‘বিনা অপরাধে ৮০ দিন ধরে আমার বাবা জেলে’



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, ঢাকা
ছবি: বার্তা২৪.কম

ছবি: বার্তা২৪.কম

  • Font increase
  • Font Decrease

বিনা অপরাধে আমার বাবা আজ ৮০ দিন ধরে জেল হাজতে রয়েছেন। একই মামলা দুদক এবং সিআইডি বাবার বিরুদ্ধে করেছে। অথচ এর কোনও তথ্য বা প্রমাণ নেই। এটি একটি উদ্দেশ্যপ্রণোদিত মামলা বলে জানান বিএনএস গ্রুপ অব কোম্পানির পরিচালক নুসরাত লায়লা বুলু।

মঙ্গলবার (১ ফেব্রুয়ারি) জাতীয় প্রেস ক্লাবের তফাজ্জল হোসেন মানিক মিয়া হলে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে এসব কথা বলেন এম.এন.এইচ বুলুর মেয়ে।

নুসরাত লায়লা বুলু বলেন, আমার বাবা মানি লন্ডারিংয়ে যুক্ত নয়। বিনা কারণে জেল খাটছে আমার বাবা।

নুসরাত বলেন, আমার বাবার ভাই আমির হোসেন আমির ফুডের ব্যবসার জন্য তার (আমির) ব্যাংক অ্যাকাউন্টে নমিনি আমার বাবাকে বানিয়েছিলেন। তারা কোনো পার্টনারশিপ ব্যবসা শুরু করেননি। তার অ্যাকাউন্টে নমিনি দরকার ছিল সেখানে তাকে নমিনি বানিয়েছে। সেখানে নমিনি হিসেবে আমার বাবার কোনো স্বাক্ষরও নেই। তার ছবি আছে আর ফর্ম যতটুকু ফিলআপ করার সেটা আছে। আমির ফ্রুডসের ব্যবসায় আমার বাবা জড়িত নয়।

সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জাবাবে নুসরাত বলেন, এই ঘটনার পিছনে রাজনৈতিক সম্পৃক্ততা নেই। একই তথ্য দিয়ে বারবার মামলা করা হয়েছে।

কোনো আইনগত ব্যবস্থা নিবেন কি না জানতে চাইলে বুলুর মেয়ে জানান, ব্যাংক স্টেটমেন্টে বলা হয়েছে আমার বাবা সেখানে কোনোভাবেই জড়িত নয়। আমরা আইনগত ব্যবস্থা নিব। আমার বাবা আগে বের হোক। সে বের হলে এই বিষয়ে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

বিএনএস গ্রুপের মহাব্যবস্থাপক মোকসুদুজামান বলেন, ব্যাংক থেকে নমিনির যে একটি ফর্ম থাকে সেখানে নমিনির স্বাক্ষর নেই। একই অফিসে যেহেতু বসে অফিস থেকে একটা ছবি সংগ্রহ করে নিয়েছে। সেই ছবি দিয়েই নমিনির ফর্মে ছবি দিয়ে একাউন্ট করা হয়েছে। নমিনি করে মানুষ তার ছেলে-মেয়ে বা স্ত্রীকে যেন কোনো কারণে মৃত্যু হলে তার টাকাটা পায়। এটা চক্রান্তমূলকভাবে তার ভাই করেছে।

দুদকের সঙ্গে এটা নিয়ে কথা হয়েছে কিনা জানতে চাইলে নুসরাত বলেন, এ ব্যাপারে দুদক আমাদের সঙ্গে কোনও কথা বলতে চাচ্ছে না।

এসময় লিখিত বক্তব্যে এম.এন.এইচ. বুলুর স্ত্রী হোসনে আরা নাজ বলেন, এম.এন.এইচ. বুলু গত ১৬ নভেম্বর ২০২১ থেকে জেল-হাজতে আটক রয়েছেন। আমির ফুড নামের একটি প্রতিষ্ঠানের রফতানির বিপরীতে সরকারি প্রণোদনার অর্থ আত্মসাতের অভিযোগে ২০১৫ সালের ৮ মার্চ বনানী থানায় একটি মামলায় এম.এন.এইচ. বুলুকে ১নং আসামি আমির হোসেনের ব্যাংক হিসাবের নমিনি দেখিয়ে ৩নং আসামি হিসেবে উল্লেখ করা হয়। কিন্তু ওই ব্যাংক হিসাবের নমিনি ফর্মে এম.এন.এইচ. বুলু’র কোনও স্বাক্ষর নেই। এই প্রতিষ্ঠানের মালিক মো. আমির হোসেন। যিনি এম.এন.এইচ. বুলু’র প্রতিষ্ঠানে কর্মরত থাকা অবস্থায় বুলুর অজান্তে এমন কাজ করেন।

