নিরাপত্তার জন্য সিলিন্ডার বাড়ির বাহিরে স্থাপন নিরাপদ

ছবি: বার্তা২৪.কম
জীবনযাপনে গ্যাস ছাড়া একদিনও কল্পনা করা যায় না। আমাদের রান্না করে খাওয়ার পুরোটাই নির্ভর করে এই গ্যাসের ওপর। খাগড়াছড়ি শহরের নয়নপুর এলাকার এক চারতলা বাড়ির আট ফ্ল্যাটের রান্না ঘরের জানালার বাহিরে গ্যাস সিলিন্ডার স্থাপন করেছে।
নয়নপুর বাসিরা বলেন, পাহাড়ে গ্যাস সরবরাহের জন্য পাইপলাইন নেই। ব্যবহৃত হয় গ্যাস সিলিন্ডার। বাড়ির মালিক ভাড়াটিয়াসহ সকলের জন্য গ্যাস জ্বালানীর সিলিন্ডার বাহিরে স্থাপন করা হয়েছে। প্রতিটি বাড়িতে এই পদ্ধতিতে সিলিন্ডার বাহিরে স্থান করা প্রয়োজন।
বাড়ির মালিক মো. বেলাল হোসেন বলেন, সারাদেশে গ্যাস সিলিন্ডারের দুর্ঘটনা ঘটে। তাই মানুষের নিরাপত্তার কথা চিন্তা করে গ্যাস সিলিন্ডার চার তলার বাড়ির রান্না ঘরের জানালার বাহিরে গ্যাস সিলিন্ডার স্থাপন করা হয়েছে। নিজের নিরাপত্তার জন্য এই ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়েছে।

বাড়ির ভাটিয়া গৃহবধূ নারগিছ আক্তার বলেন, বাসা-বাড়ির নিত্য প্রয়োজনীয় রান্নাসহ সকল কাজে ব্যবহার করতে হয় গ্যাস সিলিন্ডার দিয়ে। গ্যাস সিলিন্ডার বাহিরে থাকায় আমাদের নিরাপদ। সব বাসা-বাড়িতে নেই। আমাদের বাড়ির মালিক করেছেন। নতুন বাড়িতে গ্যাস সিলিন্ডার বাহিরে দেওয়া উচিৎ কারণ বাড়ির নারীরা নিরাপদে রান্নাসহ সকল কাজ নিরাপদে থাকবে।
৮নং ওয়ার্ড কাউন্সিলর ও নয়নপুর বাসিন্দা মো. রাশেদ বলেন, ওনি নিরাপত্তার জন্য গ্যাসের বোতল বাহিরে স্থাপন করেছেন। খুবই ভালো কাজ। মানুষ দেখে যেন শিখনীয় বিষয় হয়। ভবিস্যতে যাতে পৌরসভা কর্তৃক একটা সিস্টেম রাখা হয়। ওনার উদোগ্যকে সাধুবাদ জানায়।
খাগড়াছড়ি ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্সের উপসহকারী পরিচালক সাকারিয়া হায়দার বলেন, বাংলাদেশ ন্যাশনাল ফায়ার নিরাপত্তা ব্যবস্থা গ্রহণ করতে হবে। এই ধরনের বাসা-বাড়িতে বাহিরে গ্যাস সিলিন্ডার স্থাপন করে ব্যবহার করা আইনে আছে কি না জানা নেই। ফায়ার সেফটি অনুয়ায়ী গ্রহণ করতে হবে ।
খাগড়াছড়ি পৌরসভার মেয়র নির্মলেন্দু চৌধুরী বলেন, গ্যাস সিলিন্ডার বাড়ির বাহিরে স্থাপন নিরাপদ। গ্যাস সিলিন্ডার বাড়ির ভেতর রাখলে যে কোন সময় দুর্ঘটনা ঘটে মানুষের মৃত্যু হতে পারে। কোন দুর্ঘটনা ঘটলে গ্যাস বাহিরে বের হয়ে যাবে। সিলিন্ডার বিস্ফোরন থেকে মানুষ রক্ষা পাবে।