কেমন হলো নির্বাচন কমিশন?



মানসুরা চামেলী, স্পেশাল করেসপডেন্ট, বার্তা২৪.কম
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

রাষ্ট্রপতির সঙ্গে রাজনৈতিক দলের সংলাপ; নির্বাচন কমিশন গঠন আইন এবং সার্চ কমিটি গঠন- সবকিছু নিয়ে শুরু থেকে ছিল নানা জল্পনা-কল্পনা ও বিতর্ক। অবশেষে সমাপ্ত হলো কয়েক মাস ধরে চলা সেই জল্পনা-কল্পনার। সার্চ কমিটির প্রস্তাবিত ১০ জন থেকে রাষ্ট্রপতি আমলা, বিচারপতি ও সাবেক সেনা সদস্য নিয়ে গঠন করেছেন নতুন পাঁচ সদস্যের নির্বাচন কমিশন (ইসি)। এখন সবার মনে একটাই প্রশ্ন- কেমন হলো নির্বাচন কমিশন?

যদিও দায়িত্ব পেয়েই প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) হাবিবুল আউয়াল জানিয়েছেন, তাদের প্রথম চ্যালেঞ্জ হলো- গ্রহণযোগ্য নির্বাচন করা, বিএনপিসহ বড় দলগুলোকে নির্বাচনে আনতে আস্থায় আনা।

বিশেষজ্ঞরা বলছেন, নির্বাচন কমিশন নতুন হলেও তাদের চ্যালেঞ্জগুলো পুরনো। বিএনপির নির্বাচন বিমুখতা, কমিশনের প্রতি আস্থাহীনতা তো রয়েছে। এছাড়া জনগণের মধ্যেও নির্বাচন কমিশন নিয়ে আস্থাহীনতা পরিলক্ষিত হয়েছে। নতুন কমিশনের সামনে বড় বড় চ্যালেঞ্জ রয়েছে- এখন দেখা যাক তাদের দীর্ঘদিনের কর্ম অভিজ্ঞতা দিয়ে কিভাবে বিশাল কর্মযজ্ঞের এই দায়িত্ব সামাল দেয়।

সার্চ কমিটির সুপারিশের ভিত্তিতে রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদ শনিবার (২৬ ফেব্রুয়ারি) পাঁচজনকে নিয়োগ দিয়ে নতুন নির্বাচন কমিশন (ইসি) গঠন করেছেন। বিকালে  নির্বাচন কমিশন গঠন সংক্রান্ত প্রজ্ঞাপন জারি হয়।

সাবেক সচিব কাজী হাবিবুল আউয়াল ত্রয়োদশ প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) হিসেবে নিয়োগ পেয়েছেন। নির্বাচন কমিশনার হিসেবে নিয়োগ পেয়েছেন- অবসরপ্রাপ্ত জ্যেষ্ঠ সচিব মো. আলমগীর ও আনিছুর রহমান, অবসরপ্রাপ্ত জেলা ও দায়রা জজ রাশেদা সুলতানা এমিলি এবং অবসরপ্রাপ্ত ব্রিগেডিয়ার জেনারেল আহসান হাবীব খান। এই কমিশনের পরিচালনায় দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন হবে।

নতুন নির্বাচন কমিশন সম্পর্কে সাবেক সচিব আবু আলম শহীদ খান বলেন, নতুন গঠিত ইসি নিয়ে এই মুহূর্তে বলা কঠিন। তাদের কাজ কর্ম দেখেই মন্তব্য করা উচিত হবে। তার আগে কিছু বলা যাবে না। এমনকি নির্বাচন কমিশন গঠন গ্রহণযোগ্য হয়নি, এটা বলা উচিত হবে না।

