অনিয়মের দায়ে চিকিৎসক ও ক্লিনিক মালিকদের বিরুদ্ধে মামলা



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, ফরিদপুর
ছবি: বার্তা২৪.কম

ছবি: বার্তা২৪.কম

  • Font increase
  • Font Decrease

ফরিদপুরের সরকারি ও বেসরকারি কয়েকটি হাসপাতাল ও ক্লিনিকে বিতর্কিত কিছু কর্মকাণ্ডের কারণে দেশজুড়ে বেশ আলোচনা-সমালোচনার সৃষ্টি হয়েছে। স্বাস্থ্য নগরী হিসেবে ফরিদপুরকে দক্ষিণাঞ্চলের জেলা ধরা হলেও সেই স্বাস্থ্য নগরীর স্বাস্থ্য ব্যবস্থা একেবারেই নাজুক।

স্বাস্থ্য বিভাগের নজরদারি না থাকা এবং এ দফতরের কতিপয় কর্মকর্তার দুর্নীতির কারণে হাসপাতাল ও ক্লিনিকগুলো বেহাল দশায় পরিনত হয়েছে। ব্যাঙের ছাতার মতো গজিয়ে ওঠা এসব প্রাইভেট ক্লিনিক ও ডায়াগনস্টিক সেন্টারগুলোর বিরুদ্ধে নানা অভিযোগ দীর্ঘদিনের। কিন্তু রহস্যজনক কারণে অবৈধ ভাবে গড়ে ওঠা এসব হাসপাতাল ও ক্লিনিক গুলোতে অভিযান না চালানোর কারণেই একের পর এক দুর্ঘটনা ঘটেই চলেছে।

সাম্প্রতিক সময়ে এসব হাসপাতাল ও ক্লিনিক গুলোতে বেশ কয়েকটি দুর্ঘটনা নিয়ে তোলপাড় শুরু হয়েছে। বিভিন্ন সময়ে ফরিদপুরের নামকরা বেশ কয়েকটি হাসপাতালে রোগীর ভুল চিকিৎসা নিয়ে অভিযোগ থাকলেও সেগুলোকে নানাভাবে ধামাচাপা দেওয়ার অভিযোগ রয়েছে।

বিশেষজ্ঞ চিকিৎসক না রেখে আয়া নার্স দিয়ে অপারেশনের মতো কাজ চালানোর প্রমান মিলছে। ভুল চিকিৎসার কারণে রোগীরা দূর্ঘটনার শিকার হওয়ার পর সমালোচনা শুরু হলে নড়েচড়ে বসে জেলার স্বাস্থ্য বিভাগ। এরই মধ্যে অভিযান চালিয়ে বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে দুটি প্রাইভেট হাসপাতাল ও দুটি ডায়াগনস্টিক সেন্টার।

ফরিদপুর বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল থেকে মনিরা নামের এক রোগীর অপারেশন করা হয় ২০২০ সালে। সেই সময় চিকিৎসকের ভুলে মনিরার পেটে কাঁচি রেখে সেলাই করে দেওয়া হয়েছিল।

