ডিজিটাল বাংলাদেশ পুরস্কার পেল ডিএনসিসি



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, ঢাকা
ডিজিটাল বাংলাদেশ পুরস্কার পেল ডিএনসিসি

ডিজিটাল বাংলাদেশ পুরস্কার পেল ডিএনসিসি

  • Font increase
  • Font Decrease

জাতীয় পর্যায়ে সরকারি শ্রেষ্ঠ প্রতিষ্ঠান হিসেবে ‘ডিজিটাল বাংলাদেশ পুরস্কার-২০২১’ অর্জন করল ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশন (ডিএনসিসি)।

রোববার (১২ ডিসেম্বর) সকালে বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রে আয়োজিত অনুষ্ঠানে ‘সবার ঢাকা অ্যাপস’ এবং ‘ডিজিটাল হাট’ উদ্যোগের জন্য ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনকে এই পুরস্কার দেওয়া হয়। পুরস্কার প্রদান অনুষ্ঠানে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ভার্চুয়ালি যুক্ত ছিলেন।

বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের নামে একটি উদ্যান ও আবক্ষ উদ্বোধনের জন্য মেয়র মো. আতিকুল ইসলাম বর্তমানে তুরস্কের রাজধানী আঙ্কারায় অবস্থানের কারণে তার পক্ষ থেকে পুরস্কারটি গ্রহণ করেন ভারপ্রাপ্ত মেয়র জামাল মোস্তফা।

জানা যায়, ডিজিটাল বাংলাদেশের মূলমন্ত্র জনগণের হাতের মুঠোয় নাগরিক সেবা পৌঁছানোর লক্ষ্যে ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশেনের মেয়র মো. আতিকুল ইসলামের নির্দেশনায় ডিএনসিসি গত ১০ জানুয়ারি চালু করে সিটিজেন এনগেইজমেন্ট ম্যানেজমেন্ট প্ল্যাটফর্ম ‘সবার ঢাকা অ্যাপস’। এই অ্যাপসটির মাধ্যমে ডিএনসিসির আওতাধীন এলাকাসমূহের নাগরিকগণ তাদের এলাকার রাস্তা, মশা, সড়ক, বাতি, আবর্জনা, জলাবদ্ধতা, পাবলিক টয়লেট, নর্দমা ও অবৈধ স্থাপনা এই আটটি বিষয়ে সমস্যার কথা সরাসরি সিটি করপোরেশন বরাবর তুলে ধরতে পারেন এবং সুস্থ, সচল ও আধুনিক ঢাকা গড়ে তুলতে তাদের সুপরামর্শ প্রদান করতে পারেন।

নাগরিকগণ সমস্যার স্থান থেকে মোবাইলে ছবি তুলে সমস্যা ‘সবার ঢাকা অ্যাপস’-এ জমা দেওয়ার সাথে সাথে অ্যাপসটি স্বয়ংক্রিয়ভাবে তার লোকেশন ট্র্যাক করে ডিএনসিসি’র ওয়ার্ড এবং অঞ্চল নির্ধারণ করে যথাযথ কর্তৃপক্ষের নিকট পৌঁছে দেয়। ডিএনসিসি কর্মকর্তাগণ তাদের ম্যানেজমেন্ট প্ল্যাটফর্ম থেকে সমস্যাগুলো যাচাই-বাছাই করে সমাধানের পদক্ষেপ নেন। সমস্যা সমাধানে কর্মকর্তাদের গৃহীত প্রত্যেকটি পদক্ষেপের আপডেট অ্যাপস ব্যবহারকারী নোটিফিকেশনের মাধ্যমে পেয়ে থাকেন এবং সমাধান কাউন্টার থেকে দেখতে পারেন।

