যাচাই-বাছাই করে বস্তুনিষ্ঠ প্রতিবেদন করে যুক্তরাষ্ট্র: মার্কিন দূতাবাস



স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, ঢাকা
ছবি : সংগৃহীত

ছবি : সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

২০২১ সালে বাংলাদেশের মানবাধিকার পরিস্থিতি নিয়ে মার্কিন পররাষ্ট্র দপ্তরের প্রকাশিত প্রতিবেদনটি শুধু একটি মাত্র সূত্র থেকে তথ্য নিয়ে তৈরি করা হয়নি। বাংলাদেশ ও বিশ্বের বিভিন্ন উৎস থেকে তথ্য নিয়ে যাচাই-বাছাই করে বস্তুনিষ্ঠ প্রতিবেদন প্রকাশ করেছে যুক্তরাষ্ট্র।

মঙ্গলবার (১২ এপ্রিল) এ প্রতিবেদন প্রকাশ করা হয়। বুধবার ( ১৩ এপ্রিল) ঢাকায় আমেরিকা সেন্টারে এ নিয়ে সংবাদ সম্মেলন করে মার্কিন দূতাবাস। সেখানে দূতাবাসের কর্মকর্তারা এসব কথা জানান।

তারা বলেন, শুধু বাংলাদেশ নয়, বিশ্বের ১৯৮ দেশ সম্পর্কে এ রিপোর্ট প্রকাশ করা হয়েছে। এ রিপোর্ট আমেরিকান কংগ্রেস কর্তৃক গৃহীত। অধিকারের মতো বিশেষ কোনো এনজিওর রিপোর্ট চোখ বন্ধ করে গ্রহণ করা হয় না। অনেক সোর্স থেকে বস্তুনিষ্ঠ তথ্য সংগ্রহ করা হয়ে থাকে।

মার্কিন দূতাবাসের কর্মকর্তারা বলেন, এ প্রতিবেদন কে কীভাবে কাজে লাগাবে, সেটার ওপর কারো কোনো নিয়ন্ত্রণ নেই। যুক্তরাষ্ট্রের নিজ সাংবিধানিক সংস্থাগুলো কড়া নজরদারির মধ্যে থাকার জন্য এ রিপোর্টে তাদের স্থান নেই।

প্রতিবেদন তৈরিতে সংবাদমাধ্যম ছাড়া এনজিও’র দেয়া তথ্য বিশেষ গুরুত্ব দেয়া হচ্ছে এমন এক প্রশ্নের জবাবে তারা বলেন, মিডিয়ার গুরুত্ব কোনোভাবে কমতে পারে না। যত বেশি সোর্স থেকে তথ্য আসবে, ততই বেশি রিপোর্ট বস্তুনিষ্ঠ হবে। প্রতিবেদন প্রকাশ করেই হাত গুটিয়ে থাকে না যুক্তরাষ্ট্র। এ রিপোর্টের বিষয়গুলো সংশ্লিষ্টের সঙ্গে সবসময় উত্থাপন করা হয়ে থাকে।

প্রতিবেদনে বলা হয়, বাংলাদেশের সংবিধানে একটি সংসদীয় পদ্ধতির সরকার ব্যবস্থা রয়েছে যা প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের অধিকাংশ ক্ষমতাকে একীভূত করে। ২০১৮ সালের ডিসেম্বর সংসদীয় নির্বাচনে, শেখ হাসিনা এবং তার আওয়ামী লীগ দল টানা তৃতীয়বার পাঁচ বছরের মেয়াদে জয়লাভ করে যা তাকে প্রধানমন্ত্রী হিসেবে পদে বহাল রাখে। ব্যালট-বাক্স ভর্তি এবং বিরোধী পোলিং এজেন্ট ও ভোটারদের ভয় দেখানো সহ অনিয়মের কারণে এই নির্বাচন পর্যবেক্ষকদের দ্বারা অবাধ ও সুষ্ঠু বলে বিবেচিত হয়নি।