দীর্ঘ দুই বছর পর বিষয়টি ধরা পরার পর গত ১০ ডিসেম্বর অপারেশনের মাধ্যমে মনিরার পেট থেকে বড় আকারের একটি সার্জারী কাঁচি বের করা হয়। এ নিয়ে দেশজুড়ে আলোচনা-সমালোচনার সৃষ্টি হয়। এ ঘটনার রেশ কাটতে না কাটতেই ১৫ জানুয়ারি শহরের পশ্চিম খাবাসপুর এলাকায় অবস্থিত আল মদিনা নামের হাসপাতালে আয়া দিয়ে সিজার করতে গিয়ে এক প্রসূতির নবজাতকের কপাল কেটে ফেলা হয়। সেই নবজাতকের কপালে ৯টি সেলাই করেন সেই আয়া নিজেই। এ নিয়ে হাসপাতাল কতৃপক্ষ রোগীর স্বজনদের নানা ভয়ভীতি দেখান বিষয়টি কাউকে না জানানোর জন্য। পরে রোগীর স্বজনেরা জেলা প্রশাসক ও সিভিল সার্জনকে অবহিত করলে সেখানে ছুটে যান সিভিল সার্জন, অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার, সদর উপজেলা নির্বাহী অফিসার। সেখানে গিয়ে তারা ঘটনার সত্যতা পান এবং  হাসপাতালটি বন্ধ করে দেওয়া হয়। মামলা দেওয়া হয় হাসপাতালটির পরিচালকসহ কয়েকজনের বিরুদ্ধে। এদের মধ্যে হাসপাতালের পরিচালক, আয়াসহ তিনজনকে আটক করে পুলিশ। বর্তমানে তারা জেলহাজতে রয়েছেন।

এ ঘটনার পর শহরের আরামবাগ নামের আরেকটি প্রাইভেট হাসপাতালের চিকিৎসকের বিরুদ্ধে এক নবজাতকের হাত ভেঙে ফেলার অভিযোগ ওঠে। নবজাতকের পিতা আরিফুল আলম সজল জানান, গত বছরের ১৩ ডিসেম্বর আরামবাগ হাসপাতালে তার স্ত্রীকে সিজারের জন্য নেওয়া হয়। সেই সময় চিকিৎসক শারমিন সুলতানা জুই নবজাতকের হাত ভেঙে ফেলে। বিষয়টি তারা তখন জানতে পারেননি। পরে শিশুটির হাতের অবস্থা খারাপ হলে ঢাকায় নিয়ে চিকিৎসককে দেখান এবং এক্সরে করলে হাত ভাঙার ঘটনাটি ধরা পড়ে। ঘটনাটি হাসপাতাল কতৃপক্ষকে জানালে তারা বিভিন্ন ভাবে হুমকি দিয়ে ঘটনাটি চেপে যেতে বলেন। কিন্তু আরিফুল আলম সজল এ বিষয়ে জেলা প্রশাসক ও সিভিল সার্জনের কাছে লিখিত অভিযোগ দিলে হাসপাতালটিতে অভিযান চালায় স্বাস্থ্য বিভাগ। গত ১৯ জানুয়ারি আরামবাগ হাসপাতালে অভিযান চালিয়ে ডিগ্রিধারী চিকিৎসক ও বৈধ কাগজপত্র না থাকায় হাসপাতালটি বন্ধ করে দেন সিভিল সার্জন ডা. মো. ছিদ্দীকুর রহমান।

বুধবার (২৬ জানুয়ারি) ফরিদপুরে এক গৃহবধূকে প্রাইভেট ক্লিনিকে ভাগিয়ে নিয়ে অ্যাপেন্ডিসাইটিস অপারেশনের সময় মলদ্বারের নাড়ি কেটে ফেলার ঘটনায় শহরের পুরাতন বাসস্ট্যান্ডের পাশে অবস্থিত পিয়ারলেস হাসপাতালের দুই পরিচালককে সাত দিনের কারাদণ্ড দিয়েছেন ভ্রাম্যমাণ আদালত। 

ফরিদপুর জেলা সদর ছাড়াও ভাঙ্গায় একাধিক ক্লিনিকের বিরুদ্ধে ভুল চিকিৎসায় রোগীর মৃত্যুর অভিযোগ রয়েছে। তাছাড়া বোয়ালমারী, মধুখালী, আলফাডাঙ্গা, চরভদ্রাসন উপজেলার বেশীরভাগ ক্লিনিকগুলোর বিরুদ্ধে ভুল চিকিৎসাসহ বিস্তর অভিযোগ রয়েছে।

খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, ফরিদপুর জেলা সদরে সরকারি দুটি হাসপাতাল রয়েছে। তাছাড়া ৯টি উপজেলায় রয়েছে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স। এছাড়া ডায়াবেটিক হাসপাতাল, হার্ট ফাউন্ডেশন, শিশু হাসপাতালসহ ছোট বড় মিলিয়ে প্রায় দুই শতাধিক প্রাইভেট হাসপাতাল ও ক্লিনিক রয়েছে। এসব হাসপাতাল ও ক্লিনিক গুলোর বেশীর ভাগেরই নেই কোনো বৈধতা। বাড়ী ভাড়া নিয়ে নিয়ম নীতির তোয়াক্কা না করেই চালানো হচ্ছে এসব হাসপাতাল ও ক্লিনিক। শহরের বেশ কয়েকজন নাগরিক অভিযোগ করে বলেন, জেলায় বড় দুটি সরকরি হাসপাতাল থাকলেও সেই হাসপাতালের চিকিৎসকেরা হাসপাতালে না থেকে বিভিন্ন প্রাইভেট ক্লিনিকে সময় দেন। আর ইন্টার্ন চিকিৎসকেরা চিকিৎসা সেবা দিয়ে থাকেন। ফলে তেমন কোন চিকিৎসা সেবাই পাওয়া যায়না এই হাসপাতাল দুটিতে। 

ফরিদপুর নাগরিক মঞ্চের সাধারণ সম্পাদক পান্না বালা বলেন, জেলাজুড়ে যেসব প্রাইভেট হাসপাতাল ও ক্লিনিক গুলো রয়েছে তার বেশীর ভাগেরই কোন বৈধতা নেই। সব হাসপাতাল ও ক্লিনিক গুলোতে বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকের নাম লিখে রাখা হয়। যাতে রোগী ও তাদের স্বজনেরা প্রলুব্ধ হয়। আর এসব হাসপাতালে নেই কোন চিকিৎসা সরঞ্জাম। আয়া ও নার্স দিয়েই পরিচালিত হয় বেশীর ভাগ হাসপাতাল। এগুলো বন্ধ করতে হবে। নইলে ভুল চিকিৎসায় অকালে ঝড়ে যাবে মানুষের প্রান।

নারী নেত্রী শিপ্রা গোস্বামী বলেন, হাসপাতাল গুলোতে চিকিৎসা সেবা নেই বললেই চলে। সেখানে বিভিন্ন সাইনবোর্ড গুলোতে দেখা যায় অনেক চিকিৎসকের নাম। প্রায় প্রতিটি হাসপাতাল ও ডায়াগনস্টিক সেন্টার গুলোতে একই চিকিৎসকের নাম ব্যবহার করে থাকে। একজন চিকিৎসক একই সময়ে কয়টি হাসপাতালে চিকিৎসা সেবা দেবার জন্য থাকতে পারেন তা আমাদের বোধগম্য নয়।

সিভিল সার্জন ডা. মো. ছিদ্দীকুর রহমান বলেন, ফরিদপুরে যেসব প্রাইভেট হাসপাতাল, ক্লিনিক ও ডায়াগনস্টিক সেন্টারের বৈধ কাগজপত্র এবং নিয়ম নীতির বাইরে রয়েছে তাদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহন করা হবে। এ বিষয়ে আমরা অভিযান শুরু করে দিয়েছি। এরই মধ্যে দুটি প্রাইভেট হাসপাতাল ও দুটি ক্লিনিক বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে। আমরা অবৈধ হাসপাতাল ও ক্লিনিক গুলোর বিরুদ্ধে এবার জিহাদে নেমেছি।

 

   

নীলফামারীতে ২১ মামলার আসামি গ্রেফতার



ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, নীলফামারী
নীলফামারীতে ২১ মামলার আসামি গ্রেফতার