সাবেক এই আমলা যোগ করেন- বিশেষ করে এই কমিশনের তিনজনকে আমি চিনি। সিইসি হাবিবুল আউয়াল আইন সচিব ছিলেন, পরে প্রতিরক্ষা সচিব হন। তিনি পেশাদারিত্বের সঙ্গে দায়িত্ব পালন করেছেন। যতদূর জানি সৎ ও যোগ্য মানুষ। নির্বাচন কমিশনার আনিছুর রহমানও  যোগ্য এবং পেশাদার মনোভাবের মানুষ। আলমগীর সাহেব নির্বাচন কমিশনের সচিব ছিলেন। এখন কথা হচ্ছে -‘বৃক্ষ তোমার নাম কী ফলে পরিচয়’।

প্রধান নির্বাচন কমিশনারসহ যে চারজনের কমিশনারের নাম এসেছে- এসব নাম গেজেট হওয়ার আগে প্রকাশ হলে ভালো হত বলে মন্তব্য করেছেন জ্যেষ্ঠ আইনজীবী ও সংবিধান বিশেষজ্ঞ ড. শাহদীন মালিক।

এই আইনজীবী বলেন, নতুন কমিশন নিয়ে শুরুতে মূল্যায়ন করা কঠিন কাজ। যারা নিয়োগ পেয়েছেন সবাই আমার সমসাময়িক হবেন। সত্যি কথা বলতে কি- তাদের সম্পর্কে ভালো শুনেছি বলে মনে হয় না। এখন তাদের নামে গেজেট হয়ে গেছে; এখন সমালোচনা করা উচিত না। নামগুলো গেজেট হওয়ার আগে আসলে মূল্যায়ন করতে পারতাম। এখন তো মূল্যায়ন অর্থহীন। কারণ তারা তো কালকে শপথ নেবেন। আমাদের মূল্য উদ্দেশ্য হচ্ছে- আস্থাভাজন নির্বাচন কমিশন গঠন করা। তারা যদি সংসদ নির্বাচনের আগে আসন্ন কিছু নির্বাচন করে নিজের পরিচয় দিতে পারে; এর অন্য কথা। জেনে শুনে মন্তব্য করতে পারলে আরো উত্তম হয়।

শাহদীন মালিক আরো যোগ করেন- নির্বাচন একটা বড় কর্মযজ্ঞ। সিনিয়র আমলা ছাড়া কোনভাবে সম্ভব হয় না নির্বাচন কমিশন গঠন করা। তবে পুলিশের কোন সদস্য থাকলে ভালো হত।

নতুন নির্বাচন কমিশন ‘দেশবাসীর প্রত্যাশা’ পূরণ করতে পারবে বলে মনে করছেন ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগ। বর্তমান সরকারের মতো এত স্বচ্ছতার ভিত্তিতে দেশে কখনও নির্বাচন কমিশন গঠন হয়নি বলে জানিয়েছেন আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক এস এম কামাল হোসেন।

তিনি বলেন, রাষ্ট্রপতি নির্বাচন কমিশনে তিন জন সাবেক সচিব রেখেছেন। আমরা যতদূর জেনেছি তারা সৎ ও যোগ্য ব্যক্তি। বর্তমান সরকারের আমলে অর্থাৎ নির্বাচন কমিশন গঠনে এর চাইতে স্বচ্ছতা আর কতটুকু হতে পারে আমার জানা নেই। অতীতে অনেক সরকার কারো সঙ্গে আলোচনা না করে নির্বাচন কমিশন গঠন করেছিল। এবার তো ৩২৯ জনের নাম প্রকাশ করা হয়েছে। এই ১০ জনের নাম সার্চ কমিটির কৌশলতগত কারণে প্রকাশ করেনি।  

নতুন কমিশনকে আওয়ামী লীগ সর্বাত্মক সহযোগিতা করবে বলে জানান সম্পাদক এস এম কামাল হোসেন।

