বাংলাদেশকে ৪০ লাখ অ্যাস্ট্রাজেনেকার টিকা দিল যুক্তরাজ্য
কোভ্যাক্সের মাধ্যমে বাংলাদেশকে ৪০ লাখেরও বেশি ডোজ অক্সফোর্ড-অ্যাস্ট্রাজেনেকার টিকা দিয়েছে ব্রিটিশ সরকার।
সোমবার (১৩ ডিসেম্বর) বিকালে যুক্তরাজ্য থেকে ভ্যাকসিনের প্রথম চালান দেশে এসেছে।
করোনাভাইরাস অতিমারির বিরুদ্ধে বাংলাদেশের লড়াই ও দেশের অর্থনৈতিক পুনরুদ্ধার করতে যুক্তরাজ্যের এই ভ্যাকসিন বাংলাদেশকে সাহায্য করবে। ঢাকাস্থ বৃটিশ হাইকমিশন এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে এসব জানিয়েছে।
উল্লেখ্য, এ বছরের জি-৭ সম্মেলনে যুক্তরাজ্য ২০২২ সালের জুনের মধ্যে সারাবিশ্বে ১০ কোটি করোনাভাইরাস ভ্যাকসিন ডোজ দান করার প্রতিশ্রুতি দেয়। বাংলাদেশকে প্রদানকৃত এই ভ্যাকসিন অনুদানটি এ সম্মেলনের প্রতিশ্রুতির ফলস্বরূপ এসেছে। যুক্তরাজ্যের অনুদানের ভ্যাকসিন ডোজগুলির শতকরা ৮০ ভাগ কোভ্যাক্স সুবিধার মাধ্যমে বিতরণ করা হবে।
এ সম্পর্কে বাংলাদেশে নিযুক্ত ব্রিটিশ হাইকমিশনার রবার্ট চ্যাটার্টন ডিকসন বলেন, যুক্তরাজ্য থেকে বাংলাদেশে আসা এ টিকার আগমনকে আমরা স্বাগত জানাই। বিশ্বের অন্যান্য দেশের মতো যুক্তরাজ্য ও বাংলাদেশ অতিমারির কারণে কঠিন সময় পার করেছে। এই অতিমারি থেকে আরও উত্তম, নিরাপদভাবে উত্তরণে আমরা উভয়ই একসাথে কাজ করছি। বাংলাদেশকে যুক্তরাজ্যের এই টিকা অনুদান দুই দেশের মধ্যে বিরাজমান ব্রিট-বাংলা বন্ধনের একটি শক্তিশালী বহিঃপ্রকাশ। মানুষের জীবন বাঁচাতে ও অতিমারি মোকাবিলা করতে বাংলাদেশকে সহায়তা করার জন্য যা প্রয়োজন যুক্তরাজ্য তা অবশ্যই করবে।
করোনাভাইরাস অতিমারি মোকাবিলায় বৈশ্বিক প্রচেষ্টার অংশ হিসেবে যুক্তরাজ্য অক্সফোর্ড-অ্যাস্ট্রাজেনেকা ভ্যাকসিন প্রস্তুতে সহায়তা করার জন্য ৯ কোটি পাউন্ড বিনিয়োগসহ অন্যান্য কার্যক্রমে বিশ্বে নেতৃস্থানীয় ভূমিকা পালন করেছে। বিশ্বব্যাপী অক্সফোর্ড-অ্যাস্ট্রাজেনেকা ভ্যাকসিনের ৫০ কোটিরও বেশি ডোজ অলাভজনক মূল্যে বিতরণ করা হয়েছে, যার দুই-তৃতীয়াংশ নিম্ন ও মধ্যম আয়ের দেশে যাচ্ছে।
২০২০ সালে কোভ্যাক্স প্রতিষ্ঠার প্রচেষ্টা শুরু করে যুক্তরাজ্য এবং বিশ্বের নিম্ন আয়ের দেশগুলিতে ভ্যাকসিনের চাহিদা মেটাতে মোট ৫৪.৮ কোটি পাউন্ড প্রদান করে। এই কোভ্যাক্স স্কিমটি ৮৩টি নিম্ন-মধ্যম আয়ের দেশসহ ১৩৭টিরও বেশি দেশ ও অঞ্চলে ১৫.২ কোটিরও বেশি ভ্যাকসিন ডোজ সরবরাহ করেছে। প্রাথমিক ভ্যাকসিনের শতকরা ৬৫ ভাগ ডোজ অক্সফোর্ড-অস্ট্রাজেনেকার ভ্যাকসিন প্রদানের মাধ্যমে সম্পন্ন হয়েছে। কোভ্যাক্সের লক্ষ্য ২০২২ সালের প্রথম দিকে বিশ্বের নিম্ন আয়ের দেশগুলিতে ১৮০ কোটি ডোজ টিকা সরবরাহ করা।