নীলফামারীতে ২১ মামলার আসামি গ্রেফতার

  • Font increase
  • Font Decrease

নীলফামারীর জলঢাকায় ফরিদুল (৪০) নামে এক চোরকে গ্রেফতার করেছে থানা পুলিশ।

শুক্রবার (১৯ এপ্রিল) দুপুরে খুটামারার টেংগনমারী বাজার এলাকা থেকে তাকে গ্রেফতার করা হয়। তিনি উপজেলার ছিটমহল বালাগ্রাম এলাকার ইউনূস আলীর ছেলে।

পুলিশ সূত্রে জানা যায়, গ্রেফতারকৃত ফরিদুল দীর্ঘদিন ধরে মোটরসাইকেল, গরুসহ বিভিন্ন চুরি করে আসছিলেন। জেলাসহ বিভিন্ন জায়গায় তার বিরুদ্ধে ২১টি চুরির মামলা রয়েছে। গোপন সংবাদের ভিত্তিতে অভিযান চালিয়ে তাকে গ্রেফতার করা হয়।

জলঢাকা থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মুক্তারুল আলম বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেন, তাকে গ্রেফতার করে আদালতে পাঠানো হয়েছে। 

;

বঙ্গবন্ধুর আদর্শ নতুন প্রজন্মের কাছে তুলে ধরতে হবে: রাষ্ট্রপতি



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম
রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিন

রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিন

  • Font increase
  • Font Decrease

রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিন বলেছেন, বঙ্গবন্ধু শিশুদের ভালোবাসতেন, শিশুদের সাথে মিশে যেতেন। বঙ্গবন্ধুর আদর্শ নতুন প্রজন্মের কাছে তুলে ধরতে হবে। এজন্য বঙ্গবন্ধুর জীবন ও কর্মের ওপর নানাবিধ আয়োজন করতে হবে।

তিনি বলেন, শিশুর শারীরিক, মানসিক, সামাজিক ও নৈতিক বিকাশে খেলাধুলার বিকল্প নেই। খেলাধুলা শিশুদের শরীর ও মনকে সুস্থ-সুন্দরভাবে গড়ে তোলে। শিশুদের মাঝে প্রতিযোগিতার মনোভাব এবং দায়িত্ববোধ সৃষ্টিতেও খেলাধুলা সহায়ক ভূমিকা পালন করে।

আগামীকাল ২০ এপ্রিল ‘বঙ্গবন্ধু গোল্ডকাপ প্রাথমিক বিদ্যালয় ফুটবল টুর্নামেন্ট ২০২৩’ ও ‘বঙ্গমাতা শেখ ফজিলাতুন্নেছা মুজিব গোল্ডকাপ প্রাথমিক বিদ্যালয় ফুটবল টুর্নামেন্ট ২০২৩’ উপলক্ষে শুক্রবার (১৯ এপ্রিল) দেওয়া এক বাণীতে রাষ্ট্রপতি এসব কথা বলেন।

তিনি বলেন, “প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয় কর্তৃক ‘বঙ্গবন্ধু গোল্ডকাপ প্রাথমিক বিদ্যালয় ফুটবল টুর্নামেন্ট ২০২৩’ ও ‘বঙ্গমাতা শেখ ফজিলাতুন্নেছা মুজিব গোল্ডকাপ প্রাথমিক বিদ্যালয় ফুটবল টুর্নামেন্ট ২০২৩’ আয়োজনের উদ্যোগকে আমি স্বাগত জানাই। এ উপলক্ষ্যে আয়োজক, অংশগ্রহণকারী, বিদ্যালয় কর্তৃপক্ষসহ সংশ্লিষ্ট সকলকে জানাই আন্তরিক শুভেচ্ছা ও অভিনন্দন।”

