বরিশালে সড়ক দুর্ঘটনায় স্কুলছাত্রের মৃত্যু



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, বরিশাল
বরিশালে সড়ক দুর্ঘটনায় স্কুলছাত্রের মৃত্যু

বরিশালে সড়ক দুর্ঘটনায় স্কুলছাত্রের মৃত্যু

  • Font increase
  • Font Decrease

বরিশালের গৌরনদীতে করোনার টিকা নিতে যাবার পথে বলেশ্বর পরিবহনের ধাক্কায় অন্তর বেপারী নামে এক স্কুলছাত্রের মৃত্যু হয়েছে । এতে আহত হয়েছে আরও ২ জন।

বুধবার (২৬ জানুয়ারি) দুপুরে ঢাকা-বরিশাল মহাসড়কের বার্থী তারা মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের সামনে এ দুর্ঘটনা ঘটে।

নিহত অন্তর বার্থী ইউনিয়নের ১ নং ওয়ার্ডের বাসিন্দা মালেক বেপারীর ছেলে ও বার্থী মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের ১০ শ্রেণির ছাত্র।

আহতরা হলেন- কটকস্থল এলাকার জামাল ফকিরের ছেলে রেদওয়ান ফকির ও খাঞ্জাপুর ইউনিয়নের গাইনের পাড় এলাকার সেলিম ঘরামীর ছেলে কাইয়ুম ঘরামী।

মৃত্যুর বিষয়টি নিশ্চিত করে গৌরনদী হাইওয়ে থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) শেখ বেল্লাল হোসেন জানান, বুধবার দুপুরে করোনার টিকা নেওয়ার জন্য বার্থী থেকে গৌরনদীর একটি বেসরকারি ক্লিনিকের উদ্দেশ্যে মোটরসাইকেল যোগে যাচ্ছিল ওরা তিনজন। পথিমধ্যে বার্থী তারা মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের সামনে পৌঁছালে বরিশাল থেকে চট্রগ্রামগামী বলেশ্বর নামক একটি পরিবহন মোটরসাইকেলটিকে ধাক্কা দেয়।

এতে গুরুতর আহতবস্থায় তিনজনকে বরিশাল শের-ই বাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেওয়া হলে চিকিৎসাধীন অবস্থায় অন্তর নামের এক স্কুলছাত্রের মৃত্যু হয়। এ ঘটনায় বলেশ্বর পরিবহনটিকে আটক করা হয়েছে।

   

কুড়িগ্রামে পৌঁছলেন ভুটানের রাজা



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, কুড়িগ্রাম
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

কুড়িগ্রামে পৌঁছেছেন ভুটানের রাজা জিগমে খেসার নাময়িগেল ওয়াংচুক।

বৃহস্পতিবার (২৮ মার্চ) বেলা সোয়া ১২টার দিকে সৈয়দপুর বিমান বন্দর থেকে সড়ক পথে কুড়িগ্রাম সার্কিট হাউজে পৌঁছান তিনি।

কুড়িগ্রামের জেলা প্রশাসক সাইদুল আরীফ জানান, ভুটানের রাজা দুপুর দেড়টা পর্যন্ত সার্কিট হাউজে অবস্থান করবেন। এরমধ্যে তিনি দুপুরের খাবার সেরে নিবেন। পরে ধরলার পাড়ের কুড়িগ্রাম সদর উপজেলার ভোগডাঙ্গা ইউনিয়নের মাধবরাম এলাকায় ভুটানিজ বিশেষ অর্থনৈতিক অঞ্চলের নির্ধারিত জায়গা পরিদর্শন করবেন। সেখানে তিনি ১৫ মিনিট অবস্থানের পর সড়ক পথে জেলার ভুরুঙ্গামারী উপজেলার সোনাহাট স্থলবন্দরের দিকে যাত্রা শুরু করবেন।
স্থল বন্দরে বিশেষ ইমিগ্রশনের মাধ্যমে ভারত হয়ে নিজ দেশ ভুটানে যাবেন রাজা।