এতে আরও বলা হয়, পুলিশ, সীমান্তরক্ষী বাহিনী এবং র‌্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়নের মতো সন্ত্রাসবিরোধী ইউনিটগুলোকে ঘিরে থাকা নিরাপত্তা বাহিনী অভ্যন্তরীণ ও সীমান্ত নিরাপত্তা বজায় রাখে। সামরিক বাহিনী, প্রাথমিকভাবে সেনাবাহিনী, জাতীয় প্রতিরক্ষার জন্য দায়ী কিন্তু কিছু অভ্যন্তরীণ নিরাপত্তার দায়িত্বও রয়েছে। নিরাপত্তা বাহিনী স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে রিপোর্ট করে এবং সামরিক বাহিনী প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়ে রিপোর্ট করে। বেসামরিক কর্তৃপক্ষ নিরাপত্তা বাহিনীর ওপর কার্যকর নিয়ন্ত্রণ বজায় রেখেছে। নিরাপত্তা বাহিনীর সদস্যরা তাদের কাজে অসংখ্য অপব্যবহার করেছে।

বিশ্বাসযোগ্য তথ্যগুলো প্রতিবেদনে অন্তর্ভুক্ত
বিচারবহির্ভূত হত্যাসহ বেআইনি বা নির্বিচারে হত্যা; জোরপূর্বক অন্তর্ধান; সরকারের পক্ষ থেকে সরকার বা তার এজেন্টদের দ্বারা নিষ্ঠুর, অমানবিক বা অবমাননাকর আচরণ বা শাস্তির নির্যাতন বা মামলা; কঠোর এবং জীবনের হুমকি নিয়ে কারাগারের অবস্থা; নির্বিচারে গ্রেফতার বা আটক; রাজনৈতিক বন্দী; অন্য দেশে ব্যক্তিদের বিরুদ্ধে রাজনৈতিকভাবে উদ্দেশ্যপ্রণোদিত প্রতিশোধ; বিচার বিভাগের স্বাধীনতা নিয়ে গুরুতর সমস্যা; গোপনীয়তার সাথে স্বেচ্ছাচারী বা বেআইনী হস্তক্ষেপ; একজন ব্যক্তির দ্বারা অভিযুক্ত অপরাধের জন্য পরিবারের সদস্যদের শাস্তি; সাংবাদিকদের বিরুদ্ধে সহিংসতা বা সহিংসতার হুমকি, সাংবাদিকদের অযৌক্তিক গ্রেপ্তার বা বিচার, এবং সেন্সরশিপ এবং অপরাধমূলক মানহানি এবং অপবাদ আইনের অস্তিত্ব সহ স্বাধীন মতপ্রকাশ এবং মিডিয়ার উপর গুরুতর বিধিনিষেধ; ইন্টারনেট স্বাধীনতার উপর গুরুতর নিষেধাজ্ঞা; শান্তিপূর্ণ সমাবেশের স্বাধীনতা এবং সমিতির স্বাধীনতার সাথে উল্লেখযোগ্য হস্তক্ষেপ, যার মধ্যে সংগঠন, তহবিল বা বেসরকারি সংস্থা এবং সুশীল সমাজ সংস্থাগুলোর পরিচালনার উপর অত্যধিক সীমাবদ্ধ আইন সহ; শরণার্থীদের চলাফেরার স্বাধীনতার উপর বিধিনিষেধ; উদ্বাস্তুদের সাথে দুর্ব্যবহার; রাজনৈতিক অংশগ্রহণের উপর গুরুতর এবং অযৌক্তিক বিধিনিষেধ; গুরুতর সরকারি দুর্নীতি; গার্হস্থ্য মানবাধিকার সংস্থাগুলির উপর সরকারি নিষেধাজ্ঞা বা হয়রানি; লিঙ্গ-ভিত্তিক সহিংসতার জন্য তদন্তের অভাব এবং জবাবদিহিতার অভাব, যার মধ্যে গার্হস্থ্য এবং জীবন সঙ্গীর সহিংসতা, যৌন সহিংসতা, শিশু নির্যাতন, বাল্য ও জোরপূর্বক বিবাহ এবং অন্যান্য ক্ষতিকারক অভ্যাসগুলো সীমাবদ্ধ নয়; সহিংসতা জড়িত অপরাধ বা জাতিগত সংখ্যালঘু গোষ্ঠী বা আদিবাসীদের লক্ষ্য করে সহিংসতার হুমকি; সহিংসতা জড়িত অপরাধ বা লেসবিয়ান, গে, উভকামী, ট্রান্সজেন্ডার, কুইয়ার, বা ইন্টারসেক্স ব্যক্তিদের বিরুদ্ধে সহিংসতার হুমকি; প্রাপ্তবয়স্কদের মধ্যে সম্মতিমূলক সমলিঙ্গের যৌন আচরণকে অপরাধী করে এমন আইনের অস্তিত্ব বা ব্যবহার; স্বাধীন ট্রেড ইউনিয়ন এবং শ্রমিকদের সংগঠনের স্বাধীনতার উপর উল্লেখযোগ্য বিধিনিষেধ এবং শিশুশ্রমের সবচেয়ে খারাপ রূপের অস্তিত্ব।