রাষ্ট্রপতি বলেন, ‘বঙ্গবন্ধু ও বঙ্গমাতা শেখ ফজিলাতুন্নেছা মুজিব গোল্ডকাপ প্রাথমিক বিদ্যালয় ফুটবল টুর্নামেন্ট বাংলাদেশে ক্ষুদে ফুটবলার তৈরির পাশাপাশি শিশুদের শারীরিক ও মানসিক বিকাশেও অনন্য ভূমিকা পালন করে যাচ্ছে। আমি আশা করি, এই টুর্নামেন্টে অংশগ্রহণের মাধ্যমে কোমলমতি শিক্ষার্থীরা জাতির পিতা এবং বঙ্গমাতার জীবন ও কর্ম সম্পর্কে জানার সুযোগ পাবে এবং তাঁদের জীবনাদর্শ অনুসরণ করে সুনাগরিক হয়ে গড়ে উঠবে।’

তিনি বলেন, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান শোষণ-বঞ্চনামুক্ত সুখী-সমৃদ্ধ ‘সোনার বাংলা’ গড়ার স্বপ্ন দেখেছিলেন। বঙ্গবন্ধুর সে স্বপ্ন পূরণে দেশের তরুণ প্রজন্ম কার্যকর অবদান রাখবে- এ প্রত্যাশা করি। আমি এই টুর্নামেন্টে অংশগ্রহণকারী ক্ষুদে খেলোয়াড়দের উত্তরোত্তর সাফল্য ও উজ্জ্বল ভবিষ্যৎ কামনা করছি।

রাষ্ট্রপতি ‘বঙ্গবন্ধু গোল্ডকাপ প্রাথমিক বিদ্যালয় ফুটবল টুর্নামেন্ট ২০২৩’ ও ‘বঙ্গমাতা শেখ ফজিলাতুন্নেছা মুজিব গোল্ডকাপ প্রাথমিক বিদ্যালয় ফুটবল টুর্নামেন্ট ২০২৩’ এর সার্বিক সাফল্য কামনা করেন।

;

শিশুর শারীরিক ও মানসিক বিকাশে খেলাধুলায় অংশগ্রহণ গুরুত্বপূর্ণ: প্রধানমন্ত্রী



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা

  • Font increase
  • Font Decrease

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, বিদ্যালয়ে লেখাপড়ার পাশাপাশি খেলাধুলায় অংশগ্রহণ শিশুদের শারীরিক ও মানসিক বিকাশের ক্ষেত্রে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। সে লক্ষ্যে ‘বঙ্গবন্ধু গোল্ডকাপ প্রাথমিক বিদ্যালয় ফুটবল টুর্নামেন্ট ২০২৩’ এবং ‘বঙ্গমাতা শেখ ফজিলাতুন্নেছা মুজিব গোল্ডকাপ প্রাথমিক বিদ্যালয় ফুটবল টুর্নামেন্ট ২০২৩’ আয়োজন অত্যন্ত তাৎপর্যপূর্ণ।

আগামীকাল ২০ এপ্রিল ‘বঙ্গবন্ধু গোল্ডকাপ প্রাথমিক বিদ্যালয় ফুটবল টুর্নামেন্ট ২০২৩’ এবং ‘বঙ্গমাতা শেখ ফজিলাতুন্নেছা মুজিব গোল্ডকাপ প্রাথমিক বিদ্যালয় ফুটবল টুর্নামেন্ট ২০২৩’ উপলক্ষে শুক্রবার (১৯ এপ্রিল) দেয়া এক বাণীতে তিনি এসব কথা বলেন।

প্রধানমন্ত্রী “বঙ্গবন্ধু গোল্ডকাপ প্রাথমিক বিদ্যালয় ফুটবল টুর্নামেন্ট ২০২৩’ এবং ‘বঙ্গমাতা শেখ ফজিলাতুন্নেছা মুজিব গোল্ডকাপ প্রাথমিক বিদ্যালয় ফুটবল টুর্নামেন্ট ২০২৩’ এর অংশগ্রহণকারী সকল খেলোয়াড়কে আন্তরিক শুভেচ্ছা ও অভিনন্দন জানান।

