে রুমা উপজেলার বেথেলপাড়া থেকে ১৮ নারীসহ ৪৯ জনকে গ্রেফতার করে। অন্যদের বিভিন্ন সময়ে মোট ৬৬ জনকে গ্রেফতার করা হয়। এদের মধ্যে ৫২ জনের চারদিন করে রিমান্ড মঞ্জুর করেছেন আদালত। রিমান্ডে পাঠানো ৫২ জনের মধ্যে ১৭ জন নারী রয়েছেন।

 

 

 

 

 

 

;

সাভারে বেপরোয়া কিশোর গ্যাং, আতঙ্কে নগরবাসী



মো. কামরুজ্জামান, স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, সাভার (ঢাকা)
ছবি: বার্তা২৪.কম

ছবি: বার্তা২৪.কম

  • Font increase
  • Font Decrease

ঢাকার সাভারে দিনদিন বেড়েই চলছে কিশোর গ্যাংয়ের ভয়ংকর তাণ্ডব। ফলে সাভার এখন পরিণত হয়েছে আতঙ্কের নগরীতে। পৌর এলাকাতেই মাত্র দুই মাসের ব্যবধানে ৪ খুন। এছাড়া প্রতিনিয়ত ছিনতাই, আধিপত্য বিস্তার ও মাদকের অন্যতম কারণ এই গ্যাং কালচার। কোনোভাবেই যেন লাগাম টানতে পারছে না আইন শৃঙ্খলা বাহিনী।

প্রকাশ্যে কিশোর গ্যাংয়ের হামলা পাল্টা হামলা সাভার পৌরসভার নিত্যদিনের ঘটনা। রক্তাক্ত শরীর নিয়ে কেউ হেঁটে যায়, আনার কেউ হাসপাতালে বিছানায় করে বাঁচার আর্তনাদ। কিশোর গ্যাংয়ের দৌরাত্ম্যে সম্প্রতি সাভার পৌরসভার বিভিন্ন স্থানে এমন ঘটনায় ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছেন সাধারণ মানুষ। প্রতিবাদ করতে গিয়ে ১২ এপ্রিল সাভারের আড়াপাড়ায় খুন হলেন রং মিস্ত্রী সাজ্জাদ। গত ৩১ মার্চ সাভারের রেডিও কলোনীতে কিশোর গ্যাংয়ের ছিনতাইয়ের শিকার হয়ে মৃত্যু সাথে লড়াই করেছেন কলেজ ছাত্র রবিউল।

ভুক্তভোগী কলেজ ছাত্র রবিউল ইসলাম বার্ত২৪.কম-কে বলেন, 'সকালে আমি ডিউটির উদ্দেশ্যে যাইতেছি। তখন দেখি দুইটা ছেলে বসা তখন আমার হাতে মোবাইল ছিল ওরা আমাকে ডাক দিছে। ডাক দিয়েই বলে কি আছে দে। আমি সাথে সাথে মোবাইল দিয়ে দিছি। তারপরেও ওরা আমাকে ছুরি মারছে। আমার পেটে পিঠে চাকু মারছে। তখন আমি চিৎকার দিলে আশপাশে থেকে লোকজন এসে হাসপাতালে নিয়ে আসেন। আমার পায়েও সমস্যা, ১৮ দিন ধরে ব্যথায় আমি একটুও ঘুমাতে পারি না।

ছেলেকে বাঁচাতে রবিউলের কৃষক বাবা ধার-দেনা করে প্রায় নিঃস্ব এখন। তাদের দাবি এ ধরনের ঘটনা যেন কোনো পরিবারের সাথে না হয়। এই পরিবারের মত এমন ঘটনার ভুক্তভোগীর সংখ্যা দিন দিন বাড়ছেই।

ভুক্তভোগী রবিউল ইসলামের বাবা মো. আশরাফুল বার্তা২৪.কম-কে বলেন, আমাদের টোটাল বিল আসছিল ৭ লাখ টাকা। পেমেন্ট দিয়েছি প্রায় চার লাখ টাকা। আমি কৃষি কাজ করি ও মানুষের বাড়িতে বাড়িতে কাজ করি। হাসপাতালের এই ৪ লাখ টাকা মানুষের কাছে তো ধার ও সুদের উপর এনে দিয়েছি। আর্থিকভাবে মনে হয় দশ বছরেরও আমি এই জিনিসটা পূরণ করতে পারব না। আমি সুদে যে টাকাটা নিছি প্রতিমাসে এই সুদ টানতেই আমার কষ্ট হয়ে যাবে এখন।

ভুক্তভোগী রবিউলের মা বার্তা২৪.কম-কে বলেন, আমরা যদি আর্থিক দিকে কোনো সাহায্য সহযোগিতা না পাই, তাও কোনো দুঃখ নাই। আমার ছেলেটা ১৮ দিন ধরে হসপিটালের বিছানায়। আমার ছেলের মত এরকম ঘটনা যেন আর না ঘটে এটাই আমার দাবি।