ইসি নিয়োগের পর গণস্বাস্থ্য কেন্দ্রের প্রতিষ্ঠাতা ও ট্রাস্টি ডা. জাফরুল্লাহ চৌধুরী বলেন, কাজী হাবিবুল আউয়ালের নাম আমি প্রস্তাব করেছিলাম। নাম প্রস্তাব করার আগে তার সঙ্গে আমার কোনো আলাপ হয়নি। আমি ব্যক্তিগতভাবে তাকে চিনি। তিনি একজন সৎ লোক। তিনি খারাপ করবেন না। আমি আশা করব- উনি (সিইসি) নির্বাচনে কারো কথা শুনবেন না। উনাকে এখন সবার সমর্থন দেওয়া দরকার। আমি মনে করি, বহুদিন পরে আমরা একজন সহাসী লোক পেয়েছি।

নতুন সিইসি হাবিবুল আউয়াল

দেশের ১৩তম প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) হিসেবে নিয়োগ পেয়েছেন সরকারের সাবেক সিনিয়র সচিব কাজী হাবিবুল আউয়াল। ৬৬ বছর বয়সী হাবিবুল আউয়াল পাঁচ বছর আগে সরকারি চাকরি থেকে অবসর নেন। এরপর ব্র্যাক ইউনিভার্সিটিতে আইন বিভাগে শিক্ষকতা করছিলেন তিনি। ২০১৫ সালের জানুয়ারিতে অবসরে যাওয়ার কথা ছিল তার। কিন্তু পিআরএল বাতিল করে প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়ের জ্যেষ্ঠ সচিব হিসেবে তাকে এক বছরের চুক্তিতে নিয়োগ দেয় সরকার। ওই চুক্তির মেয়াদ এক বছর বাড়ানো হলে জ্যেষ্ঠ সচিব হিসেবে ২০১৭ সালে অবসরে যান তিনি।

বিসিএস ১৯৮১ ব্যাচের এই কর্মকর্তা সরকারি চাকরি শুরু করেন সহকারী জজ হিসেবে। তিন মেয়ের জনক হাবিবুল আউয়ালের স্ত্রীর নাম সাহানা আক্তার খানম। তার আত্মজীবনীমূলক একাধিক গ্রন্থও প্রকাশিত হয়েছে। কাজী হাবিবুল আউয়াল জন্মগ্রহণ করেন ১৯৫৬ সালের ২১  জানুয়ারি। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে ১৯৭৬ সালে এলএলবি ও ১৯৭৮ সালে অর্জন করেন এলএলএম ডিগ্রি।

দীর্ঘ ৩৪ বছরের সরকারি চাকরি জীবনে কাজী হাবিবুল আউয়াল দেশে-বিদেশে বিভিন্ন প্রশিক্ষণ নেন। ভ্রমণ করেন যুক্তরাজ্য, যুক্তরাষ্ট্র, সুইজারল্যান্ড, চেক রিপাবলিক, পাকিস্তান, জার্মানি, অস্ট্রেলিয়া, মালয়েশিয়া, সিঙ্গাপুর, নিউজিল্যান্ড, নেপাল, কানাডা, জাপান, ফ্রান্স, নরওয়ে, সুইডেন, ঘানা, সাউথ কোরিয়া, ফিলিপিন ও হংকং।

   

বিডিএস দেশের ভূমি ব্যবস্থাপনায় বৈপ্লবিক পরিবর্তন আনবে: ভূমিমন্ত্রী



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম
বিডিএস দেশের ভূমি ব্যবস্থাপনায় বৈপ্লবিক পরিবর্তন আনবে: ভূমিমন্ত্রী

বিডিএস দেশের ভূমি ব্যবস্থাপনায় বৈপ্লবিক পরিবর্তন আনবে: ভূমিমন্ত্রী

  • Font increase
  • Font Decrease

সারা দেশে আরও ১ হাজার ৩৩৩টি শহর ও ইউনিয়ন ভূমি অফিস নির্মাণ করা হবে বলে জানিয়েছেন ভূমিমন্ত্রী নারায়ণ চন্দ্র চন্দ। 

তিনি বলেন, বিডিএস (বাংলাদেশ ডিজিটাল সার্ভে) বাংলাদেশের ভূমি ব্যবস্থাপনায় বৈপ্লবিক পরিবর্তন আনবে। 