২১৯ একর জমির ওপর গড়ে তোলা হবে জিটুজি ভিত্তিতে এ বিশেষ অর্থনৈতিক অঞ্চল। রাজার আগমনকে ঘিরে সব ধরনের আয়োজন সম্পন্ন করেছে প্রশাসন। বাংলাদেশ-ভুটান দুই দেশের যৌথ উদ্যোগে ধরলায় গড়ে তোলা হবে জিটুজি ভিত্তিতে এ বিশেষ অর্থনৈতিক অঞ্চল।

কুড়িগ্রাম চেম্বার অব কমার্সের প্রেসিডেন্ট আব্দুল আজিজ জানান, ধরলার পাড়ে বিশেষ অর্থনৈতিক অঞ্চল গড়ে তোলা হলে সড়ক, নদী ও রেল পথের সুবিধা মিলবে। এ অঞ্চলের মানুষের কর্মসংস্থানের পাশাপাশি অর্থনৈতিক উন্নয়ন হবে।

জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ সাইদুল আরীফ জানান, ভুটানের রাজার আগমনে কয়েক স্তরের নিরাপত্তা ব্যবস্থা নেয়া হয়েছে।

;

ময়মনসিংহে বাস-অটোরিকশার সংঘর্ষ: নিহত ৩, আহত ৪



ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, ময়মনসিংহ
ছবি: বার্তা২৪.কম

ছবি: বার্তা২৪.কম

  • Font increase
  • Font Decrease

ময়মনসিংহের ত্রিশালে ইউটার্ন নেওয়ার সময় বাস ও সিএনজিচালিত অটোরিকশার মুখোমুখি সংঘর্ষে তিনজন নিহত হয়েছেন। এছাড়া এ ঘটনা গুরুতর আহত হয়েছেন আরও ৪ জন।

বুধবার (২৮ মার্চ) দুপুরের ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়কের দরিরামপুর এলাকার সাইফুল কমিশনারের বাড়ির সামনে ঘটনাটি ঘটে।

ত্রিশাল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) চাঁদ মিয়া ঘটনাটির সত্যতা নিশ্চিত করেছেন।

তিনি বলেন, সাইফুল কমিশনারের বাড়ির সামনে একটি বাস ইউটার্ন নেওয়ার সময় সিএনজিচালিত অটোরিকশার সাথে সংঘর্ষ হয়। এতে ঘটনাস্থলেই এক শিশু এবং ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেওয়ার পথে সিএনজিচালিত অটোরিকশা চালক শরিফুল ইসলাম (৩৩) মারা যান। সে উপজেলার চিকনা মনোহর গ্রামের মৃত আব্দুস সামাদের ছেলে। অন্যজনকে হাসপাতালে নেওয়া হলে দায়িত্বরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন, তার পরিচয় পাওয়া যায়নি। 

আহতদের উদ্ধার ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।

;

তালপাতার পাখায় ঘোরে সংসারের চাকা



মাহবুবা পারভীন, স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, বগুড়া
ছবি: বার্তা২৪

ছবি: বার্তা২৪

  • Font increase
  • Font Decrease

গ্রামে প্রবেশ করতেই দেখা মেলে আঁকাবাঁকা রাস্তার দুই পাশ দিয়ে দাঁড়িয়ে আছে সারি সারি তালগাছ। এই গ্রামে প্রবেশ করে তালগাছগুলি দেখে মনে পড়ে যায় রবিঠাকুরের সেই ছড়া-

‘তালগাছ এক পায়ে দাঁড়িয়ে সব গাছ ছাড়িয়ে উঁকি মারে আকাশে…’

বলছি, বগুড়ার কাহালু উপজেলার আড়োলা গ্রামের কথা। বর্তমানে সেই গ্রামটি ‘তালপাখার গ্রাম’ নামে পরিচিত। এই গ্রামে প্রবেশ করতেই দেখা যায়, সবাই তালপাতা দিয়ে পাখা বানানোর কাজে ব্যস্ত সময় পার করছেন।

