‘তুলে নিয়ে তোকে জানে মেরে ফেলব’- আইনজীবীকে রোহিঙ্গা সন্ত্রাসী

কক্সবাজার জেলা জজ আদালতের সিনিয়র আইনজীবী আবদুল মান্নান
‘তুই কি উকিল হয়ছোস, তোকে দেখাব, দেশ থেকে তুলে নিয়ে তোকে জানে শেষ করে ফেলব।’ কথাগুলো কক্সবাজার জেলা জজ আদালতের সিনিয়র আইনজীবী আবদুল মান্নানকে মোবাইলে দেয়া এক রোহিঙ্গা সন্ত্রাসীর হুমকি।
মঙ্গলবার এই আইনজীবীর চেম্বারে বেলা সাড়ে ১১ টার দিকে ০১৫৬৬০৫৪৫০৯ এই নম্বর থেকে তার ব্যক্তিগত মোবাইল নম্বরে একাধিকবার কল করে এই হুমকি দেয়।
বৃহস্পতিবার সকালে বার্তা২৪.কম’কে বিষয়টি নিশ্চিত করে অ্যাডভোকেট আবদুল মান্নান বলেন, মঙ্গলবার ০১৫৬৬০৫৪৫০৯ এ নম্বর থেকে বেলা সাড়ে ১১টার দিকে আমার ব্যবহৃত (০১৮১৭৪৪২২২৮০, ০১৯৭৭৪৪৩৩৮০ মোবাইল নম্বর দুটিতে একাধিকবার ফোন আসে। কল রিসিভি করলে ওপাশে থেকে ‘তুই কি উকিল হয়েছিস, দেশ থেকে তুলে নিয়ে তোকে জানে শেষ করে ফেলব’ বলে হুমকি দেয়।
আমি জানে মেরে ফেলার কারণ জানতে চাইলে ওই রোহিঙ্গা জেলা জজ আদালতে মামলাগুলোর জামিন কেন হচ্ছে না তা নিয়ে প্রশ্ন তুলে। তখন আমি তাকে রোহিঙ্গাদের মামলা শুধু আমার কাছে নেই, অনেকের কাছে আছে বললেও আমাকেই জানে মেরে ফেলার হুমকি দেয়।
তিনি আরো বলেন, চেম্বারে আমিসহ ১১ জন আইনজীবী ও ১০ জন আইনজীবী সহকারীসহ মোট ২১ জন কর্মরত আছি। অনেক মামলার মধ্যে ৩-৪ জন রোহিঙ্গার মামলাও আমাদের চেম্বারে আছে।
গত বেশ কিছুদিন যাবত কক্সবাজার জেলা ও দায়রা জজ আদালতে খুব জরুরি না হলে রোহিঙ্গা ক্যাম্পের মামলাগুলো শুনানি করা হচ্ছে না।
এই আইনজীবী বলেন, আমি যতটুকু খোঁজ খবর নিয়ে জানতে পেরেছি হুমকিদাতা এই রোহিঙ্গা উখিয়া উপজেলার বালুখালী ৮ ক্যাম্প এর একটি সন্ত্রাসী গ্রুপের নেতা। সে ওখানকার মামলা কোর্টে কার কাছে আসবে না আসবে তা নিয়ন্ত্রণ করে। কোন মামলা যদি তাদের এড়িয়ে তদবির করে তখন ওই পক্ষকে হুমকি দেয় বা অপহরণ করে মেরে ফেলে এমনটিই জানতে পেরেছি।
তিনি এই হুমকির পর তার নিরাপত্তা নিয়ে আশঙ্কা প্রকাশ করেছেন। আইনজীবী জানান উখিয়া উপজেলার বালুখালী ঐ রোহিঙ্গা ক্যাম্পের পূর্ব দিকে তাদের গ্রামের বাড়ি যা মিয়ানমার সীমান্তের একেবারেই কাছাকাছি। আবার মিয়ানমার সীমান্তের ঐ পাড়ে রোহিঙ্গা সন্ত্রাসীদের আনাগোনা বেশি।
তিনি এ ব্যাপারে আইনগত ব্যবস্থা নিতে আইন শৃঙ্খলা বাহিনীকে লিখিতভাবে অবগত করেছেন।
এ ব্যাপারে রোহিঙ্গা ক্যাম্প ৮ এর অধিনায়ক শিহাব কায়সার খান বার্তা২৪.কম’কে জানান, হুমকির বিষয়টি জানার পর বিষয়টি খুব গুরুত্ব সহকারে খতিয়ে দেখছি।