বিএম কলেজছাত্রীকে মারধর, থানায় অভিযোগ

ছবি: সংগৃহীত
প্রেমের প্রস্তাব প্রত্যাখান করায় বরিশাল সরকারি ব্রজমোহন (বিএম) কলেজের এক ছাত্রীকে মারধর ও হেনস্থার অভিযোগ উঠেছে সৈয়দ হাতেম আলী কলেজের ব্যবস্থাপনা বিভাগের ছাত্র নুজাইম শাওনের বিরুদ্ধে।
এঘটনায় বরিশাল কোতোয়ালি মডেল থানায় লিখিত অভিযোগ দিয়েছেন ভুক্তভোগী ছাত্রী। এঘটনায় বিএম কলেজ কর্তৃপক্ষ তিন সদস্যের একটি তদন্ত কমিটি গঠন করেছে।
লিখিত অভিযোগ সূত্রে জানা গেছে, ঠিক এক বছর আগে ভুক্তভোগী ছাত্রীকে প্রেমের প্রস্তাব দেন সরকারি সৈয়দ হাতেম আলী কলেজের ব্যবস্থাপনা বিভাগের ছাত্র নুজাইম শাওন । প্রস্তাব প্রত্যাখান করলে ওই ছাত্রীকে বিভিন্ন সময়ে উত্ত্যক্ত এবং তার পরিচিতজনের একাধিকবার হুমকি দিয়েছেন শাওন।
সর্বশেষ গত রোববার (২৩ জানুয়ারি) বিকেলে বিএম কলেজের সোনালী ব্যাংক শাখার বিপরীতে জনতা লাইব্রেরির সামনে মূল সড়কের মধ্যে ছাত্রীকে আটকে মারধর করেন শাওন ও তার সহযোগীরা। মারধরে ওই ছাত্রীর হাতের মোবাইল পড়ে গিয়ে ভেঙে যায়। এ ঘটনা কাউকে জানালে নুজাইম শাওনের সহযোগী বিএম কলেজের পদার্থবিজ্ঞান বিভাগের ছাত্র সাগর ওই ছাত্রীকে কলেজে ঢুকতে দেবেন না বলে হুমকি দেন।
এঘটনায় সোমবার (২৪ জানুয়ারি) বরিশাল কোতোয়ালি মডেল থানায় এবং বিএম কলেজ প্রশাসনকে লিখিত অভিযোগ দিয়েছেন মারধরের শিকার ওই ছাত্রী ।
এ বিষয়ে সরকারি ব্রজমোহন (বিএম) কলেজের অধ্যক্ষ অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ গোলাম কিবরিয়া জানান, মারধর ও হেনস্থার অভিযোগ এনে ভুক্তভোগী একছাত্রী সরকারি সৈয়দ হাতেম আলী কলেজের ব্যবস্থাপনা বিভাগের ছাত্র নুজাইম শাওন ও তার সহযোগী বিএম কলেজের পদার্থবিজ্ঞান বিভাগের ছাত্র সাগরের বিরুদ্ধে লিখিত অভিযোগ করেছে।
এঘটনায় কলেজ প্রশাসনের পক্ষ থেকে অধ্যাপক আক্তারুজ্জামানকে প্রধান করে করে তিন সদস্যের একটি তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে। তদন্তের চূড়ান্ত প্রতিবেদন পেলেই হামলাকারীদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে বলে জানান অধ্যক্ষ।
কোতোয়ালি মডেল থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আজিমুল করিম জানান, মারধরের অভিযোগ এনে জড়িত দুজনের নামে থানায় লিখিত অভিযোগ করেছেন ভুক্তভোগী। ইতিমধ্যে ঘটনা তদন্তে কাজ শুরু করেছে পুলিশ। দ্রুত হামলাকারীদের আইনের আওতায় আনা হবে বলে জানান ওসি।