মেয়ে হারিয়ে বাবা পঙ্গু, ছেলে হারিয়ে বার্ন ইউনিটে ধুঁকছেন মা



সুলতান মাহুমদ আরিফ, স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, ঢাকা
ছবি: বার্তা২৪.কম

ছবি: বার্তা২৪.কম

  • Font increase
  • Font Decrease

অভিযান-১০ লঞ্চের আগুনে সন্ধ্যা নদীতে লেখা হয়েছে একেক-একটি দুঃখের মহাকাব্য। কেউ হারিয়েছেন স্ত্রী সন্তান, কেউ বাবা-মা, আবার কেউ হারিয়েছেন স্বজন। আপনজন হারিয়ে কেউ কেউ মুমূর্ষ অবস্থায় হাসপাতালের বেডে মৃত্যুর প্রহর গুণছেন। নিখোঁজ প্রিয়জনের খোঁজে অনেকে সন্ধ্যা নদীর তীর ও হাসপাতালে হাসপাতালে ছুঁটছেন।

ঝালকাঠির লঞ্চ দুর্ঘটনায় আহতদের কয়েকজনকে ঢাকা মেডিকেল কলেজের বার্ন ইউনিটে ভর্তি করা হয়েছে। শনিবার (২৫ ডিসেম্বর) সরজমিনে এমন নানা চিত্র দেখা যায় ঢামেকে।

আমার মেয়ে আমার হাতেই মারা গিয়েছে। মেয়ের শখ ছিল বড় চাকরি করবে। ৫ম শ্রেণি পাস করে ৬ষ্ঠ শ্রেণিতে উঠেছে আমার মেয়ে। আমি মেয়েকে ঢাকা দেখাতে নিয়ে এসে মেরে ফেললাম বলেই আর্তনাদ করলেন ঝালকাঠিতে লঞ্চে আগুন লাগার ঘটনায় মারা যাওয়া তাইফিয়ার বাবা মো. বশির উদ্দিন।

বশির উদ্দিনেরও দু'হাত এবং দু'পা পুড়ে গিয়েছে। পায়ের বৃদ্ধা আঙ্গুল ছাড়া আর কোন আঙ্গুল নাই তার। এখনও চেহারায় রক্তের দাগ দেখা যায়। কথা বলার মত শক্তি পাচ্ছেন না বশির। তবুও মেয়ের কথা বলতেই হাঁফিয়ে হাঁফিয়ে কান্নায় ভেঙে পড়েন বশির।

বশির বার্তা২৪-কে বলেন, আমার ছেলে-মেয়ে মাত্র দু'জন। মেয়ে আমার বড় সন্তান, ১১ বছর বয়স। ক্লাস ফাইভ পাস করার পর বায়না ধরেছে ঢাকা যাবে, ঘুরবে।

গত রোববার আমার শ্বশুর আলী শিকদারকে ডাক্তার দেখাতে নিয়ে আসি মহাখালী বক্ষব্যাধী হাসপাতালে, সাথে আমার মেয়েকেও নিয়ে আসি। আমার মেয়ে ঢাকায় এসে তার বান্ধবীদের জন্য চকলেট কিনেছে। ঢাকা দেখে মেয়ে আমার কি যে আনন্দ করল।

শুক্রবার শ্বশুর আর মেয়েকে নিয়ে বরগুনা যাওয়ার পথে হারাতে হয় আমার মেয়েকে। বশির বলেন, আমরা বরগুনা অভিযান ১০ এ উঠি। উঠার পর পরই দেখলাম একটা ইঞ্জিন প্রায় বন্ধ হয় আবার থামে। আমরা কর্তৃপক্ষকে জানালে তারা বলেছেন এটা কোন সমস্যা না।

আমি ছিলাম দু'তলায়, ইঞ্জিন বরাবর। রাত তিনটা দিকে যখন আগুন লাগছে, আমি আমার মেয়েকে লঞ্চ থেকে ফেলে দিয়েছি,তারপর আমি লাফ দিয়ে মেয়েকে ধরেছি। মেয়েকে এক হাতে ধরে আমি সাঁতরিয়েছি তবে, কোন কূল কিনারা পাইনি আমি। চারদিকে অন্ধকার ছিল। কিছুই দেখি নাই। একটা নৌকা এসে আমাকে উদ্ধার করে ঝালকাঠি হাসপাতালে নেয়, আর সেখানেই আমার মেয়ে মারা গেছে।

বশির উদ্দিন মেয়েকে হারিয়ে চিকিৎসা নিচ্ছেন শেখ হাসিনা জাতীয় বার্ন অ্যান্ড প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটে।