বৃহস্পতিবার (২৮ মার্চ) ভূমি মন্ত্রণালয়ের সভাকক্ষে এক বিশেষ ‘প্রকল্প পর্যালোচনা সভা’য় অংশগ্রহণ শেষে সাংবাদিকদের এ কথা বলেন তিনি।

নারায়ণ চন্দ্র চন্দ বলেন, বিডিএস বাস্তবায়িত হলে ম্যাপসহ মালিকানাভিত্তিক খতিয়ান চালু করা সম্ভব হবে এবং খতিয়ানে দাগ শেয়ার করতে হবে না। ম্যাপ সংযুক্ত মালিকানাভিত্তিক খতিয়ান প্রণয়ন করা সম্ভব হলে ভূমি নিয়ে মামলা-মোকাদ্দমা ও সীমানা বিরোধ অনেকাংশে কমে যাবে।

এ সময় বিডিএসকে একটি জাতীয় গুরুত্বপূর্ণ প্রকল্প হিসেবে উল্লেখ করে তিনি সংশ্লিষ্ট প্রকল্প পরিচালককে অগ্রাধিকার দিয়ে যথাযথ গুরুত্ব সহকারে প্রকল্পটি বাস্তবায়নের নির্দেশ দেন।

সভায় অবহিত করা হয় যে চট্টগ্রাম, নারায়ণগঞ্জ, রাজশাহী সিটি করপোরেশন, মানিকগঞ্জ পৌরসভা এবং ধামরাই ও কুষ্টিয়া সদর উপজেলায় ইডিএলএমএস প্রকল্পের (ইস্টাবলিশমেন্ট অব ডিজিটাল ল্যান্ড ম্যানেজমেন্ট সিস্টেম প্রকল্প) মাধ্যমে বাংলাদেশ ডিজিটাল সার্ভে কার্যক্রম চলমান রয়েছে।

খুব শিগগিরই আরেকটি প্রকল্পের রিভিউ শেষ হলে পটুয়াখালী, বরগুনা, পাবনা, সিরাজগঞ্জ ও গোপালগঞ্জ জেলার ৩২টি উপজেলায়ও বাংলাদেশ ডিজিটাল সার্ভে শুরু হবে। পর্যায়ক্রমে দুটি প্রকল্পের মাধ্যমে সারা বাংলাদেশে 'বাংলাদেশ ডিজিটাল সার্ভে' পরিচালনা করা হবে বলেও সভায় জানানো হয়।

ভূমিসচিব খলিলুর রহমানের সভাপতিত্বে পর্যালোচনা সভায় ভূমি মন্ত্রণায়ের অতিরিক্ত সচিব (উন্নয়ন) জিয়াউদ্দীন আহমেদ উপস্থিত ছিলেন।

;

সাভারে ছুরিকাঘাতে যুবক খুন



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা ২৪.কম, সাভার (ঢাকা)
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

 

সাভারে শহিদুল ইসলাম নামে এক যুবককে ছুরিকাঘাতে খুন করেছে দূর্বৃত্তরা। নিহতের নিথর দেহ উদ্ধার করে এনাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।

বৃহস্পতিবার (২৮ মার্চ) রাত ৮ টার দিকে এ তথ্য নিশ্চিত করে সাভার মডেল থানার পুলিশ পরিদর্শক (অপারেশন্স) নয়ন কারকুন। এর আগে দুপুরের দিকে সাভার পৌরসভার সোবহানবাগ আমতলা এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।

নিহত মো. শহিদুল ইসলাম (২৪) চাপাইনবাবগঞ্জ জেলার ভোলাহাট থানার চরধরমপুর গ্রামের সাইদুলের ছেলে। তিনি সাভারের সোবহানবাগ আমতলা এলাকায় ভাড়া থাকতেন। পেশায় ছিলেন দন্ত চিকিৎসকের সহকারী।