তিনি বলেন, বিষয়টি ইউনাইটেড কমার্শিয়াল ব্যাংকের দালিলিক কাগজপত্রাদি যাচাই-বাছাই করে বুলু’র নাম এজাহর থেকে বাতিল করার জন্য অবহিত পূর্বক গত ২০১৭ সালের ২২ জানুয়ারি আমির ফুডের সাথে বুলুর কোন সম্পৃক্তা এবং ব্যাংকের তাঁর বিরুদ্ধে কোন প্রকার অভিযোগ বা দাবি দাওয়া নাই মর্মে একটি সার্টিফিকেট ইস্যু করা হয়। পরবর্তীতে বিজ্ঞ চিফ মেট্রোপলিটন মেজিস্ট্রেট আদালত নং-১ এর বিচারক ওই মামলার চার্জশিট শুনানিতে বিগত ২০১৮ সালের ৫ ডিসেম্বর বুলুর সাথে মামলার কোন সম্পৃক্তা না পেয়ে অব্যাহতি প্রদান করেন।

তারপরেও একই বিষয়ে ভিন্ন ভিন্ন ২টি সংস্থা যথাক্রমে-সিআইডি ও দুদক ২০২০ সালের ১৩ আগস্ট ও ২০২১ সালের ১৫ ডিসেম্বর একই বিষয়ের উপর ভিত্তি করে দু'টো মামলা করেন। যার ফলে এখন পর্যন্ত এম.এন.এইচ. বুলু জেল হাজতে রয়েছেন।

উক্ত বিষয়ে ২০২০ সালের ২০ আগস্ট এম.এন.এইচ. বুলুর নামে ইউনাইটেড কমার্শিয়াল ব্যাংক পুনরায় আরেকটি সার্টিফিকেট ইস্যু করে।

গত ১৩ জানুয়ারি ২০২২ দুদক কর্তৃক দায়েরকৃত মামলায় বিজ্ঞ মহানগর সিনিয়র স্পেশাল জজ আদালত শোন এ্যারেস্টের আবেদন খারিজের আদেশ দেন। কিন্তু গত ১৬ জানুয়ারি দুদকের পুনঃ শুনানির আবেদনের প্রেক্ষিতে আদালত আগামী ২ ফেব্রুয়ারি শোন এ্যারেস্টের বিষয়ে আদেশের জন্য পুনঃশুনানির দিন ধার্য করেন।

বর্তমানে এম.এন.এইচ. বুলু শারীরিকভাবে অসুস্থ। জেল হাজতে গেল বছরের ৬ ডিসেম্বর বুলুকে শারীরিকভাবে অসুস্থতার কারণে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল হাসপাতালে আনা হয়েছিল। পরবর্তীতে আবারও অবস্থার অবনতি হলে গত ২২ জানুয়ারি কারা কর্তৃপক্ষ তাকে পুনরায় হাসপাতালে প্রেরণ করে চিকিৎসা শেষে জেল হাজতে পাঠান।

তিনি বলেন, একই বিষয়ে ভিন্ন ভিন্ন সংস্থাগুলো বারবার মামলা করাতে বিএনএস গ্রুপের প্রধান কার্যালয় ও এর অঙ্গপ্রতিষ্ঠানগুলো বন্ধের উপক্রম। এছাড়া ওই প্রতিষ্ঠানগুলোর শত শত শ্রমিকগণ প্রায় ৩ মাস যাবৎ বেতন ভাতাদি না পেয়ে পরিবার নিয়ে চরম মানবেতর জীবন যাপন করছেন।

   

জোরপূর্বক একীভূতকরণ ব্যাংকিং খাতে অব্যাহত দায়মুক্তির নতুন মুখোশ: টিআইবি



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম
ছবি: বার্তা২৪.কম

ছবি: বার্তা২৪.কম

  • Font increase
  • Font Decrease

তড়িঘড়ি ও জোরপূর্বক একীভূতকরণকে ব্যাংকিং খাতে অব্যাহত দায়মুক্তির নতুন মুখোশ বলে মন্তব্য করেছে দুর্নীতিবিরোধী সংগঠন ট্রান্সপারেন্সি ইন্টারন্যাশনাল বাংলাদেশ (টিআইবি)।

