তামাক আইন সংশোধন করে দ্রুত সংসদে উপস্থাপন করব: স্বাস্থ্যমন্ত্রী



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, ঢাকা
ছবি: বার্তা ২৪.কম

ছবি: বার্তা ২৪.কম

  • Font increase
  • Font Decrease

২০৪০ সালের মধ্যে তামাকমুক্ত বাংলাদেশ গড়ার লক্ষ্যে বিদ্যমান তামাক নিয়ন্ত্রণ আইনটি সংশোধন করে খুব শিগগির সংসদে উপস্থাপন করা হবে বলে জানিয়েছেন স্বাস্থ্যমন্ত্রী জনাব জাহিদ মালেক এমপি।

সোমবার (৬ ডিসেম্বর) বিকেলে জাতীয় সংসদের শপথকক্ষে ‘বাংলাদেশ পার্লামেন্টারি ফোরাম ফর হেলথ এন্ড ওয়েলবিং’ আয়োজিত, ‘২০৪০ সালের মধ্যে তামাকমুক্ত বাংলাদেশ গড়ার লক্ষ্যে তামাক নিয়ন্ত্রণ আইন সংশোধন’ শীর্ষক জাতীয় সেমিনারে তিনি এ কথা জানান।

পাশাপাশি তিনি ই-সিগারেট নিষিদ্ধ করা, তামাকপণ্য বিক্রিতে লাইসেন্সিং ব্যবস্থা প্রণয়ন করার ব্যাপারে জোর দেন।

বাংলাদেশকে তামাকমুক্ত করতে সেমিনারে পার্লামেন্টারি ফোরামের পক্ষ থেকে ৭টি প্রস্তাবনা দেওয়া হয়। এর মধ্যে রয়েছে ​সকল পাবলিক প্লেস, পাবলিক ট্রান্সপোর্টসহ সকল ‘ধূমপানের জন্য নির্ধারিত স্থান’ বিলুপ্ত করা, বিক্রয়স্থলেও তামাকজাত পণ্য প্রদর্শন বন্ধ করা, তামাক কোম্পানির সকল স্পন্সরশিপ ও কর্পোরেট সামাজিক দায়বদ্ধতা কার্যক্রম নিষিদ্ধ করা, তামাকজাত পণ্যের মোড়কে সচিত্র স্বাস্থ্য সতর্কবার্তার আকার ৯০% এর বেশি রাখা, খুচরা ও কম সংখ্যক সিগারেট বা বিড়ি বিক্রি বন্ধ করা, ই-সিগারেটসহ সকল ধরণের হিটেড ট্যোবাকোর বিক্রি, আমদানি বন্ধ করা এবং ১৯৫৬ সালের নিত্যপ্রয়োজনীয় দ্রব্য নিয়ন্ত্রণ আইন সংশোধন করে তামাক পণ্যকে নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যের তালিকা থেকে বাদ দেয়া।

ফোরামের চেয়ারম্যান অধ্যাপক ডা. মো. হাবিবে মিল্লাত এমপির সভাপতিত্বে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত হয়ে স্বাস্থ্যমন্ত্রী বলেন, ‘আমাদের সকলকে প্রধানমন্ত্রীর ঘোষণা বাস্তবায়নে কাজ করতে হবে। তামাক থেকে আমরা যে রেভ্যিনিউ পাই তারচেয়েও অনেক বেশি খরচ হয় আমাদের চিকিৎসা খাতে। তাই তামাকমুক্তির কোন বিকল্প নেই। তবে একদিনে এগুলো বন্ধ করার উপায় নেই। অনেকে বলেন তামাক সংশ্লিষ্টরা অনেক শক্তিশালী। তবে তারা সরকারের চেয়ে শক্তিশালী নয়। ইতোমধ্যে বিভিন্ন কর্মসূচির মাধ্যমে আমরা তামাকের ব্যবহার অনেকটা কমিয়ে আনতে পেরেছি। আরও কমাতে হবে। আমরা খুব দ্রুত আপনাদের প্রস্তাবনা মোতাবেক আইনটি সংশোধন করে সংসদে আনবো। সংসদ সদস্যদের মাধ্যমেই তা পাশ হবে।’