‘সবার ঢাকা অ্যাপস’ চালু করার ফলে ডিএনসিসি’র সাথে নাগরিকগণ নিরবিচ্ছিন্নভাবে সংযুক্ত হয়েছেন। অদ্যাবধি প্রায় ৩০ হাজার নাগরিক রেজিস্ট্রেশনপূর্বক সবার ঢাকা অ্যাপসের মাধ্যমে তাদের এলাকার সর্বমোট ১১ হাজার ৩৬টি সমস্যা ডিএনসিসিকে জানিয়েছে। যার মধ্যে ডিএনসিসি কর্তৃক ৯ হাজার ৮৭৬টি সমস্যার সমাধান করা হয়েছে, এক্ষেত্রে সমাধানের হার ৯০ শতাংশ। বাকি ১ হাজার ১৬০টি সমস্যা প্রক্রিয়াধীন রয়েছে। প্রযুক্তির ব্যবহারে নাগরিকদের সাথে এই নিরবিচ্ছিন্ন সংযোগের ফলে ডিএনসিসির সেবা হয়েছে দ্রুতগামী ও সময়োপযোগী অর্থাৎ নাগরিক সেবার মানের সার্বিক উন্নয়ন সাধিত হয়েছে।

তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি প্রতিমন্ত্রী জুনায়েদ আহমেদ পলকের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা প্রধান অতিথি হিসেবে ভার্চুয়ালি সংযুক্ত ছিলেন। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার পক্ষে তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি প্রতিমন্ত্রী জুনায়েদ আহমেদ পলক বিজয়ীদের হাতে পুরস্কার তুলে দেন।

   

চালককে গলা কেটে হত্যা, ইজিবাইক ছিনতাই



ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট,বার্তা২৪.কম, নীলফামারী
ছবি: বার্তা ২৪

ছবি: বার্তা ২৪

  • Font increase
  • Font Decrease

নীলফামারীতে সাফিয়ার রহমান (৫৫) নামে এক চালককে গলা কেটে ইজিবাইক নিয়ে গেছে দুর্বৃত্তরা।

রোববার (১২ মে) রাত ১২টার দিকে নীলফামারী পৌর শহরের কুখাপাড়া তিস্তা সেচ ক্যানেল এলাকায় এ ঘটনা ঘটে। সাফিয়ার রহমান নীলফামারী সদর উপজেলার ইটাখোলা ইউনিয়নের সিংদই ময়দানের পাড়া এলাকার মৃত. আবু বক্কর সিদ্দিকের ছেলে।

স্থানীয় ও পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, যাত্রীবেশে ইজিবাইকে ওঠেন দুর্বৃত্তরা। এরপর জনশুন্য রাস্তায় নিয়ে গিয়ে ইজিবাইকটি ছিনতাইয়ের জন্য চেষ্টা করেন তারা। এ সময় চালক সাফিয়ার তাদের বাধা দেয়। বাধা দেওয়ায় তাকে পাশের একটি ভুট্টা ক্ষেতে নিয়ে ধারালো অস্ত্র দিয়ে গলা কেটে তার ইজিবাইকটি নিয়ে যায় দুর্বৃত্তরা। পরে তার গোঙানির শব্দে আশেপাশের বাড়ির লোকজন টের পেয়ে তাকে উদ্ধার করে নীলফামারী জেনারেল হাসপাতালে পাঠান। সেখানকার দায়িত্বরত চিকিৎসক তাকে প্রাথমিক চিকিৎসা দিয়ে উন্নত চিকিৎসার জন্য রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে প্রেরণ করেন। অ্যাম্বুলেন্স যোগে রংপুর যাওয়ার পথিমধ্যে রাত ১টা ৩০ মিনিটের দিকে মারা যান তিনি।

নীলফামারী সদর থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা(ওসি) তানভীরুল ইসলাম বলেন, চালককে গলা কেটে ইজিবাইক ছিনতাই করে নিয়ে গেছে দুর্বৃত্তরা। পরে স্থানীয়রা তাকে উদ্ধার করে নীলফামারী জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করান। সেখানে প্রাথমিক চিকিৎসা শেষে উন্নত চিকিৎসার জন্য রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে অ্যাম্বুলেন্স যোগে নিয়ে যাওয়ার পথে তার মৃত্যু হয়। এ বিষয়ে আইনগত ব্যবস্থা প্রক্রিয়াধীন রয়েছে।

