বাংলাদেশ প্রতিষ্ঠা হলো বাঙালি জাতির শ্রেষ্ঠতম অর্জন

  বিজয়ের ৫০ বছর



স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, ঢাকা
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা

  • Font increase
  • Font Decrease

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, একাত্তরের ১৬ ডিসেম্বর মুক্তিযুদ্ধে বিজয়ের মাধ্যমে জাতিরাষ্ট্র ‘বাংলাদেশ’ প্রতিষ্ঠা হলো বাঙালি জাতির শ্রেষ্ঠতম অর্জন। এই অর্জনকে অর্থবহ করতে স্বাধীনতার মহানায়ক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব এবং মুক্তিযুদ্ধ সম্পর্কে সবাইকে জানতে ও জানাতে হবে।

তিনি বলেন, প্রজন্ম থেকে প্রজন্মে মহান মুক্তিযুদ্ধের চেতনা আমরা পৌঁছে দিবো- বিজয়ের সুবর্ণজয়ন্তীর এ মাহেন্দ্রক্ষণে এই হোক আমাদের অঙ্গীকার।

প্রধানমন্ত্রী আজ মহান বিজয় দিবস উদযাপন উপলক্ষে দেয়া এক বাণীতে একথা বলেন। বিজয়ের সুবর্ণজয়ন্তী উপলক্ষ্যে তিনি দেশবাসীকে আন্তরিক শুভেচ্ছা ও অভিনন্দন জানান।

প্রধানমন্ত্রী গভীর শ্রদ্ধার সঙ্গে স্মরণ করেন জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে। স্মরণ করেন জাতীয় চার নেতা, ত্রিশ লাখ শহীদ, সম্ভ্রমহারা দুই লাখ মা-বোন এবং জাতির শ্রেষ্ঠ সন্তান বীর মুক্তিযোদ্ধাদের, যাঁদের মহান আত্মত্যাগের বিনিময়ে আমরা পেয়েছি স্বাধীন সার্বভৌম বাংলাদেশ।

তিনি কৃতজ্ঞতা জানান সেইসব দেশ ও ব্যক্তিবর্গের প্রতি যাঁরা আমাদের মুক্তিযুদ্ধে নানাভাবে সহায়তা দিয়েছেন।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, ১৬ ডিসেম্বর। মহান বিজয় দিবস। বাংলাদেশের বিজয়ের ৫০ বছর পূর্তি হলো। আজ বাঙালি জাতির এক অনন্য গৌরবোজ্জ্বল দিন। জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের আহ্বানে সাড়া দিয়ে দীর্ঘ ২৩ বছরের রাজনৈতিক সংগ্রাম ও ৯ মাসের রক্তক্ষয়ী মুক্তিযুদ্ধের মাধ্যমে ১৯৭১ সালের এই দিনে চূড়ান্ত বিজয় অর্জন করে বাঙালি।

জাতির পিতার জন্মশতবার্ষিকী ‘মুজিববর্ষ’ এবং স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তী উপলক্ষ্যে বিভিন্ন বর্ণাঢ্য কর্মসূচি গ্রহণ করা হয়েছে উল্লেখ করে তিনি বলেন, করোনাভাইরাস মহামারি পরিস্থিতিতে জনসমাগম এড়িয়ে স্বাস্থ্যবিধি মেনে এসব অনুষ্ঠানমালা উদ্যাপন করা হচ্ছে।

তিনি বলেন, বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব বাংলাদেশকে ‘স্বল্পোন্নত’ দেশে উন্নীত করেন, আর আমরা মাতৃভূমিকে ‘উন্নয়নশীল’ দেশের কাতারে নিয়ে গেলাম ‘মুজিববর্ষ’ এবং স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তীর এ শুভক্ষণে। স্বাধীনতার পর বিগত ৫০ বছরে আমাদের যা কিছু অর্জন তা জাতির পিতা এবং আওয়ামী লীগের হাত ধরেই হয়েছে। প্রধানমন্ত্রী দৃঢ়ভাবে বিশ্বাস করেন, আমাদের এই উন্নয়নের গতিধারা অব্যাহত থাকলে বিশ্ব দরবারে বাংলাদেশ ২০৪১ সালের মধ্যেই বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবের ক্ষুধা-দারিদ্র্যমুক্ত ও উন্নত-সমৃদ্ধ স্বপ্নের সোনার বাংলাদেশে পরিণত হবে ।