সাবেক স্বাস্থ্যমন্ত্রী অধ্যাপক ডা. আ ফ ম রুহুল হক এমপি বলেন, ‘সংশোধিত আইনে অবশ্যই স্মোকলেস ট্যোবাকো বন্ধের ব্যাপারে জোর দিতে হবে। এগুলো যে করেই হোক বন্ধ করতে হবে। যারা ধূমপায়ী, দীর্ঘদিন ধরে ধূমপান করছেন তাদেরকে নিয়ে সেমিনার করতে হবে। তাদের সমস্যাগুলো জানতে হবে। তাহলে গবেষণায় ফল পাওয়া যাবে। পাশাপাশি স্কুল শিক্ষার্থীদের মাঝে সচেতনতা বাড়াতে হবে।’

বাংলাদেশ পার্লামেন্টারি ফোরাম জনস্বাস্থ্য উন্নয়নের নানান দিক নিয়ে কাজ করে। তার মধ্যে তামাক নিয়ন্ত্রণ অন্যতম। ফোরামের চেয়ারম্যান অধ্যাপক ডা. মো. হাবিবে মিল্লাত এমপি সে বিষয় উল্লেখ করে বলেন, ‘পার্লামেন্টারি ফোরামের পক্ষ থেকে মাননীয় স্বাস্থ্যমন্ত্রীর কাছে তামাক আইন সংশোধনের দাবি জানিয়ে ১৫২ জন মাননীয় সংসদ সদস্যের স্বাক্ষরিত একটি চিঠি দেওয়া হয়েছে। সর্বশেষ জাতীয় বাজেটে তামাকপণ্যের মূল্য বৃদ্ধির দাবি জানিয়েছিলাম আমরা। সেখানেও মাননীয় অর্থমন্ত্রী বরাবর চিঠি দিয়েছি, যেখানে আমাদের সাথে ছিলেন ৫২ জন সংসদ সদস্য। আমাদের অন্যতম অর্জন, আমরা মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর বরাবর টেকসই উন্নয়ন লক্ষ্যমাত্রা অর্জনে তামাক নিয়ন্ত্রণের গুরুত্ব ও ই-সিগারেট নিষিদ্ধের বিষয়ে ১৫৩ জন মাননীয় সংসদ সদস্যের স্বাক্ষরিত চিঠি দিয়েছি।’

ড. প্রাণ গোপাল দত্ত এমপি বলেন, ‘তামাক নিয়ন্ত্রণ নীতি এবং সুরক্ষায় তামাক দ্রব্য নিয়ন্ত্রণ লাইসেন্স করতে হবে। জরিমানা বাড়াতে হবে। সম্ভব হলে পাঠ্যবইতে তামাকের বিরুদ্ধে সচেতনতার বিষয়গুলোকে অন্তর্ভুক্ত করতে হবে। ধূমপায়ীদের কাউন্সেলিং, পুনর্বাসনের ব্যবস্থা করতে হবে।’

অ্যাডভোকেট পীর ফজলুর রহমান এমপি বলেন, ‘তামাক আইন সংশোধনের ক্ষেত্রে যে ধারাগুলোর কথা বলা হয়েছে, সেগুলোর সবই সঠিক। এ বিষয়টি নিয়ে মন্ত্রী মহোদয় এবং সচিব একমত হলেই কাজটি করা সম্ভব।’

জাতীয় তামাক নিয়ন্ত্রণ সেলের পরিচালক জনাব কাজী জেবুন্নেছা বেগম বলেন, ‘সংসদ সদস্যবৃন্দ যেসব সুপারিশ জানালেন, সেগুলো নিয়ে আমরা কাজ করবো। এছাড়াও তামাক নিয়ন্ত্রণ আইন সংশোধনের পাশাপাশি তামাক উৎপাদনের বিষয়টিও আমাদের দেখতে হবে। এক্ষেত্রে কৃষি মন্ত্রণালয়কে সমন্বয় করতে হবে।’

এসময় সংসদ সদস্যবৃন্দ তামাক চাষের বিকল্প ব্যবস্থা, তামাক কোম্পানির বাঁধা ইত্যাদি বিষয়ে আলোচনা করেন। পাশাপাশি প্রস্তাবিত প্রতিটি সুপারিশ অন্তর্ভুক্ত করার ব্যাপারে স্বাস্থ্যমন্ত্রীর প্রতি আহ্বান জানান।