;

চামড়া সংরক্ষণে ঢাকার বাইরে হবে অস্থায়ী শেড



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট বার্তা২৪.কম ঢাকা
ছবি : সংগৃহীত

ছবি : সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

কোরবানির ঈদের সময় চামড়ার দর পতন ও পাচার রোধে ঢাকার বাইরে কাঁচা চামড়া সংরক্ষণে অস্থায়ীভাবে ‘শেড’ নির্মাণ করতে জেলা প্রশাসকদের নির্দেশ দেবে শিল্প মন্ত্রণালয়।

মতিঝিলে শিল্প মন্ত্রণালয়ের সম্মেলন কক্ষে রবিবার (১২ মে) ‘চামড়া শিল্পখাতের উন্নয়নে সুপারিশ প্রদান ও কর্মপরিকল্পনা প্রণয়নের লক্ষ্যে গঠিত টাস্কফোর্স’ এর সপ্তম সভায় এ সিদ্ধান্ত হয়।

শিল্প মন্ত্রণালয়ের পক্ষে এ কাজ তদারকি করবে বাংলাদেশ ক্ষুদ্র ও কুটির শিল্প কর্পোরেশন- বিসিক। স্থানীয়ভাবে চামড়া সংগ্রহ ও পর্যাপ্ত লবণ দিয়ে সংরক্ষণের জন্য কৌশলগত স্থানে অস্থায়ী সংরক্ষণাগর নির্মাণ করতে জেলা প্রশাসকদের ডিও (আধা সরকারি পত্র) লেটার দেওয়া হবে।

সভা শেষে শিল্পমন্ত্রী নূরুল মজিদ মাহমুদ হুমায়ূন সাংবাদিকদের বলেন, ‘চামড়া শিল্প খাতে সংরক্ষণ সুবিধা বাড়াতে হবে, যাতে চামড়া নষ্ট না হয়। চামড়া ব্যবসায়ী/পাইকাররা যাতে পুঁজির সমস্যায় না পড়েন ও সহজ শর্তে ঋণ পান, সে বিষয়ে পদক্ষেপ নেওয়া হচ্ছে।’

প্রতি বছর শুধু সংরক্ষণের অভাবে কোটি টাকার কাঁচা চামড়া নষ্ট হয়। এই সুযোগে ঈদের সময়ে ট্যানারি ও মৌসুমি ব্যবসায়ীরা চামড়ার দর কমিয়ে দেন বলে অভিযোগ রয়েছে।

অস্থায়ীভাবে চামড়া সংরক্ষণ হলে ঢাকায় সরবরাহ একসঙ্গে বাড়বে না। ট্যানারি ও আড়ৎদারদেরও অর্থ সংকট হবে না বলে মনে করছে টাস্কফোর্স।

কয়েক বছর কোরবানীর সময়ে কাঁচা চামড়ার দর পতনের পর গত বছর চামড়ার দর নিয়ে অসন্তোষ ছিল না ক্রেতা ও বিক্রেতা পর্যায়ে।

গতবছর কোরবানির ঈদে রাজধানীতে কাঁচা চামড়ার সবচেয়ে বড় আড়ত পোস্তায় চামড়ার দর খুচরা পর্যায়ে উঠেছিল প্রতিটি ১০৫০ টাকায়, আগের বছরে সেই আকৃতির চামড়ার দর ছিল ৮০০ টাকা। খুচরা পর্যায় আড়তদারদের হাতবদল হয়ে পোস্তার ব্যবসায়ীদের কাছ থেকে ট্যানারিতে বিক্রি হয় চামড়া।

গত বছর ট্যানারি ব্যবসায়ীদের জন্য ঢাকায় লবণযুক্ত প্রতি বর্গফুট গরুর চামড়ার দাম ৫০ থেকে ৫৫ টাকা নির্ধারণ করেছিল সরকার, আগের বছর দাম ছিল ৪৭ থেকে ৫২ টাকা।