শেখ হাসিনা বলেন, বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবের বলিষ্ঠ নেতৃত্বে বাঙালি জাতি ১৯৪৮-’৫২-এর ভাষা আন্দোলন, ’৬২’র শিক্ষা আন্দোলন, ’৬৬’র ছয়-দফা, ’৬৯’র এগার-দফা ও গণঅভুত্থ্যানের মাধ্যমে স্বাধীনতার জন্য প্রস্তুত হয়ে উঠে। ’৭০-এর সাধারণ নির্বাচনে আওয়ামী লীগ সমগ্র পাকিস্তানে নিরঙ্কুশ সংখ্যাগরিষ্ঠতা অর্জন করে। কিন্তু পাকিস্তানিরা বাঙালি জাতিকে ক্ষমতায় অধিষ্ঠিত হতে দেয়নি। জাতির পিতা অনুধাবন করেছিলেন, স্বাধীনতা অর্জন ছাড়া বাঙালি জাতির ওপর অত্যাচার, নির্যাতন ও বঞ্চনার অবসান হবে না। তাই তিনি ১৯৭১ সালের ৭ মার্চ ঐতিহাসিক রেসকোর্স ময়দানের জনসমুদ্রে দাঁড়িয়ে দৃপ্তকণ্ঠে ঘোষণা করেন, ‘এবারের সংগ্রাম আমাদের মুক্তির সংগ্রাম, এবারের সংগ্রাম স্বাধীনতার সংগ্রাম’।

বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবের ডাকে শুরু হয় অসহযোগ আন্দোলন। চলতে থাকে সশস্ত্র মুক্তিযুদ্ধের প্রস্তুতি। পাকিস্তানি হানাদারবাহিনী ’৭১-এর ২৫ মার্চ কালোরাতে নিরীহ ও নিরস্ত্র বাঙালির ওপর হত্যাযজ্ঞ শুরু করে। ২৬ মার্চের প্রথম প্রহরে বঙ্গবন্ধু বাংলাদেশের স্বাধীনতা ঘোষণা করেন। শুরু হয় সশস্ত্র মুক্তিযুদ্ধ। ১৭ এপ্রিল মুজিবনগরে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবকে রাষ্ট্রপতি, সৈয়দ নজরুল ইসলামকে উপ-রাষ্ট্রপতি এবং তাজউদ্দিন আহমদকে প্রধানমন্ত্রী করে গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশের প্রথম সরকার শপথ গ্রহণ করে মুক্তিযুদ্ধ পরিচালনা করে। বীর মুক্তিযোদ্ধারা ৯ মাসের রক্তক্ষয়ী যুদ্ধের মাধ্যমে পাকিস্তানি হানাদার এবং তাদের দোসর রাজাকার-আলবদর-আলশামস বাহিনীকে পরাজিত করে ১৬ ডিসেম্বর চূড়ান্ত বিজয় অর্জন করেন। আমরা পাই লাল-সবুজের পতাকা।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, জাতির পিতা মাত্র সাড়ে ৩ বছরে যুদ্ধ-বিধ্বস্ত দেশকে পুনর্গঠন করেন। ধ্বংস প্রাপ্ত রাস্তাঘাট, ব্রিজ-কালভার্ট, রেললাইন, পোর্ট সচল করে অর্থনীতিতে গতি সঞ্চার করেন। মাত্র ১০ মাসে তাঁর নির্দেশনায় মুক্তিযুদ্ধের চেতনার ভিত্তিতে আমাদের সংবিধান প্রণীত হয়। ১৯৭৫ সালে জিডিপি প্রবৃদ্ধির হার ৯ শতাংশ অতিক্রম করে। যুদ্ধবিধ্বস্ত বাংলাদেশকে বঙ্গবন্ধু ‘স্বল্পোন্নত’ দেশের কাতারে নিয়ে যান।

