অশান্ত বিশ্বে মহামতি বুদ্ধের শান্তি ও কল্যাণের বার্তা



অধ্যাপক ড. উত্তম কুমার বড়ুয়া
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

বৌদ্ধ ধর্মাবলম্বীদের সবচয় বড় ধর্মীয় উৎসব শুভ বুদ্ধ পূর্ণিমা। প্রতিবছর ইংরেজি মে মাসের পূর্ণচন্দ্র দিনে বৈশাখী পূর্ণিমা তিথিতে ধর্মীয় ভাবগাম্ভীর্যে যথাযোগ্য মর্যাদায় বিশ্বের বৌদ্ধ ধর্মাবলম্বীরা এই দিনটি পালন করে থাকেন। সেই সঙ্গে অনেক দেশে এই দিন জাতীয় ছুটি ঘোষণা করা হয়েছে। জাতিসংঘসহ বিশ্বের ৮০টি দেশ মহাসমারোহে দিনটি পালন করে থাকে।

খ্রিষ্টপূর্ব ষষ্ঠ শতাব্দিতে বৈশাখী পূর্ণিমাতিথিতে লুম্বিনী কাননে শালবৃক্ষের নীচে ভূমিষ্ঠ হয়ে এক মহাপ্রাণ সপ্তপদ্মে গমন করে তর্জনী তুলে সিংহনাদে ঘোষণা করলেন, ‘এ জগতে আমি অগ্র, আমিই জ্যেষ্ঠ; আমিই শ্রেষ্ঠ। এটাই আমার শেষ জন্ম, এর পর আমার আর জন্ম হবে না।’

অতঃপর, ৩৫ বছর বয়েসে নৈরঞ্জনা নদীর তীরে বোধিবৃক্ষমূলে সিদ্ধার্থ গৌতম ছয় বছর কঠোর সাধনা করে শুভ বৈশাখী পূর্ণিমাতিথিতে রাতের প্রথম যামে জাতিস্মর জ্ঞান লাভ করলেন, মধ্যম যামে দিব্যচক্ষু জ্ঞান এবং শেষ যামে আসর-ক্ষয় জ্ঞান ও প্রতীত্যসমুৎপাদ নীতি অধিগত হলেন; সম্যক সম্মুদ্ধ বুদ্ধত্ব লাভ করেন এবং আবিষ্কার করলেন মহান সত্য-চারি আর্যসত্য ও দুঃখ মুক্তির পথ আর্য্য অষ্টাঙ্গিক মার্গ। সুদীর্ঘ পয়তাল্লিশ বছর বুদ্ধের সকল জীবের দুঃখ মুক্তির ধর্ম প্রচার করে অশীতি বয়েসে বৈশাখী পূর্ণিমা তিথিতে কুশীনারার উপবর্তনে যুগ্মশাল তরুমূলে চিরনির্বাপিত হলেন মহামানব জগজ্জ্যোতি, পরিনির্বান লাভ করলেন, অনিচ্চা বত সংখ্যারা। তাই বৌদ্ধ ধর্মাবলম্বীরা ত্রিস্মৃতি বিজড়িত বৈশাখী পূর্ণিমা বা বৌদ্ধ পূর্ণিমা দিনে চেতনা প্রবাহে ধর্মের পবিত্র অবগাহনে সারাদিন মেতে উঠেন।

আর বুদ্ধ পূর্ণিমার এই পবিত্র দিনে কবিগুরু রবীন্দ্রনাথ নিবেদনে বলেন, ‘আমি যাকে অন্তরের মধ্যে সর্বশ্রেষ্ঠ মানব বলে উপলব্ধি করি, আজ এই বৈশাখী পূর্ণিমায় তার জন্ম উৎসবে আমার প্রণাম নিবেদন করতে এসেছি। এ কোন বিশেষ অনুষ্ঠানের উপকরণগত অলঙ্করণ নয়, একান্তে নিভৃতে যা তাকে বার বার সমর্পণ করেছি সেই অর্ঘ্যই আজ এখানে উৎসর্গ করি।’