এছাড়া ঢাকার বাইরে লবণযুক্ত প্রতি বর্গফুট গরুর চামড়ার দাম নির্ধারিত ছিল ৪৫ থেকে ৪৮ টাকা, আগের বছর যা ৪০ থেকে ৪৪ টাকা ছিল।

এছাড়া সারা দেশে লবণযুক্ত খাসির চামড়া আগের মত গতবারও প্রতি বর্গফুট ১৮ থেকে ২০ টাকা, আর বকরির চামড়া প্রতি বর্গফুট ১২ থেকে ১৪ টাকা নির্ধারণ করেছিল সরকার।

আগামী কোরবানির ঈদে সারা দেশে বিক্রির জন্য এক কোটি ৩০ লাখ পশু সরবরাহ করা হবে বলে জানিয়েছেন মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রী আব্দুর রহমান। প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয়ের তথ্য অনুযায়ী, গত বছর এই সংখ্যা ছিল এক কোটি ২৫ লাখ, যার মধ্যে বিভিন্ন হাটে ১৯ লাখ পশু অবিক্রিত অবস্থায় ফেরত যায়।

শিল্পমন্ত্রী বলেন, ‘শিল্প মন্ত্রণালয় চামড়া খাতের ব্যবসায়ীদের সহযোগিতা করে যাবে। অর্থাভাব যেন না হয়, এজন্য তাদের সহযোগিতা দরকার, আমরা তা করে যাবে।’

কোরবানির ঈদে কঠিন বর্জ্য ব্যবস্থাপনার ক্ষেত্রে আগের অবস্থা আর নেই। এক্ষেত্রে অনেক উন্নতি হয়েছে জানিয়ে নুরুল মজিদ বলেন, ‘চামড়া শিল্পখাতের উন্নয়নে স্বল্প ও দীর্ঘ মেয়াদি করণীয় নির্ধারণ করা হয়েছে। বিসিক ও শিল্প মন্ত্রণালয়ের পক্ষ থেকে নীতিগত সহযোগিতাসহ এসব করণীয় বাস্তবায়নে সব ধরনের সহায়তা প্রদান করা হবে।’

সভার সূচিতে কোরবানির চামড়ার মূল্য নির্ধারণ এবং চামড়া সঠিকভাবে ছাড়ানো, সংগ্রহ ও সংরক্ষণের জন্য বিজ্ঞাপন, স্থানীয়ভাবে চামড়া সংগ্রহ এবং পর্যাপ্ত লবণ দিয়ে চামড়া সংরক্ষণের জন্য কৌশলগত স্থানে অস্থায়ী সংরক্ষণাগার নির্মাণ, কোরবানির পশুর চামড়ার পাচার রোধ ও চামড়া সংগ্রহের ব্যাপারে সিদ্ধান্ত গ্রহণের মত বিষয়গুলো ছিল।

চামড়া নিয়ে সোশাল মিডিয়াসহ গণমাধ্যমে যেন কোনো গুজব না ছড়ায়, বিদেশ থেকে অবৈধপথে পশু যাতে দেশে না আসে, সেসব বিষয়ে প্রয়োজনীয় কার্যক্রম গ্রহণে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়কে দায়িত্ব দেওয়া হয় সভায়।

বাংলাদেশ ট্যানার্স অ্যাসোসিয়েশনের (বিটিএ) সভাপতি শাহিন আহমেদ সভা শেষে সাংবাদিকদের বলেন, ‘আমরা সহজ শর্তে ঋণ দেওয়ার কথা বলেছি। সিইটিপি পুরোপুরো ঠিক হলে আমাদের অনেক প্রতিষ্ঠানের আন্তর্জাতিক পর্যায়ে চামড়া রপ্তানিতে দর পাওয়া যবে। অনেক প্রতিষ্ঠানই ইতোমধ্যে অন্যান্য সব কমপ্লায়েন্স অর্জন করতে পেরেছে।’