বশিরের দাবি, সরকার যদি আর্থিক কোন সহায়তা করে তা যেন, সঠিকভাবে বণ্টন করা হয়। তার যথার্থ ভাগ যেন সে পাই। আর সেটা যদি বরগুনার ডিসির মাধ্যমে পায় তাহলে আরও ভাল হয়।

এদিকে অগ্নিদগ্ধ হওয়া গোলাম রাব্বির মামা আসাদুজ্জামান বার্তা২৪.কম’কে বলেন, আমার ভাগিনা এবং ভাগিনী সুরাইয়া চাঁদপুর থেকে ওই লঞ্চে উঠেছে। আগুনে পুড়ে যাওয়ার পর বরিশাল শেরে বাংলায় ভর্তি করলে ভাগিনাকে ঢাকায় রেফার করে। ভাগিনীকেও রেফার করেছে, ঢাকায় আনছে।

আসাদুজ্জামান জানান, ওরা ভাই-বোন কেউ কাউকে ছাড়ে নাই। শেষ পর্যন্ত ভাই-বোন একসাথে ছিল পানিতে। ভাগিনার পুরো ঘাড় পুড়ে গিয়েছে। শেষ পর্যন্ত আমার ভাগিনা তার বোনের চুল টেনে ধরে আগলে রেখেছে।

ঢামেকে থাকা আরেক স্বজন মুন্না শেখ বলেন, আমাদের পরিবারের মোট নয় সদস্য ছিলেন ওই লঞ্চে। বড় ভাই শেখ রাসেল, ভাবি পুতুল, ভাইয়ের দুই ছেলে জীবন এবং ইমন, তার দুই শ্যালক কালু ও রবিন, তার শাশুড়ি, কালুর স্ত্রী রুমা ও অহনাকে নিয়ে বরগুনায় রাসেলের ভাইরার বাড়িতে বেড়াতে যাচ্ছিলেন।

অগ্নিকাণ্ডের ঘটনায় আহত শেখ রাসেলের স্ত্রী পুতুল এবং পুতুলের ছোট ভাইকে বরগুনায় চিকিৎসা দেয়া হচ্ছে। শেখ রাসেলকে শেখ হাসিনা জাতীয় বার্ন অ্যান্ড প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটে আনা হয়েছে।

বাকি ৬ জনের মধ্যে শেখ রাসেলের দুই ছেলে জীবন (১২) ও ইমন (৯) আগুনে পুড়ে অঙ্গার হয়ে গেছে বলে জানান তিনি। বাকিদের এখনও সন্ধান পাননি পরিবারটি।

আরও পড়ুন: লঞ্চে আগুন: নৌপরিবহন প্রতিমন্ত্রীর শোক

নদীতে ঝাঁপ দিয়ে প্রাণে রক্ষা পেলেন পাথরঘাটার ইউএনও

লঞ্চে অগ্নিকাণ্ডে নিহতদের পরিবার পাবে দেড় লাখ টাকা করে

লঞ্চ অগ্নিকাণ্ডের ঘটনায় মামলা

শেখ হাসিনা বার্ন ইউনিটে ভর্তি প্রায় সবার শ্বাসনালি পোড়া

লঞ্চে অগ্নিকাণ্ড: মা-মেয়ে এক কবরে

   

খেলাধুলা শৃঙ্খলা, আনুগত্য ও দেশপ্রেম শেখায়: প্রধানমন্ত্রী



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা

  • Font increase
  • Font Decrease

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, খেলাধুলা মানুষকে শারীরিক ও মানসিক শক্তি জোগায়। পাশাপাশি শৃঙ্খলা, আনুগত্য এবং দেশপ্রেম শেখায়।

শনিবার (২০ এপ্রিল) বিকেলে বাংলাদেশ আর্মি স্টেডিয়ামে বঙ্গবন্ধু ও বঙ্গমাতা গোল্ডকাপ ফুটবল টুর্নামেন্টের ফাইনাল শেষে পুরস্কার বিতরণ অনুষ্ঠানে তিনি এসব কথা বলেন।

অন্যান্য খেলার পাশাপাশি দেশীয় খেলাকেও এগিয়ে নেওয়ার তাগিদ দিয়েছেন শেখ হাসিনা। সেইসঙ্গে খেলাধুলার বিকাশে সরকারের নেওয়া পদক্ষেপের বিষয়ে আলোকপাত করেন তিনি।