এই দিনকে বিভিন্ন দেশে বিভিন্ন নামে বলা হয়ে থাকে। নেপাল, ভারত, বাংলাদেশ-বুদ্ধ পূর্ণিমা/বৈশাখী পূর্ণিমা বা বুদ্ধ জয়ন্তী হিসেবে পালন করে থাকে। লাওসে বিশাখ পূজা, ইন্দোনেশিয়ায় বৈসাক ডে, মালয়েশিয়ায় বেসাক ডে, মিয়ানমারে কাসন পূর্ণিমা, সিঙ্গাপুরে বেশাখ ডে, বুদ্ধ ডে, ওয়াসাক ডে, তিব্বতে সাকা দাওয়া, থাইল্যান্ডে বিশাখ বুচা ডে, ভিয়েতনামে ফাত ড্যান, মঙ্গোলিয়ায় ওদোর, কোরিয়ায় হানজা, জাপানে হানমাতসূরী/কানবুতসু, চীনে পিনইন, রাশিয়ায় গৌতমী বাড্ডি, ম্যাকাও, হংকং, শ্রীলঙ্কা, ফ্রান্স, কানাডা, যুক্তরাষ্ট্র, যুক্তরাজ্যসহ ইউরোপে বেশাখ ডে’ হিসেবে পালন করা হয়ে থাকে।

১৯৮৬ সালে জাতিসংঘের সাবেক মহাসচিব জাভিয়ার পেরেজ দ্য-কুয়েলার বলেন, ‘মানবতার সেবার প্রতি তার দেওয়া শিক্ষা, সহানুভূতি; সকল জীবের মঙ্গল কামনা ও নিষ্ঠার বার্তা উদযাপন সত্যি একটি সম্মানজনক সুযোগ। বুদ্ধের শান্তির বার্তা বর্তমান অশান্ত পৃথিবীতে আগের চেয়ে সম্ভবত আরও বেশি প্রাসঙ্গিক।’

১৯৯৯ সালে জাতিসংঘের সাধারণ অধিবেশনে শ্রীলঙ্কার সাবেক পররাষ্ট্রমন্ত্রী লক্ষণ কাদির গামা মহামতি বুদ্ধের মানবতার, মৈত্রীর, সাম্য ও শান্তির দর্শনের জন্য, সকল জীবের কল্যাণের জন্য বুদ্ধের ত্রিস্মৃতি বিজড়িত বৈশাখী পূর্ণিমাকে আন্তর্জাতিকভাবে স্বীকৃতি, পালন ও দিবস ঘোষণার প্রস্তাব করা হলে সর্বসম্মতি ক্রমে-জাতিসংঘের সাধারণ পরিষদে ৫৪/১১৫, রেজুলেশন গৃহীত হয় এবং এই দিনকে আন্তর্জাতিক ‘Vesak Day’ হিসেবে স্বীকৃতি প্রদান করা হয়। বৌদ্ধ ধর্মাবলম্বী ও শান্তিকামী মানুষের জন্য এই সিদ্ধান্ত বিরল সম্মান বয়ে আনে।

ইউনেস্কা’র সদর দফতরে, ফ্রান্সে প্রতিবছর ঝাঁকজমকপূর্ণ ভাবে মহাসমারোহে মে মাসের পূর্ণচন্দ্রতে বেশাখ ডে উদযাপন করা হয়ে থাকে। এই লক্ষ্যে শ্রীলঙ্কার স্থায়ী প্রতিনিধি নিয়োগ করা হয়েছে। এই অনুষ্ঠানে জাতিসংঘের উচ্চপদস্থ কর্মকর্তাসহ বিশ্বের বিভিন্ন দেশের প্রতিনিধি যোগ দেন। প্রতি বছর বেশাখ ডে উপলক্ষে ইউনেস্কো স্লোগান নির্ধারণ করে থাকে।