সংস্থাটি মনে করে, প্রস্তাবিত একীভূতরকরণের মাধ্যমে খেলাপি ঋণে জর্জরিত দুর্বল ব্যাংকের মন্দ ঋণ ব্যবস্থাপনা এবং জবাবদিহি সংক্রান্ত বিষয়গুলোতে যে ধরনের অস্পষ্টতা তৈরি করা হয়েছে, তা সংকটের মূল সমস্যাকে পাশ কাটিয়ে ঋণখেলাপি ও জালিয়াতির জন্য দায়ী মহলকে ‘দায়মুক্তি’ প্রদানের নামান্তর।

মঙ্গলবার (২৩ এপ্রিল) গণমাধ্যমে পাঠানো এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ মতামত প্রকাশ করেছে টিআইবি।

টিআইবি জানায়, ব্যাংকিং খাতের দুর্বল ব্যাংকগুলো রক্ষার নামে কেন্দ্রীয় ব্যাংক একীভূতকরণের পথে হাঁটতে শুরু করেছে, যা আর্থিক খাতে সংকট মোকাবিলায় বৈশ্বিক চর্চার সঙ্গে সামঞ্জস্যপূর্ণ বিবেচিত হওয়ার কথা। কিন্তু সংবেদনশীল ও জটিল এই কাজটি করতে আর্ন্তজাতিকভাবে অনুসৃত মানদণ্ড ও রীতিনীতি, এমনকি কেন্দ্রীয় ব্যাংকের নিজের ঘোষিত নীতিমালা না মেনে তড়িঘড়ি করা হচ্ছে। স্বেচ্ছাচারীভাবে চাপিয়ে দেওয়া কয়েকটি ব্যাংক একীভূতকরণের ঘোষণা এবং এ প্রক্রিয়ায় থাকা ভালো ব্যাংকগুলোর অস্বস্তি, একীভূত হতে কোনো কোনো দুর্বল ব্যাংকের অনীহা, সব মিলিয়ে ব্যাংকিং খাতে শঙ্কা, অস্থিরতা ও অনিশ্চয়তা গভীরতর করেছে। যা একীভূতকরণের পুরো প্রক্রিয়াটিকে শুরুর আগেই প্রশ্নের মুখে ফেলে দিয়েছে।

বাংলাদেশ ব্যাংকের ঘোষিত একীভূতকরণ নীতিমালা অনুযায়ী, যে কোনো দুর্বল ব্যাংক চলতি বছরের মধ্যে স্বেচ্ছায় একীভূত হওয়ার আগ্রহ প্রকাশপূর্বক নিজস্ব সম্পদ ও দায়-দেনা কেন্দ্রীয় ব্যাংকের তালিকাভুক্ত নিরীক্ষা প্রতিষ্ঠান দিয়ে মূল্যায়ন করে প্রকাশ করার কথা। যা বিবেচনায় নিয়ে সবল কোনো ব্যাংক দুর্বল ব্যাংকটিকে স্বেচ্ছায় একীভূত করার উদ্যোগ নেওয়ার সুযোগ রাখা রয়েছে।