গরমে তালপাতার পাখার বাতাসে শরীর জুড়িয়ে যায়। বগুড়ার কাহালু উপজেলার পাইকড় ইউনিয়নের পাশাপাশি দুটি গ্রাম। একটির নাম যোগীরভবন। অপরটি আড়োলা আতালপাড়া। ইতোমধ্যে, গ্রাম দুটি ‘পাখার গ্রাম’ হিসেবে পরিচিতি পেয়েছে।

পাখার গ্রাম যোগীরভবন, আড়োলা, আতাইল পাড়া, ছবি- বার্তা২৪.কম

সম্প্রতি, গিয়ে দেখা যায়, দুটি গ্রামের একেক পাড়ায় একেক ধরনের পাখা তৈরি হয়। যোগীরভবন গ্রামে তৈরি হয়, ‘হাতলপাখা’ বা ‘ডাঁটপাখা’। আর আড়োলা আতালপাড়ায় তৈরি হয়, ‘ঘোরানো পাখা’ বা ‘ঘুন্নী পাখা’ আর ‘পকেট পাখা’।

পাখা তৈরির সঙ্গে জড়িয়ে পড়েছেন দুটি গ্রামের সব নারী। শীতের শেষে বসন্তকালে অর্থাৎ ফাল্গুন মাস থেকে পাখা তৈরির কাজ শুরু হয়।

গ্রামে প্রবেশ করেই চোখে পড়ে বাড়ির উঠানে রং-তুলির আঁচড়ে ঘোরানো পাখা রাঙিয়ে তুলছেন সখিনা বেগম। রঙিন ঘোরানো পাখা বাঁধাই করছেন গোলজার। বাঁধাই হয়ে গেলে পাখাটি বিক্রি করবেন তিনি।

তৈরি হবে ২০ লাখ তালপাখা
বাড়ির উঠানে বসে ‘তালপাখা’ বাঁধাইয়ের কাজে ব্যস্ত কুলসুম বেগম। তালপাতার তৈরি হাতপাখার গ্রামে এবার ২০ লাখ পাখা বিক্রির প্রস্তুতি চলছে। এই পাখা চৈত্র মাস থেকে ভাদ্র মাস পর্যন্ত বিক্রি হবে।

গ্রামের নারী, পুরুষ, শিশু থেকে শুরু করে বৃদ্ধরা অবসর সময়ে তালপাখা তৈরির কাজ করেন। বংশ পরম্পরায় গ্রামের মানুষ ‘তালপাখা’ তৈরির কাজ করে আসছেন বলে জানান গ্রামের বাসিন্দারা। গরমে ঘন ঘন লোডশেডিংয়ের কারণে দিন দিন বাড়ছে পাখার চাহিদা। সেই সঙ্গে পাল্লা দিয়ে বাড়ছে পাখা তৈরি কাজের পরিধিও।

তালপাখা তৈরিতে সময় পার করছেন গ্রামের নারীরা, ছবি- বার্তা২৪.কম

আড়োলা গ্রামের খোন্দকার জানান, দাদার আমল থেকে তারা তালের পাতা দিয়ে হাতপাখা তৈরির কাজ করে আসছেন। কৃষি কাজের পাশাপাশি তালপাখা তৈরির কাজ করেন তিনি। তার স্ত্রীও সংসারের কাজের ফাঁকে রঙের আঁচড় দিয়ে তালপাখার সৌন্দর্য বৃদ্ধির কাজ করে থাকেন।

আকরাম আকন্দ জানান, গত বছর তিনি পাখা বিক্রি করে সংসার খরচ বাদেই এক লাখ টাকা সঞ্চয় করেছেন। তার মতে, গত বছর তিন গ্রাম থেকে ১৫ লাখ তালপাখা বিক্রি হয়েছে দেশের বিভিন্ন স্থানে। এবার চাহিদা বেড়ে গ্রাম থেকে ২০ লাখ পাখা তৈরি করে তা বিক্রি করা হবে।