তিনি বলেন, সর্বকালের সর্বশ্রেষ্ঠ বাঙালি, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ফুটবল খেলতে বেশি ভালবাসতেন। তিনি ছাত্রজীবনে গোপালগঞ্জ মিশন স্কুল ফুটবল টিমের ক্যাপ্টেন ছিলেন। তিনি ঢাকা ওয়ান্ডারার্স ক্লাবের হয়ে নিয়মিত খেলতেন। স্বাধীনতার পর জাতির পিতা দেশের ক্রীড়া ক্ষেত্রে উন্নয়ন এবং আধুনিকায়নে নানা পদক্ষেপ গ্রহণ করেছিলেন।

সরকার প্রধান বলেন, বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান প্রাথমিক শিক্ষাকে সর্বজনীন, অবৈতনিক ও বাধ্যতামূলক করেন। তিনি ৩৬ হাজার ১৬৫টি প্রাথমিক বিদ্যালয় জাতীয়করণ এবং ১ লাখ ৫৭ হাজার ৭২৪ জন প্রাথমিক শিক্ষকের চাকরি সরকারিকরণ করেন। তিনি স্বাধীন বাংলাদেশে আধুনিক শিক্ষাব্যবস্থা নিশ্চিত করতে প্রয়োজনীয় সকল পদক্ষেপ গ্রহণ করেন। তিনি প্রাথমিক শিক্ষার্থীদের জন্য বিনামূল্যে শিক্ষা উপকরণ, খাদ্য সামগ্রী এবং পোশাক প্রদানের উদ্যোগ গ্রহণ করেছিলেন।

শেখ হাসিনা বলেন, ‘আওয়ামী লীগ সরকার শিক্ষাকে সর্বোচ্চ গুরুত্ব দিয়ে দেশের শিক্ষাব্যবস্থার ব্যাপক উন্নয়ন করছে। আমরা ২০১৩ সালে ২৬ হাজার ১৯৩টি বেসরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়কে জাতীয়করণ এবং ১ লাখ ৫ হাজার ৬১৬ জন শিক্ষকের চাকরি সরকারিকরণ করেছি। প্রধান শিক্ষকের পদ ২য় শ্রেণিতে এবং সহকারী শিক্ষকের বেতন স্কেল উন্নীত করেছি। প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রায় ১ কোটি ৪০ লাখ শিক্ষার্থীর মাঝে মোবাইল ব্যাংকিং একাউন্টে সরাসরি উপবৃত্তির টাকা বিতরণ করছি। এ ছাড়া, স্কুল ফিডিং, প্রধানমন্ত্রীর শিক্ষা সহায়তা ট্রাস্ট ফান্ড গঠন, শিক্ষকদের দেশে-বিদেশে প্রশিক্ষণ প্রদান, শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের ভৌত অবকাঠামো উন্নয়ন, মাল্টিমিডিয়া ক্লাসরুম স্থাপন করার পাশাপাশি আরো অনেক উন্নয়নমূলক কর্মসূচি বাস্তবায়ন করে যাচ্ছি।’

তিনি বলেন, আমাদের সরকারের গৃহীত পদক্ষেপের ফলে প্রায় শতভাগ শিশু ভর্তির হার অর্জিত হয়েছে এবং প্রাথমিক শিক্ষার মানোন্নয়ন সাধিত হয়েছে। শিশুদের খেলাধুলায় আকৃষ্ট করার জন্য প্রতিটি উপজেলায় মিনি স্টেডিয়াম নির্মাণ করে দিচ্ছি। সেই সঙ্গে আন্তঃবিদ্যালয় থেকে শুরু করে জাতীয় পর্যায়ে ক্রীড়া প্রতিযোগিতার আয়োজন করছি।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, আমরা বাংলাদেশের ক্রীড়াঙ্গনকে দেশের গন্ডি পেরিয়ে আন্তর্জাতিক পর্যায়ে তুলে ধরতে সক্ষম হয়েছি। পুরুষদের পাশাপাশি আমাদের নারীরাও ক্রীড়াক্ষেত্রে উল্লেখযোগ্য সাফল্য অর্জন করেছে। এরই ধারাবাহিকতায় বাংলাদেশ ‘সাফ উইমেন্স চ্যাম্পিয়নশিপ ২০২২’-এ চ্যাম্পিয়ন হওয়ার অনন্য গৌরব অর্জন করেছে। আমি জেনে অত্যন্ত আনন্দিত হয়েছি যে, সেই ফুটবল টিমের ৫ জন খেলোয়াড় উঠে এসেছে বঙ্গমাতা শেখ ফজিলাতুন্নেছা মুজিব গোল্ডকাপ প্রাথমিক বিদ্যালয় টুর্নামেন্টের মাধ্যমে।

