রয়েল টিউলিপের সার্ভিস ‘জাস্ট ফালতু’



সেরাজুল ইসলাম সিরাজ, স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, ঢাকা
রয়েল টিউলিপ

রয়েল টিউলিপ

  • Font increase
  • Font Decrease

বাইরের চাকচিক্য দেখে যারাই আকৃষ্ট হচ্ছেন, ভেতরে প্রবেশ করে ঠিক ততটাই হতাশ হয়ে যাচ্ছেন। আর এ কারণেই ইন্টারন্যাশনাল চেইন ‘গোল্ডেন টিউলিপ’ তার ফ্রাঞ্চাইজি প্রত্যাহার করে নিয়েছে হোটেলটি থেকে।

সে কারণে রয়েল টিউলিপ নাম ব্যবহার করার সুযোগ নেই পাঁচতারকা দাবিদার এই হোটেলটির। তবে কাগজপত্র দেখে যে কেউ বিভ্রান্ত হতে পারেন। একই কাগজে একাধিক জায়গায় ভিন্ন ভিন্ন নাম ব্যবহার করা হচ্ছে। কোন জায়গায় সী পার্ল বীচ রিসোর্ট এন্ড স্পা লিমিটেড লেখা। আবার কোথাও রয়েল টিউলিপ সী পার্ল বীচ রিসোর্ট এন্ড স্পা লিমিটেড রয়ে গেছে। একে কৌশলে প্রচার বলে মনে করছেন অনেকেই। আমাদের সঙ্গে সম্পাদিত বিক্রয় চুক্তিতে পরিচালক (সেলস এন্ড মার্কেটিং) স্বাক্ষর করেছেন অন বিহ্যাভ অব রয়েল টিউলিপ সী পার্ল বীচ রিসোর্ট এন্ড স্পা লিমিটেড লিখে। চুক্তির কপির মূল হেডে লেখা সী পার্ল বীচ রিসোর্ট এন্ড স্পা লিমিটেড। ভেতরে চার জায়গায় রয়েল টিউলিপ লেখা। আবার ফোন দিলেই ওয়েলকাম টিউন শোনানো হচ্ছে রয়েল টিউলিপ সী পার্ল বীচ রিসোর্ট এন্ড স্পা লিমিটেড বলে।

কাড়ি কাড়ি টাকা গুণেও যখন কাঙ্ক্ষিত সেবা মিলছে না, তখন স্বাভাবিকভাবেই মুখ ফিরিয়ে নিচ্ছে অতিথিরা। একবার গেলে আর দ্বিতীয়বার যেতে চাইছেন না। এটিএন বাংলার বিশেষ প্রতিনিধি ফজলে রাব্বী বার্তা২৪.কম-কে তার অভিজ্ঞতা শেয়ার করে বলেছেন, এক কথায় বলতে হলে বলবো সার্ভিস জাস্ট ফালতু। করিডোরে পিন পড়েছিল। সেই পিন আমার পায়ে ফুটো করে ঢুকে পড়ে। প্রচন্ড ব্যথা নিয়ে রুমে ফিরি, পাঁচ তারকা হোটেলে ডাক্তার থাকা বাধ্যতামূলক। রাতে তাদের মেডিকেল সার্ভিসে (১১১) ফোন দিয়ে জানতে পেলাম ডাক্তার নেই। শেষ পর্যন্ত একটি পেইনকিলার ট্যাবলেট চাইলাম, পাঠাতে চাইলেন ঘণ্টা খানেক সময় চলে যায় আর আসে না। এক সময় ঘুমিয়ে পড়েছি রাত সাড়ে ১২টার দিকে ঘুম ভাঙিয়ে একটি প্যারাসিটামল দিয়ে গেছে। পেশাগত কারণে জীবনে অনেক হোটেলে রাত্রীযাপন করেছি। এই হোটেলের মতো ফালতু অভিজ্ঞতা হয়নি।