যেমন-২০১৪ সালের স্লোগান ছিল, ‘Inter Faith and inter cultural awareness towards peace’, ২০১৫ সালের স্লোগান ছিল, ‘Fostering world peace through cultural education’, ২০১৬ সালের থিম স্লোগান ছিল, ‘Prayer for peace’, ২০১৭ সালের স্লোগান ছিলো, ‘peac Buddist teaching for social and sustainable world peace’; ২০১৮ সালের থিম ছিলো, ‘Promotion of peace and Non-Violence: Buddha’s way of life’, ২০১৯ সালে থিম ছিলো, ‘Reflects the UN’s 17 sustainable development goals’, ২০২০ সালের থিম ‘To practice love, peace and harmony as taught by the Buddha’.

২০২০ সালের জাতিসংঘের মহাসচিব আন্তোনিও গুতেরেস বলেন, ‘On the Day of Vesak, Let us celebrate Lord Buddha’s wisdom by talking actions for others with compassion and solidarity and renewing our commitment to build a peaceful world’.

বাংলাদেশে বৈশাখী পূর্ণিমা তিথিতে বুদ্ধ পূর্ণিমা যথাযোগ্য মর্যাদায় আনন্দের সঙ্গে বৌদ্ধ ধর্মাবলম্বীরা অন্যান্য দেশের মতো পালন করে থাকলেও জাতিসংঘ ঘোষিত ‘বেশাখ ডে’ বাংলাদেশি বৌদ্ধরা গুরুত্ব সহকারে বিষয়টি তুলে ধরেননি। সাম্প্রতিক সময়ে কিছু ব্যক্তি ও প্রাতিষ্ঠানের উদ্যোগে বেশাখ ডে অফ ইউএন নিয়ে ভাবা হচ্ছে, কেউ কেউ আলোচনার টেবিলে ঝড় তুলছেন। তবু কেন জানি এই নামকরণকে সঠিকভাবে উপস্থান করতে আমরা ব্যর্থ হচ্ছি।

আমাদের দেশ অসাম্প্রদায়িক। সরকার প্রধান শেখ হাসিনা বার বারই বলেন, ‘ধর্ম যার যার, উৎসব সবার।’ তাই যদি হয়, তবে ঈদ, দুর্গাপূজা, বৌদ্ধ পূর্ণিমা, বড় দিনের উৎসব সবার। হাজার বছর ধরে এই বাংলায় তাইতো আন্তঃধর্মীয় সম্প্রীতির চর্চা মেধা-মনন মানসিকতার সংস্কৃতিতে পরিণত হয়েছে। আমাদের প্রস্তাব, বুদ্ধ পূর্ণিমা সমারোহে পালন করা হোক যথানিয়মে, আবার ‘বেশাখ ডে অব ইউএন’ এর মোড়কে প্রতি বছর ইউনেস্কোর প্রতিনিধিসহ সকল ধর্মের অংশগ্রহণেও পালন করা হোক।

পরিশেষে, আমাদের প্রার্থনা-আমরা যেন অবিদ্যাকে জয় করে, তৃষ্ণাকে ক্ষয় করে; শীলে পরিশুদ্ধ হয়ে, কুশল কর্ম সম্পাদন করে লোক-দ্বেষ-মোহ মুক্তির জন্য নিজেকে প্রতিনিয়ত অনুশীলনের মাধ্যমে নির্বাণ সুখ কামনায় নিজেকে প্রস্তুত করি। সকল প্রাণী সুখী হোক, দুঃখ থেকে মুক্তি লাভ করুক। বুদ্ধ পূর্ণিমা, বেশাখ ডে অব ইউএন সফল হোক, সার্থক হোক।

লেখক: বাংলাদেশ বৌদ্ধ কৃষ্টি প্রচারসংঘের সহ-সভাপতি

   

গরমে জানটা শ্যাষ হয়া গেইল!



ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, লালমনিরহাট
ছবি: বার্তা২৪.কম

ছবি: বার্তা২৪.কম

  • Font increase
  • Font Decrease

লালমনিরহাটের হাতীবান্ধা উপজেলার টংভাঙ্গা ইউনিয়নের সাহেব আলী। এই অইদের (রোদ) ঠ্যালায় জানটা ব্যার হয়া যাবার নাগছে বাহে! গরীম মানুষ বাঁচে কেমন করি। জারের (শীত) সমায় (সময়) কনকনা ঠান্ডা আর গরমের সমায় গরম। হামরা ঘর থাকি ব্যার হওয়া যায় না। জানটা শ্যাষ (শেষ) হয়া গেইল।

জলবায়ু পরিবর্তনের বিরূপ প্রবাহে সৃষ্ট দাবদাহে অতিষ্ট লালমনিরহাটের জনজীবন। বিশেষ করে খেটে খাওয়া মানুষ ক্রমশ কর্মহীন হয়ে পড়েছে। আগুন ঝরা বাতাসে নারী-শিশুসহ কর্মজীবী মানুষ দিন দিন অসুস্থ্য হয়ে হাসপাতালে ভর্তি হচ্ছেন।

বৃহস্পতিবার (২৫ এপ্রিল) দুপুরে লালমনিরহাট বুড়িমারী মহাসড়কে যানবাহন ও যাত্রীর সংখ্যা কম, জরুরি কাজ ছাড়া কেউ বাহিরে বের হচ্ছেন না।

বৃহস্পতিবার দুপুরে কথা হয় হাতীবান্ধা উপজেলার ভ্যানচালক নুরআলম সাথে, তিনি বলেন, বৈশাখের চনচনা অইদোত রোদে মাল নিয়া ভ্যান চালাইতে কষ্ট হয়। গরমের ঠ্যালায় কইলজা ফাটি যায়। ওই জন্যে ঠান্ডাত (গাছের ছায়া) একনা দম নিবার নাগছি।

তিনি আরো বলেন, কোথাও ঠান্ডার আভাস নাই। এভাবে চলতে থাকলে আমরা কর্মহীন হয়ে পড়বো। পরিবার পরিজনের মুখে দু’মুঠো ভাত তুলে দেয়া দুরুহ ব্যাপার হয়ে পড়বে। রিকশাচালক হামিদুল ইসলাম বলেন, ‘গত চার-পাঁচ দিন ধরে আয় রোজগার কমে গেছে। বেলা সাড়ে ১০-১১টার পর রাস্তায় আর কোনো যাত্রী থাকে না।

বাসচালক আকবর আলী বার্তা২৪.কমকে জানান, গরমের কারণে লালমনিরহাট বুড়িমারী মহাসড়কের বিভিন্ন জায়গায় পিচ (বিটুমিন) উঠে গাড়ির চাকার সাথে লেগে যায়। এতে খুব সতর্ক অবস্থায় গাড়ী চালাতে হয়েছে।

লালমনিরহাট জেলা হাসপাতালের তত্ত্বাবধায়ক ডাঃ রমজান আলী বার্তা২৪.কমকে জানান, প্রচন্ড গরমে শিশু ও বয়স্করা ডায়রিয়াসহ নানা রোগে আক্রান্ত হয়েছে। হাসপাতালের জরুরি বিভাগে দৈনিক শতাধিক রোগী চিকিৎসা নিয়েছেন। জেলার প্রতিটি হাসপাতালে শিশু রোগী ব্যাপক হারে বৃদ্ধি পেয়েছে। এই সময়ে তরল জাতীয় খাবার গ্রহণ, যথাসম্ভব বাহিরে বের না হওয়া, সাথে খাবার পানি রাখা, ছাতা ব্যবহারের পরামর্শ দিয়েছেন বিশেষজ্ঞ ডাক্তার।

কুড়িগ্রাম আবহাওয়া পর্যবেক্ষনাগারের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা সুবল চন্দ্র বার্তা২৪.কমকে বলেন, দুপুর ১২টায় লালমনিরহাটে তাপমাত্রা ৩৮.৮ ডিগ্রী সেলসিয়াস রেকর্ড করা হয়।

