বাংলাদেশে প্রথম জেনারেটর টেস্টিং ল্যাব স্থাপন করল এনার্জিপ্যাক



নিউজ ডেস্ক, বার্তা২৪.কম
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

শীর্ষস্থানীয় পাওয়ার ইঞ্জিনিয়ারিং প্রতিষ্ঠান এনার্জিপ্যাক পাওয়ার জেনারেশন লিমিটেড (ইপিজিএল) বাংলাদেশে প্রথম ও একমাত্র টেস্টিং ল্যাব স্থাপনের গৌরব অর্জন করেছে। অত্যাধুনিক ‘ইঞ্জি. খালেদা শাহরিয়ার কবির টেস্টিং ল্যাব’ এর মাধ্যমে এনার্জিপ্যাক এর গ্রাহকদের সর্বোচ্চ গুণগতমানের পণ্য ও সেবা প্রদান করতে পারবে। এ নিয়ে ২৯ জানুয়ারি অনলাইন মাধ্যমে এক উদ্বোধনী অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়। 

অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি মন্ত্রণালয়ের মন্ত্রী স্থপতি ইয়াফেস ওসমান।

তিনি বলেন, “জাতির জনক বঙ্গবন্ধুর স্বপ্ন পূরণ এবং প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার দিক নির্দেশনা অনুযায়ী ডিজিটাল বাংলাদেশ গড়ার লক্ষ্যে বর্তমান সরকার কাজ করে যাচ্ছে এবং এক্ষেত্রে এনার্জিপ্যাক অগ্রণী ভূমিকা পালন করছে তাই আমি তাদের প্রতি আন্তরিকভাবে ধন্যবাদ জ্ঞাপন করছি।  টেকসই উন্নয়নে গবেষণার কোন বিকল্প নেই এবং এক্ষেত্রে সরকারের সর্বাত্মক সহযোগিতা অব্যাহত রয়েছে বলেও তিনি জানান”।

এছাড়াও, অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন ইনস্টিটিউশন অব ইঞ্জিনিয়ার্স, বাংলাদেশের (আইইবি) সভাপতি প্রকৌশলী নুরুল হুদা, যুক্তরাষ্ট্রের ক্যালিফোর্নিয়া পলিটেকনিক স্টেট ইউনিভার্সিটির, সিভিল অ্যান্ড এনভায়রনমেন্টাল ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের অধ্যাপক শিখা রহমান, এনার্জিপ্যাকের ব্যবস্থাপনা পরিচালক ও প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা  হুমায়ুন রশীদ এবং অন্যান্য অতিথিবৃন্দ। শিখা রহমান প্রকৌশলী খালেদা শাহরিয়ার কবিরের কন্যা। 

অত্যাধুনিক টেস্টিং ল্যাবে দু’টি স্ট্যান্ডার্ড লোড ব্যাঙ্ক রয়েছে, যেগুলো কৃত্রিম লোড তৈরি করতে এবং জেনারেটরের লোড ক্যাপাসিটির সাথে এর কার্যকারিতা পরীক্ষা করতে ব্যবহৃত হয়। এখানে, এনার্জিপ্যাক সঠিক লোড ক্যাপাসিটি, সঠিক শব্দ স্তরের প্রয়োজনীয়তা, কম্পনের সঠিক স্তর এবং সাইলেন্সার থেকে নিষ্কাশনের চাপ বা প্রবাহ এবং জেনারেটরের তাপমাত্রা নির্ধারণ করতে পারে। বাংলাদেশের প্রথম এবং অন্যতম খ্যাতিমান নারী প্রকৌশলীকে সম্মান জানাতে ল্যাবটির নামকরণ করা হয়েছে ‘ইঞ্জি. খালেদা শাহরিয়ার কবির টেস্টিং ল্যাব।’ এনার্জিপ্যাকের ব্যবস্থাপনা পরিচালক ও প্রধান নির্বাহী হুমায়ুন রশীদ ল্যাবটি স্থাপনের উদ্দেশ্য  এবং এর নামকরণের বিষয়টি স্পষ্ট করেন। তিনি বলেন, “আমাদের প্রতিষ্ঠিত টেস্টিং ল্যাবের মাধ্যমে আমরা বাংলাদেশে উন্নতমানের জেনারেটর তৈরি ও বিতরণের বিশেষ সুবিধা অর্জন করতে সক্ষম হয়েছি।  এটি অবশ্যই আমাদের গ্রাহক ও অংশীদারদের আশ্বস্ত করবে। একই সাথে, আমাদের উদ্দেশ্য ছিলো প্রকৌশলী খালেদা শাহরিয়ার কবিরের অনবদ্য গল্পগুলোকে ছড়িয়ে দেওয়া, যিনি বাংলাদেশে প্রকৌশল খাতে কর্মরত নারীদের মধ্যে অগ্রগামী ছিলেন। তিনি অনেক প্রতিকূলতা কাটিয়ে উঠেন বলে আজও তিনি অনুকরণীয়। তাই নারীর ক্ষমতায়নের উত্তরাধিকারকে শ্রদ্ধা জানাতে এনার্জিপ্যাক তার নামে ল্যাবের নামকরণ করেছে।”

