জীবিত থেকেও মৃত আনোয়ারা বেগম!



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, ফরিদপুর
ছবিঃ বার্তা২৪.কম

ছবিঃ বার্তা২৪.কম

  • Font increase
  • Font Decrease

স্বামী মারা যাওয়ার পর হতেই ফরিদপুরের আলফাডাঙ্গার আনোয়ারা বেগম(৭৮) বয়স্ক ভাতা উত্তোলন করে আসছিলেন।

কিন্তু অদ্ভুত ব্যাপার! তিনি জীবিত কিন্তু সমাজসেবা তালিকায় তিনি হঠাৎ মৃত! আর এ কারনে ওই নারীর বয়স্ক ভাতা বন্ধ হয়ে গেছে।

তিনি উপজেলার টগরবন্ধ ইউনিয়নের ৮ নম্বর ওয়ার্ডের বাসিন্দা মোসা. আনোয়ারা বেগম। তার ভাতা বই নম্বর ৬১০।

৩ মাস পর বৃহস্পতিবার( ২৪ ফেব্রুয়ারী) ভাতা উত্তোলন করতে এসে জানতে পারেন তিনি ‘মৃত্যুবরণ’ করেছেন। তাই ভাতা বাতিল করেছে উপজেলা সমাজসেবা অধিদপ্তর। সরকারের সামাজিক নিরাপত্তা কর্মসূচীর আওতায় বয়স্ক ভাতা তুলতে এসে নিজেকে মৃত জানতে পেরে হতবাক হয়ে পড়েন ওই বিধবা।

উপজেলা সমাজসেবা অফিস সূত্রে জানা গেছে, সরকারী নির্দেশনা অনুযায়ী উপজেলার ৬টি ইউনিয়নের ১ হাজার ৭৮৬ জন প্রতিবন্ধী, এক হাজার ৭২৬ জন বিধবা ও চার হাজার ৬ জন বয়স্ক ভাতা সুবিধাভোগীকে তিন মাস পর পর ভাতা প্রদান করা হয়। প্রতি জন প্রতিবন্ধী ব্যক্তিকে ৭৫০ টাকা মাসিক হারে ৩ মাসে ৪০ লাখ ১৮ হাজার ৫০০ টাকা, ৫০০ টাকা হারে বয়স্কদের তিন মাসে ৬০ লাখ ৯ হাজার ও বিধবাদের মাসে ৫০০ টাকা হারে ৩ মাসে ২৫ লাখ ৮৯ করে টাকা বিতরণ করা হয়েছে।

মোছা. আনোয়ারা বেগম এই বিষয়ে জানান, দীর্ঘদিন হয়েছে তার স্বামী মারা গেছেন। বয়স্ক ভাতার কার্ডধারী হিসেবে তিন মাস পর পর ভাতা উত্তোলন করে আসছি। সে অনুযায়ী আমি গত তিন মাসের ভাতা নিতে এসে জানতে পারি আমি তালিকায় মৃত। তাই ভাতা বন্ধ। এতে বেশ হয়রানির শিকার হচ্ছি।

এ ব্যাপারে আলফাডাঙ্গা উপজেলা সমাজসেবা কর্মকর্তা শেখ বজলুর রশিদের বক্তব্য জানতে তার মুঠোফোনে চেষ্টা করে তাকে পাওয়া যায়নি।

এ ব্যাপারে ফরিদপুরের আলফাডাঙ্গা উপজেলা চেয়ারম্যান এ কে এম জাহিদুল হাসান জাহিদ জানান, বিষয়টি আমার জানা নেই। তবে অভিযোগ পেলে তদন্ত সাপেক্ষে ব্যবস্থা গ্রহন করা হবে।

প্রবাসী কল্যাণ মন্ত্রীর সঙ্গে মালয়েশিয়ার স্বরাষ্ট্র এবং মানব সম্পদ মন্ত্রীর বৈঠক



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

প্রবাসী কল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থানমন্ত্রী ইমরান আহমদ মালয়েশিয়ার স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী সাইফুদ্দিন নাসুতিন বিন ইসমাইলের সঙ্গে বৈঠক করেছেন।

শুক্রবার (২ জুন) সকালে পুত্রজায়ায় মালযেশিয়ার স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সভাকক্ষে এ বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়।

এই বৈঠকে, মালয়েশিয়ায় বাংলাদেশের শ্রমবাজার উন্নয়ন এবং সম্প্রসারণ, সেখানে কর্মরত বাংলাদেশি কর্মীদের সার্বিক সুরক্ষা, রিক্যালিব্রেশন এবং শ্রমবাজার সংশ্লিষ্ট বিভিন্ন বিষয় নিয়ে আলোচনা হয়েছে।

বৈঠকে মালয়েশিয়ায় বাংলাদেশ হাইকমিশনের ডেপুটি হাইকমিশনার খোরশেদ আলম খাস্তগীর, মিনিস্টার (লেবার) নাজমুস সাদাত সেলিম, মালয়েশিয়ার ইমিগ্রেশন বিভাগের মহাপরিচালক দাতুক রাজলিন জুসোহসহ সেদেশের স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের উর্ধতন কর্মকর্তাবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।