তথ্য বলছে, সাভারে কিশোর গ্যাংয়ের মূল দৌরাত্ম্য পৌরসভাজুড়ে। পিনিক রাব্বি, হৃদয় গ্রুপ, ভাই-ব্রাদার গ্রুপ বেশ সক্রিয়। নিজেদের দ্বন্দ্ব থেকে ভাগ হয়ে তৈরি হচ্ছে আরো গ্রুপ। গত দুই মাসে কিশোর গ্যাংয়ের ছিনতাই ও আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে অন্তত ৪ খুনের ঘটনা ঘটেছে। খরচ মেটাতে ছিনতাই, ডাকাতি, মাদক ব্যবসা, জমি দখল, চাঁদাবাজি, অপহরণসহ নানা সন্ত্রাসী কার্যক্রমের সাথে জড়িত এই কিশোর গ্যাং।

সাভার পৌর সভার বাসিন্দা রিফত বার্তা২৪.কম-কে বলেন, অপরাধীরা বেশিরভাগই মাদক সেবন করেন। তার জন্য তো টাকা দরকার তাদের। তারা কোনো কাজকর্ম করে না। আর এই টাকার জন্যই তারা ছিনতাই করে। কাছে কিছু না পেলে বা দিতে না চাইলেই তাকে আঘাত করে। কয়েকটি ঘটনা ঘটেছে এমন। মারাও গেছেন কয়েকজন। সরকারের কাছে আমাদের একটাই অনুরোধ, এই মাদক ও কিশোর গ্যাং নিয়ে যেন কঠোর একটা ব্যবস্থা নেয়। এদের যেন শাস্তি হয়, এগুলো যেন একবারে নির্মূল করে দেয়।

গত মার্চ মাসে র‍্যাব ও পুলিশের আলাদা অভিযানে হৃদয় গ্রুপের প্রধান গিয়ার হৃদয়সহ ৮ জন ও ভাই-ব্রাদার গ্রুপের ৪ জনসহ মোট ১২ জন গ্রেফতার করা হয়।

সাভার মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো.শাহ জামান বার্তা২৪.কম-কে বলেন, কখনো যদি কোনো লোক এরকম ছিনতাইয়ের শিকার হন বা ডাকাতির শিকার হন, তাহলে তাৎক্ষণিক আমাদের কাছে রিপোর্ট করবেন। যাতে করে আমরা এই ঘটনায় যারা জড়িত, তাদের শনাক্ত করে আইনের আওতায় নিয়ে আসতে পারি। যদি এরকম কোনো ঘটনায় আপনারা রিপোর্ট না করেন, ওই অপরাধীদেরকে আমরা যদি গ্রেফতার করতে না পারি, সেক্ষেত্রে কন্টিনিউয়াস একটার পর একটা ঘটনা ঘটিয়ে যাবে। সুতরাং যে কোনো ঘটনাই ঘটুক, অবশ্যই পুলিশকে রিপোর্ট করতে হবে। পুলিশ যাতে সংশ্লিষ্ট অপরাধীকে আইনের আওতায় আনতে পারে।

;

পটিয়ায় বাস-অটোরিকশার মুখোমুখি সংঘর্ষ, নিহত ২



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, চট্টগ্রাম
ছবি: বার্তা২৪.কম

ছবি: বার্তা২৪.কম

  • Font increase
  • Font Decrease

চট্টগ্রামের পটিয়াতে চট্টগ্রাম-কক্সবাজার মহাসড়কে বাস-অটোরিকশা মুখোমুখি সংঘর্ষে দুইজন নিহত হয়েছেন। এতে আহত হয়েছেন আরও একজন।

শুক্রবার (১৯ এপ্রিল) রাত সাড়ে আটটার দিকে উপজেলার চেয়ারম্যান ঘাটা নাকম এলাকায় এ দুর্ঘটনা ঘটে।

নিহতরা হলেন- চন্দনাইশ উপজেলার বৈলতলী এলাকার আবু বক্কর তাসরিফ (১৫) ও কক্সবাজারের রামুর নুরুল আলম (২৮)। তিনি চন্দনাইশের এলেহাবাদ এলাকায় শ্বশুরবাড়িতে থাকতেন। তারা সবাই অটোরিকশার যাত্রী ছিল বলে জানিয়েছেন পুলিশ।

বিষয়টি বার্তা২৪.কম-কে নিশ্চিত করেছেন পটিয়া হাইওয়ে থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) তৌফিকুল ইসলাম।

তিনি বলেন, চট্টগ্রামমূখী মারসা পরিবহনের একটি বাসের সঙ্গে অটোরিকশার মুখোমুখি সংঘর্ষে তিনজন গুরুতর আহত হয়। তাদের উদ্ধার করে একটি স্থানীয় বেসরকারি হাসপাতালে নিয়ে গেলে দুইজনকে মৃত ঘোষণা করেন চিকিৎসক। বাকী একজনের নাম জানা যায়নি। তারা সবাই অটোরিকশার যাত্রী ছিলেন।

ওই অটোরিকশায় চালকসহ মোট ৪ আরোহী ছিলেন। তবে দুর্ঘটনার সাথে সাথে এক যাত্রী লাফ দিয়ে সরে পড়ে। তাই তিনি তেমন আঘাত পাইনি বলে যোগ করেন ওসি। 

;