শেখ হাসিনা বলেন, সকল প্রতিবন্ধকতা মোকাবিলা করে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব যখন একটি শোষণ-বঞ্চনামুক্ত অসাম্প্রদায়িক গণতান্ত্রিক ‘সোনার বাংলা’ গড়ার লক্ষ্য নিয়ে এগিয়ে যাচ্ছিলেন, ঠিক তখনই স্বাধীনতা বিরোধী অপশক্তি ১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্টের কালরাতে তাঁকে পরিবারের বেশিরভাগ সদস্যসহ নির্মমভাবে হত্যা করে। বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবকে হত্যার পর থেমে যায় বাংলাদেশের উন্নয়ন-অগ্রযাত্রা। শুরু হয় হত্যা, ক্যু আর ষড়যন্ত্রের রাজনীতি। ঘাতক এবং তাদের দোসররা ইতিহাসের এই জঘন্যতম হত্যাকান্ডের বিচারের পথ রুদ্ধ করতে জারি করে ‘ইনডেমনিটি অধ্যাদেশ’।

তিনি বলেন, ‘দীর্ঘ ২১ বছর পর বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ ১৯৯৬ সালে জনগণের ভোটে জয়ী হয়ে রাষ্ট্র পরিচালনার দায়িত্ব পায়। আমরা দায়িত্ব নিয়েই বাংলাদেশকে একটি মর্যাদাশীল দেশ হিসেবে বিশ্বের বুকে প্রতিষ্ঠিত করার উদ্যোগ গ্রহণ করি। সামাজিক সুরক্ষা কর্মসূচি প্রবর্তনের মাধ্যমে গরিব, প্রান্তিক মানুষদের সরকারি ভাতার আওতায় আনা হয়। কৃষি উৎপাদনের ওপর বিশেষ জোর দিয়ে দেশকে খাদ্য উৎপাদনে স্বয়ংসম্পূর্ণ করি। পানির হিস্যা আদায়ে ১৯৯৬ সালে ভারতের সঙ্গে গঙ্গা পানিবণ্টন চুক্তি স্বাক্ষরিত হয়। পার্বত্য চট্টগ্রামে শান্তি প্রতিষ্ঠার লক্ষ্যে ১৯৯৭ সালে ঐতিহাসিক শান্তিচুক্তি সম্পাদন করি। ইনডেমনিটি অধ্যাদেশ বাতিল করে আমরা বঙ্গবন্ধু হত্যাকান্ডের বিচার কার্যক্রম শুরু করি।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, আওয়ামী লীগ ২০০৯ সাল থেকে ধারাবাহিকভাবে সরকার গঠন করে গত ১৩ বছর ধরে মানুষের ভাগ্যোন্নয়নে নিরলসভাবে কাজ করে যাচ্ছে। আমরা আজ জাতির পিতার অসমাপ্ত কাজগুলো বাস্তবায়ন করছি। খাদ্য উৎপাদনে বাংলাদেশ আজ স্বয়ংসম্পূর্ণ। আমরা এখন পুষ্টি নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে কাজ করছি। মিয়ানমার ও ভারতের সঙ্গে সমুদ্রসীমা বিরোধের শান্তিপূর্ণ নিষ্পত্তির মাধ্যমে বঙ্গোপসাগরে বিশাল এলাকার ওপর আমাদের সার্বভৌম অধিকার প্রতিষ্ঠিত হয়েছে। বাংলাদেশ-ভারত স্থল সীমান্ত চুক্তি বাস্তবায়নের মাধ্যমে ছিটমহলবাসীর দীর্ঘদিনের মানবেতর জীবনের অবসান হয়েছে। বঙ্গবন্ধু হত্যাকান্ডের বিচারের রায় কার্যকরের মধ্য দিয়ে জাতি গ্লানিমুক্ত হয়েছে। জাতীয় চার নেতা হত্যাকাণ্ডের বিচার কার্যক্রম সম্পন্ন করা হয়েছে। যুদ্ধাপরাধীদের বিচার অব্যাহত রয়েছে এবং বিচারের রায় কার্যকর করা হচ্ছে।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘আমরা ২০২১-২০৪১ মেয়াদি দ্বিতীয় প্রেক্ষিত পরিকল্পনা প্রণয়ন করেছি এবং ৮ম পঞ্চবার্ষিক পরিকল্পনা বাস্তবায়ন করছি। আমরাই বিশ্বে প্রথম শত বছরের ‘ব-দ্বীপ পরিকল্পনা ২১০০’ বাস্তবায়ন শুরু করেছি। বাংলাদেশের উন্নয়ন অভিযাত্রায় ‘ডিজিটাল বাংলাদেশ’ এর সুবিধা আজ শহর থেকে প্রান্তিক গ্রাম পর্যায়ে বিস্তৃত হয়েছে। প্রতিটি গ্রামে শহরের নাগরিক সুযোগ-সুবিধা পৌঁছে দেওয়া হচ্ছে। দেশের সকল গৃহহীন-ভূমিহীনের জন্য ঘর তৈরি করে দেওয়া হচ্ছে। বাংলাদেশের একটি মানুষও আর গৃহহীন থাকবে না।