তৈরি হয় পকেট পাখা, ঘুরানী পাখা, ডাগুর পাখা
তালগাছের পাতা (স্থানীয় ভাষায় তালের ডাগুর) দিয়ে তিন ধরনের পাখা তৈরি হয়। স্থানীয়ভাবে এর নাম দেওয়া হয়েছে- পকেট পাখা, ঘুরানী পাখা এবং ডাগুর পাখা।

পাখা তৈরি করতে তালের পাতা ছাড়াও বাঁশ, সুতা এবং জিআই তার প্রয়োজন পড়ে। তৈরি হয়ে যাওয়ার পর বিভিন্ন রঙের আঁচড় দিয়ে সৌন্দর্য বাড়াতে ব্যবহার করা হয় বিভিন্ন রঙ। ১০ টাকায় কেনা তালগাছের একটি পাতা বা ডাগুড় দিয়ে তৈরি হয়, বড় পাখা বা ডাগুর পাখা ২টি, ঘুরানী পাখা ৪টি এবং পকেট পাখা ৬টি।

তালপাতা সংগ্রহ, পাখা তৈরি ও রঙের আঁচড়
বছরের আশ্বিন মাস থেকে শুরু হয় বাঁশ এবং তালপাতা সংগ্রহের কাজ। এরপর বাঁশ ছোট ছোট আকারে কাটতে হয়। তালপাতাও কেটে পাখা তৈরির উপযোগী করা হয়। ফাল্গুন মাস পর্যন্ত চলে পাখা তৈরির কাজ।

চৈত্র মাসের শুরু থেকে পাখার সৌন্দর্য বৃদ্ধির জন্য বাহারি রঙ লাগানো হয়। এটি শেষ হয়ে গেলে তা বিক্রয় উপযোগী হয়।

দেশের ঢাকা, গাজীপুর, নারায়ণগঞ্জ, রংপুর, সৈয়দপুর, কুড়িগ্রাম, নীলফামারি থেকে শুরু করে বিভিন্ন স্থান থেকে ব্যাপারীরা আসেন তালপাখা কিনতে।

এ বিষয়ে যোগীর ভবন গ্রামের মামুনুর রশিদ জানান, প্রতি বছর ১৭ থেকে ১৮ হাজার ‘ডাগুর পাখা’ তৈরি করেন তিনি। এই পাখাগুলি বরিশাল, সিরাজগঞ্জ, নওগাঁসহ বিভিন্ন জেলায় বিক্রি হয়।

গত বছরের তুলনায় এবছর পাখার চাহিদা বেশি বলে উল্লেখ করে মামুনুর রশিদ বলেন, একটি তালপাতা বা ডাগুরের দাম ১০ টাকা হলেও বাঁশ ও রঙের দাম বেড়ে যাওয়ার কারণে তাদের খরচও বেড়ে গেছে।

অবসরে পাখা তৈরি করছেন গ্রামের নারীরা, ছবি- বার্তা২৪.কম


 

পাখা তৈরির বিষয়ে আতাইল পাড়া গ্রামের পারভীন, মর্জিনা, সাবিনা, বেবি, সুমি জানান, তারা প্রতিদিন ২৫ থেকে ৩০টি করে হাতপাখা তৈরি করে বিক্রি করেন। বছরের ছয় মাস সংসারের কাজের ফাঁকে হাতপাখা তৈরির কাজ করে তারা বাড়তি আয় করছেন বছরের পর বছর ধরে। পাখা বিক্রি করে এইসব নারীরা তাদের সৌখিন জিনিস কিনে থাকেন সে টাকায়।

হাতপাখা তৈরির তিন গ্রাম ঘুরে দেখা যায়, ‘পকেট পাখা’ ১১ টাকা, ‘ঘুরানী পাখা’ ২০ টাকা এবং ‘ডাগুর পাখা’ ৩০ টাকা দরে ব্যাপারীরা পাইকারি কিনে নিয়ে যাচ্ছেন। তারা আবার বিভিন্ন মেলা কিংবা হাটে-বাজারে খুচরা বিক্রেতার কাছে বিক্রি করছেন।

গরমের সময় বিদ্যুতের লোডশেডিং বেড়ে যাওয়ার কারণে হাতপাখার চাহিদা প্রতি বছরই বাড়ছে বলে পাখা কিনতে আসা ব্যাপারী করিম বার্তা২৪.কমকে জানান।