প্রাথমিক এই প্রক্রিয়াটি ব্যর্থ হলেই কেবল কেন্দ্রীয় ব্যাংক কর্তৃক জোরপূর্বক একীভূতকরণের উদ্যোগ নেওয়ার কথা- মনে করিয়ে দিয়ে টিআইবির নির্বাহী পরিচালক ড. ইফতেখারুজ্জামান বলেন, গণমাধ্যমের খবর অনুযায়ী, একটি দুর্বল ব্যাংক ছাড়া কোনো ব্যাংকই নিজ উদ্যোগে একীভূত হওয়ার ব্যাপারে আগ্রহ দেখায়নি, আবার এ প্রক্রিয়ায় নাম আসা সবল ব্যাংকগুলো স্বীয় উদ্যোগে স্বেচ্ছায় ও সজ্ঞানে এতে যুক্ত হতে সম্মত হয়েছে তাও নয়। অর্থাৎ পুরো প্রক্রিয়াটি প্রথম থেকেই স্বেচ্ছাচারিতার মাধ্যমে চাপিয়ে দেওয়ার চেষ্টা করা হচ্ছে, যা ঘোষিত নীতিমালার সুস্পষ্ট লঙ্ঘন। তাছাড়া, দুর্বল ব্যাংকের সম্পদ ও দায়-দেনার পূর্ণাঙ্গ মূল্যায়ন ছাড়া আপাত সবল ব্যাংকের ঘাড়ে একীভূতকরণের নামে ঋণখেলাপি ও জালিয়াতির বোঝা চাপিয়ে দেওয়া কতটুকু যৌক্তিক ও ন্যায়সংগত? অবস্থাদৃষ্টে মনে হয়, যা ঘটছে তা ক্যান্সার চিকিৎসায় প্যারাসিটামল প্রয়োগের নামান্তর। একীভূতকরণের নামে একদিকে ব্যাংকিং খাতে খেলাপি ঋণ ও জালিয়াতির জন্য যারা দায়ী তাদের যেমন সুরক্ষা দিয়ে খেলাপি ঋণের সংস্কৃতিকে গভীরতর করা হচ্ছে, অন্যদিকে সবল ব্যাংকগুলোর সাফল্যের পরিণামে খারাপ ব্যাংক হজম করিয়ে দেওয়ার জোর প্রচেষ্টা চলছে। যা অস্বস্তি ও শঙ্কার নতুন বাতাবরণ ছড়িয়ে দিয়েছে পুরো খাতে।

দুর্বল ব্যাংককে বাঁচানোর এই প্রক্রিয়া হিতে বিপরীত হবে কি-না আশঙ্কা প্রকাশ করে টিআইবির নির্বাহী পরিচালক বলেন, একীভূতকরণের আলোচনায় সরকারি-সরকারি, বেসরকারি-সরকারি এবং বেসরকারি-বেসরকারি তিন ধরনের ব্যাংকই রয়েছে। এ ক্ষেত্রে কোন বিবেচনায় এই ব্যাংকগুলোকে অগ্রাধিকার ভিত্তিতে একীভূত করার জন্য নির্বাচিত করা হয়েছে, কিংবা কোন সবল ব্যাংকের সঙ্গে কোন দুর্বল ব্যাংক একীভূত হবে, তা কিভাবে ঠিক করা হয়েছে- তাও স্পষ্ট নয়। আবার, একীভূত হওয়ার আলোচনার বাইরে থাকা বেশ কয়েকটি ব্যাংককে তারল্য সহায়তা দিয়ে টিকিয়ে রাখা হয়ছে। অন্যদিকে, দুর্বল দুটি ব্যাংকের দায়িত্ব নিতে যাওয়া সবল বলে পরিচিত সরকারি দুটি ব্যাংকের নিজেদের খেলাপি ঋণের পরিমাণও বেশ বড়। এমন বাস্তবতায় ব্যাংকিং খাতের মূল সমস্যা মোকাবিলায় কার্যকর জবাবদিহি-ভিত্তিক সুশাসন নিশ্চিত করা ছাড়া, শুধু একীভূত করলেই সংকট মোকাবিলা করা যাবে বা গ্রাহক স্বার্থ রক্ষা পাবে কিংবা খেলাপি ঋণ কমে আসবে- এমন ভাবনা সত্যিই অলীক।

একীভূতকরণ নীতিমালায় দুর্বল ব্যাংকের পরিচালকদের পাঁচ বছর পর পুনরায় একীভূত হওয়া ব্যাংকের পর্ষদে ফেরত আসা ও ব্যবস্থাপনায় জড়িত শীর্ষ কর্মকর্তাদের পুনঃনিয়োগের সুযোগ রাখার বিধানের সমালোচনা করে টিআইবির নির্বাহী পরিচালক বলেন, এ বিধান দুর্বল ব্যাংকের সংকটের জন্য দায়ী ব্যক্তিদের জবাবদিহির বদলে পুরস্কৃত করা এবং এক ধরনের দায়মুক্তি দেবার বিধান। পাশাপাশি, দুর্বল ব্যাংকের নিরীক্ষাকালে নতুন কোনো অনিয়ম বা দুর্নীতির চিত্র উঠে এলে সে বিষয় গোপন রাখার যে বিধান নীতিমালায় রাখা হয়েছে, তা শুধু আর্থিক অনিয়মের চিত্রকেই ধামাচাপা দেবে না, একই সঙ্গে দায়ী ব্যক্তিদের জবাবদিহির মুখোমুখি করার প্রক্রিয়াও বাধাগ্রস্ত হবে। যা এক কথায় অন্যায়কে সুরক্ষা দেওয়ার শামিল। একীভূতকরণের নামে যা ঘটছে, তা হতাশাজনক এবং ঋণ খেলাপিদের হাতে ব্যাংকিং খাতের অব্যাহত জিম্মিদশার পরিচায়ক।