তিনি বলেন, করোনাভাইরাস মহামারিতে অর্থনীতির চাকাকে সচল রাখতে আমরা ১ লক্ষ ৩১ হাজার ৬৪১ কোটি টাকার ২৮টি প্রণোদনা প্যাকেজ ঘোষণা করেছি। ৯৯.৭৫ শতাংশ মানুষ বিদ্যুৎ সুবিধার আওতায় এসেছে। মাথাপিছু আয় ২০০৫-০৬ সালের ৫৪৩ মার্কিন ডলার হতে বৃদ্ধি পেয়ে বর্তমানে ২৫৫৪ মার্কিন ডলারে পৌঁছেছে। আমরা দেশের প্রতিটি খাতে অভাবনীয় অগ্রগতি অর্জন করেছি। কৃষি, শিক্ষা, স্বাস্থ্য, যোগাযোগ, তথ্যপ্রযুক্তি, শিল্প ব্যবসা-বাণিজ্যসহ আর্থ-সামাজিক উন্নয়নের প্রতিটি ক্ষেত্রে বাংলাদেশ এখন বিশ্বের বুকে ‘রোল মডেল’। বাংলাদেশ স্বল্পোন্নত দেশ থেকে মর্যাদাশীল ‘উন্নয়নশীল’ দেশে উন্নীত হওয়ার বিষয়ে জাতিসংঘের চূড়ান্ত অনুমোদন লাভ করেছে।

  বিজয়ের ৫০ বছর

বায়ুদূষণে ঢাকার স্থান আজ চতুর্থ



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, ঢাকা
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

বায়ুদূষণের কারণে দূষিত শহরের তালিকায় আজ মঙ্গলবার ঢাকার স্থান চতুর্থ। সকাল ৬টা ১৫ মিনিটে ঢাকার এয়ার কোয়ালিটি ইনডেক্স (একিউআই-বায়ুর মান সূচক) স্কোর ১৪৩ । বায়ুর মান বিচারে এ পরিস্থিতি ‘সংবেদনশীল গোষ্ঠীর জন্য অস্বাস্থ্যকর’।

১০১ থেকে ২০০-এর মধ্যে একিউআই স্কোরকে সংবেদনশীল গোষ্ঠীর জন্য ‘অস্বাস্থ্যকর’ বলে মনে করা হয়। ২০১ থেকে ৩০০-এর মধ্যে থাকা একিউআই স্কোরকে ‘খুব অস্বাস্থ্যকর’ বলা হয়। এ অবস্থায় শিশু, প্রবীণ এবং অসুস্থ রোগীদের বাড়ির ভেতরে এবং অন্যদের বাড়ির বাইরের কার্যক্রম সীমাবদ্ধ রাখার পরামর্শ দেয়া হয়ে থাকে।

অন্যদিকে ৩০১ থেকে ৪০০-এর এর মধ্যে থাকা একিউআইকে ‘ঝুঁকিপূর্ণ’ বলে বিবেচিত হয়, যা বাসিন্দাদের জন্য গুরুতর স্বাস্থ্যঝুঁকি তৈরি করে।

এ তালিকায় ১৫৮ একিউআই স্কোর নিয়ে শীর্ষে অবস্থানে কাতারের দোহা; ১৫৮ নিয়ে দ্বিতীয় ইন্দোনেশিয়ার জাকার্তা, তৃতীয় স্থানে থাকা নেপালের কাঠমান্ডুর স্কোর ১৫৩ এবং পঞ্চম স্থানে থাকা চীনের শেনিয়াংয়ের,স্কোর ১১৪।

