সুবর্ণজয়ন্তী ঘিরে সারাদেশে কড়া নিরাপত্তা ব্যবস্থা
স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তী, বিজয় দিবস ও জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্মশতবার্ষিকী উদযাপন উপলক্ষে সারাদেশে কড়া নিরাপত্তার ব্যবস্থা করেছে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী। এর মধ্যে ঢাকাসহ অন্যান্য স্থানের অনুষ্ঠানস্থল ঘিরে থাকবে কয়েক স্তরের বিশেষ নিরাপত্তা। আগে থেকেই তৎপর রয়েছেন গোয়েন্দারা। সেইসঙ্গে বাড়ানো হয়েছে নজরদারি ও টহল। এ ছাড়া সাইবার মনিটরিং টিম নজর রাখছে অনলাইন প্ল্যাটফর্মে।
র্যাবের আইন ও গণমাধ্যম শাখার পরিচালক কমান্ডার খন্দকার আল মঈন জানান, জল, স্থল ও আকাশপথে ত্রিমাত্রিক নিরাপত্তার ব্যবস্থা করেছে র্যাব। জাতীয় স্মৃতিসৌধ, জাতীয় প্যারেড স্কয়ার, জাতীয় সংসদ ভবনের দক্ষিণ প্লাজা ও ঢাকা বিশ্ববিদ্যায়লসহ দেশব্যাপী বিভিন্ন স্থানে অনুষ্ঠান, জনসমাবেশ, সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের আয়োজন রয়েছে। সার্বিকভাবে সব ধরনের ঝুঁকি পর্যালোচনা করে নিরাপত্তার পরিকল্পনা করা হয়েছে। অন্যান্য আইনশৃঙ্খলা বাহিনী, গোয়েন্দা সংস্থা এবং স্থানীয় প্রশাসনের সঙ্গে সমন্বয় করে র্যাবও বিজয় দিবস উপলক্ষে নিরাপত্তা জোরদার করেছে।
র্যাব সূত্র জানায়, টহল জোরদারের পাশাপাশি দেশব্যাপী বিভিন্ন স্থানে চেকপোস্ট স্থাপন করা হয়েছে। গুরুত্বপূর্ণ স্থানে ডগ স্কোয়াড ও র্যাবের বোমা নিষ্ফ্ক্রিয়করণ ইউনিট তল্লাশি করেছে। ভিভিআইপি, ভিআইপি ও বিদেশি কূটনৈতিক মিশনের সদস্যদের যাতায়াতের স্থানসহ জনসমাগম হওয়ার সম্ভাবনাময় স্থানে গোয়েন্দা নজরদারি বাড়ানো ও নিরাপত্তা নিশ্চিত করা হয়েছে। সম্ভাব্য যে কোনো অনাকাঙ্ক্ষিত পরিস্থিতি মোকাবিলায় র্যাবের বিশেষ ফোর্স ও র্যাবের এয়ার উইংয়ের হেলিকপ্টার প্রস্তুত রয়েছে।
ডিএমপি সূত্র জানায়, ঢাকার সব অনুষ্ঠানস্থল ও অতিথিদের আবাসসহ গুরুত্বপূর্ণ স্থানগুলোয় বাড়তি নিরাপত্তার ব্যবস্থা করা হয়েছে। দিবসটি ঘিরে সুনির্দিষ্ট কোনো হুমকি না থাকলেও সর্বোচ্চ সতর্ক রয়েছে পুলিশ। সন্দেহ হলে প্রতিটি মানুষ ও যানবাহনকে যথাযথভাবে তল্লাশি করতে বলেছেন ডিএমপি কমিশনার। নিরাপত্তার প্রশ্নে কোনো ছাড় দেওয়া হবে না।লা বেতার কেন্দ্র নামে পরিচিত ছিল।