এর আগে সেমিনারে মূল প্রবন্ধ উপস্থাপনা করেন ব্যারিস্টার শামীম হায়দার পাটোয়ারী এমপি। তিনি দেশের বিদ্যমান তামাক নিয়ন্ত্রণ আইনের দুর্বলতা এবং তামাকমুক্ত জাতি হিসেবে গড়ে উঠতে প্রয়োজনীয় উদ্যোগের বিষয়ে আলাপ করেন। তিনি তার উপস্থাপনায় বিদ্যমান আইনের বিশ্লেষণ, তামাক নিয়ন্ত্রণে সরকার ও সংসদের উদ্যোগ, তামাক নিয়ন্ত্রণে বিচারব্যবস্থার দৃষ্টিভঙ্গি এবং তামাক নিয়ন্ত্রণে আন্তর্জাতিকভাবে সফল অনুশীলনগুলো নিয়ে আলোচনা করেন। পাশাপাশি তামাক নিয়ন্ত্রণের প্রস্তাবগুলো তুলে ধরেন।

সেমিনারে বক্তারা ছাড়াও উপস্থিত ছিলেন মাননীয় সংসদ সদস্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন বেগম হোসনে আরা এমপি, আদিবা আনজুম মিতা এমপি, বাসন্তী চাকমা এমপি, আফতাব উদ্দিন সরকার এমপি, ডা. সামিল উদ্দিন আহমেদ শিমুল এমপি, পীর ফজলুর রহমান এমপি, কাজী কানিজ সুলতানা এমপি, হাবিবা রহমান খান এমপি, সৈয়দা রুবিনা আক্তার এমপি, উম্মে ফাতেমা নাজমা বেগম এমপি, খ. মমতা হেনা লাভলী এমপি, নাদিরা ইয়াসমিন জলি এমপি, আরমা দত্ত এমপি, শবনম জাহান এমপি, অ্যাডভোকেট খোদেজা নাসরীন এমপি, অধ্যাপক ডা. মো. আব্দুল আজিজ এমপি। উপস্থিত ছিলেন সিনিয়র সচিব, স্বাস্থ্য সেবা বিভাগের জ্যেষ্ঠ সচিব মো. লোকমান হোসেন মিয়া, জাতীয় তামাক নিয়ন্ত্রণ সেলের কর্মকর্তাবৃন্দ, ক্যাম্পেইন ফর টোব্যাকো ফ্রি-কিডস (সিটিএফকে) এর কর্মকর্তাবৃন্দ এবং স্বাস্থ্য সুরক্ষা ফাউন্ডেশনের পরিচালকবৃন্দ।

উল্লেখ্য, স্থানীয় উন্নয়ন সংস্থা স্বাস্থ্য সুরক্ষা ফাউন্ডেশন, 'বাংলাদেশ পার্লামেন্টারি ফোরাম ফর হেলথ এন্ড ওয়েলবিং' এর সাচিবিক দায়িত্ব পালন করছে।

হবিগঞ্জে বাস-অটোরিকশার সংঘর্ষে নিহত ৩



ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, হবিগঞ্জ
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

হবিগঞ্জে বাস ও সিএনজিচালিত অটোরিকশার মুখোমুখি সংঘর্ষে তিনজন নিহত হয়েছেন। আহত হয়েছেন ১০ জন।

রোববার (৪ জুন) সকালে হবিগঞ্জ-শায়েস্তাগঞ্জ সড়কের কলিমনগর এলাকায় এ দুর্ঘটনা ঘটে।

নিহতরা হলেন- হবিগঞ্জের চুনারুঘাট উপজেলার উবাহাটা গ্রামের আব্দুল হকের ছেলে রফিক মিয়া, বানিয়াচং উপজেলার লঘুচৌধুরী পাড়ার আজিজুর রহমানের ছেলে জিয়াউর রহমান ও আজমিরীগঞ্জের আনন্দপুর গ্রামের আব্দুল বারির ছেলে মুসা মিয়া।

পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা যায় , রোববার সকালে রফিক মিয়া, জিয়াউর রহমান ও মুসা মিয়া একটি সিএনজিচালিত অটোরিকশাযোগে শায়েস্তাগঞ্জ থেকে হবিগঞ্জ শহরে আসছিলেন। সকাল ৭টার দিকে তারা হবিগঞ্জ-শায়েস্তাগঞ্জ সড়কের কলিমনগর নামক স্থানে পৌঁছালে সিলেটগামী একটি বিরতিহীন বাস অটোরিকশাটিকে চাপা দেয়। এতে ঘটনাস্থলেই তিনজন মারা যান। খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছে তাদের মরদেহ উদ্ধার করে সদর আধুনিক হাসপাতালে পাঠায়।

শায়েস্তাগঞ্জ হাইওয়ে থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মইনুল ইসলাম বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।

;

গরম আর লোডশেডিংয়ে অতিষ্ঠ জীবন



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, ঢাকা
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

অস্বস্তিকর গরমের মধ্যে দিনে-রাতে লোডশেডিংয়ে নাভিশ্বাস উঠেছে সারা দেশের মানুষের। এই পরিস্থিতিতে কোনো সুখবর দিতে পারেনি আবহাওয়া অফিসও। বলছে, সহসা এই তাপদাহ কমার লক্ষণ নেই। অসুস্থ হয়ে পড়ার মতো গরম চলবে আরও কয়েকদিন।

তীব্র গরমে লোডশেডিংয়ের কারণে রাজধানী ঢাকার মানুষের ত্রাহি অবস্থা। শনিবার ঢাকায় তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয় ৩৭ ডিগ্রি সেলসিয়াস। তবে তাপ অনুভূত হচ্ছে ৪০ ডিগ্রি সেলসিয়াসের বেশি।

খিলক্ষেতের বাসিন্দা আজওয়াদ রহমান বলেন, রাতে ১২টার দিকে কয়েকদিন ধরেই বিদ্যুৎ চলে যাচ্ছে। একঘণ্টা পর আসে। এরপর ফের ৩টার দিকে বিদ্যুৎ যায়। দিনে প্রায় ৩ থেকে ৪ বার একঘণ্টা করে বিদ্যুৎ থাকছে না।

পান্থপথের বাসিন্দা রহিম শেখ বলেন, আমি যে বাড়িতে থাকি সে বাড়িতে কোনো আলো বাতাস ঢোকে না। এরপর তীব্র গরমে রাতে দু’বার করে বিদ্যুৎ থাকে না। গরমে অতিষ্ট। ঘুমতো দূরের কথা হাঁসফাঁস লাগে। আমার বাসায় বৃদ্ধ বাবা-মা থাকেন। এত গরম বাবার উচ্চ রক্ত চাপ দেখা দেয়।

তিনি বলেন, সারারাত ঘুম হয় মাত্র কয়েক ঘণ্টা। এরপর আবার সকালে অফিসে যেতে হয়।

শ্রমজীবীরা বলছেন, গরমে কাজ করা যাচ্ছে না। রাস্তাও লোকজন কম। এতে আয় কমে গেছে।

লোডশেডিংয়ের বিষয়ে বিদ্যুৎ বিভাগ বলছে, শনিবার (৩ জুন) দুপুর ১২টায় প্রায় ১৪ হাজার (১৩৯২১) মেগাওয়াট চাহিদার বিপরীতে বিদ্যুৎ উৎপাদন হয়েছে ১১ হাজার ৬৭৪ মেগাওয়াট। চাহিদার তুলনায় কম উৎপাদন হয়েছে ২ হাজার ২৪৭ মেগাওয়াট।

এদিকে, গতকাল শনিবার সাভারে এক অনুষ্ঠান শেষে সাংবাদিকদের বিদ্যুৎ প্রতিমন্ত্রী নসরুল হামিদ বলেন, কয়লা সংকটের কারণে পায়রা বিদ্যুৎকেন্দ্রের একটি অংশ আগে থেকেই বন্ধ আছে। আগামী ৫ জুনের পর আরেকটি অংশও বন্ধ হয়ে যাবে।