মেগাসিটি ঢাকা দীর্ঘদিন ধরে ভুগছে বায়ুদূষণে। এর বাতাসের গুণমান সাধারণত শীতকালে অস্বাস্থ্যকর হয়ে যায় এবং বর্ষাকালে কিছুটা উন্নত হয়।

২০১৯ সালের মার্চ মাসে পরিবেশ অধিদফতর ও বিশ্বব্যাংকের এক প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়েছে যে, ঢাকার বায়ুদূষণের তিনটি প্রধান উৎস হলো: ইটভাটা, যানবাহনের ধোঁয়া ও নির্মাণ সাইটের ধুলা।

বর্তমানে শীত আসার সঙ্গে সঙ্গে নির্মাণকাজ, রাস্তার ধুলা ও অন্যান্য উৎস থেকে দূষিত কণার ব্যাপক নিঃসরণের কারণে ঢাকা শহরের বাতাসের গুণমান দ্রুত খারাপ হতে শুরু করে।

বাংলাদেশ স্বাস্থ্য অধিদফতরের মতে, বায়ু দূষণের কারণে বাংলাদেশে প্রতি বছর ৮০ হাজার মানুষ মারা যাচ্ছেন।

  বিজয়ের ৫০ বছর

;

আমদানি শুরু হতেই ঝাঁজ কমছে পেঁয়াজের



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, ঢাকা
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

দেশে 'পর্যাপ্ত' উৎপাদনের পরও সিন্ডিকেটের কারণে বেশ কিছুদিন ধরেই পেঁয়াজের বাজার অস্থির। এমন পরিস্থিতিতে ভারত থেকে পেঁয়াজ আমদানির ঘোষণা দেয় সরকার। ইতিমধ্যে ভারত থেকে পেঁয়াজ আসা শুরু হয়েছে। প্রথম দিনই ভারত থেকে এসেছে ১ হাজার ৪৬৭ মেট্রিক টন পেঁয়াজ।

তারমধ্যে চাঁপাইনবাবগঞ্জের শিবগঞ্জ উপজেলার সোনা মসজিদ স্থলবন্দর দিয়ে ১ হাজার ৬২ মেট্রিক টন, সাতক্ষীরার ভোমরা স্থলবন্দর দিয়ে ৩৩০ মেট্রিক টন ও বেনাপোল স্থলবন্দর দিয়ে ৭৫ মেট্রিক টন পেঁয়াজ দেশে এসেছে।

এদিকে পেঁয়াজ আমদানি শুরুর পর দেশের অন্যতম বৃহৎ পাইকারি বাজার চট্টগ্রামের খাতুনগঞ্জে কেজিতে দাম কমেছে ২৫ টাকা। এ বিষয়ে কনজ্যুমারস অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ (ক্যাব) বলছে, আমদানি ঘোষণার পরই দাম কমায় প্রমাণিত, কারসাজি করে দাম বাড়ানো হয়েছিল। কিছু ব্যবসায়ী সিন্ডিকেট করে দাম বাড়িয়েছে।

দেশে পর্যাপ্ত পেঁয়াজ উৎপাদন হওয়ায় সরকার গত ১৫ মার্চ পেঁয়াজ আমদানির অনুমতিপত্র বন্ধ করে। পরে এই অজুহাতে দুই মাসের ব্যবধানে পণ্যটির দাম বেড়ে যায় আড়াই থেকে তিনগুণ। অবশেষে গত রোববার ভারত থেকে পেঁয়াজ আনার অনুমতি দেয় সরকার।

সোমবার পাইকারি বাজার খাতুনগঞ্জে দেশি পেঁয়াজ বিক্রি হয়েছে ৬০ থেকে ৬৫ টাকায়। ব্যবসায়ীদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, গত রোববারও ছোট আকারের দেশি পেঁয়াজ বিক্রি হয় ৮৫ থেকে ৮৮ টাকায়। বড় পেঁয়াজ ছিল ৯০-৯৫ টাকা কেজি।

চট্টগ্রামের খাতুনগঞ্জের হামিদুল্লাহ মিঞামার্কেট কল্যাণ সমিতির সাধারণ সম্পাদক মোহাম্মদ ইদ্রিস বলেন, পেঁয়াজের দাম কমেছে। বাজারে ক্রেতা ছিল অনেক কম। বিক্রিও কম হয়েছে। তিনি বলেন, আমদানি করা পেঁয়াজ আগামী দুদিনের মধ্যে বাজারে আসবে। তখন দাম আরও কমে যাবে।

