হাইওয়ে পুলিশের অতিরিক্ত আইজিপি মো. শাহাবুদ্দিন খান বলেছেন, গত যেকোনো ঈদের চাইতে এবারের ঈদযাত্রা আরও বেশি নিরাপদ এবং অনেক বেশি স্বস্তির হবে।
মঙ্গলবার (১৯ মার্চ) সকালে রাজারবাগ পুলিশ অডিটোরিয়ামে পবিত্র রমজান ও আসন্ন ঈদ উপলক্ষে এক মতবিনিময় সভায় সভাপতির বক্তব্যে তিনি এ কথা বলেন।
আইজিপি মো. শাহাবুদ্দিন খান বলেন, নাড়ির টানে যারা বাড়ি যাবেন তারা যেনো আবার নিরাপদে ফিরে আসতে পারেন তার জন্য হাইওয়ে পুলিশ সবসময় কাজ করে যাচ্ছে।
ঈদযাত্রায় সাধারণ মানুষের প্রতি অনুরোধ জানিয়ে তিনি বলেন, কেউ পণ্যবাহী ট্রাকের ছাদে উঠে ঈদযাত্রা করবেন না। আমাদের প্রতিটি প্রাণই কিন্তু মূল্যবান। যারা নিজস্ব গাড়িতে চলাচল করছেন শুধু তারা না, যারা আমাদের শ্রমিক পর্যায়ের যাত্রী আছে তারাও যেনো নিরাপদে বাড়ি যেতে পারেন সেই ব্যবস্থা করবেন।
অনুষ্ঠানে সেভ দ্য রোডের পক্ষ থেকে ঈদে সড়কে যানজট নিরসনে এবং দুর্ঘটনা কমাতে পাঁচটি প্রস্তাব তুলে ধরা হয়।
প্রস্তাবগুলো হলো- প্রতি পাঁচ কিলোমিটার অন্তর হাইওয়ে পুলিশ বুথ বা মনিটরিং টিম স্থাপন করতে হবে।
>> শুধু ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কে নয়, সকল রোডে কার্যকরী সিসিটিভি ক্যামেরা স্থাপন এবং মনিটর করা।
>> মোটরসাইকেল চলাচলের জন্য পৃথক লেনের ব্যবস্থা করা।
>> ফুটওভার ব্রিজ নির্মাণ ও সেগুলো দখলমুক্ত করা এবং জেব্রা ক্রসিংগুলো কার্যকর করা। পর্যাপ্ত ট্রাফিক পুলিশ নিযুক্ত করা।
>> নির্দিষ্ট স্থানে বাস স্টপেজ স্থাপন ও সর্বনিম্ন ভাড়া নির্ধারণ এবং পর্যবেক্ষণের ব্যবস্থা করা।
বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন শ্রমিক ফেডারেশনের সাধারণ সম্পাদক ওসমান আলী বলেন, সিটি করপোরেশন আমাদের থেকে ট্যাক্স নেয় অথচ রাস্তাঘাট ঠিক করে না। তাই যানজট নিরসনে সিটি করপোরেশনের আরও ভূমিকা নেওয়া উচিত।
তিনি বলেন, ফুটপাত ইজারা দেওয়া হয়েছে। এগুলো পুলিশের সামনে হচ্ছে। কিন্তু কেউ কি এগুলো দেখে না। এগুলো যদি বন্ধ না হয় তাহলে যানজট বা দুর্ঘটনা বন্ধ করা যাবে না। হাইওয়েতে মিশুক থ্রি হুইলার চলাচলের পিছনে স্থানীয় সংসদ সদস্যদের ভূমিকা নিয়েও প্রশ্ন তোলেন তিনি। দুর্ঘটনা ও যানজট নিরসনে ৭৩টি পরামর্শ দিয়েছেন তিনি।
তিনি আরও বলেন, যেকোনো দুর্ঘটনা ঘটলেই দেখা যায় বড় গাড়ির (বাস/ট্রাক) নামে মামলা হচ্ছে। তাই পুলিশের প্রতি অনুরোধ দুর্ঘটনার তদন্ত করে তারপর যেন মামলা দেওয়া হয়।