নীতিমালা অনুযায়ী, একীভূত দুর্বল ব্যাংকের খেলাপি ঋণ রাষ্ট্রীয় মালিকানার একটি সম্পদ ব্যবস্থাপনা কোম্পানি কিনে নেওয়ার কথা বলা হয়েছে। এর ফলে জনগণের অর্থে ঋণ খেলাপিদের আরও এক দফা দায়মুক্তি দেওয়ার বন্দোবস্ত করা হয়েছে। সবমিলিয়ে ব্যাংক খাতের বিশাল ঝুঁকিপূর্ণ অবস্থা ও জন অস্বস্তি বিবেচনায় টিআইবি মনে করে, প্রত্যাশিত ফল পেতে সংশ্লিষ্ট খাতে সুখ্যাতিসম্পন্ন নিরপেক্ষ বিশেষজ্ঞগণের মতামতের ভিত্তিতে এবং আন্তর্জাতিক মানদণ্ড ও অভিজ্ঞতার আলোকে ব্যাংক একীভূতকরণ নীতিমালায় প্রয়োজনীয় সংস্কার ও সে অনুযায়ী ব্যবস্থাগ্রহণ জরুরি। পাশাপাশি, ইতোমধ্যে একীভূতকরণের নামে গৃহীত সিদ্ধান্তসমূহের বাস্তবায়ন স্থগিত করার আহ্বান জানাচ্ছে টিআইবি।

;

রাঙামাটিতে ইয়াবা পাচারকালে আটক ৩



ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, রাঙামাটি
ছবি: বার্তা ২৪

ছবি: বার্তা ২৪

  • Font increase
  • Font Decrease

পান ব্যবসায়ের আড়ালে মাদকের ব্যবসার সাথে জড়িয়ে মাদক পাচারকালে ইয়াবাসহ আটক হয়েছে সাবেক ইউপি সদস্যসহ তিন মাদক ব্যবসায়ী।

মঙ্গলবার (২৩ এপ্রিল) ভোর রাত ৪টার সময় চট্রগ্রামের হাটহাজারী থেকে পান বোঝাই একটি মিনি ট্রাক রাঙ্গামাটির লংগদু উপজেলার আর্মি ক্যাম্পের চেকপোস্টে আসলে চেক করার জন্য গাড়ি দাড় করায় সেনাবাহিনী। এর মধ্যই সন্দেহজনক হলে লংগদু থানা পুলিশকে খবর দিলে পুলিশ এসে তল্লাশি করে ইয়াবাসহ তাদের আটক করে।

লংগদু থানার এসআই রফিকুল ইসলাম ও এসআই আল আমিন সঙ্গীয় ফোর্স ঘটনাস্থলে এসে গাড়িতে থাকা পানের খাঁচাগুলো তল্লাশি করে খাঁচা থেকে একটি প্যাকেট পায়। যার মধ্যে ৫১ পিস ইয়াবা (মাদক) ছিলো। যা পুলিশ ঘটনাস্থল থেকে উদ্ধার করতে সক্ষম হয়। এসময় গাড়ির ড্রাইভার মারুফ ও হেলপার ইউনুছ এবং পান ব্যবসায়ী সাবেক কালাপাকুজ্জা ইউনিয়নের ইউপি সদস্য শাহ আলম ও রফিকুল ইসলমাকে আটক করে পান বহনকারী গাড়ি সহ থানায় নিয়ে যায়। পরবর্তীতে মাদক নিয়ন্ত্রন আইন-২০১৮ এর ৩৬(১) সারনির ১০(ক)/৩৮/৪১ ধারায় অপরাধে, আসামিদের দুপুর ২টায় লঞ্চে রাঙ্গামাটি আদালতে প্রেরণ করে। 

