শীতলক্ষ্যায় উদ্ধার নারী-পুরুষের লাশের পরিচয় মিলেছে
নারায়ণগঞ্জের শীতলক্ষ্যা নদীর পৃথক দু’টি স্থান থেকে উদ্ধার হওয়া নারী ও পুুরুষের লাশের পরিচয় মিলেছে।
তারা হলেন- শহরের পালপাড়া এলাকার বাসিন্দা মৃত গণেশ ঘোষের স্ত্রী তাপসী রানী ঘোষ (৪৫) ও ১ নম্বর বাবুরাইল এলাকার মৃত দীনু চৌধুরীর ছেলে রোহান চৌধুরী (২০)। এই ঘটনায় থানায় হত্যা ও অপমৃত্যুর পৃথক দু’টি মামলা হয়েছে।
বুধবার (২৬ জানুয়ারি) দুপুরে শীতলক্ষ্যা নদীর হাজীগঞ্জ ফেরিঘাট ও একরামপুর এলাকা থেকে এ দুটি লাশ উদ্ধার করা হয়।
বিষয়টি নিশ্চিত করে সদর মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) শাহ জামান বলেন, নিহত তাপসী রানীর ভাই ননী গোপাল ঘোষ বাদী হয়ে একটি হত্যা মামলা দায়ের করেছেন। মামলায় অজ্ঞাত আসামি করা হয়েছে। তাপসী রানীকে অজ্ঞাত আসামিরা হত্যার পর লাশ নদীতে ভাসিয়ে দিয়েছে বলে মামলায় অভিযোগ করেছেন বাদী। রোহান চৌধুরী নিহতের ঘটনায় অপমৃত্যু মামলা হয়েছে।
দু’টি লাশেরই নারায়ণগঞ্জ জেনারেল হাসপাতালে ময়নাতদন্ত সম্পন্ন করা হয়েছে।
এদিকে, ননী গোপাল ঘোষের দায়ের করা মামলা সূত্রে জানা যায়, গত ২৩ জানুয়ারি সকাল ৯টা থেকে নিখোঁজ ছিলেন তাপসী রানী ঘোষ। এই ঘটনায় সদর মডেল থানায় একটি সাধারণ ডায়েরিও (জিডি) করা হয়। বিধবা এই নারী শহরের পালপাড়া এলাকার একটি ভাড়া বাসায় একমাত্র কিশোর সন্তান পিয়াস ঘোষকে (১২) নিয়ে বসবাস করতেন। আর্থিকভাবে অস্বচ্ছল থাকার কারণে ভাইরা তাকে সহযোগিতা করতেন। ২৬ জানুয়ারি সন্ধ্যা সাড়ে ৫টার দিকে নৌ থানা পুলিশের মাধ্যমে ননী ঘোপাল ঘোষ তার বোনোর লাশ উদ্ধারের কথা জানতে পারেন।