শেখ হাসিনা বলেন, তিনি যখনই ক্ষমতায় এসেছেন, শিশুদের খেলাধুলায় আরও উৎসাহিত করার চেষ্টা করেছেন। কারণ, খেলাধুলা মানুষকে শারীরিক ও মানসিক শক্তি জোগায়। পাশাপাশি শৃঙ্খলা, আনুগত্য এবং দেশপ্রেম শেখায়।

প্রধানমন্ত্রী জানান, তিনি চান ছেলেমেয়েরা লেখাপড়ার পাশাপাশি খেলাধুলা, শরীরচর্চা, সাংস্কৃতিক চর্চার মধ্য দিয়ে উপযুক্ত নাগরিক হিসেবে গড়ে উঠবে।

সংশ্লিষ্টদের নির্দেশনা দিয়ে শেখ হাসিনা বলেন, খেলাধুলায় আমাদের ছেলেমেয়েরা যেন আরও বেশি আগ্রহী হয়ে অংশগ্রহণ করে, আমাদের দেশীয় খেলাধুলাকেও সমানভাবে সুযোগ দিতে হবে। কারণ দেশীয় খেলাগুলোর মধ্য দিয়ে আমাদের ছেলেমেয়েদের মেধা বিকাশের আরও সুযোগ হবে।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, আজকে আমরা এই খেলাধুলার মধ্য দিয়ে দেশকে এগিয়ে নিয়ে যেতে পারি। সারাবিশ্বের কাছে দেশকে পরিচিত করতে পারি। আমি সত্যিই খুব আনন্দিত যে, আমাদের ছেলেরা তো বটেই, মেয়েরাও দেশের বাইরে গিয়ে পারদর্শিতা দেখাতে পারছে। ২০০৯ সালে সরকার গঠনের পর থেকে যখন আমরা এই প্রাথমিক বিদ্যালয় ফুটবল টুর্নামেন্ট শুরু করলাম ছেলেদের এবং মেয়েদের। বঙ্গমাতা গোল্ডকাপ এবং বঙ্গবন্ধু গোল্ডকাপ। দেশের গন্ডি পেরিয়ে বিদেশে গিয়েও আমাদের ছেলে-মেয়েরা চমৎকার পারদর্শিতা দেখাচ্ছে। সবচেয়ে বড় কথা সাফ ওমেন-২০২২ এ চ্যাম্পিয়ন হওয়ার সুযোগ অর্জন করেছে। এটা আমাদের মেয়েরাই এই অর্জন এনে দিয়েছে।

সরকার প্রধান বলেন, সরকার প্রতিটি উপজেলায় একটি করে মিনি স্টেডিয়াম করে দিচ্ছে, যাতে করে প্রত্যেকটি উপজেলাতেই খেলাধুলার সুযোগ সৃষ্টি হয়। শেখ হাসিনা বলেন, আমি চাই, আমাদের ছেলে মেয়েরা লেখাপড়ার পাশাপাশি খেলাধুলা শরীর চর্চা ওর সাংস্কৃতিক চর্চার মধ্য দিয়ে নিজেদেরকে উপযুক্ত হিসেবে গড়ে তুলবে। সবাই শিক্ষা দীক্ষা খেলাধুলা সবদিক থেকে আরও বেশি উন্নত হবে, সারা বিশ্বে আমরা মাথা উঁচু করে চলবো। জাতির পিতার স্বপ্নের সোনার বাংলাদেশ গড়ে তুলবে আমাদের আজকের এই সোনার ছেলে মেয়েরা। সকলের প্রতি আমার অভিনন্দন ও আশীর্বাদ রইল।

;

খাতুনগঞ্জে বাজার মনিটরিং, দুই ব্যবসায়ীকে জরিমানা



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, চট্টগ্রাম
ছবি: বার্তা২৪.কম

ছবি: বার্তা২৪.কম

  • Font increase
  • Font Decrease

চট্টগ্রামের বৃহৎ ভোগ্য পণ্যের পাইকারি বাজার খাতুনগঞ্জের বাজারে মনিটরিং কার্যক্রম চালিয়েছে জেলা প্রশাসন। এসময় ক্রয়-বিক্রয়দের রশিদ সংরক্ষণ না করায় দুই ব্যবসায়ীকে ১০ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়েছে।

শনিবার (২০ এপ্রিল) বিকেলে বাকলিয়া সার্কেল ভূমি অফিসের সহকারী কমিশনার (ভূমি) ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট এ এফ এম শামীমের নেতৃত্বে এ অভিযান পরিচালনা করা হয়।

