নাসিক নির্বাচন: শেষ দিনের প্রচারণায় সরগরম নারায়ণগঞ্জ



ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, নারায়ণগঞ্জ
ছবি: বার্তা২৪.কম

ছবি: বার্তা২৪.কম

  • Font increase
  • Font Decrease

নির্বাচনের বাকি ১ দিন। শেষ দিনের প্রচারণায় সরগরম নারায়ণগঞ্জ। শেষ দিনে জমে উঠেছে নারায়ণগঞ্জ সিটি করপোরেশন নির্বাচনের প্রচার-প্রচারণা, চলছে মিছিল, মিটিং ও পথসভা। প্রার্থীরা ভোটারদের দ্বারে দ্বারে গিয়ে ভোট প্রার্থনা করছেন। নির্বাচন নিয়ে তুমুল উৎসাহ ও কৌতূহল বিরাজ করছে ভোটারদের মধ্যে।

প্রতীক পাওয়ার পর থেকেই নির্বাচনী মাঠে সরব হয়েছিলেন নারায়ণগঞ্জ সিটি কর্পোরেশন নির্বাচনের ৭ মেয়র প্রার্থী, সাধারণ কাউন্সিলর পদে ১৪৮ ও সংরক্ষিত নারী কাউন্সিলর পদে ৩৪ প্রার্থী। তবে শেষ দিনের প্রচারণা ছিল চোখে পড়ার মতো।

নির্বাচন উপলক্ষে নারায়ণগঞ্জ সিটি করপোরেশনে এখন উৎসবমুখর পরিবেশ। নির্বাচনী প্রার্থীদের ব্যানার-পোস্টারে ছেয়ে গেছে শহরের বিভিন্ন সড়ক। বিভিন্ন এলাকায় মিছিল আর মিছিল। এলাকায় এলাকায় ব্যানার-পোস্টারের পাশাপাশি চলেছে ভোটের জন্য মাইকিং। নির্বাচনী প্রচারে ছিল শিশু-কিশোরেরাও।

শুক্রবার (১৪ জানুয়ারি) সকাল ১০টায় দুই হেভিওয়েট প্রার্থী ডা. সেলিনা হায়াৎ আইভী (আওয়ামী লীগের মনোনীত) ও তৈমূর আলম খন্দকার (স্বতন্ত্র) সংবাদ সম্মেলন করেছেন। একই সঙ্গে প্রচারণা করেছেন অন্য মেয়র ও কাউন্সিলর প্রার্থীরা। কাউন্সিলর প্রার্থীরা যাচ্ছেন ভোটারদের দ্বারে দ্বারে। চাইছেন দোয়া ও ভোট।

বেলা ৩টায় বিশাল পথসভা ও মিছিল করেন ড. সেলিনা হায়ৎ আইভী। এই সভায় কেন্দ্রীয় নেতাকর্মী, জেলা ও মহানগর আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীসহ হাজার হাজার জনগণ অংশগ্রহণ করেন এই পথসভায় ও মিছিলে।

উন্নয়নের ধারা অব্যাহত রাখতে নৌকা প্রতীকে ভোট দেয়ার আহ্বান জানান ডা. সেলিনা হয়াৎ আইভী। চলমান কাজকে গতিশীল করার ওয়াদা নিয়ে মানুষের দ্বারে দ্বারে গিয়েছেন ডা. সেলিনা হায়াৎ আইভি।

আইভী বলেন, ভোটকেন্দ্রে কোনো ধরনের সহিংসতা কিংবা বিশৃঙ্খলা না হলে বিজয় সুনিশ্চিত। আমার ভরসা জনগণে। নেতারা আসতেই পারে ক্যাম্পিং করতেই পারে, পর্যবেক্ষণ করতেই পারে। কিন্তু তারা আমাকে ফ্রি করে দিয়েছেন। আমি সারাক্ষণই ভোটারদের কাছেই ছিলাম।’আইভীকে পরাজিত করতে অনেকগুলো পক্ষ এক হয়ে গিয়েছে। ঘরের-বাইরের সকল পক্ষ মিলে গিয়েছে। কীভাবে বিশৃঙ্খলা করে আমাকে পরাজিত করা যায় সেই চিন্তা করছে।