তিনি বলেন, ‘আমি বিশ্বাস করি, সুস্থ দেহ ও সুস্থ মনের সমন্বয়ে বেড়ে ওঠা আমাদের নতুন প্রজন্ম জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান এবং বঙ্গমাতা বেগম ফজিলাতুন্নেছার মহৎ আদর্শে বলীয়ান হয়ে দেশ ও জাতি গঠনে পরিপূর্ণভাবে আত্মনিয়োগ করবে। ২০৪১ সালের ভবিষ্যৎ প্রজন্ম প্রযুক্তিজ্ঞান সম্পন্ন, আধুনিক এবং স্মার্ট নাগরিক হিসেবে গড়ে উঠবে।’

প্রধানমন্ত্রী ‘বঙ্গবন্ধু গোল্ডকাপ প্রাথমিক বিদ্যালয় ফুটবল টুর্নামেন্ট ২০২৩’ এবং ‘বঙ্গমাতা শেখ ফজিলাতুন্নেছা মুজিব গোল্ডকাপ প্রাথমিক বিদ্যালয় ফুটবল টুর্নামেন্ট ২০২৩’ টুর্নামেন্ট দুইটির সর্বাঙ্গীণ সাফল্য কামনা করেন।

;

রাঙামাটিতে মাথা বিচ্ছিন্ন মরদেহ উদ্ধার



ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, রাঙামাটি
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

রাঙামাটি শহরের অদূরে সদর উপজেলাধীন জীবতলীর আগরবাগান এলাকায় অজ্ঞাতনামা এক ব্যক্তির ঝুলন্ত মরদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ।

শুক্রবার (১৯ এপ্রিল) বিকেলে রাঙামাটি কোতয়ালী থানার পুলিশ স্থানীয়দের কাছ থেকে খবর পেয়ে সদর উপজেলার জীবতলী ইউনিয়নের এক নম্বর আগরবাগান এলাকার জঙ্গল থেকে এ মরদেহটি উদ্ধার করে।

এসময় নিহতের মাথা একটি গাছের সাথে রশিতে ঝুলে থাকলেও মরদেহের বিচ্ছিন্ন দেহটি মাটিতে পড়ে থাকতে দেখে উদ্ধারকারী পুলিশ সদস্যরা।

বিষয়টি নিশ্চিত করে রাঙামাটির অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (সদর সার্কেল) মো. জাহেদুল ইসলাম বলেন, ঘটনাস্থলে গিয়ে আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্যরা এক অজ্ঞাত ব্যক্তির বিচ্ছিন্ন মাথা রশিতে ঝুলছে এবং মরদেহটি নিচে পড়ে আছে।

তিনি জানান, মরদেহটি ২০-২৫ দিন আগের হতে পারে।

এদিকে, রাঙামাটি জেনারেল হাসপাতালের আরএমও ডাঃ শওকত আকবর খান জানিয়েছেন, মরদেহটি সন্ধ্যার পরে হাসপাতালে আনা হয়েছে। মরদেহের শরীরে মাংস নেই বললেই চলে আর এটি বেশ কিছুদিন আগের। ময়নাতদন্তের পর বিস্তারিত জানা যাবে।

;