হত্যাকান্ডের কারণ বা এর সাথে কারা জড়িত তা এখনও বলতে পারেনি পুলিশ। তবে ধারণা করা হচ্ছে পূর্ব শত্রুতার জেরে এ হত্যাকান্ড ঘটানো হয়েছে।

পুলিশ পরিদর্শক (অপারেশন্স) নয়ন কারকুন বলেন, নিহতের লাশ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য পাঠানো হবে। প্রাথমিক ভাবে মনে হচ্ছে পূর্ব শত্রুতার জেরে এ হত্যাকান্ড হয়েছে। কিশোর গ্যাংয়ের কোন সম্পৃক্ততা আছে কিনা জানতে চাইলে তিনি বলেন, এখনই কিছু বলা যাচ্ছেনা। তদন্ত করে পরে বিস্তারিত জানানো হবে।

;

মৎস্য খাতের উন্নয়নে ১৭২ কোটি টাকা অনুদান দিচ্ছে জাপান



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম
মৎস্য খাতের উন্নয়নে ১৭২ কোটি টাকা অনুদান দিচ্ছে জাপান

মৎস্য খাতের উন্নয়নে ১৭২ কোটি টাকা অনুদান দিচ্ছে জাপান

  • Font increase
  • Font Decrease

দেশের কক্সবাজার জেলার মৎস্য খাতের উন্নয়নে ২ হাজার ২৯৪ মিলিয়ন ইয়েন (১৭২ কোটি টাকা) অনুদানের কথা জানিয়েছে জাপান।

বৃহস্পতিবার (২৮ মার্চ) অর্থনৈতিক সম্পর্ক বিভাগের সচিব শাহরিয়ার কাদের ছিদ্দিকী ও বাংলাদেশে নিযুক্ত জাপানের রাষ্ট্রদূত ইয়োমা কিমিনোরির এ সংক্রান্ত চুক্তি স্বাক্ষর হয়েছে।

বাংলাদেশস্থ জাপানের দূতাবাসের এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, কক্সবাজার জেলার মৎস্য খাতের উন্নয়নের জন্য এ অনুদান দিয়েছে জাপান। মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয়ের আওতাধীন মৎস্য উন্নয়ন করপোরেশনের (বিএফডিসি) প্রকল্পের আওতায় এ অর্থ ব্যয় হবে।

অনুদান প্রসঙ্গে অর্থনৈতিক সম্পর্ক বিভাগ (ইআরডি) জানিয়েছে, জাপান সরকারের অনুদানে মৎস্য আহরণ, উপকূলে অবতরণ এবং হস্তান্তরে দক্ষতা বাড়ানো হবে। এছাড়া কক্সবাজারে বিএফডিসির মৎস্য আহরণ কেন্দ্রের অবকাঠামো উন্নয়ন এবং মাছ ধরার যন্ত্রপাতি উন্নত করার মাধ্যমে মৎস্য আহরণ ও উপকূলে অবতরণের মান উন্নয়ন, জেলেদের দক্ষতা বৃদ্ধি এবং বিতরণ ব্যবস্থায় উন্নতিতে ব্যয় হবে।

এ ব্যাপারে বাংলাদেশে নিযুক্ত জাপানের রাষ্ট্রদূত কিমিনোরি বলেন, এ অনুদানের অর্থ বাংলাদেশের ব্লু ইকোনমিকে সমৃদ্ধির পাশাপাশি কক্সবাজার অঞ্চলের মানুষের জীবনমানের উন্নয়ন ঘটাবে। পাশাপাশি এ অনুদানের অর্থ দেশে রোহিঙ্গা নিয়ে যে অর্থনৈতিক সংকট চলছে সেটিরও প্রশমন ঘটাবে।

;

রেল কারও ব্যক্তিগত সম্পত্তি নয়, এটি একটি প্রতিষ্ঠান: রেলমন্ত্রী



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম
রেল কারও ব্যক্তিগত সম্পত্তি নয়, এটি একটি প্রতিষ্ঠান: রেলমন্ত্রী