সভায় সিদ্ধান্ত হয়, কোরবানির চামড়া সংরক্ষণে এতিমখানাগুলোতে বিনামূল্যে লবণ সরবরাহ করবে বিসিক। অতীতের মত এবারও কোরবানি ঈদের পরের সাত দিন রাজধানীর বাইরের চামড়া ঢাকায় প্রবেশ করবে না।

হাজারীবাগের ট্যানারি শিল্পের অব্যবহৃত জায়গায় ভবন নির্মাণ করতে দ্রুত নকশা অনুমোদন দিতে রাজধানী উন্নয়ন কতৃপক্ষকে (রাজউক) নির্দেশনা দেওয়া হয়।

প্রধানমন্ত্রীর বেসরকারি শিল্প ও বিনিয়োগ উপদেষ্টা সালমান এফ রহমান, বাণিজ্য প্রতিমন্ত্রী আহসানুল ইসলাম টিটু, শিল্প মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব জাকিয়া সুলতানাসহ টাস্কফোর্সের সদস্যরা সভায় অংশ নেন।

;

রাঙামাটির চার উপজেলায় বাতিল হয়েছে ৮৭৬৩ ভোট



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট বার্তা২৪.কম রাঙামাটি
ছবি : সংগৃহীত

ছবি : সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

ষষ্ঠ উপজেলা পরিষদের প্রথম ধাপের নির্বাচনে পার্বত্য রাঙামাটি জেলার চার উপজেলায় অনুষ্ঠিত হয়ে যাওয়া উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে সর্বমোট প্রাপ্ত ভোট থেকে ৮৭৬৩ ভোট বাতিল হয়েছে বলে জেলা নির্বাচন অফিস সূত্রে জানা গেছে।

গত ৮ই মে অনুষ্ঠিত এই উপজেলা পরিষদ নির্বাচন পরবর্তী উপজেলা নির্বাচনী অফিসগুলো থেকে রাঙামাটি জেলা নির্বাচন অফিস বরাবর প্রেরিত চূড়ান্ত শীটে এই তথ্য নিশ্চিত করা হয়েছে।

রাঙামাটি জেলা নির্বাচন অফিস থেকে প্রাপ্ত তথ্যানুসারে চার উপজেলায় সর্বমোট ভোটের সংখ্যা হলো ২১১০০৬ জন। অনুষ্ঠিত নির্বাচনে রাঙামাটি সদরে চেয়ারম্যান, ভাইস চেয়ারম্যান ও মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান পদে সর্বমোট বাতিল হয়েছে ৩৭৩০ ভোট।

বরকল উপজেলায় উপরোক্ত তিনটি পদে ২৮৮৫ ভোট, কাউখালী উপজেলায় ১৪৪৫ ভোট ও জুরাছড়ি উপজেলায় বাতিল হয়েছে ৭০৩ ভোট।

নির্বাচনে ভোটগ্রহণ শেষে ভোট গননা শেষে উপজেলা নির্বাচন অফিসারের স্বাক্ষরিত চূড়ান্ত শীট থেকে প্রাপ্ত তথ্যানুসারে রাঙামাটি সদর উপজেলায় চেয়ারম্যান পদে মোট ভোট পড়েছে ৩১৯০১ তার মধ্যে বৈধ ভোট ৩০৮৪২ এবং বাতিল হয়েছে ১০৫৯। শতকরা ভোট পরেছে ৩১.৫৭ শতাংশ।

এই উপজেলায় পুরুষ ভাইস চেয়ারম্যান পদে মোট পড়েছে ৩১৮৮৩ ভোট। তার মধ্যে বৈধ ভোট ৩০৫৩৪ এবং বাতিল হয়েছে ১৩৪৯টি। শতকরা ভোট পরেছে ৩১.৫৫ শতাংশ।

মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান পদে মোট ভোট পড়েছে ৩১৯৪৫। তার মধ্যে বৈধ ভোট ৩০৬২৩ এবং বাতিল হয়েছে ১৩২২টি। শতকরা ভোট পড়েছে ৩১.৬১ শতাংশ।