আইভী আরও বলেন, আমাকে পাঁচ বছরের জন্য সুযোগ দেন। যে কোনো সময় অনেক কিছু ঘটে যেতে পারে। আমি আপনাদের জন্য মৃত্যুকেও বরণ করতে রাজি আছি। আমি ঘর-সংসারের দিকে তাকাইনি। আশা করি আপনারা আমাকে ফিরিয়ে দেবেন না।

অপর দিকে স্বতন্ত্র প্রার্থী তৈমুর আলম খন্দকার বেলা ৩টা থেকে বিশাল শোডাউন করে বন্দরে প্রচারণা চালান।

তৈমুর আলম খন্দকার সাধারণ মানুষকে দিচ্ছেন আগামী দিনে উন্নয়নের প্রতিশ্রুতি। একই সাথে করছেন সাবেক মেয়রের উন্নয়ন কর্মকান্ডের সমালোচনা। তিনি বলছেন, পরিকল্পিতভাবে নগরায়ন হয়নি এই শহরের। জনগণের মনের ধারণা নির্বাচন কমিশন একটা ঠুটো জগন্নাথ তারা সেই পথেই হাঁটছেন। তারপরেও আমি নির্বাচন কমিশনের ওপর আস্থা রাখতে চাই। সরকারি দলের মেহমানরা নির্বাচনকে প্রভাবিত করার চেষ্টা করছে বলেও মন্তব্য করেন তিনি। শেষ মুহূর্তের প্রচারণায় তৈমুর আলম খন্দকার আনেন নানা অভিযোগ। তার ভিতরে শঙ্কা কাজ করছে নির্বাচনের পরিবেশ নিয়ে।

ইসলামী আন্দোলনের মেয়র প্রার্থী মুফতি মাসুম বিল্লাহ হাতপাখা প্রতীক নিয়ে শহরজুরে বিশাল শো-ডাউন করেছেন। ঘুরছেন ভোটারদের দ্বারে দ্বারে।

মুফতি মাসুম বিল্লাহ বলেন, জনগণ এবার ইসলামী শক্তিকে বিজয় করার জন্য বদ্ধপরিকর। হাতপাখার যেভাবে গণজোয়ার সৃষ্টি হয়েছে সুষ্ঠুভাবে ভোট দিতে পারলে বিজয় আমাদের হবে ইনশাআল্লাহ।

বিকেলে খেলাফত মজলিসের মেয়র প্রার্থী এবিএম সিরাজুল মামুন ১৪ প্রতিশ্রুতি দিয়ে নির্বাচনী ইশতেহার ঘোষণা করেন। পরে দেওয়াল ঘড়ি প্রতীক নিয়ে বিশাল গণসংযোগ করেন।

সিরাজুল মামুন বলেন, আমরা আশাবাদী যে ভোটাররা ন্যায়নীতি সুবিচার ও জনকল্যাণের জন্যে সুন্দর ও পরিচ্ছন্ন শহর গঠনে আমাদেরকে সমর্থন দিবে। আমি নারায়ণগঞ্জ সিটির সম্মানিত ভোটারদের অনুরোধ করব তারা যেন আমাদের দেয়াল ঘড়ি মার্কায় সমর্থন দেন এবং নারায়ণগঞ্জ এর উন্নয়নের ধারা অব্যাহত রাখেন।

এছাড়া কাউন্সিলর প্রার্থীরা তাদের নির্বাচনী প্রচারণায় ব্যস্ত সময় পার করেছেন। নিজ নিজ মার্কা নিয়ে ওয়ার্ডে ওয়ার্ডে ঘুরছেন ভোটারদের দ্বারে দ্বারে। চাইছেন দোয়া ও ভোট।