জুতা ফুটো কর পায়ে পিন ঢুকে

দ্বিতীয়বার এই হোটেলে যাওয়ার প্রশ্নই ওঠে না বলে মন্তব্য করেছেন গাজী টিভির রিপোর্টার ফেরদৌস আরেফিন। তিনি বলেছেন, চেক আউট পয়েন্টে যে লোকটি ছিল তার দুর্ব্যবহার জীবনে ভুলতে পারবো না। আমার শার্টল ধরার কথা আগেই জানানো ছিল, চেক আউট হয়ে নামতে গিয়ে ৫ মিনিট দেরি হয়। প্রথমেই আমাকে ধমক দিয়ে বললেন, আপনার জন্য কি গাড়ি বসে থাকবে। গাড়ি চলে গেছে এখন নিজের ব্যবস্থাপনায় যেতে হবে। সঙ্গে স্ত্রী থাকায় বিতর্কে জড়ায়নি। বাইরে গিয়ে সিএনজি ভাড়া করে আনার পর নিরাপত্তাকর্মী জানালো আপনিতো শাটলেই যেতে পারতেন। আপনি যখন সিএনজি ডাকতে গেছেন তখন শার্টল গেছে। পরে জেনেছি ওরা নাকি এই কাজটি ইচ্ছা করেই করে। সিএনজি ও অটো চালকদের সঙ্গে সিন্ডিকেট রয়েছে, যাতে বাধ্য হয়ে বেশি টাকা দিয়ে এয়ারপোর্ট যেতে বাধ্য হন। আমিও দ্বিগুণ ভাড়া গুণতে বাধ্য হয়েছি। অথচ তখন শার্টলটি দাঁড়ানো ছিল। আমি বাসটি দেখলাম ওই শার্টল বাসের একজন স্টাফ আমার লাগেজ গাড়িতে তুলতে গেলে ধমক দিয়েছিল কাউন্টারে থাকা লোকটি। আগের দিনে রুম ক্লিন করে দেয়নি। রুম সার্ভিসকে যখন বললাম, জবাব দিলেন রুম ক্লিন করতে চাইলে জানাতে হবে। না হলে রুম ক্লিন করা হয় না।

আরেকজন অতিথি অভিযোগ করেছেন, তিনি যাওয়ার আগেই এক্সট্রা বেডের রিকুজিশন দিয়ে গিয়েছিলেন। বিকেলে উঠে আবার বলেছেন, সেই বেড পেয়েছেন মধ্যরাতে। এক্সট্রা বেডের জন্য সকালের নাস্তা ফ্রি। প্রথম দিনের কুপন দিলেও দ্বিতীয় দিন আর দেননি ।

এ বিষয়ে ডিউটি ম্যানেজার (নাইট ম্যানেজার) নাফিস মাহমুদ শাহরিয়ার বার্তা২৪.কম-কে বলেন, এক্সট্রা বেডের জন্য প্রথম দিনের কমপ্লিমেন্টারি নাস্তার কুপন দেওয়া হয়। দ্বিতীয় দিন নিতে হলে যোগাযোগ করতে হবে। বেশ দম্ভের সঙ্গে নিয়ম বাতলে দিলেন ওই কর্তা।

হোটেলের একটি সূত্র নাম প্রকাশ না করার শর্তে জানিয়েছেন, অতীতে নাকি সার্ভিস আরও খারাপ ছিল। যে কারণে জিএম পরিবর্তন হয়েছে। একজন অস্ট্রেলীয়ান নাগরিককে দায়িত্বে আনা হয়েছে, তিনি এসে কিছু কিছু দক্ষ স্টাফ নেওয়া শুরু করেছেন। তবে অনেকেই নাকি তদবিরে চাকরি পেয়েছেন যে কারণে তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া যাচ্ছে না। মালিক পক্ষও অব্যবস্থাপনা বিষয়ে অবগত।