বাংলাদেশ ও মালয়েশিয়ার মধ্যে বিদ্যমান সৌহার্দ্য ও বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্কের কথা উল্লেখ করে প্রবাসী কল্যাণমন্ত্রী বলেন, প্রবাসী বাংলাদেশি কর্মীরা মালয়েশিয়াসহ বিশ্বের বিভিন্ন দেশের উন্নয়ন কর্মকাণ্ডে দক্ষতার সাথে সফলভাবে অবদান রাখছে। তিনি বলেন, বাংলাদেশি কর্মীদের দক্ষতার মানোন্নয়নে সরকার বিভিন্ন উদ্যোগ গ্রহণ করেছে।

এছাড়াও, শুক্রবার বিকেল ৩টায় প্রবাসী কল্যাণ মন্ত্রীর সাথে মালয়েশিয়ার মানবসম্পদ মন্ত্রী ভি শিবকুমারের এক বৈঠক মন্ত্রণালয়ের সভাকক্ষে অনুষ্ঠিত হয়। এ বৈঠকে বাংলাদেশি কর্মীদের মালয়েশিয়ার শ্রমবাজারে আরও সুষ্ঠু ও নিরাপদে এবং স্বল্পতম সময়ে প্রবেশের পাশাপাশি হাউজমেইড ও সিকিউরিটি গার্ডসহ অধিক সংখ্যক কর্মী প্রেরণের বিষয়ে আলোচনা করা হয়।

;

৬৬ দিন পর করোনায় দুইজনের মৃত্যু



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, ঢাকা
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

দেশে করোনাভাইরাসে সংক্রমিত হয়ে ৬৬ দিন পর দুই জনের মৃত্যু হয়েছে। এ সময় করোনা শনাক্ত হয়েছে ৮৯ জনের।

এর আগে সর্বশেষ একজনের মৃত্যু হয়েছিল গত ২৮ মার্চে।

শুক্রবার (২ জুন) বিকেলে স্বাস্থ্য অধিদফতরের বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।

বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, গত ২৪ ঘণ্টায় ১ হাজার ৫১৫ জনের নমুনা শনাক্ত হয়। পরীক্ষার বিপরীতে শনাক্তের হার ৫ দশমিক ৮৭। এ সময় সুস্থ হয়েছেন ১২ জন। এ সময় ৮৯ জনের শরীরে করোনার সংক্রমণ শনাক্ত হয়েছে।

দেশে এ পর্যন্ত ২০ লাখ ৩৯ হাজার ৫০৬ জনের শরীরে করোনার সংক্রমণ শনাক্ত হয়েছে। তাদের মধ্যে সুস্থ হয়েছেন ২০ লাখ ৬ হাজার ৩১৩ জন। আর মারা গেছেন ২৯ হাজার ৪৪৮ জন।

২০২০ সালের ৮ মার্চ বাংলাদেশে প্রথম করোনাভাইরাসে আক্রান্ত রোগী শনাক্তের কথা জানায় স্বাস্থ্য অধিদফতর। আর করোনায় প্রথম মৃত্যুর ঘটনা ঘটে ওই মাসের ১৮ তারিখ।

দেশে কয়েক সপ্তাহ ধরে করোনা শনাক্তের হার বাড়ছে। সর্বশেষ গত ২২ থেকে ২৮ মে এক সপ্তাহে করোনা শনাক্তের হার এর আগের সপ্তাহের তুলনায় ১৩৩ শতাংশ বেড়েছে। যেখানে ১৫ থকে ২১ মে পর্যন্ত এর আগের সপ্তাহের তুলনায় শনাক্ত বৃদ্ধির হার ছিল ৬ দশমিক ৭ শতাংশ।

সরকারের রোগতত্ত্ব, রোগনিয়ন্ত্রণ ও গবেষণা প্রতিষ্ঠান (আইইডিসিআর) বলছে, এখন করোনা শনাক্তের যে ঊর্ধ্বগতি দেখা যাচ্ছে, তা জুলাই পর্যন্ত চলতে পারে। কারণ, করোনা মহামারি শুরুর পর থেকে সংক্রমণের প্রবণতা বিশ্লেষণে দেখা যায়, জুন ও জুলাই মাসে সংক্রমণ বাড়ে।

;

ন্যূনতম কর দিয়ে গৌরবের অধিকারী হবেন গরিবরা: এনবিআর চেয়ারম্যান



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, ঢাকা
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

ন্যূনতম দুই হাজার টাকা কর দিয়ে গৌরবের অধিকারী হবেন গরিবরা বলে মন্তব্য করেছেন বাংলাদেশ রাজস্ব বোর্ডের (এনবিআর) চেয়ারম্যান আবু হেনা মো. রহমাতুল মুনিম।