শহর ও গ্রামে তীব্র গরম থেকে একটু স্বস্তি পেতে ধনী, গরিব থেকে সব পরিবারেই হাতপাখার ব্যবহার হয়ে আসছে যুগ যুগ ধরে।

;

অ্যানেস্থেসিয়ার ওষুধ পরিবর্তনের নির্দেশ স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, ঢাকা
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

বেশ কিছুদিন ধরে দেশের বিভিন্ন হাসপাতালে রোগীদের সুন্নতে খতনা, অ্যান্ডোসকপিসহ বিভিন্ন ধরনের অস্ত্রোপচারকালে অ্যানেস্থেসিয়া প্রয়োগে মৃত্যুর ঘটনা ঘটেছে। সম্প্রতি এ নিয়ে সংশ্লিষ্ট বিভাগসহ সব মহলের উদ্বেগ বাড়ছে। এমন পরিস্থিতি মোকাবেলায় অ্যানেস্থেসিয়ায় ব্যবহৃত ওষুধ পরিবর্তনের নির্দেশ দিয়েছে স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়। একইসঙ্গে ওষুধের মান নিশ্চিত করতে জোর দেওয়া হয়েছে।

বুধবার (২৭ মার্চ) মন্ত্রণালয়ের যুগ্মসচিব জসীম উদ্দীন হায়দার স্বাক্ষরিত এক নির্দেশনায় এ তথ্য জানানো হয়েছে।

নির্দেশনায় বলা হয়, অ্যানেস্থেসিয়ায় ব্যবহৃত ওষুধের গুণগত মান নিশ্চিত করার পাশাপাশি তাতে হ্যালোথেনের বিকল্প নির্ধারণ করতে হবে। সেইসঙ্গে অ্যানেস্থেসিয়ার অপপ্রয়োগ প্রতিরোধ করতে সুপারিশ করা হলো এবং এজন্য প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করতে নির্দেশ দেওয়া হলো।

নির্দেশনায় আরও বলা হয়, সারাদেশের সব সরকারি ও বেসরকারি হাসপাতালে অস্ত্রোপচার কক্ষে ইনহেলেশনাল অ্যানেস্থেটিক হিসেবে হ্যালোথেনের পরিবর্তে আইসোফ্লুরেন অথবা সেভোফ্লুরেন ব্যবহার করতে হবে।

সেইসঙ্গে দেশের সব হাসপাতালে বিদ্যমান হ্যালোথেন ভেপোরাইজার পরিবর্তন করে আইসোফ্লুরেন, সেভোফ্লুরেন এবং ভেপোরাইজার প্রতিস্থাপন করতে প্রয়োজনীয় অর্থ বরাদ্দের প্রাক্কলন করতে হবে। অর্থাৎ এ বিষয়ে খরচের পরিমাণ জানাতে নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে।

ওষুধ প্রশাসন অধিদফতরের অনুমোদন ছাড়া হ্যালোথেন কেনা-বিক্রি এবং ব্যবহার প্রতিরোধে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের নির্দেশ দিয়ে মন্ত্রণালয় আরও বলেছে, দেশের সব সরকারি স্বাস্থ্য সেবা প্রতিষ্ঠানে হ্যালোথেন ভেপোরাইজারের বদলে আইসোফ্লুরেন ভেপোরাইজার প্রতিস্থাপনের জন্য চাহিদা মোতাবেক ব্যবস্থা নিতে হবে এবং নতুন অ্যানেস্থেসিয়া মেশিন কেনার বেলায় স্পেসিফিকেশন নির্ধারণে স্পষ্টভাবে ভেপোরাইজারের অন্তর্ভুক্তি নিশ্চিত করতে হবে।

নির্দেশনাটির অনুলিপি ইতোমধ্যে স্বাস্থ্য অধিদফতর এবং ওষুধ প্রশাসন অধিদফতরের মহাপরিচালকের কাছে পাঠানো হয়েছে।

;