দূষিত শহরের তালিকায় শীর্ষে ঢাকা
বিশ্বের সবচেয়ে দূষিত শহরের তালিকায় শীর্ষস্থান দখল করেছে রাজধানী ঢাকা। গতকাল সকাল ১০টা ১১ মিনিটে ঢাকার বাতাসের মান সূচক (একিউআই) ২৬৯ রেকর্ড করা হয়েছে। যার অর্থ হলো জনবহুল এ শহরের বাতাসের মান 'অস্বাস্থ্যকর' পর্যায়ে রয়েছে। এছাড়া চীনের উহান ও ভারতের নয়াদিল্লি যথাক্রমে ২৫২ ও ২১৪ একিউআই স্কোর নিয়ে এ তালিকায় দ্বিতীয় ও তৃতীয় অবস্থানে রয়েছে।
সাধারণত ১০০ থেকে ২০০-এর মধ্যে একিউআই সংবেদনশীল মানুষের জন্য অস্বাস্থ্যকর বলে বিবেচিত হয়। একইভাবে একিউআই ২০১ থেকে ৩০০-এর মধ্যে থাকলে সংশ্লিষ্ট শহরের পরিবেশ বসবাসের জন্য খারাপ এবং ৩০১ থেকে ৪০০-এর মধ্যে থাকলে বিপজ্জনক হিসেবে বিবেচিত হয়।
বাতাসের মান নির্ণয়ের জন্য একিউআই একটি সূচক। সরকারি সংস্থাগুলো একটি নির্দিষ্ট শহরের বায়ু কতটা পরিষ্কার বা দূষিত ও এজন্য মানব স্বাস্থ্যে কী ধরনের প্রভাব পড়তে পারে বা তা উদ্বেগের কারণ হতে পারে কিনা তা জানতে সূচকটি ব্যবহার করে থাকে।
বাংলাদেশের সামগ্রিক একিউআই পাঁচটি দূষণকারী মানদণ্ডের ওপর ভিত্তি করে নির্ণয় করা হয়েছে। সেগুলো হচ্ছে কণা পদার্থ (পিএম১০ এবং পিএম২.৫), কার্বন মনোক্সাইড, কার্বন ডাই-অক্সাইড, সালফার ডাই-অক্সাইড ও ওজোন।
ঢাকা দীর্ঘদিন ধরেই বায়ুদূষণ সমস্যায় জর্জরিত। ঢাকার বাতাসের গুণমান সাধারণত শীতকালে অস্বাস্থ্যকর হয়ে যায় এবং বর্ষাকালে উন্নত হয়।
এর আগে গত বছরের ২৩ অক্টোবর ঢাকার বাতাসের গুণমান সূচক (একিউআই) ১৫৯ রেকর্ড করা হয়েছিল। তখন ঢাকাকে বিশ্বের দ্বিতীয় দূষিত শহর হিসেবে চিহ্নিত করা হয়েছিল।
২০১৯ সালের মার্চ মাসে পরিবেশ অধিদপ্তর ও বিশ্বব্যাংকের একটি প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়েছে যে, ঢাকার বায়ু দূষণের ৩টি প্রধান উৎস হলো, ইটভাটা, যানবাহনের ধোঁয়া ও নির্মাণ সাইটের ধুলো।
জাতিসংঘের তথ্যমতে, বিশ্বব্যাপী প্রতি ১০ জনের মধ্যে ৯ জন দূষিত বাতাসে শ্বাস নেন এবং বায়ু দূষণের কারণে প্রতি বছর প্রধানত নিম্ন ও মধ্য আয়ের দেশে আনুমানিক ৭০ লাখ মানুষের অকাল মৃত্যু ঘটে।