রাঙামাটির বরকল উপজেলায় চেয়ারম্যান পদে মোট ভোট পড়েছে ১৮৫৫৪। তার মধ্যে বৈধ ভোট ১৮০০৫ এবং বাতিল হয়েছে ৫৪৯টি। শতকরা ভোট পড়েছে ৪৭.৩৫ শতাংশ।

পুরুষ ভাইস চেয়ারম্যান পদে মোট ভোট পড়েছে ১৮৫৫৭। তার মধ্যে বৈধ ভোট ১৭২২৪ এবং বাতিল হয়েছে ১৩৩৩টি। শতকরা ভোট পড়েছে ৪৭.৩৬ শতাংশ।

মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান পদে মোট ভোট পড়েছে ১৮৫৪২। তার মধ্যে বৈধ ভোট ১৭৫৩৯ এবং বাতিল হয়েছে ১০০৩ টি। শতকরা ভোট পড়েছে ৪৭.৩২ শতাংশ।

কাউখালি উপজেলায় চেয়ারম্যান পদে মোট ভোট পড়েছে ৩৫৭৮৩। তার মধ্যে ৩৫২৭০ বৈধ ভোট এবং বাতিল হয়েছে ৫১৩ টি। শতকরা ভোট পড়েছে ৭০.৫৩ শতাংশ।

এই উপজেলায় পুরুষ ভাইস চেয়ারম্যান পদে বিনা প্রতিদ্বন্ধিতায় নির্বাচিত হয়েছে।

মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান পদে মোট ভোট পড়েছে ৩৫৭৮৩। তার মধ্যে বৈধ ভোট ৩৪৮৫১ এবং বাতিল হয়েছে ৯৩২টি। শতকরা ভোট পড়েছে ৭০.৫৩%।

জুরাছড়ি উপজেলায় চেয়ারম্যান পদে মোট ভোট পড়েছে ১১০০৪। তার মধ্যে বৈধ ভোট ১০৭৯০ এবং বাতিল হয়েছে ২১৪টি। শতকরা ভোট পড়েছে ৫৫.২১ শতাংশ।

পুরুষ ভাইস চেয়ারম্যান পদে মোট ভোট পড়েছে ১১০০৪। তার মধ্যে বৈধ ভোট ১০৭০৮ এবং বাতিল হয়েছে ২৯৬ টি। শতকরা ভোট পড়েছে ৫৫.২৯ শতাংশ।

মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান পদে মোট ভোট পড়েছে ১১০০৪। তার মধ্যে বৈধ ভোট ১০৮১১ এবং বাতিল হয়েছে ১৯৩ টি। শতকরা ভোট পড়েছে ৫৫.২৯ শতাংশ।

;

সিকৃবিতে রুম দখল নিয়ে ছাত্রলীগের দুই গ্রুপে সংঘর্ষ, আহত ১৭



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট বার্তা২৪.কম সিলেট
ছবি : সংগৃহীত

ছবি : সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

রুম দখলকে কেন্দ্র করে সিলেট কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ে (সিকৃবি) ছাত্রলীগের দুই পক্ষের সংঘর্ষে ঘটনা ঘটেছে।

রবিবার (১২ মে) বিকাল ৫টার দিকে বিশ্ববিদ্যালয়ের আব্দুস সামাদ আজাদ হলে এই সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। ওই হলে দুই দফা সংঘর্ষে অন্তত ১৭ জন আহত হয়েছে। পরে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে ক্যাম্পাসে পুলিশ মোতায়েন করা হয়।

জানা যায় , সিকৃবির আজাদ হলের একটি রুম (৫০৭ নং) দীর্ঘদিন ধরে ফাঁকা পড়ে ছিল। তখন এলোটমেন্ট পাওয়া কিছু ছাত্রকে ওই রুমে তুলে দেন ছাত্রলীগের সহ-সভাপতি রিয়াজুল ইসলাম রিয়াদ সমর্থিত গ্রুপের নেতা-কর্মীরা।