বাইরের চাকচিক্যের সঙ্গে যেমন ভেতরের বাস্তবতার মিল নেই, তেমনি বিশাল স্থাপনা দেখে বুঝবার জো নেই পুরো বিনিয়োগটি পেন্ডুলামের মতো ঝুলছে। ঋণের কিস্তি দিতে না পেরে নিলামে উঠবার জোগাড় হয়েছে। নেদারল্যান্ডসের স্পেশাল পারপাস ভেহিকল (এসপিভি) জিটি ইনভেস্টমেন্টের সঙ্গে ফ্র্যাঞ্চাইজি চুক্তির ভিত্তিতে যাত্রা শুরু করে রয়েল টিউলিপ সী পার্ল বীচ রিসোর্ট এন্ড স্পা লিমিটেড। ব্যাংকের কাছ থেকে উচ্চসুদে ব্রিজ ফাইন্যান্সিংয়ের মাধ্যমে অর্থ নিয়ে হোটেলটি স্থাপন করা হয়। হোটেল ব্যবসা থেকে আসা নগদ প্রবাহ দিয়ে ব্যাংকের উচ্চসুদের ঋণ পরিশোধ করা প্রতিষ্ঠানটির পক্ষে কঠিন হয়ে পড়লে এগিয়ে আসে ইনভেস্টমেন্ট করপোরেশন অব বাংলাদেশ লিমিটেড (আইসিবি)। ২০১৭ সালে বন্ডের মাধ্যমে ৩২৫ কোটি টাকা বিনিয়োগ করে আইসিবি। এই বিনিয়োগের টাকায় ব্যাংক ঋণের কিস্তি পরিশোধ ও রুমের ইন্টেরিয়র করা হয়। আইসিবির বিনিয়োগের ২ বছর পর প্রাথমিক গণপ্রস্তাবের (আইপিও) মাধ্যমে পুঁজিবাজার থেকেও তহবিল সংগ্রহ করে হোটেলটি। আইসিবিকে ২০২০ থেকে ২০২৫ সাল পর্যন্ত প্রতি বছর ১০৮ কোটি টাকা পরিশোধ করতে হবে। ২০২০ সালের মার্চে প্রথম কিস্তি পরিশোধের কথা থাকলেও এখন পর্যন্ত পরিশোধ করা হয়নি। দফায় দফায় চিঠি দিলেও ঋণের কিস্তি পরিশোধ করা হচ্ছে না। এ কারণে তারল্য সংকটে থাকা আইসিবি নিজেই এখন বিপাকে পড়েছে। প্রয়োজনে স্থাবর অস্থাবর জব্দের মাধ্যমে টাকা আদায়ের পথে হাঁটা শুরু করেছে আইসিবি। তেমনটি হলে অদূর ভবিষ্যতে নিলামে উঠলে অবাক হওয়ার কিছু থাকবে না।

হোটেলের পক্ষ থেকে করোনার কারণ দেখিয়ে সুদ মওকুফের আবেদন জমা দিয়েছে। তারা চাইছে সুদ মওকুফ করে প্রকৃত ঋণের টাকা সহজ কিস্তিতে পরিশোধ করতে। সী পার্ল বীচ রিসোর্ট এন্ড স্পা লিমিটেডের কোম্পানি সচিব আজাহারুল মামুন বার্তা২৪.কম-কে বলেন, আমরা সুদ মওকুফের আবেদন করেছি এখনও কোনো সিদ্ধান্ত পাইনি।

এখন পর্যন্ত আইসিবির কোনো কিস্তি পরিশোধ করা হয়নি বলে স্বীকার করেন কোম্পানি সচিব আজাহারুল মামুন।

আরও পড়ুন: হোটেল রয়েল টিউলিপ-৪২০

   