তবে ১৮ দিনের এই প্রচারণায় শহরজুরেই আলোচনায় ছিল নারায়ণগঞ্জ-৪ আসনের সাংসদ সদস্য শামীম ওসমান। সাধারণ জনগণসহ সরকার দলীয় প্রার্থী ডা. সেলিনা হায়ৎ আইভীও অভিযোগ তোলেন যে শামীম ওসমানই দাঁড় করিয়েছে তৈমুর আলম খন্দকারকে। আইভী বলেন, তৈমুর আলম খন্দকার ‘গডফাদার’ শামীম ওসমানের প্রার্থী। কেন্দ্রীয় নেতা আওয়ামী লীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য জাহাঙ্গীর কবির নানকও এক বক্তব্যে বলেন, এমপি হয়েছেন নৌকার কারণেই আগামীতে আমরা বেচে থাকতে নৌকা পেতে দিব না। এই সকল অভিযোগের কারণেই হোক আর চাপে পরেই হোক ১০ জানুয়ারি সংবাদ সম্মেলন করে নিজের অবস্থান পরিষ্কার করেন এমপি শামীম ওসমান। ঘোষণা দেন ১৬ তারিখ খেলা হবে। নৌকার হয়ে কাজ করবেন তিনি। নারায়ণগঞ্জ নৌকার ঘাঁটি, নৌকা স্বাধীনতার প্রতীক। সুতরাং নারায়ণগঞ্জে নৌকার জয় হবেই হবে। তবে এই নিয়ে এখনও শহরজুরে রয়েছে নানা গুঞ্জন।

শুক্রবার (১৪ জানুয়ারি) মধ্যরাতেই শেষ হবে নারায়ণগঞ্জ সিটি ভোটের প্রচার। পরে একদিন বিরতি রেখে আগামী রোববার ভোটগ্রহণ হবে। যেখানে ১৯২টি কেন্দ্রে ভোট দেবেন ৫ লাখ ১৭ হাজার ৩৬১ জন ভোটার। কে হচ্ছে নগর পিতা তা নিয়েও দলে এবং দলের বাইরে জনগণের মধ্যে চলছে বিশ্লেষণ।

   

দেশটা আওয়ামী মগের মুল্লুকে পরিণত হয়েছে: মির্জা ফখরুল



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেছেন, দেশটা এখন আওয়ামী মগের মুল্লুকে পরিণত হয়েছে।

৭ জানুয়ারি ডামি নির্বাচনের মাধ্যমে জোর জবরদস্তিমূলকভাবে রাষ্ট্রক্ষমতা দখলকারী আওয়ামী শাসকগোষ্ঠী অবৈধ ক্ষমতা ধরে রাখতে দেশব্যাপী বিএনপিসহ বিরোধী দলের নেতাকর্মীদের ওপর ভিন্ন ভিন্ন পন্থায় জুলুম-নির্যাতনের মাত্রা বৃদ্ধি করেছে।

দিনাজপুর জেলা বিএনপিসহ অঙ্গ সংগঠনের নেতৃবৃন্দ এবং কেন্দ্রীয় যুবদল নেতাদের জামিন আবেদন নামঞ্জুর ও কারান্তরীণের ঘটনায় গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করে এক বিবৃতিতে এসব কথা বলেন তিনি।

বিবৃতিতে আরও বলেন, অব্যাহত গতিতে বানোয়াট ও ভিত্তিহীন মামলা দায়ের করে বিরোধী নেতাকর্মীদের পর্যদুস্ত ও নাজেহাল করা হচ্ছে। আর এ ধরনের অপকর্ম সাধনের একমাত্র উদ্দেশ্যই হচ্ছে- দেশের বিরোধী দলগুলো যেন দখলদার সরকারের স্বৈরাচারী আচরণের সমালোচনা করতে সক্ষম না হয়।

বিএনপি নেতাকর্মীদেরকে জামিন না দিয়ে কারাগারে প্রেরণের মাধ্যমে গোটা দেশকেই কারাগারে পরিণত করা হয়েছে বলেও মন্তব্য করেন মির্জা ফখরুল।

বিবৃতিতে বলা হয়, দিনাজপুর জেলা বিএনপির সহ সভাপতি শামীম চৌধুরী, মোজাহারুল ইসলাম, স্থানীয় সরকার বিষয়ক সম্পাদক নুর ইসলাম (চেয়ারম্যান), ঘোড়াঘাট উপজেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক আবু সাঈদ মিঞা, জেলা যুবদল সভাপতি ও যুবদল কেন্দ্রীয় কমিটির সহ সাংগঠনিক সম্পাদক মোন্নাফ মুকুল, বিরল উপজেলা যুবদলের যুগ্ম আহ্বায়ক মো. মমিনুল ইসলামের (দলিল লেখক) জামিন নামঞ্জুর ও কারাগারে প্রেরণ জুলুমবাজ আওয়ামী সরকারের চলমান নিরবচ্ছিন্ন অপকর্মেরই অংশ।

