কাফরুলে বিধবার জায়গায় নকশা বর্হিভূত স্থাপনা

ছবি: বার্তা২৪.কম
রাজধানীর কাফরুলে এক বিধবার জায়গায় জোর করে স্থাপনা নির্মাণের অভিযোগ উঠেছে। নিচে ভিত্তি উপরে উঠে নকশা বর্হিভূতভাবে ব্যালকনি নির্মাণের অভিযোগ উঠেছে কয়েকজন শিক্ষকের বিরুদ্ধে।
ওই ব্যালকনি নির্মাণ করতে গিয়ে রাজধানী উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ(রাজউক)’র নিয়মনীতিকে বৃদ্ধাঙ্গুলি দেখানো হয়েছে বলে অভিযোগ করেছেন বিধবা আমেনা মোস্তফা(৬৬)।
তিনি অভিযোগ করেছেন, নিচ থেকে কিছুটা জায়গা ছেড়ে অ্যাপার্টমেন্ট নির্মাণে ফাউন্ডেশন পিলার তোলা হলেও উপরের দিকে এসে তার ছয়তলা ভবনের ভেতরের দিকে ঢুকিয়ে ব্যালকনি নির্মাণ করা হয়েছে। ২৪ ঘণ্টা ডিপটিউয়েলের পানি সুবিধা দেয়ার প্রতিশ্রুতি দিয়ে ট্যাংকি বসানোর নামে কৌশলে সীমানা প্রাচীর ভেঙ্গে ফেলা হয়। অ্যাপার্টমেন্ট নির্মাতারা তার সঙ্গে প্রতারণার মাধ্যমে পানির ট্যাংকি বসানোর কথা বলে ৫ লাখ টাকা লুটে নেন। ওই সময়ে মেয়ের শারীরিক অসুস্থতার কারণে দেশের বাহিরে যান আমেনা। সেই সুযোগে তারা সীমানা প্রাচীর ভাঙ্গা জায়গাজুড়ে ডিপটিউবেল, ফাউন্ডেশন পিলার ও ব্যালকনি নির্মাণ করে। পরে দেশে ফিরে এ বিষয়ে প্রতিবাদ করলে, তারা তাকে ও তার পরিবারের সদস্যদের নানা ধরনের হুমকি ধমকি দেয়। তাই বাধ্য হয়ে তিনি সম্প্রতি কাফরুল থানায় সাধারণ ডায়েরি (জিডি) করেন।
তিনি বলেন, পানি সুবিধা প্রাপ্তির সমঝোতার প্রতারণামূলক প্রস্তাবে ভেঙ্গে ফেলা সীমানা প্রাচীর বরাবর এবং ফুটখানেক ভেতরে বসানো হয়েছে ডিপটিউবয়েল। বিল্ডিংয়ের কলামও বসানো হয়েছে সেই জায়গায়।এ বিষয়ে কাফরুল থানায় একটি সাধারণ ডায়েরি করা হয়েছে।
উত্তর কাফরুলের ২৩৯/৫ নম্বরে ওই বহুতল ভবন নির্মাণ করছেন মোস্তফা কামাল, দেবাশিষ সাহা, হাফিজুর রহমান ও শাহজাহানসহ কয়েক শিক্ষক। আর তার পাশেই আমেনা মোস্তফা নামে অভিযাগকারী বৃদ্ধার ছয়তলা ভবন।
ভবনটি নির্মাণে যথাযথ নিয়ম অনুসরণ না করায় রাজউকের মহাখালী জোনাল অফিস থেকে গত বছরের ৭ জুন তারিখে চিঠি দিয়ে কাজ বন্ধ করার নির্দেশ দেওয়া হয়। ওই চিঠিতে বলা হয় কাজ শুরুর সময় রাজউককে অবগত করার নিয়ম থাকলেও করানো হয় নি। আবার পরিদর্শনকালে যথাযথ অনুমোদনের কাজপত্র দেখাতে ব্যর্থ হয়েছে। আগামী ৭দিনের মধ্যে অনুমোদনের কাগজপত্র জমা দেওয়ার জন্য বলা যাচ্ছে।
ওই চিঠির কোনো জবাব না পেলে নভেম্বরের ৪ তারিখে দ্বিতীয় দফায় চিঠি দেয় রাজউক।সেই চিঠিতে বলা হয় অনুমোদনের কোনো কাগজপত্র দেখাতে ব্যর্থ হয়েছেন। এতে প্রতীয়মান হয়েছে আপনাদের কাছে কোনো কাগজপত্র নেই। কেনো ভেঙ্গে ফেলার নির্দেশ দেওয়া হবে না। দ্বিতীয় চিঠির জবাব না পেলে ১ মাস পর ২১ ডিসেম্বর আবার চিঠি দেওয়া হয়।সেই চিঠিতে বলা হয় অনুমোদনের কোনো কাগজপত্র দেখাতে ব্যর্থ হয়েছেন।এতে প্রতীয়মান হয়েছে আপনাদের কাছে কোনো কাগজপত্র নেই। ভবনটি কেনো ভেঙ্গে ফেলার নির্দেশ দেওয়া হবে না জানাতে শোকজ করা হয়। এতো কিছুর পরও বহাল তবিয়তে রয়ে গেছে অবৈধ ভবনটি। রাজউক এখন রহস্যজনক কারণে নিরব দর্শকের ভূমিকায়।
অ্যাপার্টমেন্ট মালিক মোস্তফা কামালকে ফোন করলে তিনি রিসিভ করেন নি। অপর মালিক শাহজাহানকে ফোন করলে তিনি কোনো মন্তব্য করতে রাজি হননি। বলেছেন আমাদের সভাপতি অথবা সম্পাদকের সঙ্গে কথা বলেন ওনারা ভালো বলতে পারবেন।