এসময় বিভিন্ন আড়তে মূল্য তালিকা প্রদর্শন এবং ক্রয়-বিক্রয় রশিদ সংরক্ষণ করা হচ্ছে কিনা তা যাচাই করা হয়৷

নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট এ এফ এম শামীম বলেন, ঈদ পরবর্তী সময়ে পেয়াজসহ নিত্যপ্রয়োজনীয় জিনিসপত্রের দাম বাড়ায় সাধারণ মানুষ হিমশিম খাচ্ছে। বাজার নিয়ন্ত্রণে জেলাপ্রশাসনের নিয়মিত কার্যক্রমে অংশ হিসেবে এ অভিযান চালানো হয়। অভিযানে দুটি প্রতিষ্ঠানে রশিদ ছাড়া পণ্য বিক্রির প্রমাণ পাওয়া যায়। তাই কৃষি বিপনন আইন, ২০১৮ অনুযায়ী প্রতিষ্ঠান দুটির মালিককে দশ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়।

অভিযানে কৃষি বিপনন অধিদপ্তরের কর্মকর্তা এবং কোতোয়ালী থানার একটি পুলিশের একটি টিম সঙ্গে ছিলেন।

;

খুলনায় ১২টি স্বর্ণের বারসহ গ্রেফতার ১



ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, খুলনা
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

খুলনায় ১২ পিস স্বর্ণের বারসহ একজনকে গ্রেফতার করা হয়। শনিবার (২০ এপ্রিল) দুপুরে কেএমপি’র লবণচরা থানা পুলিশ ঢাকা থেকে ছেড়ে আসা সাতক্ষীরার উদ্দেশ্যে ছেড়ে আসা এক বাস তল্লাশি করে এই স্বর্ণের বার উদ্ধার করে।

পুলিশ জানায়, শনিবার (২০ এপ্রিল) দুপুরে লবণচরা থানার একটি টিম গোপন সংবাদের ভিত্তিতে জানতে পারে যে, ঢাকা থেকে সাতক্ষীরার উদ্দেশ্যে ছেড়ে আসা টুংগীপাড়া এক্সপ্রেসে (ঢাকা মেট্রো-ব-১৫-৯০৩৩) একজন ব্যক্তি সন্দেহজনক কোন বস্তু বহন করে নিয়ে যাচ্ছে। বাসটি জিরোপয়েন্ট মোড়স্থ খুলনা সাতক্ষীরা মহাসড়কের পাশে রূপকথা রেষ্টুরেষ্টের সামনে আসলে বাসটি তল্লাশি করা হয়।

টুঙ্গীপাড়া এক্সপ্রেস পরিবহন থামিয়ে কেএমপি’র ডেপুটি পুলিশ কমিশনার (দক্ষিণ) মোহাম্মদ তাজুল ইসলাম, বিপিএম-সেবা; সহকারী পুলিশ কমিশনার (খুলনা জোন) গোপীনাথ কানজিলাল; লবণচরা থানার অফিসার ইনচার্জ মমতাজুল হক এবং এসআই (নি:) প্রদীপ বৈদ্য সহ সঙ্গীয় ফোর্স, স্থানীয় জনগণ এবং সাংবাদিকের সম্মুখে

যাত্রীদের তল্লাশি করাকালে স্বর্ণ চোরা চালানকারী সাতক্ষীরা’র দেবহাটা থানার শাখরা কমলপুর এলাকার মোঃ আলম গাজীর ছেলে মাসুম বিল্লাহ (২৮) কে জুতার (লোফার) ভিতরে সুকৌশলে সাজিয়ে রাখা ১২ পিস স্বর্ণের বার উদ্ধার করা হয়। যার প্রতিটি স্বর্ণের বারের ওজন ১১৬ দশমিক ৬৫ গ্রাম প্রায় ও সর্বমোট ওজন ১৩৯৯ দশমিক ৭৪ গ্রাম। যার সর্বমোট মূল্য অনুমান ১ কোটি ৩৪ লাখ ৪০ হাজার ৩০৩ টাকা।

পুলিশ আরো জানায়, ভারতে পাচারের উদ্দেশ্যে ঢাকা থেকে স্বর্ণের বার বাসযোগে সাতক্ষীরায় নিয়ে যাওয়া হচ্ছে এবং সেখান থেকে স্বর্ণ সাতক্ষীরা বর্ডার অঞ্চল দিয়ে ভারতে পাচার করার উদ্দেশ্য নিয়ে যাওয়া হচ্ছিল। উল্লেখিত স্বর্ণ চোরাচালানের সঙ্গে আরও কে কে জড়িত আছে এবং কোথা থেকে স্বর্ণগুলো আনা হয়েছে ও কোথায় পৌঁছে দিবে সেই রহস্য উদঘাটনের জন্য গভীরভাবে অনুসন্ধান করা হচ্ছে।