এদিকে সোমবার রাজধানীর খুচরা বাজারে প্রতি কেজি পেঁয়াজ বিক্রি হয়েছে ৭৫ থেকে ৮০ টাকায়, যা দুদিন আগে ছিল ৯০ থেকে ১০০ টাকা বা তারও বেশি। অন্যদিকে পাইকারি বাজারেও কেজিতে ২০ থেকে ২৫ টাকা পর্যন্ত কমেছে পেঁয়াজের দাম। ঢাকাতেও পাইকারি বাজারে ক্রেতা কম বলে তথ্য পাওয়া যাচ্ছে।

কৃষি মন্ত্রণালয় সূত্র জানিয়েছে, পেঁয়াজের দাম অস্বাভাবিকভাবে বেড়ে যাওয়ায় সীমিত আয়ের, শ্রমজীবী মানুষের কষ্ট কমাতে এবং সব ভোক্তার স্বার্থ রক্ষায় আমদানির সিদ্ধান্ত নিয়েছে সরকার। মূলত এই ঘোষণার পর থেকে কমতে শুরু করেছে পেঁয়াজের দাম।

ঢাকার বিজয়নগরের মুদির দোকানি মাসুদ হাওলাদার বলেন, আমদানি শুরু হওয়ায় পাইকারি বাজারে দাম কমেছে। সেজন্য কেনা দামে (৮০ টাকা) বিক্রি করছি।

শ্যামবাজার কৃষিপণ্য আড়ত বণিক সমিতির সভাপতি হাজী মো. সাঈদ জানিয়েছেন, আড়ত পাইকারশূন্য হয়ে গেছে। মাল থাকলেও ক্রেতা পাওয়া যাচ্ছে না। প্রতি কেজি ৬০ থেকে ৬৫ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে। আমদানি পেঁয়াজ ঢুকলে দাম আরও কমে আসবে। তবে সেক্ষেত্রে দু-চার দিন সময় লাগবে বলে মনে করেন এই ব্যবসায়ী নেতা।

ট্রেডিং করপোরেশন অব বাংলাদেশের (টিসিবি) তথ্য মতে, গত বৃহস্পতিবারও (১ জুন) খুচরা বাজারে ৮০ টাকা কেজিতে পেঁয়াজ বিক্রি হয়েছে। তাদের বাজার পর্যালোচনার তথ্য মতে, এক মাসে পেঁয়াজের দাম বেড়েছে ১২১.৪৩ শতাংশ। গত বছর এই সময় বাজারে পেঁয়াজ বিক্রি হয়েছিল ৩৮ থেকে ৫০ টাকায় অর্থাৎ এক বছরে পেঁয়াজের দাম বেড়েছে ৭৬.১৪ শতাংশ।

  বিজয়ের ৫০ বছর

;

চার দফতরে নতুন সচিব



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, ঢাকা
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

ধর্ম মন্ত্রণালয়, মহিলা ও শিশুবিষয়ক মন্ত্রণালয়, বাংলাদেশ সরকারি কর্মকমিশন সচিবালয়ে সচিব এবং বাংলাদেশ কর্মচারী কল্যাণ বোর্ডের মহাপরিচালক (সচিব) পদে রদবদল এনেছে সরকার।

তাদের মধ্যে তিন সচিবকে বদলি করা হয়েছে। আর একজন অতিরিক্ত সচিবকে পদোন্নতি দিয়ে সচিব করেছে সরকার।

সোমবার রাতে বদলি ও পদোন্নতির আলাদা দুটি প্রজ্ঞাপন জারি করে জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়।

প্রজ্ঞাপনে বলা হয়, ধর্ম মন্ত্রণালয়ের সচিব কাজী এনামুল হাসানকে বাংলাদেশ কর্মচারী কল্যাণ বোর্ডের মহাপরিচালক (সচিব), বাংলাদেশ সরকারি কর্মকমিশন সচিবালয়ের সচিব মু. আ. হামিদ জমাদ্দারকে ধর্ম মন্ত্রণালয়ে এবং মহিলা ও শিশুবিষয়ক মন্ত্রণালয়ের সচিব মো. হাসানুজ্জামান কল্লোলকে বাংলাদেশ সরকারি কর্মকমিশন সচিবালয়ের সচিব পদে বদলি করা হয়েছে।