   

রাজধানীতে ৬৫ বোমাসহ গ্রেফতার ৩ কারিগর



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম
ছবি: বার্তা২৪.কম

ছবি: বার্তা২৪.কম

  • Font increase
  • Font Decrease

রাজধানীর পূর্ব বাড্ডা হজী বাড়ি এলাকায় বোমা তৈরীর কারখানায় অভিযান চালিয়ে ৬৫ বোমা ও বোমা তৈরীর তিন কারিগর আটক করেছে র‍্যাব-৩। 

বুধবার (২২ মে) রাতে অভিযান শেষে সংবাদ সম্মেলনে এই তথ্য জানান র‍্যাব-৩ এর অধিনায়ক লেফটেন্যান্ট কর্নেল মো. ফিরোজ কবীর।

তিনি বলেন, আমরা এখান থেকে বিপুল পরিমাণ হাত বোমা উদ্ধার করেছি। বোমাগুলো শূন্যে বিস্ফোরণ ঘটানো যেতো৷ প্রতিটি বোমা বিস্ফোরণে ৩০ মিটার পর্যন্ত ছড়িয়ে যেত। সবকিছু বিবেচনায় আমাদের মনে হয়েছে বিপদজনক বিস্ফোরক দ্রব্য। 

গ্রেফতারকৃতদের বিরুদ্ধে জানতে চাইলে ফিরোজ কবীর বলেন, জঙ্গিরা মূলত কাট আউট পদ্ধতিতে কাজ করে। মূলত আজকে যারা গ্রেফতার হয়েছে তারা টাকার বিনিময়ে কাজটি করে আসছিল। কোথায় এগুলোর ব্যবহার হবে তা তারা আমাদের জানাতে পারে নি। আমরা ধারণা করছি, আজকেই বোমাগুলো পাঠানোর কথা ছিল। 

লেফটেন্যান্ট কর্নেল ফিরোজ বলেন, ‘আমার গোয়েন্দা তথ্যের ভিত্তিতে জানতে পারি কয়েকজন জঙ্গি বোমা তৈরি করে। গাজীপুরসহ দেশের বিভিন্ন স্থানে সরবারহ করে আসছে। এই তথ্য পাওয়ার পর গত ৮ থেকে ১০ দিন তাদের নজরদারিতে রাখা হয়। গত ২ থেকে ৩ দিন আগে আমরা একটা অভিযান হওয়ার কথা ছিল। কিন্তু জঙ্গিদের নিজেদের মতানৈক্যের কারণে সেটি সম্ভব হয় নি। আজ বিকেলে এই স্থানের তথ্য পেয়ে অভিযান চালাই। তারা বাড্ডার এই বাসায় হাত বোমা তৈরি করছিলো। অভিযানে বোমা তৈরির সময় তিনজনকে গ্রেফতার করা হয়। এই সময় বিপুল পরিমাণ বোমা তৈরির সরঞ্জাম উদ্ধার করা হয়।’

তিনি আরও বলেন, গ্রেফতার তিনজন জানিয়েছেন, তারা সজিব নামের একজনের মাধ্যমে ২ থেকে ৩ ঘণ্টার কাজের চুক্তিতে আসেন। তারা তিনজনেই জুতার কারখানায় কাজ করেন। ২৬ হাজার টাকার চুক্তিতে তারা এ কাজে আসেন। এখানে ছোট একটি ঘরে বোমাগুলো তৈরি শেষে ঘরটি তালা মেরে চলে যাবে। আর চাবি নির্দিষ্ট স্থানে মাটি খুড়ে রেখে যাওয়ার কথা ছিল। এই তথ্য সজিব ছাড়া কেউ জানবে না কোথায় চাবি। বোমাগুলো আজ রাতেই গাজীপুর যাওয়ার কথা ছিল। গাজীপুর থেকে কার কাছে যাবে সেটা মাসুম নামে একজন জানে।