;

মামার বিয়েতে এসে লাশ হয়ে ফিরলো ভাগ্নে



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, বরিশাল
ছবি: বার্তা ২৪.কম

ছবি: বার্তা ২৪.কম

  • Font increase
  • Font Decrease

মামার বিয়েতে এসে পানিতে ডুবে মারা গেছে চার বছরের ভাগ্নে মো. সামি। বৃহস্পতিবার (১৮ এপ্রিল) সন্ধ্যায় জেলার বরিশাল গৌরনদী উপজেলার গেরাকুল গ্রামে এ ঘটনা ঘটে।

নিহত সামি পাশ্ববর্তী আগৈলঝাড়া উপজেলার গৈলা ইউনিয়নের সালতা গ্রামের বাসিন্দা মহসিন সরদারের ছেলে।

স্থানীয় বাসীন্দা সুমন বেপারী জানান, সামি তার পরিবারের সদস্যদের সাথে বুধবার সকালে মামা সবুজ বেপারীর বিয়ের অনুষ্ঠানে এসেছিলো। বৃহস্পতিবার বিকেলে সবার অজান্তে সামি মামা বাড়ির পুকুরে পড়ে যায়। অনেক খোঁজাখুজির পর পুকুর থেকে শিশু সামিকে উদ্ধার করে উপজেলা হাসপাতালে নিয়ে আসলে দায়িত্বরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।

;

স্বচ্ছতার সাথে সরকারি অনুদানের চলচ্চিত্র বাছাই করা হবে: তথ্য প্রতিমন্ত্রী



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

সরকারি অনুদান প্রদানের জন্য স্বচ্ছতা ও সর্বোচ্চ পেশাদারিত্বের সাথে চলচ্চিত্র বাছাইয়ের কার্যক্রম শুরু করেছে তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রণালয়। এ লক্ষ্যে প্রথমবারের মতো পূর্ণদৈর্ঘ্য চলচ্চিত্র অনুদানের স্ক্রিপ্ট বাছাই কমিটির সামনে প্রস্তাবিত চলচ্চিত্রগুলো নিয়ে পাওয়ার পয়েন্ট উপস্থাপনা শুরু হয়েছে। ২০২৩-২৪ অর্থবছরে অনুদান প্রাপ্তির জন্য আবেদনকৃত মোট ১৯৫টি পূর্ণদৈর্ঘ্য চলচ্চিত্রের মধ্য থেকে প্রাথমিকভাবে বাছাইকৃত ৪৫টি চলচ্চিত্রের পাওয়ার পয়েন্ট উপস্থাপনা শুরু হয়েছে।

বৃহস্পতিবার (১৮ এপ্রিল) বিকেলে সচিবালয়ে তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রণালয়ের সভা কক্ষে এ কার্যক্রমের উদ্বোধন করেন তথ্য ও সম্প্রচার প্রতিমন্ত্রী মোহাম্মদ আলী আরাফাত।

এ দিন পাওয়ার পয়েন্ট উপস্থাপনা দেখে চলচ্চিত্রগুলোকে স্ক্রিপ্ট বাছাই কমিটির সদস্যরা গোপনীয়ভাবে আলাদা আলাদা নম্বর প্রদান করেছেন। এ সময় চলচ্চিত্র অনুদান কমিটির সদস্যরাও পর্যবেক্ষক হিসেবে উপস্থিত ছিলেন।

এ সময় তথ্য ও সম্প্রচার প্রতিমন্ত্রী বলেন, স্বচ্ছতা ও সর্বোচ্চ পেশাদারিত্বের সাথে সরকারি অনুদানের চলচ্চিত্র বাছাই করা হবে। সরকারি অনুদানে চলচ্চিত্র নির্মাণের ক্ষেত্রে সরকার আরও পেশাদারিত্ব নিশ্চিত করতে চায়। স্বচ্ছ ও জবাবদিহিমূলক প্রক্রিয়ায় যাতে চলচ্চিত্র নির্মাণের জন্য অনুদান প্রদান করা হয়, সে ব্যাপারে সরকার সচেষ্ট। চলচ্চিত্র সংশ্লিষ্ট দক্ষ ও অভিজ্ঞ ব্যক্তিরা যাতে অনুদানের জন্য বাছাই প্রক্রিয়ায় যুক্ত হতে পারেন, সরকার সেটিও নিশ্চিত করতে চায়।

