ভিকটিম সাপোর্ট সেন্টারে তরুণীর মৃত্যু, প্রেমিক গ্রেফতার

মিথুন ওরফে আকাশ গ্রেফতার
রংপুর মহানগরের কোতোয়ালি থানার ভিকটিম সাপোর্ট সেন্টারে রুহি আক্তার (১৯) নামের এক তরুণী নিহতের ঘটনায় প্রেমিক মিথুন ওরফে আকাশকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। সোমবার (২৪ জানুয়ারি) বিকালে গঙ্গাচড়া উপজেলা থেকে তাকে গ্রেফতার করা হয়। এঘটনায় তিন সদস্যের একটি তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে।
সোমবার (২৪ জানুয়ারি) সন্ধ্যায় বিষয়টি নিশ্চিত করেন মহানগর পুলিশের উপপুলিশ কমিশনার (ডিবি অ্যান্ড মিডিয়া) মোহাম্মদ সাজ্জাদ হোসেন।
আটক মিথুন গঙ্গাচড়া উপজেলার ধামুর গ্রামের ইবাদত আলীর ছেলে। সে প্রেমিকা রুহিকে নিজের ভুয়া নাম ও ঠিকানা দিয়েছিল।
এর আগে, রোববার (২৩ জানুয়ারি) দুপুরে ভিকটিম সাপোর্ট সেন্টারের ভেতর থেকে রুহির মরদেহ উদ্ধার করা হয়। রুহি ঝিনাইদহ জেলার হরিনাকুন্ড থানার হরিয়ারঘাট গ্রামের সেকেন্দার আলীর মেয়ে।
পুলিশ ও স্থানীয়রা জানান, রুহির সঙ্গে রংপুর নগরীর ৯নং ওয়ার্ডের বাহারকাছনা রাম গোবিন্দমোড় এলাকার আকাশ নামের এক ছেলের প্রেমের সম্পর্ক গড়ে ওঠে। এরপর গত শনিবার (২২ জানুয়ারি) মেয়েটি আকাশের সঙ্গে দেখা করতে আসেন। এক পর্যায়ে আকাশের মোবাইল ফোন বন্ধ পেয়ে ওই এলাকায় ঘোরাঘুরি করতে থাকেন মেয়েটি। শনিবার রাত সাড়ে তিনটার দিকে ৯৯৯ নম্বরে থেকে খবর পেয়ে হারাগাছ থানা পুলিশ রুহিকে উদ্ধার করে ভিকটিম সাপোর্ট সেন্টারে নিয়ে যায়।
সেখানে থাকা অবস্থায় রোববার দুপুরে গলায় ওড়না পেঁচিয়ে সিলিং ফ্যানের সঙ্গে আত্মহত্যা করেন রুহি। পরে তার মরদেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য মর্গে পাঠানো হয়। এ ঘটনায় উপ-পুলিশ কমিশনার (অপরাধ) আবু মারুফ হোসেনকে (অপরাধ) প্রধান করে তিন সদস্য বিশিষ্ট তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে। কমিটির অন্য সদস্যরা হলেন- উপ-পুলিশ কমিশনার (ট্রাফিক) মেনহাজুল আলম, সহকারী পুলিশ কমিশনার (সিটিএসবি) মাহব-উল-আলম।
দায়িত্ব অবহেলার দায়ে পুলিশের এএসআই নাদিরা ও কনস্টেবল আফরুজা বেগমকে প্রত্যাহার করা হয়েছে।
এক বছর আগেও মেয়েটি ঝিনাইদহ থেকে আকাশের সঙ্গে দেখা করতে এসেছিলেন। সে সময় স্থানীয়রা তাকে ঘোরাঘুরি করতে দেখে ৯৯৯ এ ফোন দিলে পুলিশ সেখান থেকে তাকে উদ্ধার করে ভিকটিম সাপোর্ট সেন্টারে নিয়ে যায়। পরে তাকে তার স্বজনদের কাছে হস্তান্তর করেন।
এঘটনায় রুহির পিতা সেকেন্দার আলী বাদী হয়ে কোতোয়ালি থানায় একটি মামলা দায়ের করেছেন।