;

উপজেলা ভোট

তৃতীয় ধাপেও আপিল নিষ্পত্তি করবেন ডিসিরা



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম
ছবি: বার্তা২৪.কম

ছবি: বার্তা২৪.কম

  • Font increase
  • Font Decrease

আসন্ন ষষ্ঠ উপজেলা পরিষদ নির্বাচনের তৃতীয় ধাপের ভোটেও প্রার্থিতা ফিরে পেতে নির্বাচন কমিশন থেকে আপিল শুনানি কর্মকর্তা নিয়োগ দেওয়া হয়েছে জেলা প্রশাসককে।

শনিবার (২০ এপ্রিল) ইসির নির্বাচন ব্যবস্থাপনা শাখার উপ-সচিব মো. আতিয়ার রহমান বিষয়টি জানিয়েছেন। তিনি বলেন, ইতোমধ্যে সংশ্লিষ্টদের এ সংক্রান্ত চিঠি পাঠানো হয়েছে।

তৃতীয় ধাপের তফসিল অনুযায়ী, মনোনয়ন ফরম জমার শেষ তারিখ ২ মে, মনোনয়ন যাচাই-বাছাই ৫ মে। রিটার্নিং কর্মকর্তার সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে আপিল ৬ থেকে ৮মে। আপিল নিস্পত্তি ৯ থেকে ১১ মে। প্রার্থিতা প্রত্যাহারের শেষ দিন ১২ মে। প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থীদের মাঝে প্রতীক বরাদ্দ ১৩ মে এবং ভোট ২৯ মে। এই ধাপে ৪৭ জেলার ১১২ উপজেলায় ভোট হবে।

তৃতীয় ধাপে রিটার্নিং কর্মকর্তা হিসেবে অতিরিক্ত জেলা ও অতিরিক্ত আঞ্চলিক নির্বাচন কর্মকর্তা এবং অতিরিক্ত জেলা প্রশাসকদের নিয়োগ দেওয়া হয়েছে। রিটার্নিং কর্মকর্তাদের সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে আপিল আবেদন আপিল কর্তৃপক্ষ হিসেবে নিষ্পত্তি করবেন জেলা প্রশাসক।

দ্বিতীয় ধাপের তফসিল অনুযায়ী, মনোনয়নপত্র দাখিলের শেষ সময় ২১ এপ্রিল, মনোনয়নপত্র বাছাই ২৩ এপ্রিল, আপিল গ্রহণ ২৪-২৬ এপ্রিল, আপিল নিষ্পত্তি ২৭ থেকে ২৯ এপ্রিল। প্রার্থিতা প্রত্যাহারের শেষ সময় ৩০ এপ্রিল, প্রতীক বরাদ্দ প্রতীক বরাদ্দ ২ মে। আর ১৬১ উপজেলায় ভোটগ্রহণ হবে ২১ মে।

এই ধাপের নির্বাচনে অতিরিক্ত জেলা প্রশাসকদের রিটার্নিং কর্মকর্তা ও উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তাদের সহকারি রিটার্নিং কর্মকর্তা হিসেবে নিয়োগ দেওয়া হয়েছে। ভোটারের সংখ্যা ৫ লাখের বেশি যেখানে সেখানে একাধিক সহকারি রিটার্নিং অফিসার নিয়োজিত থাকবেন।

প্রথম ধাপের তফসিল অনুযায়ী, মনোনয়নপত্র দাখিল ও বাছাইয়ের সময় শেষ। বৈধ প্রার্থী এক হাজার ৭৮৬ জন, রিটার্নিং কর্মকর্তার সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে আপিলের শেষ সময় ২০ এপ্রিল। আপিল নিষ্পত্তি ২১ এপ্রিল, প্রার্থিতা প্রত্যাহারের শেষ সময় ২২ এপ্রিল। প্রতীক বরাদ্দ ২৩ এপ্রিল, আর ১৫২ উপজেলায় ভোটগ্রহণ হবে ৮ মে।

এই ধাপের নির্বাচনে রিটার্নিং কর্মকর্তা হিসেবে জেলা নির্বাচন কর্মকর্তা ও সহকারি রিটার্নিং কর্মকর্তা হিসেবে উপজেলা নির্বাচন কর্মকর্তাদের নিয়োগ করা হয়েছে।

;