তিনি আরও বলেন, কয়লা আমদানি করতে আরও অন্তত ২০ থেকে ২৫ দিন সময় লাগবে। কয়েকটি বিদ্যুৎকেন্দ্র বন্ধ হয়ে যাওয়ায় দেশে লোডশেডিং বেড়েছে। প্রায় ১ হাজার ৭০০ মেগাওয়াট লোডশেডিং চলছে।

নসরুল হামিদ বলেন, তেলের ব্যাপারেও আমরা হিমশিম খাচ্ছি। এখন ইন্ডাস্ট্রিতে ডাইভার্ট করছি বেশিরভাগ গ্যাস। আর গরম বেড়ে গেছে, ৩৮ ডিগ্রির উপরে চলে গেছে, কোনও কোনও জায়গায় ৪০-৪১ ডিগ্রি হয়ে গেছে। এতে বিদ্যুতের চাহিদা বেড়েছে, ফলে লোডশেডিংও বেড়েছে। কিছু দিন এ পরিস্থিতি থাকবে।

আবহাওয়া অধিদফতর জানিয়েছে, দেশের বেশির ভাগ জায়গায় আপাতত বৃষ্টির সম্ভাবনা নেই। তাপপ্রবাহ চলতে পারে আরও চার থেকে পাঁচ দিন।

সহকারী আবহাওয়াবিদ কাজী জেবুন্নেছা বলেন, সারা দেশের কোথাও তীব্র এবং কোথাও মৃদু থেকে মাঝারি তাপপ্রবাহ বয়ে যাচ্ছে। তাপপ্রবাহ আরও চার থেকে পাঁচ দিন চলতে পারে। তবে সিলেটে বৃষ্টি হয়েছে। খুলনা, বরিশাল, চট্টগ্রাম ও সিলেটের দু–এক জায়গায় সম্ভাবনা থাকলেও আপাতত অন্যত্র বৃষ্টির সম্ভাবনা নেই।

;

চিলাহাটি-ঢাকা রুটে নতুন ট্রেন, আজ উদ্বোধন করবেন প্রধানমন্ত্রী



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, ঢাকা
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

নীলফামারীর চিলাহাটি রেলওয়ে স্টেশন থেকে ঢাকাগামী নতুন একটি আন্তঃনগর ট্রেন চালু হতে যাচ্ছে আজ রোববার। সকাল ১০টায় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার আন্তঃনগর ট্রেনটি উদ্বোধন করবেন।

রেলওয়ে সূত্র মতে, চিলাহাটি-ঢাকা পথে দিবাকালীন চলাচল করবে নীলফামারী এক্সপ্রেস।

এরই মধ্যে প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয় থেকে পাঠানো এক চিঠিতে এই সিদ্ধান্তের কথা জানানো হয়েছে রেল মন্ত্রণালয়কে। এ খবরে জেলাবাসী আনন্দিত। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে অনেকে ধন্যবাদ জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে। ট্রেনটির নীলফামারী এক্সপ্রেস নামকরণে সন্তুষ্টি প্রকাশ করেন তারা।

তবে এ জেলার ২১ লাখ মানুষের জন্য পর্যাপ্ত আসন বরাদ্দের দাবিও উঠেছে।

পশ্চিমাঞ্চল রেলওয়ের দায়িত্বশীল এক সূত্র জানায়, এরই মধ্যে ট্রেনটির ট্রায়াল সম্পন্ন হয়েছে। আগামী ৪ জুন সকালে প্রধানমন্ত্রীর উদ্বোধনের পর চিলাহাটি থেকে ঢাকার পথে ছাড়বে ট্রেনটি। শনিবার বাদে সপ্তাহে ছয় দিন নিয়মিত চলবে।