প্রতিমন্ত্রী আরও বলেন, বাছাই কমিটির সদস্যগণ আন্তর্জাতিকভাবে প্রচলিত বিভিন্ন মানদন্ডের উপর ভিত্তি করে আবেদনকৃত চলচ্চিত্রের প্রস্তাবনার উপর আলাদা আলাদা ভাবে নম্বর প্রদান করছেন। পরবর্তীতে সকল সদস্যদের নম্বরগুলো গড় করে সর্বোচ্চ নম্বর পাওয়া আবেদনগুলো অনুদানের জন্য বিবেচিত হবে। সর্বোচ্চ নিরপেক্ষতা ও স্বচ্ছতা নিশ্চিত করার স্বার্থে এ ধরণের পদক্ষেপ নেয়া হয়েছে।

তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব মো. হুমায়ুন কবীর খোন্দকার, যুগ্ম সচিব মো. কাউসার আহাম্মদ, উপসচিব মো. সাইফুল ইসলাম, পূর্ণদৈর্ঘ্য চলচ্চিত্র অনুদানের স্ক্রিপ্ট বাছাই কমিটির সদস্য, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের টেলিভিশন, ফিল্ম অ্যান্ড ফটোগ্রাফি বিভাগের সহকারী অধ্যাপক রিফফাত ফেরদৌস, চলচ্চিত্র নির্মাতা মো. মুশফিকুর রহমান গুলজার, অভিনেত্রী ফাল্গুনী হামিদ ও আফসানা মিমি, পূর্ণদৈর্ঘ্য চলচ্চিত্র অনুদান কমিটির সদস্য, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের চলচ্চিত্র ও টেলিভিশন অধ্যয়ন বিভাগের চেয়ারম্যান অধ্যাপক ড.আবু জাফর মো. শফিউল আলম ভূঁইয়া, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের থিয়েটার ও পারফরম্যান্স বিভাগের অধ্যাপক ও অভিনেত্রী ওয়াহিদা মল্লিক জলি, স্টামফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয়ের ফিল্ম অ্যান্ড মিডিয়া বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক ও চলচ্চিত্র নির্মাতা মতিন রহমান, বাংলাদেশ চলচ্চিত্র পরিচালক সমিতির সভাপতি ও চলচ্চিত্র নির্মাতা কাজী হায়াৎ, চলচ্চিত্র নির্মাতা অমিতাভ রেজা চৌধুরী চলচ্চিত্রের উপস্থাপনায় উপস্থিত ছিলেন।

উল্লেখ্য, চলচ্চিত্র শিল্পে মেধা ও সৃজনশীলতাকে উৎসাহিত করা এবং বাংলাদেশের আবহমান সংস্কৃতি সমুন্নত রাখার লক্ষ্যে স্বাধীনতা ও মুক্তিযুদ্ধের চেতনা, মানবীয় মূল্যবোধসম্পন্ন জীবনমুখী, রুচিশীল ও শিল্পমানসমৃদ্ধ চলচ্চিত্র নির্মাণে সরকারি পৃষ্ঠপোষকতা ও সহায়তা দেওয়ার উদ্দেশ্যে চলচ্চিত্র নির্মাণে সরকারি অনুদান প্রদান নীতিমালা, ২০২০ (সংশোধিত)–এর ভিত্তিতে সরকারি অনুদান প্রদান করা হয়।

;

দাঁড়িয়ে থাকা বাসে পিকআপের ধাক্কা আহত ১০ পোশাক কর্মী



ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট বার্তা২৪.কম, টাঙ্গাইল
ছবি: বার্তা ২৪.কম

ছবি: বার্তা ২৪.কম

  • Font increase
  • Font Decrease

ঈদের ছুটি শেষে পিকআপে কর্মস্থলে ঢাকায় ফেরার পথে সড়ক দুর্ঘটনআহত হয়েছেন ১০ জন পোশাক কর্মী। আহতদের মধ্যে দুইজনের অবস্থা আশঙ্কাজনক।