তবে সাংগঠনিক সম্পাদক আরমান হোসেন সমর্থিত গ্রুপের নেতা-কর্মীরা এটা নিজেদের রুম বলে দাবি করেন। এ নিয়ে কথা কাটাকাটির এক পর্যায়ে দু-পক্ষের সংঘর্ষ বাঁধে।

পরে সমাধানের উদ্দেশ্য ছাত্র পরামর্শ, প্রক্টর, প্রভোস্টরা ছাত্রলীগসহ বসলে সেখানে কথা কাটাকাটির জেরে দ্বিতীয় দফায় সংঘর্ষ জড়িয়ে পড়েন নেতা-কর্মীরা।

দ্বিতীয় দফা সংঘর্ষকে কেন্দ্র করে মাঠে অবস্থান করে আরেকটি গ্রুপের (সহ-সভাপতি সাব্বির মোল্লা ও সাংগঠনিক সম্পাদক জুনায়েদ আহমেদ পক্ষের) নেতা- কর্মীরা। পরে পুলিশ ও বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনেন।

দুই দফা সংঘর্ষে ১৭ জন আহত হয়েছে বলে নিশ্চিত করেছেন সিকৃবির চীফ মেডিকেল অফিসার ডা. অসিম রঞ্জন রায়। আহতদের মধ্যে দুজনকে ওসমানী মেডিকেল কলেজে পাঠানো হয়েছে বলেও জানা গেছে।

এ বিষয়ে আব্দুস সামাদ আজাদ হলের প্রভোস্ট অধ্যাপক মীর মো. ইকবাল হাসান বলেন, ‘ক্যাম্পাসে একটি রুমকে নিয়ে ছাত্রলীগের দুই পক্ষের সংঘর্ষ হয়। এতে কয়েক জন ছাত্র আহত হয়েছে। আমারা আহতদের দেখতে যাচ্ছি। আর ওই কক্ষটা আমরা তালা মেরে রেখেছি। ছাত্রলীগের নেতা-কর্মীরা নিজেরা বসে বিষয়টা সমাধান করবে বলে জানিয়েছে।’

এ ঘটনা সম্পর্কে জানতে সিকৃবি ছাত্রলীগ সভাপতি আশিকুর রহমান ও সাধারণ সম্পাদক এমাদুল হোসেনকে মুঠোফোনে যোগাযোগ করা হলেও তারা কল রিসিভ করেননি।

এ ছাড়াও সহ-সভাপতি রিয়াজুল ইসলাম রিয়াদের সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে তিনিও কথা বলতে রাজি হননি।

এ প্রসঙ্গে সিকৃবির প্রক্টর অধ্যাপক ড.সাদ উদ্দিন মাহফুজ বলেন, ‘শিক্ষার্থীদের মধ্যে আব্দুস সামাদ আজাদ হলের একটি রুম নিয়ে ছাত্রলীগের দুই গ্রুপের ঝামেলা হয়, যার দরুন বেশ কয়েকজন শিক্ষার্থী আহত হয়। আমরা সকলের সহযোগিতায় পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রনে আনার চেষ্টা করেছি। এখন পরিস্থিতি স্বাভাবিক রয়েছে। কারা এ ঝামেলায় জড়িত খতিয়ে দেখা হচ্ছে। পরবর্তীতে কোনো সমস্যা হলে প্রশাসন থেকে যথাযথ পদক্ষেপ নেওয়া হবে।’

এ ব্যাপারে সিলেট শাহপরান থানার এসি শাহজাহান ভূঁইয়া বলেন, ‘একটা রুম নিয়ে ছাত্রদের সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। পুলিশ এখনো ক্যাম্পাসের আশেপাশে অবস্থান করছে।’

এর আগে গত শুক্রবার (১০ মে) রাতে সিকৃবি ছাত্রলীগের পূর্ণাঙ্গ কমিটি ঘোষণা করা হয়। কমিটি ঘোষণার দুই দিন না পেরোতেই সংঘর্ষে জড়ালো ছাত্রলীগের দুটি গ্রুপ।

;