পাবনায় ২৪২ মেট্রিকটন ভারতীয় চিনি জব্দ, আটক ২৩



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

শুল্ক ফাঁকি দিয়ে ভারত থেকে চোরাইপথে আনা ২৪২ মেট্রিকটন ভারতীয় চিনিসহ ১২টি ট্রাক জব্দ করেছে পাবনা জেলা পুলিশ। এ সময় ট্রাকচালক ও হেলপারসহ ২৩ জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে।

বৃহস্পতিবার (১৮ এপ্রিল) বিকেলে জেলা গোয়েন্দা পুলিশের বিশেষ অভিযানে তাদের গ্রেফতার করা হয়।

বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন পাবনার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মাসুদ আলম।

তিনি জানান, দীর্ঘদিন ধরে একটি চক্র অবৈধভাবে আমদানিকৃত ভারতীয় চিনি দেশে এনে বিভিন্ন জেলায় বিক্রি করছিল। এমন খবরের ভিত্তিতে মাঠে নামে পুলিশ। পরে কাজিরহাট ঘাট এলাকায় অভিযান চালিয়ে তাদেরকে গ্রেফতার করা হয়। এসময় তারা মালামালের বৈধ কাগজপত্র দেখাতে পারেননি। এরপর এগুলো জব্ধ করা হয় এবং ২৩ জনকে আটক করা হয়েছে।

অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মাসুদ আলম আরও জানান, এ বিষয়ে মামলা প্রক্রিয়াধীন। তদন্তের পর এ বিষয়ে বিস্তারিত তথ্য জানানো হবে।

;

জিআই স্বীকৃতি পেল নরসিংদীর অমৃত সাগর কলা



শরীফ ইকবাল রাসেল, ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, নরসিংদী
ছবি: বার্তা২৪.কম

ছবি: বার্তা২৪.কম

  • Font increase
  • Font Decrease

নরসিংদীর অমৃত সাগর কলা ভৌগোলিক নির্দেশক বা জিআই (জিওগ্রাফিক্যাল ইনডিকেশন) পণ্যের স্বীকৃতি পেয়েছে। এই স্বীকৃতি পাওয়ায় খুশি চাষিরা। এতে নরসিংদীর অবস্থানকে আরও উপরে নিয়ে গেছে বলে জানালেন জেলা প্রশাসক।

কোনো দেশের নির্দিষ্ট ভূখণ্ডের মাটি, পানি, আবহাওয়ার প্রেক্ষাপটে সেখানকার জনগোষ্ঠীর সংস্কৃতি কোনো একটি পণ্য উৎপাদনে সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখলে সেটিকে সেই দেশের জিআই পণ্য হিসেবে স্বীকৃতি দেয়া হয়।

দেশীয় ও আন্তর্জাতিক বাণিজ্যে জিআই এর স্বীকৃতি খুবই তাৎপর্যপূর্ণ। এবার সেই জিআই পণ্যের তালিকায় নরসিংদীর অমৃত সাগর কলা। গত ৮ ফেব্রুয়ারি শিল্প মন্ত্রণালয়ের আওতাধীন প্রতিষ্ঠান পেটেন্ট, ডিজাইন ও ট্রেডমার্কস অধিদফতর নরসিংদীর অমৃত সাগর কলার ভৌগোলিক নির্দেশক বা জিআই পণ্যের স্বীকৃতি প্রদান করে। জিআই সনদপত্রটি ১১ ফেব্রুয়ারি সরকার প্রধানের হাতে তুলে দেয়া হয়। এই স্বীকৃতিতে খুশি কলাচাষিরা।

নরসিংদী কৃষি সম্প্রসারণ অধিদফতরের সূত্রে জানা যায়, নরসিংদীতে দোআঁশ ও বেলে দোআঁশ মাটি থাকায় এখানে অমৃত সাগর কলার চাষাবাদ বেশি হয়। অমৃত সাগর কলা স্থানীয় বাজারের চাহিদা পুরণ করে আশপাশের জেলা ও রাজধানীতে সরবরাহ করা হয়।