লালমনিরহাট জেলা তথ্য অফিসার শাহজাহান আলী (অতিরিক্ত দায়ত্বি) বার্তা২৪.কমকে জানান, লালমনিরহাট জেলা প্রশাসক মহোদয়ের নির্দেশে জেলার সর্বত্র সচেতনতামূলক প্রচার-প্রচারণা অব্যাহত রয়েছে।

;

কুয়াকাটায় জেলের জালে ২৬ কেজির কোরাল



উপজেলা করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, (কলাপাড়া-পটুয়াখালী)
ছবি: বার্তা২৪.কম

ছবি: বার্তা২৪.কম

  • Font increase
  • Font Decrease

পটুয়াখালির কুয়াকাটায় বঙ্গোপসাগরে রাসেল মাঝি (৩৫) নামের এক জেলের জালে ধরা পড়েছে ২৬ কেজি ওজনের একটি কোরাল মাছ।

বৃহস্পতিবার (২৫ এপ্রিল) দুপুর ১.৩০ মিনিটে কুয়াকাটা মেয়র মৎস্য মার্কেটের মনি ফিস আড়তে মাছটি নিয়ে আসা হয়। এসময় মাছটি এক নজর দেখতে ভিড় জমায় উৎসুক জনতা। পরে কলাপাড়া উপজেলার নীলগঞ্জ ইউনিয়নের পাইকারি মাছ ব্যবসায়ী বিক্রম চন্দ্র নিলামের মাধ্যমে ৩০ হাজার টাকায় মাছটি কিনে নেন।

এর আগে গত মঙ্গলবার (২৩ এপ্রিল) বঙ্গোপসাগরের বলেশ্বর নদীর সাগর মোহনায় মাছটি ধরা পড়ে।

মাছ পাওয়ার বিষয়ে জানতে চাইলে রাসেল মাঝি বলেন, প্রতিদিনের মত গত সোমবার (২২ এপ্রিল) ধুলাস্বার ইউনিয়নের বাবলাতলা বাজার থেকে (মায়ের দোয়া) নামের ট্রলার নিয়ে গভীর সাগরে যাই। পরে বলেশ্বর নদীর সাগর মোহনায় জাল ফেলার পর অন্যান্য মাছের সঙ্গে এ কোরাল মাছটি ধরা পড়ে। মাছটির ওজন বেশি হওয়ায় আমাদের ট্রলারে তুলতে অনেক বেগ পেতে হয়েছে।

তিনি আরো বলেন, এর আগেও আমার জালে ১০ থেকে ১৫ কেজি ওজনের কোরাল মাছ ধরা পড়েছিলো। তবে আমার জালে ধরা এটিই সবচেয়ে বেশি ওজনের কোরাল। মাছটি খুব ভাল দামে বিক্রি করেছি। এত বড় মাছ পেয়ে আমার ট্রলারে থাকা জেলেসহ আমি আল্লাহর কাছে শুকরিয়া আদায় করছি।

মাছটি ক্রয় করা ব্যবসায়ী বিক্রম চন্দ্র বার্তা২৪.কমকে বলেন, আমি দীর্ঘদিন ধরে মাছের ব্যবসা করি, এত বড় কোরাল আসলে সব সময় পাওয়া যায় না। মাছটি দেখেই আমার পছন্দ হয়েছে। তাই নিলামে আমিই বেশি দাম হেঁকে এ মাছটি ক্রয় করেছি। মাছটি বিক্রির জন্য আজই ঢাকায় পাঠাবো। আশা করছি আমি ভালো মানের লাভ করতে পারব।

কলাপাড়া সিনিয়র উপজেলা মৎস্য কর্মকর্তা অপু সাহা বলেন, কোরাল মাছ খুবই সুস্বাদু। শিশুদের মানসিক বিকাশে কোরাল মাছ গুরুত্বপূর্ণ। আশা করছি বৃষ্টি হলে জেলেদের জালে ইলিশের পাশাপাশি আরও বড় বড় মাছ ধরা পড়বে।