শুক্রবার (১৯ এপ্রিল) ভোর ৫টার দিকে টাঙ্গাইলের বঙ্গবন্ধু সেতু পূর্ব-ভূঞাপুর-এলেঙ্গা আঞ্চলিক মহাসড়কের ঘাটাইলের সিংগুরিয়া ঈদগাঁ মাঠ সংলগ্ন স্থানে এই ঘটনা ঘটে।

আহতরা হলেন, গাইবান্ধা জেলার গোবিন্দগঞ্জ উপজেলার মকবুল হোসেনের ছেলে মো. শহীদ (৩৪), তার স্ত্রী মোছা. ফেরদৌসী (২৮), শহীদুল ইসলামের ছেলে পলাশ (২৫) এবং একই জেলার সাঘাটা উপজেলার আব্দুল হাইয়ের ছেলে মামুন (২৪)। অন্যান্য আহতদের নাম-পরিচয় জানা যায়নি। তারাও একই জেলার বাসিন্দা।

স্থানীয়রা জানান, শুক্রবার ফজর নামাজের আগে সিংগুরিয়া মসজিদের সামনে ঢাকাগামী হানিফ পরিবহন নামে একটি বাস দাঁড় করিয়ে রাখা ছিল। ভোর ৫টার দিকে ঢাকাগামী ৮ থেকে ১০ জন যাত্রী নিয়ে একটি পিকআপ নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে পেছন থেকে বাসটিকে ধাক্কা দেয়।

এতে ঘটনাস্থলে একই পরিবারের ৫ জনসহ কমপক্ষে ১০ জন গুরুতর আহত হয়। পিকআপে থাকা অন্যরা হালকা আঘাত পায়। তারা প্রাথমিক চিকিৎসা নেন। পরে ফায়ার সার্ভিস ও পুলিশ খবর পেয়ে আহতদের উদ্ধার করে ভূঞাপুর উপজেলা স্বাস্থ্যকমপ্লেক্স ও টাঙ্গাইল জেনারেল হাসপাতালে প্রেরণ করেন।

ভূঞাপুর ফায়ার সার্ভিস স্টেশনের লিডার মো. স্বপন আলী এই বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। তিনি বলেন, উত্তরবঙ্গ থেকে ছেড়ে আসা হানিফ পরিবহন নামে একটি বাস ঢাকা যাচ্ছিল। বাসটি যাত্রীদের ফজর নামাজের জন্য সিংগুরিয়া ঈদগাঁ মাঠ সংলগ্ন মসজিদের পাশে দাঁড়িয়ে ছিল। হঠাৎ যাত্রীবোঝাই একটি পিকআপ নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে বাসটিকে ধাক্কা দেয়। এতে পিকআপে থাকা সবাই আহত হন।

তিনি আরও বলেন, স্থানীয়দের মাধ্যমে দুর্ঘটনার খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে ফায়ার সার্ভিসের একটি টিম ঘটনাস্থলে দ্রুত পৌঁছে এবং আহত অবস্থায় ৪ জনকে উদ্ধার করে টাঙ্গাইলের জেনারেল হাসপাতালে চিকিৎসার জন্য প্রেরণ করি। এরআগে আমরা পৌঁছানোর আগে স্থানীয়রা অপর আহত ৫ জনকে স্থানীয় উপজেলা স্বাস্থ্যকমপ্লেক্সে প্রেরণ করেন।

ঘাটাইল থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) মো. রুবেল রানা সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন, যাত্রীদের ফজর নামাজের জন্য হানিফ পরিবহন নামে বাসটি মসজিদের পাশে দাঁড়িয়ে ছিল। হঠাৎ একটি পিকআপ পেছন থেকে বাসটিকে ধাক্কা দেয়। এতে পিকআপে থাকা ৮ থেকে ১০ জন যাত্রী আহত হয়। এদের মধ্যে কেউ ভূঞাপুর, কালিহাতী ও টাঙ্গাইল জেনারেল হাসপাতালে চিকিৎসা নিচ্ছেন। আহতদের মধ্যে দুজনের অবস্থা আশঙ্কাজনক।

;