লংগদু থানার অফিসার ইনচার্জ মোহাম্মদ হারুনুর রশিদ বলেন, আমদের কাছে খবর আসলে ঘটনাস্থলে পুলিশ যায় এবং মাদকসহ তাদের আটক করে থানায় নিয়ে আসে। পরবর্তীতে মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ আইনে মামলা রুজু করে তাদের আদালতে প্রেরণ করা হয়।

;

বাংলাবান্ধা স্থলবন্দরে ৩ দিন আমদানি-রফতানি বন্ধ



ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, পঞ্চগড়
ছবি: বার্তা২৪.কম

ছবি: বার্তা২৪.কম

  • Font increase
  • Font Decrease

ভারতের লোকসভা নির্বাচনের দ্বিতীয় দফায় ভোট উপলক্ষে আবারও পঞ্চগড়ের বাংলাবান্ধা স্থলবন্দর দিয়ে ইমিগ্রেশনসহ আমদানি-রফতানি বন্ধ থাকবে।

ভারতের দার্জিলিং জেলা ম্যাজিস্ট্রেট ও জেলা কালেক্টর এবং নির্বাচন অফিসার ডা. প্রীতি গোয়েল স্বাক্ষরিত এক বিজ্ঞপ্তিতে বলেন, বুধবার (২৪ এপ্রিল) থেকে টানা তিনদিন পঞ্চগড়ের বাংলাবান্ধা স্থলবন্দর দিয়ে ইমিগ্রেশনসহ সব ধরণের বাণিজ্যিক কার্যক্রম বন্ধ থাকবে।

মঙ্গলবার (২৩ এপ্রিল) বিকেলে পঞ্চগড় পুলিশ সুপার এসএম সিরাজুল হুদা ও বাংলাবান্ধা ল্যান্ডপোর্ট লিমিটেডের ম্যানেজার আবুল কালাম আজাদ বিষয়টি নিশ্চিত করেন। তারা জানান, ভারতের লোকসভা নির্বাচনে আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি স্বাভাবিক রাখতে তারা এই সিদ্ধান্ত নিয়েছে।

জানা গেছে, ভারতের ১৮তম লোকসভা নির্বাচনের দ্বিতীয় দফায় ভোটের কারণে দার্জিলিংয়ের জেলা ম্যাজিস্ট্রেট ডা. প্রীতি গোয়াল স্বাক্ষরিত এক চিঠিতে আগামী বুধবার (২৩ এপ্রিল) থেকে শুক্রবার (২৬ এপ্রিল) পর্যন্ত তিন দিন আমদানি-রফতানি বন্ধ থাকবে। তবে এসময়ে ভারত ও বাংলাদেশে অবস্থানরত যাত্রীরা নিজ নিজ দেশে ফিরতে পারবেন এবং জরুরি মেডিকেল ভিসা যাত্রীরা প্রবেশ করতে পারবেন জানিয়েছেন তারা।

;

বগুড়ায় বটির উপর পড়ে শিশুর মৃত্যু



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, বগুড়া
ছবি: বার্তা২৪.কম

ছবি: বার্তা২৪.কম

  • Font increase
  • Font Decrease

বগুড়ার কাহালুতে তরকারি কাটার বটির উপর পড়ে রাহি মনি (৭) নামের এক শিশুর মৃত্যু হয়েছে।

মঙ্গলবার (২৩ এপ্রিল) সকাল সাড়ে ৯টার দিকে উপজেলার সাঘাটিয়া গ্রামে এই ঘটনা ঘটে। নিহত রাহি মনি ওই গ্রামের আব্দুর রহিমের মেয়ে।

জানাগেছে, শিশুটি মা আমেনা বেগম বাড়ির উঠানে বসে বটিতে তরকারি কাটছিলেন। শিশুটি উঠানে খেলাধুলা করার সময় দৌড়ে বটির উপর পড়ে যায়। এতে বটির সামনের অংশ শিশুটির বুকে ঢুকে যায়। তাকে উদ্ধার করে বগুড়া শহীদ জিয়াউর রহমান মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের জরুরি বিভাগে নিয়ে যাওয়া হলে চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন।

কাহালু থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) সেলিম রেজা বলেন, নিহত শিশুর পরিবারের কারো কোন অভিযোগ নাই। এটি একটি দুর্ঘটনা। আইনগত প্রক্রিয়া শেষে লাশ হস্তান্তর করা হবে।

;