ধানের ১০টি জাতের অনুমোদন দিয়েছে কৃষিমন্ত্রণালয়
বোরো মৌসুমে চাষের জন্য ধানের ১০টি জাতের নিবন্ধন ও ছাড়করণের অনুমতি দিয়েছে কৃষিমন্ত্রণালয়।
মঙ্গলবার (১৮ জানুয়ারি ) সচিবালয়ে কৃষি মন্ত্রণালয়ের সম্মেলন কক্ষে কৃষিসচিব ও জাতীয় বীজ বোর্ডের চেয়ারম্যান মো: সায়েদুল ইসলামের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত জাতীয় বীজ বোর্ডের ১০৬তম সভায় এ বীজের অনুমোদন দেওয়া হয়।
এর মধ্যে বাংলাদেশ ধান গবেষণা ইনস্টিটিউট (ব্রি) উদ্ভাবিত ২টি ইনব্রিড, বাংলাদেশ পরমাণু গবেষণা ইনস্টিটিউট (বিনা) উদ্ভাবিত ১টি ইনব্রিড, বেসরকারি প্রতিষ্ঠানসমূহের মধ্যে ব্র্যাক উদ্ভাবিত ০১টি ইনব্রিড ও অন্যান্য প্রতিষ্ঠানের ০৬টি হাইব্রিড জাতের নিবন্ধন দেওয়া হয়েছে।
কৃষিসচিব বলেন, হাইব্রিডের ফলন বেশি। স্বল্প জমি থেকে বেশি উৎপাদনের জন্য কৃষি মন্ত্রণালয় এখন হাইব্রিডের জাত উদ্ভাবন ও আবাদ বৃদ্ধির ওপর গুরুত্ব দিচ্ছে। ইতিমধ্যে অনেকগুলো প্রায় ২১৮টি জাতের নিবন্ধন হয়েছে। এখন থেকে আরও মানসম্পন্ন ও দীর্ঘসময় ধরে কৃষককে লাভবান করবে, এমন জাত নিবন্ধনে গুরুত্ব দেওয়া হবে।
সভায় জানানো হয়েছে, ব্রি উদ্ভাবিত ছাড়কৃত ব্রিধান ১০১ ব্যাকটেরিয়া জনিত পোড়া রোগ প্রতিরোধী ও ব্রিধান১০২ জিংকসমৃদ্ধ। ট্রায়ালে ব্রিধান ১০১ এর গড় ফলন হেক্টর প্রতি ৭.৭২ মেট্রিক টন, আর ব্রিধান১০২ এর ৮.১১ মে. টন। ব্রিধান১০২ ধানে জিংকের পরিমাণ ২৫.৫ মিলিগ্রাম/কেজি। বিনা উদ্ভাবিত বিনা ধান২৫ ট্রায়ালে গড় ফলন হেক্টর প্রতি ৭.৬৪ মে. টন পাওয়া গেছে। এটির চাল অতি লম্বা ও সরু, ভাত সাদা, ঝরঝরে ও সুস্বাদু। জীবনকাল ১৪৫দিন।
বেসরকারি প্রতিষ্ঠানসমূহের মধ্যে ব্র্যাক উদ্ভাবিত ব্র্যাক ধান২ এর গড় ফলন হেক্টর প্রতি ৭.৩৬ মে. টন। দানা চিকন, সুগন্ধযুক্ত ও আগাম জাত। জীবনকাল ১৩৯ দিন। এছাড়া, বেসরকারি অন্যান্য প্রতিষ্ঠানের ০৬টি হাইব্রিড ধানের ফলাফল পুনরায় পর্যালোচনা করে নিবন্ধন দেওয়া হয়েছে।
সভায় মন্ত্রণালয়ের মহাপরিচালক (বীজ) আব্দুল্লাহ সাজ্জাদ এনডিসি, অতিরিক্ত সচিব কমলারঞ্জন দাশ, বিএআরসির নির্বাহী চেয়ারম্যান ড. শেখ মো: বখতিয়ার, বিএডিসির চেয়ারম্যান এএফএম হায়াতুল্লাহ, ব্রির মহাপরিচালক শাহজাহান কবীর, বিনার মহাপরিচালক মির্জা মোফাজ্জল ইসলামসহ বীজ বোর্ডের সদস্যবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।