তিনি আরও বলেন, ‘আমাদের বোম ডিসপোজাল ইউনিট ঘটনাস্থলে এসে বোমাগুলোর গঠন, ওজনসহ বিস্তারিত পর্যবেক্ষণ করে জানিয়েছে, বোমাগুলো অত্যন্ত বিপজ্জনক। এই বোমাগুলো শূন্যে বিস্ফোরণ ঘটাতে সম্ভব৷ প্রতিটি বোমা বিস্ফোরণে ৩০ মিটার পর্যন্ত ছড়িয়ে পড়তে সক্ষম ছিল। সবকিছু বিবেচনায় আমাদের মনে হয়েছে বিপজ্জনক বিস্ফোরক দ্রব্য। 

গ্রেফতারকৃতদের বিরুদ্ধে জানতে চাইলে ফিরোজ কবীর বলেন, ‘জঙ্গিরা মূলত কাট আউট পদ্ধতিতে কাজ করে। আজকে যারা গ্রেফতার হয়েছে তারা টাকার বিনিময়ে কাজটি করছিল। যেহেতু সামনেই উপজেলা নির্বাচন ও ঈদসহ বেশকিছু রাষ্ট্রিয় অনুষ্ঠান ছিল, তাই সেসময়ে বোমাগুলো ব্যবহারের কথা থাকতে পারে। আমরা সজিব ও মাসুম নামের দুজনের নাম পেয়েছি। তাদের পেলে মাসুমের ওপরে কারা আছে সে ব্যাপারে তথ্য পাওয়া যাবে।’

বাড়িটিতে কতদিন ধরে ছিল জানতে চাইলে ফিরোজ কবীর বলেন, ‘তারা তিন স্থানে বোমা তৈরির প্রস্তুতি নিয়েছিল। ডেমরা, সাভার ও গাজীপুরের মধ্যবর্তী একটি এলাকায় প্রস্তুতি নিয়েছিল। সজিব মূলত বাসা ঠিক করার দায়িত্ব পালন করে। তার সিগন্যালেই বাসা ঠিক করা হয়। পরবর্তীতে কারিগররা এসে কাজ শুরু করে। আজ সন্ধ্যায় এই স্থানটির নাম পেয়েছি। এর আগে ডেমরায় কাজ করার কথা ছিল। পরবর্তীতে এই বাসায় এসে কারিগররা এসে কাজ শুরু করে। এই বাসায় সজিব উপস্থিত ছিল। কিন্তু র‌্যাবের উপস্থিতি পেয়ে সটকে পড়েছে।  এ ঘটনার সাথে জড়িতদের ধরতে কাজ করছি।’

বোমা তৈরির সরঞ্জাম তৈরির ‍সংগ্রহ হতো কিভাবে জানতে চাইলে তিনি বলেন, ‘অনেক পণ্য আছে যেগুলো সরাসরি অবৈধ না। যেমন ম্যাচ, সাইকেলের বল, কাচের টুকরো অবৈধ না। এগুলো আলাদাভাবে কেনা অবৈধ না। যখন এটা কিনে এনে জন-ক্ষতিকর কাজে ব্যবহার করা হচ্ছে তখন এটা অবৈধ। আমরা বেশ কিছু দিন ধরে তাদের নজরদারি করেছি। আমরা দেখেছি বোমা তৈরির সরঞ্জাম বিভিন্ন স্থান থেকে এসেছে। কেমিক্যাল রাজশাহী থেকে এসেছে। কাচের টুকরো যাত্রাবাড়ি থেকে সংগ্রহ করা হয়েছে। অর্থাৎ আলাদা আলাদা স্থান থেকে প্রয়োজনীয় উপকরণ সংগ্রহ করা হয়েছে। এগুলোর সমন্বয় করেছে সজিব। আজ বিকেল থেকেই কাজ শুরু করেছে।’

এক প্রশ্নের জবাবে র‌্যাবের এই কর্মকর্তা বলেন, আমাদের অভিযান চলমান। বোম ডিসপোজাল ইউনিট সিদ্ধান্ত নেবে বোমাগুলো বহন করে দূরে নিয়ে বিস্ফোরণ ঘটানো সম্ভব হলে দূরে কোথায় এগুলো নিষ্ক্রিয় করা হবে। জড়িতদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ প্রক্রিয়াধীন রয়েছে।