শুধু তাই নয়, দেশের বাইরেও রফতানি হচ্ছে এই সাগর কলা। এরই প্রেক্ষিতে ই-কমার্স ডেভেলপমেন্ট সেন্টারের সহযোগিতায় নরসিংদীর লটকন ও অমৃত সাগর কলাকে ভৌগোলিক নির্দেশক পণ্য হিসেবে অন্তর্ভুক্ত করার জন্য জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে আবেদন করা হয়। আবেদনের প্রেক্ষিতে যাচাই বাছাই শেষে সাগর কলাকে জিআই পণ্য হিসেবে স্বীকৃতি প্রদান করে কর্তৃপক্ষ।

নরসিংদী জেলা প্রশাসক ড. বদিউল আলম জানান, জিআই পণ্য হিসেবে স্বীকৃতি পাওয়ায় বাণিজ্যিকভাবে অমৃত সাগর কলা দেশে ও দেশের বাইরে রফতানিতে ব্যাপক সাড়া ফেলবে।

জেলা কৃষি বিভাগের তথ্যমতে, চলতি বছর জেলায় ৫৮০ হেক্টর জমিতে অমৃত সাগর কলার চাষাবাদ করা হয়েছে। এই স্বীকৃতিতে আগামী বছর এর চাষাবাদ আরও বাড়বে বেলে আশাবাদ সচেতন মহলের।

;

প্রীতি ফুটবল ম্যাচ খেলতে রাজবাড়ী আসছেন ব্যারিস্টার সুমন



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, রাজবাড়ী
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

প্রীতি ফুটবল ম্যাচ খেলতে রাজবাড়ী আসবেন দেশের আলোড়ন সৃষ্টিকারী ব্যক্তিত্ব হবিগঞ্জ-৪ আসনের সংসদ সদস্য, ক্রীড়া সংগঠক ব্যারিস্টার সৈয়দ সায়েদুল হক সুমন। সবকিছু ঠিক থাকলে শুক্রবার (১৯ এপ্রিল) দুপুর ৩টায় রাজবাড়ীর বালিয়াকান্দি উপজেলার বহরপুর ইউনিয়নের বহরপুর রেলস্টেশন সংলগ্ন ঐতিহ্যবাহী বহরপুর রেলওয়ে মাঠে খেলবেন তিনি ও তার দল।

বালিয়াকান্দিতে খেলতে আসার বিষয়টি ব্যারিস্টার সৈয়দ সায়েদুল হক সুমন নিজেই তার ফেসবুক পোস্টের মাধ্যমে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। বি.এন.বি.এস আন্তঃজেলা ফুটবল টুর্নামেন্ট পরিচালনা কমিটি বহরপুরের আয়োজনে এ প্রীতি ফুটবল ম্যাচে ব্যারিস্টার সুমন একাডেমি বনাম মাগুরা জেলা ফুটবল একাদশ অংশগ্রহণ করবে।

বি.এন.বি.এস আন্তঃজেলা ফুটবল টুর্নামেন্ট পরিচালনা কমিটির সভাপতি মো. আবুল কালাম আজাদ বলেন, সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমের জনপ্রিয় মুখ হবিগঞ্জ-৪ আসনের সংসদ সদস্য ব্যারিস্টার সৈয়দ সায়েদুল হক সুমন শুক্রবার (১৯ এপ্রিল) বিকাল ৩টায় ঐতিহ্যবাহী বহরপুর রেলওয়ে মাঠে ফুটবল খেলতে আসবেন। খেলার মাঠটি প্রস্তুত করা হয়েছে। আয়োজক কমিটির পক্ষ থেকে সকল প্রস্তুতি সম্পূর্ণ হয়েছে।

