করোনায় বন্ধ স্কুল কলেজ, খোলা কোচিং সেন্টার
করোনা মহামারীর নতুন ভ্যারিয়েন্ট ওমিক্রন প্রতিরোধে ইতিমধ্যে ১১ দফা বিধিনিষেধ আরোপসহ শিক্ষার্থীদের স্বাস্থ্য সুরক্ষায় দুই সপ্তাহের জন্য সকল শিক্ষা প্রতিষ্ঠান বন্ধের ঘোষণা দিয়েছে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ। তবে সারাদেশে স্কুল কলেজ বন্ধ থাকলেও বন্ধ নেই নীলফামারী জলঢাকা উপজেলার কোচিং ও প্রাইভেট সেন্টার গুলো।
রোববার (২৩ জানুয়ারি) সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায় উপজেলা শহরের বিভিন্ন স্থানে উল্লাস প্রাইভেট সেন্টার প্রোগ্রেসিভ কোচিং সেন্টার বীণাপানি, এডাভান্স প্রাইভেট সেন্টারসহ প্রায় ১২ থেকে ১৫টি প্রাইভেট এবং কোচিং সেন্টারে শতাধিক শিক্ষার্থী নিয়ে সরকারি নির্দেশনা না মেনে, স্বাস্থ্যবিধি উপেক্ষা করে চলছে ক্লাস। বেশির ভাগ শিক্ষার্থীদের মুখে নেই মাস্ক,নেই স্বাস্থ্যবিধির কোন বালাই। প্রতিষ্ঠান গুলোতে নেই স্যানিটাইজ এর কোন মাধ্যম, হাত ধোয়ার নেই কোন ব্যবস্থা। এছাড়াও কোচিং শেষে মাস্ক না পরেই বাইরে ঘোরাঘুরি করতে দেখা গেছে শিক্ষার্থীদের। এতে শিক্ষার্থীদের করোনা আক্রান্তের সম্ভাবনা অনেকটাই বেশি বলে ধারণা করছে অনেকেই।
তবে শিক্ষার্থী ও অভভাবকদের দাবি করোনায় স্কুল কলেজ বন্ধ কিন্তু পরীক্ষা ঠিক সময়ে হচ্ছে। স্কুল বন্ধ থাকলে শিক্ষার্থীরা শিখবে কোথায়। এ জন্য তাদের কোচিং আসতে হয় বলে জানান শিক্ষার্থী ও অভিভাবকরা।
উল্লাস প্রাইভেট সেন্টারের নির্বাহী পরিচালক হারুন অর রশিদ বলেন, আমরা পড়াশুনা শেষ করে বসে আছি। নিবন্ধনকৃত শিক্ষক না আমরা। এই বয়সে কি করব। সরকার বন্ধ দিয়েছে সব কিন্তু কি করব পেটের দায়ে করতে হচ্ছে।
প্রোগ্রেসিভ কোচিং সেন্টারে পরিচালক লায়েম ইসলাম বলেন, প্রায় দু বছর করোনার জন্য স্কুল কলেজ বন্ধ তবে পরীক্ষা কিন্তু ঠিকই হচ্ছে। যদি কোচিং না চলে তাহলে তারা কিভাবে শিখবে। অভিভাবকদের চাপে আসলে আমাদের সরকারের বিধিনিষেধ অমান্য করে পড়াতে হচ্ছে।
এ বিষয়ে উপজেলা নির্বাহী অফিসার মাহবুব হাসান বার্তা২৪.কমকে বলেন, সরকারি নির্দেশনা মানাতে প্রশাসন বদ্ধপরিকর। এমন হলে আমরা অভিযান পরিচালনা করে আইনি ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।