ট্রেনটি চিলাহাটি থেকে ঢাকার উদ্দেশে চলবে দিনে এবং ঢাকা থেকে চিলাহাটির উদ্দেশে চলবে রাতে। সকাল ৬টায় চিলাহাটি স্টেশন ছেড়ে ঢাকায় পৌঁছাবে বিকেল ৩টা ১০ মিনিটে। অন্যদিকে বিকেল সোয়া ৪টায় ঢাকা থেকে ছেড়ে চিলাহাটি পৌঁছাবে রাত পৌনে ২টায়। চিলাহাটির পর ট্রেনটির যাত্রাবিরতি নির্ধারিত হয়েছে ডোমার, নীলফামারী, সৈয়দপুর, পার্বতীপুর, জয়পুরহাট, সান্তাহার, ঈশ্বরদী বাইপাস ও বিমানবন্দর স্টেশন। চীন থেকে আমদানি করা ১১টি কোচ বিশিষ্ট ট্রেনের আসনসংখ্যা সাড়ে সাত শতাধিক।

;

কমিউনিটি ক্লিনিকে পাওয়া যাবে উচ্চ রক্তচাপ-ডায়াবেটিসের ওষুধ



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, ঢাকা
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

গ্রামীণ এলাকার সাধারণ মানুষের দোরগোড়ায় প্রাথমিক স্বাস্থ্যসেবা নিশ্চিত করতে কমিউনিটি ক্লিনিকের ওষুধ তালিকা উচ্চ রক্তচাপ ও ডায়াবেটিসের ওষুধ অন্তর্ভুক্ত করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে।

শনিবার এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, গত ১৪ মে কমিউনিটি ক্লিনিকের ওষুধ তালিকা হালনাগাদ কমিটি এক বৈঠকে কমিউনিটি ক্লিনিকের ওষুধের তালিকায় উচ্চ রক্তচাপের জন্য অ্যামালোডিপাইন ৫মিলি ও ডায়াবেটিসের জন্য ‘মেটফরমিন ৫০০ মিলি.’ অন্তর্ভুক্ত করার সিদ্ধান্ত নেয়।

এতে বলা হয়েছে, এটি বাংলাদেশের তৃণমূল পর্যায়ে উচ্চ রক্তচাপের ব্যাপকতা মোকাবিলায় একটি বড় পদক্ষেপ।

এটি বলছে, বাংলাদেশে উচ্চরক্তচাপ ও উচ্চরক্তচাপজনিত বিভিন্ন অসংক্রামক রোগের প্রকোপ ও মৃত্যু ক্রমশ বাড়ছে। বাংলাদেশে প্রতি পাঁচজনের মধ্যে একজন উচ্চ রক্তচাপে ভুগছেন। কমিউনিটি ক্লিনিক স্তরে উচ্চ রক্তচাপের ওষুধ উপলব্ধ করার সিদ্ধান্ত উচ্চ রক্তচাপের চিকিৎসা নিশ্চিত করার জন্য এই বিষয়ে একটি সাশ্রয়ী পদ্ধতি হতে পারে।

উল্লেখ্য, গ্লোবাল হেলথ অ্যাডভোকেসি ইনকিউবেটর (জিএইচএআই) এবং এর অংশীদার ন্যাশনাল হার্ট ফাউন্ডেশন অব বাংলাদেশ এবং প্রজ্ঞা (নলেজ ফর প্রগ্রেস) বাংলাদেশে উচ্চ রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণ ইস্যুতে দীর্ঘদিন ধরে কাজ করে আসছে যাতে উচ্চ রক্তচাপ প্রতিরোধক ওষুধের অন্তর্ভুক্তি নিশ্চিত করা যায়। কমিউনিটি ক্লিনিকের বিদ্যমান ওষুধের তালিকা; উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স এবং কমিউনিটি ক্লিনিক পর্যায়ে বহু মাস (২ থেকে ৩ মাস) হাইপারটেনসিভ ওষুধের প্রেসক্রিপশন এবং এ বিষয়ে প্রয়োজনীয় বাজেট বরাদ্দ নিশ্চিত করা।

বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (ডব্লিউএইচও) অনুমান করেছে যে বিশ্বব্যাপী ১ দশমিক ২৮ বিলিয়ন মানুষ (৩০-৭০ বছর বয়সী) উচ্চ রক্তচাপে ভুগছে, যার দুই তৃতীয়াংশ নিম্ন ও মধ্যম আয়ের দেশে বাস করে।

উচ্চ রক্তচাপ কার্ডিওভাসকুলার রোগ, স্ট্রোক এবং কিডনি রোগের পাশাপাশি মৃত্যুর ঝুঁকি বাড়ায়।

;