নিরাপত্তা বাহিনীর অপব্যবহার এবং দুর্নীতির জন্য ব্যাপক দায়মুক্তির খবর পাওয়া গেছে। নিরাপত্তা বাহিনী কর্তৃক দুর্নীতি এবং অপব্যবহার ও হত্যার মামলা তদন্ত ও বিচারের জন্য সরকার কিছু ব্যবস্থা নিয়েছে।

   

বরিশালের এবায়েদুল্লাহ মসজিদে এসি বিস্ফোরণে অগ্নিকাণ্ড



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, বরিশাল
ছবি: বার্তা২৪.কম

ছবি: বার্তা২৪.কম

  • Font increase
  • Font Decrease

বরিশাল নগরীর ব্যস্ততম চকবাজার জামে এবায়েদুল্লাহ মসজিদে এসি বিস্ফোরণে অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটেছে।

বৃহস্পতিবার (২৮ মার্চ) দুপুর ১টা ৩০ মিনিটের দিকে এ ঘটনা ঘটে। স্থানীয় মুসল্লিরা জোহরের নামাজ আদায় করতে যখন প্রস্তুত হচ্ছিল ঠিক সেই সময় ইমামের কক্ষের এসি বিকট শব্দে বিস্ফোরিত হয়। সাথে সাথে আগুন ধরে যায় ইমামের কক্ষে। তাৎক্ষণিক মুসুল্লিরা আতঙ্কিত হয়ে পড়ে। এ সময় ফায়ার সার্ভিসকে ফোন দিলে দ্রুত তারা ঘটনাস্থলে এসে আগুন নিয়ন্ত্রণে আনেন। ইমামের কক্ষে থাকা বিভিন্ন আসবাবপত্র ও ইসলামিক বই আগুনে পুড়ে ছাই হয়ে যায়।

বরিশাল ফায়ার সার্ভিসের কর্মকর্তা রবিউল আলামিন বলেন, খবর পেয়ে দ্রুত ঘটনাস্থলে এসে তিনটি ইউনিট কাজ করে আগুন নেভাতে সক্ষম হয়েছে। তাদেরও ধারণা এসি থেকেই আগুনে সূত্রপাত ঘটে। তবে এই ঘটনায় কোন হতাহতের ঘটনা ঘটেনি।

;

লোকচক্ষুর আড়ালে মাদকদ্রব্য বিক্রি: যুবক আটক



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, কুষ্টিয়া
ছবি: বার্তা ২৪.কম

ছবি: বার্তা ২৪.কম

  • Font increase
  • Font Decrease

কুষ্টিয়ার কুমারখালী থেকে ১৯০ পিস ইয়াবা ট্যাবলেটসহ নয়ন শেখ (২৮) নামের এক মাদক কারবারিকে আটক করেছে র‌্যাব-১২।