রাজবাড়ীর পুলিশ সুপার জি.এম.আবুল কালাম আজাদ বলেন, বহরপুর রেলওয়ে মাঠে ব্যারিস্টার সুমন তার একাডেমির খেলোয়াড় নিয়ে ফুটবল খেলতে আসবেন। এ খেলায় হাজার হাজার দর্শক হবে। জেলা পুলিশের পক্ষ থেকে পর্যাপ্ত নিরাপত্তা ব্যবস্থা রাখা হবে। খেলার মাঠসহ আশপাশের এলাকা আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি স্বাভাবিক রাখতে জেলা পুলিশের পক্ষ থেকে ৪ স্তরের নিরাপত্তা ব্যবস্থা থাকবে।

বি.এন.বি.এস আন্তঃজেলা ফুটবল টুর্নামেন্ট পরিচালনা কমিটির সভাপতি কাজী শহিদুল ইসলামের (সাহিদ) সভাপতিত্বে খেলায় প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত থাকার কথা রয়েছে রেলমন্ত্রী বীর মুক্তিযোদ্ধা মো. জিল্লুল হাকিমের।

এছাড়াও বিশেষ অতিথি হিসেবে থাকবেন রাজবাড়ী জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান একেএম শফিকুল মোরশেদ আরুজ,বালিয়াকান্দি উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান বীর মুক্তিযোদ্ধা মোঃ আবুল কালাম আজাদ,কালুখালী উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান অলিউজ্জামান চৌধুরী টিটু,বালিয়াকান্দির উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মোঃ রফিকুল ইসলাম,বালিয়াকান্দি থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা(ওসি) মোঃ আলমগীর হোসেন, বালিয়াকান্দি উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি এম এ হান্নানসহ স্থানীয় জনপ্রতিনিধি ও আওয়ামী লীগের নেতৃবৃন্দ।

;

শ্বশুরবাড়ি বেড়াতে এসে হরিণ শিকারের চেষ্টা, যুবক আটক



ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, বাগেরহাট
যুবক আটক

যুবক আটক

  • Font increase
  • Font Decrease

সুন্দরবন থেকে হরিণ শিকারের ১৫০ ফুট ফাঁদসহ মো. জুয়েল নামের এক চোরা শিকারিকে আটক করেছে বনবিভাগ।

বৃহস্পতিবার (১৮ এপ্রিল) ভোরে সুন্দরবন পূর্ব বনবিভাগ শরণখোলা রেঞ্জের বগি স্টেশনের চরখালী টহল ফাঁড়ি সংলগ্ন অভয়ারণ্য থেকে তাকে আটক করা হয়। এ সময় অপর দুই শিকারি গহীন বনে পালিয়ে যায়।

আটক জুয়েল ঢাকার ডেমরা থানার মো. জালালের ছেলে। বাগেরহাটের শরণখোলা উপজেলার তাফালবাড়ি এলাকায় তার শ্বশুর মো. মনো হাওলাদারের বাড়িতে এসে সুন্দরবনে হরিণ শিকার করতে গিয়ে আটক হয়েছেন জুয়েল।

সুন্দরবন পূর্ব বিভাগের চরখালী টহল ফাঁড়ির ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মো. মতিউর রহমান জানান, বৃহস্পতিবার ভোরে সুন্দরবনের অভ্যন্তরে নিয়মিত টহলকালে বগি স্টেশনের চরখালী টহল ফাঁড়ির কাছে অভয়ারণ্য থেকে ফাঁদ পেতে অপেক্ষারত অবস্থায় জুয়েল নামে এক চোরা শিকারিকে আটক করা হয়েছে। এ সময় তার সাথে থাকা অপর দুই চোরা শিকারি গহীন বনে পালিয়ে যান। পালিয়ে যাওয়াদের আটকের চেষ্টা চলছে বলে জানায় বনবিভাগ।

এদিকে আটককৃতের বিরুদ্ধে বন আইনে মামলা দায়েরের পর বৃহস্পতিবার দুপুরে বাগেরহাট আদালতে পাঠালে বিচারক তাকে কারাগারে পাঠিয়েছেন।

;