অন্যদিকে পৃথক প্রজ্ঞাপনে, অর্থ বিভাগে সংযুক্ত অতিরিক্ত সচিব নাজমা মোবারেককে পদোন্নতি দিয়ে সচিব করা হয়েছে। পদোন্নতির পর তাকে মহিলা ও শিশুবিষয়ক মন্ত্রণালয়ের সচিবের দায়িত্ব দিয়েছে সরকার।

  বিজয়ের ৫০ বছর

;

ভারত থেকে দেশে এলো ১৪৬৭ মেট্রিক টন পেঁয়াজ



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

পেঁয়াজ আমদানির অনুমতির প্রথম দিনই ভারত থেকে এলো ১ হাজার ৪৬৭ মেট্রিক টন পেঁয়াজ।

৮১ দিন আমদানি বন্ধ থাকার পর সোমবার (৫ জুন) থেকে পেঁয়াজ আমদানি শুরু হয়েছে।

প্রথম দিনে চাঁপাইনবাবগঞ্জের শিবগঞ্জ উপজেলার সোনা মসজিদ স্থলবন্দর দিয়ে ১ হাজার ৬২ মেট্রিক টন, সাতক্ষীরার ভোমরা স্থলবন্দর দিয়ে ৩৩০ মেট্রিক টন ও বেনাপোল স্থলবন্দর দিয়ে ৭৫ মেট্রিক টন পেঁয়াজ দেশে এসেছে।

সোনা মসজিদ পানামা পোর্ট লিংক লিমিটেডের ম্যানেজার মাইনুল ইসলাম বলেন, আজ দুপুরের পর থেকে ভারতের পশ্চিমবঙ্গের মালদা জেলার মহদিপুর বন্দর থেকে বাংলাদেশের সোনা মসজিদ স্থলবন্দরে পেঁয়াজ আসা শুরু হয়। সন্ধ্যা ৬টা পর্যন্ত ৫৬টি ভারতীয় ট্রাকে পেঁয়াজ এসেছে ১ হাজার ৬২ টন।

ভোমরা কাস্টমসের তত্ত্বাবধায়ক ইফতেখার উদ্দিন বলেন, আজ সন্ধ্যা ৬টার আগে ভারত থেকে ১১ ট্রাকে প্রায় ৩৩০ মেট্রিক টন পেঁয়াজ আমদানি হয়েছে।

ভোমরা সিঅ্যান্ডএফ এজেন্ট অ্যাসোসিয়েশনের সাধারণ সম্পাদক মাকছুদ খান বলেন, দেশের বাজারে পেঁয়াজের মূল্য অস্বাভাবিকভাবে বেড়ে যাওয়ায় রোববার কৃষি মন্ত্রণালয়ের আমদানির অনুমতির কথা জানানোর পরিপ্রেক্ষিতে আজ বিকেল ৫টার পর কয়েক ট্রাক পেঁয়াজ ভারতের বসিরহাটা মহকুমার ঘোজাডাঙ্গা স্থলবন্দর দিয়ে ভোমরা স্থলবন্দরে ঢুকেছে। ভারতের অংশে শতাধিক পেঁয়াজ ভর্তি ট্রাক দাঁড়িয়ে আছে আমদানির অপেক্ষায়। তারা কাগজপত্র প্রস্তুত করতে না পারায় আজ আমদানি করা সম্ভব হয়নি। মঙ্গলবার সেসব পেঁয়াজ আমদানি হতে পারে।

এদিকে ভারতীয় পেঁয়াজ আমদানির ঘোষণা দেওয়ার এক দিনের মধ্যে কমতে শুরু করেছে দাম। রাজধানীর সবচেয়ে বড় পাইকারি বাজার শ্যামবাজারে মাত্র এক দিনের ব্যবধানে পেঁয়াজের দাম কেজিপ্রতি কমেছে ২৫ টাকা পর্যন্ত। তবে খুচরা বাজারে এখনো পেঁয়াজের দাম কমার প্রভাব পড়েনি। ব্যবসায়ীরা বলছেন, দ্রুতই খুচরায়ও দাম কমে আসবে।

  বিজয়ের ৫০ বছর

;