এর আগে, বুধবার (২২ মে) রাত সাড়ে ৯টার দিকে কারখানা অভিযানের তথ্য নিশ্চিত করেছেন র‍্যাবের আইন ও গণমাধ্যম শাখার সহকারী পরিচালক (এএসপি) ইমরান খান।

উল্লেখ্য, বাড্ডা থানার টেকপাড়া এলাকার একটি বাড়িতে হাতবোমা তৈরির কারখানার সন্ধান পেয়ে বাড়িটি ঘিরে রেখেছিল র‍্যাব। ঘটনাস্থলে উপস্থিত ছিল র‌্যাবের বোম ডিসপোজাল ইউনিট।

;

খুলনা অনলাইন জার্নালিস্ট অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি মুন্না, সম্পাদক মিলন



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

খুলনা অনলাইন জার্নালিস্ট অ্যাসোসিয়েশনের ১৮ সদস্য বিশিষ্ট কার্যনির্বাহী কমিটি এবং তিন সদস্যের উপদেষ্টা কমিটি গঠন করা হয়েছে। কমিটিতে বাংলানিউজটোয়েন্টিফোরের খুলনা ব্যুরো এডিটর মাহবুবুর রহমান মুন্নাকে সভাপতি এবং ঢাকা পোস্টের নিজস্ব প্রতিবেদক, খুলনা মোহাম্মদ মিলনকে সাধারণ সম্পাদক মনোনীত করা হয়েছে।  

বুধবার (২২ মে) দুপুরে খুলনা প্রেস ক্লাবের সাংবাদিক হারুন সভাকক্ষে অ্যাসোসিয়েশনের এক সভায় পূর্বের কমিটি বিলুপ্ত করে তিন বছর মেয়াদি নতুন এই কমিটি ঘোষণা করা হয়।

অ্যাসোসিয়েশনের তিন সদস্যের উপদেষ্টারা হলেন, অ্যাসোসিয়েশনের সাবেক সভাপতি শেখ আবু হাসান, খুলনা প্রেস ক্লাবের সাধারণ সম্পাদক মামুন রেজা ও এনটিভিবিডিডটকমের খুলনা ব্যুরো প্রধান মুহাম্মদ আবু তৈয়ব।  

কার্যনির্বাহী কমিটির সিনিয়র সহ-সভাপতি আলমগীর হান্নান (জাগো নিউজ টোয়েন্টি ফোরডটকম), সহ-সভাপতি মাহমুদ সোহেল (খুলনা নিউজ ডট কম), যুগ্ম সম্পাদক হাসানুর রহমান তানজির (আমাদের সময় ডট কম), কোষাধ্যক্ষ একরামুল হোসেন লিপু (খুলনা গেজেট), ক্রীড়া ও সাংস্কৃতিক সম্পাদক মো. তরিকুল ইসলাম (খুলনা গেজেট), প্রচার ও প্রকাশনা সম্পাদক বেলাল হোসেন সজল (সময় নিউজ), তথ্য ও প্রযুক্তি বিষয়ক সম্পাদক তানজীম আহমেদ (সময় নিউজ)।  

এছাড়া নির্বাহী সদস্যরা হলেন, হুমায়ুন কবীর (এসবি নিউজ), সোহেল মাহমুদ (পূর্বাঞ্চল ডট কম), বিমল সাহা (উষার আলো), এসএম মাহবুবুর রহমান (নতুন সকাল ডট কম), আশাফুর রহমান কাজল (বার্তা২৪), ফেরদৌস আলম (ঢাকা টাইমস), নিপা মোনালিসা (খুলনা গেজেট), ইমরান খান (সময়ের খবর ডট কম) ও ইয়াসিন আরাফাত মীম (উষার আলো)।

;

কক্সবাজার সৈকতে ভেসে এলো অজ্ঞাত নারীর মরদেহ



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, কক্সবাজার
ছবি: বার্তা২৪.কম

ছবি: বার্তা২৪.কম

  • Font increase
  • Font Decrease

কক্সবাজার সমুদ্র সৈকতের কলাতলী মেরিন ড্রাইভ সড়কের মেম্বার ঘাটা নামক এলাকায় সমুদ্রের পানিতে ভেসে এসেছে অজ্ঞাত এক নারীর মরদেহ। মরদেহটি পুলিশ উদ্ধার করে কক্সবাজার সদর হাসপাতালের মর্গে পাঠিয়েছে।