বুধবার (২৭ মার্চ) রাত ১০টার দিকে র‌্যাব-১২’র সিপিসি-১, কুষ্টিয়া কোম্পানির একটি চৌকস আভিযানিক দল কুমারখালী উপজেলার সদকী চরপাড়া গ্রামে মাদকবিরোধী অভিযান পরিচালনা করে তাকে আটক করে।

আটককৃত নয়ন শেখ কুমারখালী উপজেলার সদকী চরপাড়া গ্রামের মো. আবুল কাশেমের ছেলে।

বৃহস্পতিবার (২৮ মার্চ) দুপুরে প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।

র‌্যাব জানায়, র‌্যাব-১২ এর অধিনায়ক মো. মারুফ হোসেন বিপিএম পিপিএমের নির্দেশনায় বুধবার রাত ১০টার দিকে র‌্যাব-১২’র সিপিসি-১, কুষ্টিয়া কোম্পানির একটি চৌকস আভিযানিক দল কুষ্টিয়া জেলার কুমারখালী উপজেলার সদকী চরপাড়া গ্রামে মাদকবিরোধী অভিযান পরিচালনা করে। এ সময় ১৯০ পিস ইয়াবাসহ মো. নয়ন শেখ (২৮) নামের ১ জন মাদক কারবারিকে আটক করে।

প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে জানা যায় যে, আসামি দীর্ঘদিন যাবৎ লোকচক্ষুর আড়ালে কুষ্টিয়া জেলার বিভিন্ন থানা এলাকায় মাদকদ্রব্য ক্রয়-বিক্রয় করে আসছিলো। তার বিরুদ্ধে কুষ্টিয়ার কুমারখালী থানায় একটি মামলা দায়ের করা হয়েছে।

;

১৪ বছর পালিয়েও শেষ রক্ষা হলো না ধর্ষণ মামলা আসামির



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, বরিশাল
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

ধর্ষণ মামলায় যাবজ্জীবন সাজাপ্রাপ্ত আসামির ১৪ বছর পালিয়ে থেকেও রক্ষা হয়নি। পুলিশের জালে ধরা পড়ার পরে তাকে এরই মধ্যে সাজাভোগের জন্য কারাগারে পাঠিয়েছেন আদালত। গ্রেফতার এনায়েত রাঢ়ী বরিশালের উজিরপুর থানাধীন হারতা ইউনিয়নের কালবিলা গ্রামের মো. শাহজাহান রাঢ়ীর ছেলে।

বুধবার (২৭ মার্চ) রাতে ঢাকার গাজীপুর জেলার কালিয়াকৈর থানা এলাকা থেকে র‍্যাব-৩ এর সহযোগিতায় গ্রেপ্তার করা হয় তাকে। বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন, বরিশাল উজিরপুর মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. জাফর আহম্মেদ।

তিনি জানান, এএসআই আল মামুন ফোর্সসহ ২৭ মার্চ রাতে অভিযান চালিয়ে গাজীপুর জেলার কালিয়াকৈর থানা এলাকা থেকে এনায়েতকে গ্রেপ্তার করে। আর অভিযানে র‍্যাব -৩ এর সদস্যরা সহযোগিতা করে। বরিশালে আনার পর গ্রেপ্তার আসামিকে বৃহস্পতিবার (২৮ মার্চ) আদালতে পাঠানো হলে বিচারক কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দিয়েছেন।

থানা পুলিশের তথ্যানুযায়ী, উজিরপুর থানায় ২০০৯ সালে সাতলা গ্রামের এক নারী এনায়েত রাঢ়ীর বিরুদ্ধে নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইন সংশোধনী ২০০৩ এর ৯ (১) ধারায় মামলা করে। ২০১০ সালে বরিশালে নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইবুনাল তাকে যাবজ্জীবন সাজা দেওয়া হয়। এরপর থেকে এনায়েত রাঢ়ী আত্মগোপনে চলে যায়। টানা ১৪ বছরের মাথায় সে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর হাতে ধরা পড়লো।