শুক্রবার (২ জুন) রাজধানীর বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রে (বিআইসিসি) অর্থ মন্ত্রণালয় আয়োজিত ২০২৩-২৪ অর্থবছরের বাজেটোত্তর সংবাদ সম্মেলনে তিনি এসব বলেন।

এনবিআর চেয়ারম্যান বলেন, গরিব মানুষের জন্য কর শনাক্তকরণ নম্বর বা টিআইএন বাধ্যতামূলক নয়। এটি কমিশন এজেন্সি, পিস্তলের লাইসেন্সের জন্য। এছাড়া সিটি করপোরেশন এলাকায় যাদের বাড়ি-গাড়ি আছে এবং যাদের ট্রেড লাইসেন্স আছে তাদের জন্য। এই ক্যাটাগরির মানুষের জন্য বছরে দুই হাজার টাকা রাষ্ট্রীয় কোষাগারে জমা দিয়ে উন্নয়নে অংশীদার হওয়া একটি গর্বের বিষয় হওয়ার কথা। বোঝা মনে করার কথা নয়।

সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল, কৃষিমন্ত্রী ড. আব্দুর রাজ্জাক, স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায়মন্ত্রী তাজুল ইসলাম, শিক্ষামন্ত্রী ডা. দীপু মনি, পরিকল্পনামন্ত্রী এম এ মান্নান, শিল্পমন্ত্রী নূরুল মজিদ মাহমুদ হুমায়ুন, বাণিজ্যমন্ত্রী টিপু মুনশি, পরিকল্পনা প্রতিমন্ত্রী ড. শামসুল আলম, মন্ত্রিপরিষদ সচিব মো. মাহবুব হোসেন, প্রধানমন্ত্রীর অর্থ উপদেষ্টা ড. মশিউর রহমান, অর্থসচিব ফাতিমা ইয়াসমিন, বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নর আবদুর রউফ তালুকদার, ইআরডি সচিব শরিফা খান প্রমুখ।

;

দেশে বিদ্যুৎ ও জ্বালানি মর্যাদার জায়গায় এসেছে: মন্ত্রী



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, ঢাকা
স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রী মো. তাজুল ইসলাম

স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রী মো. তাজুল ইসলাম

  • Font increase
  • Font Decrease

দেশে বিদ্যুৎ উৎপাদন বেড়েছে জানিয়ে স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায়মন্ত্রী তাজুল ইসলাম বলেছেন, জ্বালানি-বিদ্যুৎ মর্যাদার জায়গায় এসেছে। আমরা ভালো ভালো শিল্প কারখানা গড়ে তুলছি। জ্বালানি-বিদ্যুৎ ঠিকমতোই সরবরাহ করা হচ্ছে।

শুক্রবার (২ জুন) রাজধানীর বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রে (বিআইসিসি) অর্থ মন্ত্রণালয় আয়োজিত ২০২৩-২৪ অর্থবছরের বাজেটোত্তর সংবাদ সম্মেলনে তিনি এসব বলেন।

আইএমএফের মূল্যায়ন প্রসঙ্গে মন্ত্রী বলেন, আইএমএফের কাছে ঋণ চাইলে তারা ম্যাক্স ম্যানেজমেন্ট ইভাল্যুয়েশন করে। বাংলাদেশের অর্থনীতি ব্যবস্থা ভালোভাবে চলছে। দেশের অর্থনীতি ভালো, খাদ্য ঘাটতিও নেই। ১৪ বছরে দেশে খাদ্য ঘাটতি দেখা যায়নি। আমাদের আর্থিক ব্যবস্থা ভালো আতঙ্কিত হওয়ার কারণ নেই।

তাজুল ইসলাম বলেন, কোভিডের পর বিশ্ব সংকটে পড়ে। রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধের কারণে জ্বালানিসহ সব জিনিসের দাম বৃদ্ধি পায়। জ্বালানির উপকরণ বিভিন্ন দেশ থেকে আমদানি করা হয়। দেশের অর্থনীতি বিবেচনা করে অনেক বেশি ভর্তুকি দিতে হচ্ছে।

সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল, কৃষিমন্ত্রী ড. আব্দুর রাজ্জাক, শিক্ষামন্ত্রী ডা. দীপু মনি, পরিকল্পনামন্ত্রী এম এ মান্নান, শিল্পমন্ত্রী নূরুল মজিদ মাহমুদ হুমায়ুন, বাণিজ্যমন্ত্রী টিপু মুনশি, পরিকল্পনা প্রতিমন্ত্রী ড. শামসুল আলম, মন্ত্রিপরিষদ সচিব মো. মাহবুব হোসেন, প্রধানমন্ত্রীর অর্থ উপদেষ্টা ড. মশিউর রহমান, এনবিআর চেয়ারম্যান আবু হেনা মো. রহমাতুল মুনিম, অর্থসচিব ফাতিমা ইয়াসমিন, বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নর আবদুর রউফ তালুকদার, ইআরডি সচিব শরিফা খান প্রমুখ।

;