বুধবার (২২ মে) রাত ৮টার দিকে জরুরি সেবা ৯৯৯ -এ কল পেয়ে মরদেহটি উদ্ধার করে কক্সবাজার সদর মডেল থানা পুলিশ।

স্থানীয় বাসিন্দা নুরুল আলম বলেন, মানুষজন জড়ো হতে দেখে সেখানে গিয়ে দেখলাম সমুদ্রের পানিতে উঠানামা করছে একজনের মরদেহ। পরে ৯৯৯ -এ কল দিলে পুলিশ এসে মরদেহটি উদ্ধার করে নিয়ে গেছে।

কক্সবাজার সদর মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) রকিবুজ্জামান বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেন, ৯৯৯ -এ কল পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে মরদেহটি উদ্ধার করেছে। নারীর মরদেহটি কার পরিচয় তৎক্ষনাৎ পাওয়া যায়নি। মরদেহটি উদ্ধারের পর পরিচয় না মেলায় নানা প্রশ্ন তৈরি হয়েছে। 

;

যশোরে জেলি পুশ করা ২৬০ কেজি চিংড়ি জব্দ



ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, যশোর
ছবি: বার্তা২৪.কম

ছবি: বার্তা২৪.কম

  • Font increase
  • Font Decrease

যশোর থেকে ২৬০ কেজি জেলি পুশ করা বাগদা চিংড়ি মাছ জব্দ করেছে র‌্যাব-৬। 

বুধবার (২২ মে) বিকেলে রাজারহাট বাজারে গোপন তথ্যের ভিত্তিতে অভিযান চালিয়ে প্রায় ২ লাখ টাকার চিংড়ি মাছ জব্দ করা হয়।

বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন র‌্যাব-৬ যশোরের কোম্পানি এ এস পি হাবিবুর রহমান। মাছ ধ্বংস করার সময় উপস্থিত ছিলেন- যশোর সদর উপজেলার সিনিয়র মৎস্য কর্মকর্তা রিপন কুমার ঘোষ।

একই সাথে এ ঘটনার সাথে জড়িত থাকার অপরাধে ওই মাছের মালিক খুলনা পাইকগাছা উপজেলার শামুকপোতা গ্রামের মা ফিশের প্রশান্ত মন্ডলকে ১৮ হাজার টাকা জরিমানা আদায় করা হয়েছে।

যশোরের কোম্পানি এ এস পি হাবিবুর রহমান বলেন, গোপন সংবাদের প্রেক্ষিতে তারা জানতে পারেন একটি ট্রাকে জেলি পুশ করা চিংড়ি মাছ পাইকগাছা থেকে মণিরামপুর হয়ে যশোরের দিকে আসছে। তখন আমরা ১৬ জন সদস্য বিশিষ্ট তাৎক্ষণিক রাজার হাট এলাকায় অবস্থান করি। ট্রাকের মধ্যে ১৮ ট্রেতে জেলি পুশ করা চিংড়ি মাছের বিষয়টি প্রমাণিত হয়। এক পর্যায় গাড়িতে থাকা কামাল হোসেন স্বীকারও করেন। পরে তাদেরকে জরিমানা করে জেলি পুশ করা সব মাছ ধ্বংস করা হয়।

যশোর সদর উপজেলার সিনিয়র মৎস্য কর্মকর্তা রিপন কুমার ঘোষ বলেন, চিংড়ি মাছের মধ্যে ওজন বৃদ্ধি করার জন্য কিছু অসৎ ব্যবসায়ী জেলি পুশ করে। কিন্তু তারা বোঝে না জেলি মানব দেহের জন্য কি পরিমাণ ক্ষতি। এ জেলিতে ক্যান্সারের মত মারাত্মক রোগ হওয়ার সম্ভবনা খুব বেশি। তবে এ ধরনের অন্যায় মাছ চাষিরা করে না। এগুলো করে একটি অসৎ ব্যবসায়ী চক্র। আমরা গোপন তথ্যের মধ্য দিয়ে বিষয়টি জানতে পারি। ‘মা ফিশ’র প্রশান্ত মন্ডলকে ১৮ হাজার টাকা জরিমানাও করা হয়েছে।

;