রেল কারও ব্যক্তিগত সম্পত্তি নয়, এটি একটি প্রতিষ্ঠান: রেলমন্ত্রী

  • Font increase
  • Font Decrease

রেল কারও ব্যক্তিগত সম্পত্তি নয়, এটি একটি প্রতিষ্ঠান। এই প্রতিষ্ঠানকে গড়ে তুলতে হলে সবাইকে মন দিয়ে রেলের জন্য কাজ করতে হবে বলে মন্তব্য করেছেন রেলমন্ত্রী জিল্লুল হাকিম।

তিনি বলেন, রেলের কিছুটা পরিবর্তন সাধারণ মানুষ দেখতে পাচ্ছেন এই পরিবর্তনকে ত্বরান্বিত করতে হবে।

বৃহস্পতিবার (২৮ মার্চ) রাজধানীর রেলভবনে মহান স্বাধীনতা ও জাতীয় দিবস ২০২৪ উপলক্ষে ‘জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান- এর ঐতিহাসিক নেতৃত্ব এবং দেশের উন্নয়ন’ বিষয়ে আলোচনা সভায় এসব কথা বলেন মন্ত্রী।

মন্ত্রী বলেন, স্বাধীনতার চেতনা ও বঙ্গবন্ধুর আদর্শকে ধারণ করে রেলকে একটি আদর্শ প্রতিষ্ঠান হিসেবে গড়ে তুলতে হবে।

মহান মুক্তিযুদ্ধে অংশগ্রহণের স্মৃতিচারণ করে মন্ত্রী বলেন, মুক্তিযুদ্ধে কঠিন পথ পাড়ি দিয়ে অনেক ত্যাগের বিনিময়ে অনেক কষ্টে অর্জিত হয়েছে আমাদের এই স্বাধীনতা। বঙ্গবন্ধুর নেতৃত্বে যুদ্ধ করে আমরা একটি স্বাধীন দেশ পেয়েছি। এই স্বাধীনতা অর্জন করতে গিয়ে অনেক ঘাত-প্রতিঘাত প্রতিকূল অবস্থা পেরিয়ে আসতে হয়েছে। বঙ্গবন্ধুর ৭ মার্চের ঐতিহাসিক ভাষণের মাধ্যমে উদ্বুদ্ধ হয়ে এ দেশের কৃষক, শ্রমিক ও জনতা মুক্তিযুদ্ধে ঝাঁপিয়ে পড়েছিল।

তিনি বলেন, বঙ্গবন্ধু বাংলাদেশের মানুষকে অনেক স্নেহ করতেন, ভালোবাসতেন। এদেশের মানুষকে ভালোবেসেই তিনি নিজের জীবন দেশের জন্য উৎসর্গ করেছেন। আমাদের এই দেশকে ভালোবাসতে হবে, দেশকে ভালোবেসে দেশের উন্নয়নের জন্য কাজ করতে হবে।

মন্ত্রী বলেন, প্রত্যেকের মনে, চেতনায়, মননে ও মানসিকতায় বঙ্গবন্ধুর নাম আমাদের বুকে লেখা হয়ে গেছে। তাই আমরা যদি সবাই মিলে উন্নত সমৃদ্ধ বঙ্গবন্ধুর স্বপ্নের সোনার বাংলা গড়ে তুলতে পারি, তাহলেই আমাদের মহান স্বাধীনতা ও বঙ্গবন্ধুর আত্মদান অর্থবহ হবে।

এর আগে অফিস কক্ষে মন্ত্রীর সঙ্গে ভারতের রাষ্ট্রদূত প্রণয় কুমার ভার্মা সাক্ষাৎ করেন। ভারতের সহায়তায় বাস্তবায়নধীন বাংলাদেশ রেলওয়ের বিভিন্ন প্রকল্পের কাজের অগ্রগতি নিয়ে অলোচনা করেন তারা।

;