স্বার্থ রক্ষায় ক্ষমতাবানরা কঠোর আইন চায়: পরিকল্পনামন্ত্রী
স্বার্থ রক্ষায় ক্ষমতাবানরা আরও কঠোর আইন চায় জানিয়ে পরিকল্পনামন্ত্রী এম এ মান্নান বলেছেন, আমাদের এখানে বিল-জলাশয় রক্ষায় হাজার হাজার আইনকানুন আছে। কিন্তু প্রয়োগটা কতটুকু? আমাদের ডিসি, এসিল্যান্ডরা ২৪ ঘণ্টার মধ্যে ২০ ঘণ্টা ব্যয় করেন আইন সুরক্ষায়, কিন্তু কয়জন যায় শিশুর মৃত্যু, নারীর প্রতি অবহেলা, বউ পেটানো দেখতে?’
বুধবার (৬ জানুয়ারি) রাজধানীর ডেইলি স্টার ভবনে ‘পানিতে ডুবে শিশু মৃত্যু প্রতিরোধে গণমাধ্যম প্রচারাভিযান’ শীর্ষক আলোচনা সভায় এসব কথা বলেন তিনি।
সোসাইটি ফর মিডিয়া অ্যান্ড সুইটেবল হিউম্যান কমিউনিকেশন টেকনিক (সমষ্টি) নামে একটি বেসরকারি প্রতিষ্ঠান (এনজিও) এর আয়োজন করে। এতে সভাপতিত্ব করেন দৈনিক আজকের কাগজ পত্রিকার সম্পাদক অধ্যাপক গোলাম রহমান।
পরিকল্পনামন্ত্রী বলেন, এমপি বা চেয়ারম্যানের ছেলেরা মনে করেন আমার এলাকায় শত শত একর খাস জমি আছে এগুলো আমার বাপ-দাদারা খেয়েছে সুতরাং আমাকে খেতে হবে। এগুলোর জন্য আরও কড়া আইন করতে হবে।
তিনি বলেন, ডুবে মৃত্যুর যেসব ঘটনা ঘটে, তার একটা বড় অংশ গ্রামাঞ্চলের। আর দরিদ্র পরিবারের শিশুরা এর শিকার হয় বেশি। দারিদ্র্য এখানে একটা অন্যায়। এর থেকে হাজারো অন্যায় জন্ম নেয়। কিন্তু দারিদ্র্য তো আর আকাশ থেকে পড়ে না, এটা মানবসৃষ্ট।
তিনি আরও বলেন, পানিতে ডুবে মৃত্যু রুখতে সচেতনতা আরও বাড়াতে হবে। শুধু সাতার না জানায় মৃত্যু হচ্ছে না, অবহেলায় মারা যাচ্ছে, গাড়িতে করে যাওয়ার সময় দেখা যায় সড়কের পাশে থাকা বাড়ির মায়েরা ঘরের কাজ করতে ব্যস্ত আর শিশুরা সড়কে এসে খেলছে এতে সড়ক দুর্ঘটনা ঘটছে।
শিশুদের ডুবে মৃত্যুরোধে পরিকল্পনা মন্ত্রণালয়ের অনুমোদনের অপেক্ষায় থাকা একটি প্রকল্প প্রসঙ্গে মন্ত্রী বলেন, নারী, শিশুসহ যেকোনো জনগোষ্ঠীর কল্যাণমূলক প্রকল্পকে আমরা স্বাগত জানাই। তবে পরিকল্পনা আমি একা করি না। আমি পেশকারমাত্র। কমিশনের যারা আছেন আমাদের সঙ্গে একটি বোঝাপড়া আছে যে প্রকল্পগুলো দরিদ্র, নারী-শিশু ও বৃদ্ধদের উপকারে আসবে সেগুলোকে অগ্রাধিকার দিয়ে কাগজপত্র প্রস্তুত করে আমরা প্রধানমন্ত্রীর কাছে যাই। সব সময় এসব প্রকল্পে আমাদের প্রাধান্য থাকে।