;

বিশ্বনাথে নারী কাউন্সিলরের মামলায় ৭ জনের জামিন



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, সিলেট
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

সিলেটের বিশ্বনাথ পৌরসভার মেয়রের গাড়ি চাপায় হত্যা চেষ্টার অভিযোগে নারী কাউন্সিলরের দায়ের করা মামলায় ৮ জনের মধ্যে দুই কাউন্সিরসহ ৭ জনকে জামিন দিয়েছেন আদালত।

বৃহস্পতিবার (২৫ এপ্রিল) সিলেটের জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রট প্রথম আদালতে জামিন আবেদন করলে আদালত তাদের জামিন মঞ্জুর করেন। তবে মামলার প্রধান আসামি মেয়র মুহিবুর রহমান আদালতে জামিন আবেদন করেননি।

বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন আসামী পক্ষের আইনজীবী অ্যাডভোকেট সুমন পারভেজভ

জামিন প্রাপ্তরা হলেন - কাউন্সিলর ফজর আলী, কাউন্সিলর বারাম উদ্দিন, পৌরসভার পরিচ্ছন্নতাকর্মী ও পৌরসভার উদ্যোক্তা সুরমান আলী, দক্ষিণ মীরেরচর গ্রামের মৃত রুস্তম আলীর ছেলে মিতাব আলী, রামকৃষ্ণপুর গ্রামের মৃত তবারক আলীর ছেলে আনোয়ার আলী, রহমাননগর গ্রামের শমসের আলীর ছেলে মেয়রের গাড়ি চালক হেলাল মিয়া ও জানাইয়া গ্রামের মৃত তোতা মিয়ার ছেলে আব্দুস শহিদ।

বুধবার (২৪ এপ্রিল) বিশ্বনাথ থানায় বাদী হয়ে এই মামলাটি দায়ের করে নারী কাউন্সিলর রাসনা বেগম। মামলা নং-(৫)। মামলায় অজ্ঞাতনামা আসামি রাখা হয় আরও ৪/৫ জন।

এ ব্যাপারে অ্যাডভোকেট সুমন পারভেজ বলেন, এই মামলার প্রধান আসামি মেয়র মুহিবুর রহমান জামিন আবেদন করেননি। তবে মেয়র ছাড়া বাকি ৭ জন আসামি জামিন আবেদন করলে আদালত তাদের জামিন মঞ্জুর করেন।

;

নারী চিকিৎসককে ইভটিজিং করায় যুবকের কারাদণ্ড



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, কুষ্টিয়া
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

কুষ্টিয়ার দৌলতপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের এক নারী চিকিৎসককে হয়রানি করার অপরাধে সাগর হোসেন (২৬) নামে এক যুবককে এক বছরের কারাদণ্ড দিয়েছেন ভ্রাম্যমাণ আদালত। দণ্ডপ্রাপ্ত সাগর হোসেন দৌলতপুর থানা বাজার এলাকার বিপ্লব হোসেনের ছেলে।

বৃহস্পতিবার (২৫ এপ্রিল) দুপুরে দৌলতপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে এ ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করেন উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মো. ওবায়দুল্লাহ।

উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা তোহিদুল ইসলাম জানান, ওই যুবক বেশ কিছু দিন ধরে আমাদের এক নারী চিকিৎসককে নানাভাবে হয়রানি করে আসছিল।

বৃহস্পতিবার (২৫ এপ্রিল) দুপুরে হাসপাতালে এসে একইভাবে তাকে হয়রানি করতে গেলে আমরা বিষয়টি উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তাকে অবহিত করি।

পরে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মো. ওবায়দুল্লাহ ঘটনাস্থলে উপস্থিত হয়ে ভ্রাম্যমাণ আদালতের মাধ্যমে বখাটে সাগর হোসেনকে এক বছরের বিনাশ্রম কারাদণ্ড দেন। পরে তাকে জেলহাজতে পাঠানো হয়।

;