স্বপ্নের সেতুতে গাড়ি নিয়ে উঠতে আর ৪ শতাংশের অপেক্ষা

ছবি: বার্তা২৪.কম
স্বপ্নের পদ্মাসেতু ঘিরে দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলের মানুষের স্বপ্নপূরণ হতে অপেক্ষা আর অল্পদিনের। দেশের মানুষের ভাগ্যবদলে নতুন দিগন্ত উন্মোচন করছে এই পদ্মাসেতুটি। একই সাথে খুলছে অর্থনীতি ও সামাজিক উন্নয়নের দ্বার।
সেতুটি চালু হলে আরও সহজ হবে রাজধানীর সঙ্গে দক্ষিণাঞ্চলের যোগাযোগ। ফলে দক্ষিণাঞ্চলের অর্থনীতির চাকা ঘোরার পাশাপাশি সেতুর উভয় প্রান্তে মুন্সীগঞ্জের মাওয়ায় এবং শরীয়তপুরের জাজিরার মানুষের বাড়বে কর্মসংস্থান।
প্রায় তিন মাস আগে শরীয়তপুরের জাজিরা প্রান্ত থেকে শুরু হওয়া পিচ ঢালাইয়ের কাজ সহ সকল কাজ মিলিয়ে এখন স্বপ্নের সেতুতে গাড়ি নিয়ে ওঠার উপযোগী হতে আর ৪ শতাংশের কাজের অপেক্ষা।
পদ্মা সেতু প্রকল্পে চলছে শেষ মুহূর্তের প্রস্তুতি।
এগিয়ে নেওয়া হচ্ছে কার্পেটিংসহ খুঁটিনাটি কাজ। যান চলাচল স্বাভাবিক রাখতে সেতুর দুই পাড়ে তৈরি হচ্ছে সড়ক নেটওয়ার্ক।
এগিয়ে চলছে নদীশাসন কাজও। সব মিলিয়ে বর্তমানে আজ পর্যন্ত মূল সেতুর অগ্রগতি প্রায় ৯৬ শতাংশ কাজ শেষ হয়েছে । দক্ষিণাঞ্চলের মানুষের ভাগ্য বদলে দেওয়ার পদ্মা সেতু চালু হচ্ছে চলতি বছরেই।
তাই সেতুর জৌলুস ছড়াচ্ছে চারদিকে। প্রথম থেকে প্রমত্তা পদ্মাসেতুর উপর চীনের ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান চায়না মেজর ব্রিজ ইঞ্জিনিয়ারিং কোম্পানি (এমবিইসি) দ্রুতগতিতে সেতুর কাজ চালিয়ে যাচ্ছে।
গেল সময়গুলোতে মহামারী করোনা বিস্তার এবং নানা প্রতিকূলতা কাটিয়ে এখন শুধু স্বপ্নধরার হাতছানি। এবছরের উদ্বোধন কে কেন্দ্র করে বিশেষ উদ্যমে চলছে সেতুর শেষ পর্যায়ের কাজ। সেতুটি খুলে দেওয়ার আশায় এখন দিন গুনছেন পদ্মা পাড়ের মানুষ।
যান চলাচল স্বাভাবিক রাখতে সড়ক নেটওয়ার্ক তৈরির কাজও এগিয়ে চলছে। কার্পেটিংসহ খুঁটিনাটি কাজের পাশাপাশি নদীশাসনের কাজও দ্রুত এগোচ্ছে।
পদ্মাসেতুর নির্বাহী প্রকৌশলী দেওয়ান মো. আবদুল কাদের বলেন, নির্ধারিত সময়ের মধ্যেই সেতু উদ্বোধন করা হবে। এখন পিচ ঢালাই, কিছু জায়গায় প্যারাপেট ওয়াল এবং সংযোগ সড়কের কাজ চলছে। সেটা শেষ হলেই যান চলাচলের জন্য খুলে দেওয়া হবে।
সেতুর মাধ্যমে দুই পারের গ্যাস পাইপলাইনের কাজের অগ্রগতি ৭২ শতাংশ। আর ৪০০ কেভি টিএল প্ল্যাটফর্মের অগ্রগতি ৬৮ শতাংশের বেশি।