;

মহেশখালীর ‘সিরিয়াল কিলার’ আজরাইল লোকমান অবশেষে র‍্যাবের জালে



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, কক্সবাজার
ছবি: বার্তা ২৪.কম

ছবি: বার্তা ২৪.কম

  • Font increase
  • Font Decrease

চার হত্যা মামলাসহ ১০ মামলায় দীর্ঘ দুই দশক পলাতক থাকার পর কক্সবাজারের মহেশখালীর কুখ্যাত ‘সিরিয়াল কিলার’ মহেশখালীর সক্রিয় জিয়া বাহিনীর সেকেন্ড-ইন-কমান্ড এবং নবনিয়োগ শাখা (রিক্রুটমেন্ট উইং) এর প্রধান মো. লোকমান ওরফে আজরাইল লোকমানকে গ্রেফতার করেছে র‍্যাব।

বৃহস্পতিবার (২৮ মার্চ) বিকেলে র‍্যাব-১৫ এর মিডিয়া কর্মকর্তা অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মো. আবু সালাম চৌধুরী এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।

সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে র‍্যাবের পক্ষ থেকে জানানো হয়, ২০০৬ সাল থেকে অপরাধ জগতে তার সদর্প পদচারণা। ২০০৭ সালের ৮ ডিসেম্বর লোকমান ও তার বাহিনীর অন্যান্য সদস্যরা পরিকল্পিত হামলা চালিয়ে ১৯৭১ সালের মহান মুক্তিযুদ্ধে কক্সবাজার জেলার প্রথম শহীদ শরীফ চেয়ারম্যানের কনিষ্ঠ পুত্র, কালামারছড়া ইউনিয়ন পরিষদের দায়িত্বরত চেয়ারম্যান এবং মহেশখালী উপজেলা আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি ওসমান গনিকে কুপিয়ে ও গলায় গুলি চালিয়ে হত্যা করে। এছাড়া ২১ মে ২০১১ তারিখে সরকারি বাহিনীকে জলদস্যু দমনে সহায়তা করার সন্দেহে কোরআনে হাফেজ আব্দুল গফুরকে কুপিয়ে হত্যা করার পর তার দ্বিখন্ডিত মস্তক হতে হাত দিয়ে মগজ বের করে নেয়। লোকমান ও তার সহযোগীদের নৃশংস হত্যাযজ্ঞ থেকে রেহাই মেলেনি মহেশখালীর মাছ ব্যবসায়ী, উপজেলা যুবলীগের সহ-সভাপতি মোহাম্মদ ওসমান গনিরও ৷ নিজেদের আধিপত্য নিশ্চিত করতে ২৯ মার্চ ২০১২ তারিখে কুপিয়ে ও গুলি করে হত্যা করা হয় তাকে। একই সালের ১১ জুন তারিখে কুপিয়ে ও বুকে ছুরিকাঘাত করে হত্যা করা হয় দরিদ্র মৎস্যজীবী বেলাল হোসেনকে।

র‍্যাব জানায়, র‌্যাব-১৫, সিপিএসসি ক্যাম্পের আভিযানিক দল গোপন সংবাদের ভিত্তিতে জানতে পারে মহেশখালীর দুর্গম সোনাদিয়া দ্বীপের আস্তানায় আত্মগোপনে অবস্থান করছে। উক্ত সংবাদের প্রেক্ষিতে গত ২৭ মার্চ ভোরে অভিযান পরিচালনা করে ওয়ারেন্টভুক্ত আসামি মো. লোকমান ওরফে আজরাইল লোকমানকে (৫৩) গ্রেফতার করতে সক্ষম হয়।

মো. লোকমান ওরফে আজরাইল লোকমান (৫৩) মহেশখালীর কালারমারছড়ার বাসিন্দা। তার বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে বলেও জানানো হয় র‍্যাবের পক্ষ থেকে।

 

;