ভোলায় কালবৈশাখী ঝড়ে বাল্কহেড ডুবি



ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, ভোলা
ভোলায় কালবৈশাখী ঝড়ে বাল্কহেড ডুবি

ভোলায় কালবৈশাখী ঝড়ে বাল্কহেড ডুবি

  • Font increase
  • Font Decrease

ভোলায় কালবৈশাখী ঝড়ের কবলে পড়ে বালু বোঝাই বাল্কহেড ডুবির ঘটনা ঘটেছে।

শনিবার (২১ মে) সকালে ভোলা সদর উপজেলার ধনিয়া তুলাতুলী মাছ ঘাট এলাকায় মেঘনা নদীতে এ ঘটনা ঘটে। তবে এতে হতাহতের কোনও খবর পাওয়া যায়নি।

স্থানীয় মো. মনজু ও নাছিম জানান, ভোর থেকে গুঁড়ি গুঁড়ি বৃষ্টি শুরু হয়। সকাল সাড়ে ৭টার দিকে হঠাৎ নদী উত্তাল হয়ে ওঠে। এক পর্যায় ঝড়ের কবলে পড়ে নদীতে থাকা এমভি তামিম-শামিম নামে একটি বালু বোঝাই বাল্কহেড ডুবে যায়। এসময় বাল্কহেডে থাকা ৬ জনকে উদ্ধার করা হয়।

ডুবে যাওয়া এমভি তামিম-শামিম বাল্কহেডের নাবিক মো. মনির বলেন, নদী ভাঙনের ইমারজেন্সি কাজের জন্য বালু নিয়ে যাওয়ার সময় হঠাৎ কালবৈশাখী ঝড়ে আমাদের বাল্কহেড ডুবে যায়। পরে আমার নদীতে ঝাঁপিয়ে পড়ি। এসময় স্থানীয়রা আমাদের উদ্ধার করে।

ভোলার ইলিশ নৌ-থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) শাহাজালা বাদশা জানান, ভোলার মেঘনা নদী ভাঙন রোধে ইমারজেন্সি কাজে ব্যবহারের জন্য বালু বোঝাই করে এমভি তামিম-শামিম নামে একটি বাল্কহেড যাচ্ছিল। তুলাতুলী মাছ ঘাট মেঘনা নদীতে বাল্কহেডটি কালবৈশাখী ঝড়ের কবলে পড়ে ডুবে যায়। তবে ওই সময় বলগেটে থাকা শ্রমিকরা স্থানীয়দের সহায়তায় তীরে উঠে যাওয়ায় কেউ হতাহত হননি।

এছাড়াও কালবৈশাখী ঝড়ের কবলে পড়ে ভোলার ৭ উপজেলায় বেশ কয়েকটি ঘড় বাড়ি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে।

   

মুক্তিযুদ্ধের প্রথম সশস্ত্র প্রতিরোধ দিবস আজ



নিউজ ডেস্ক, বার্তা২৪.কম
মুক্তিযুদ্ধের প্রথম সশস্ত্র প্রতিরোধ দিবস আজ

মুক্তিযুদ্ধের প্রথম সশস্ত্র প্রতিরোধ দিবস আজ

  • Font increase
  • Font Decrease

আজ ১৯শে মার্চ। মহান মুক্তিযুদ্ধের প্রথম সশস্ত্র প্রতিরোধ দিবস। ১৯৭১ সালের এই দিনে মহান স্বাধীনতা যুদ্ধের প্রাক্কালে জয়দেবপুরের সর্বস্তরের ছাত্র জনতা পাক-হানাদার বাহিনীর বিরুদ্ধে সশস্ত্র প্রতিরোধ শুরু করেছিলেন। প্রতিবছর এই দিনে বিভিন্ন কর্মসূচির মাধ্যমে দিবসটি পালন করা হয়। এবারও দিবসটি পালন উপলক্ষে বিভিন্ন কর্মসূচি গ্রহণ করা হয়েছে।

ঊনিশে মার্চ উদযাপন পরিষদের এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, ১৯ মার্চের বীরত্বকে অমর করে রাখতে ১৯৭২-১৯৭৩ সালে গাজীপুরের চৌরাস্তায় একটি ভাস্কর্য নির্মাণ করা হয়। ‘জাগ্রত চৌরঙ্গী’ নামের এই ভাস্কর্য মুক্তিযুদ্ধের প্রথম ভাস্কর্য।

এই উপলক্ষে বিভিন্ন সংগঠন ও প্রতিষ্ঠান বিভিন্ন কর্মসূচি গ্রহণ করেছে। এর মধ্যে শহীদদের কবর জিয়ারত ও আলোচনা সভা ও দোয়া মাহফিলের আয়োজন করা হয়েছে।

জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ঐতিহাসিক ৭ মার্চে দেওয়া ভাষণে ‘তোমাদের যা কিছু আছে তাই নিয়ে শত্রুর মোকাবিলা করতে হবে,’ এই মন্ত্রবলে বলিয়ান হয়ে ১৯৭১ সালের ১৯ মার্চে মহান মুক্তিযুদ্ধ শুরুর আগেই ঢাকার অদূরে জয়দেবপুরে অকুতোভয় মুক্তিকামী বাঙালিরা সশস্ত্র সেনাবাহিনীর সামনে প্রথমবার রুখে দাঁড়িয়েছিল। হাজার-হাজার জনগণ অবতীর্ণ হয়েছিল সেই সম্মুখযুদ্ধে।

১৯৭১ সালের ১৯ মার্চে ঢাকা ব্রিগেড হেডকোয়ার্টার থেকে আকস্মিকভাবে পাকিস্তানি ব্রিগেডিয়ার জাহান জেবের নেতৃত্বে পাকিস্তানি রেজিমেন্ট জয়দেবপুরের (গাজীপুর) দ্বিতীয় ইস্টবেঙ্গল রেজিমেন্টকে নিরস্ত্র করার জন্য পৌঁছে যায়। এ খবর জানা-জানি হতেই বিক্ষুদ্ধ জনতা জয়দেবপুরে এক প্রতিরোধ সৃষ্টি করে। সশস্ত্র পাকিস্তানি সেনাবাহিনী জনতার ওপর গুলিবর্ষণ করলে অকুস্থলেই শহীদ হন অনেকে। এটি ছিল মুক্তিযুদ্ধে প্রথম সশস্ত্র প্রতিরোধ।

জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ১৯৭২ সালের ১৯ মার্চ জয়দেবপুরের প্রথম সশস্ত্র প্রতিরোধ দিবস উপলক্ষে নিজ হাতে লিখে একটি বাণী দিয়েছিলেন। মহান স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তী উপলক্ষে এই বাণী বিশেষ তাৎপর্য বহন করে।

ওই সময় বাণীতে বঙ্গবন্ধু বলেন, ‘১৯৭১ সালের ১৯ শে মার্চ বাংলাদেশের ইতিহাসে আরো একটি স্মরণীয় দিন। ওইদিন পাক মিলিটারি বাহিনী জয়দেবপুরে ক্যান্টনমেন্টে অবস্থিত দ্বিতীয় বেঙ্গল রেজিমেন্টের জওয়ানদের নিরস্ত্র করার প্রয়াস পেলে জয়দেবপুর থানা আওয়ামী লীগ, ছাত্রলীগ ও শ্রমিক লীগের যৌথ নেতৃত্বে কৃষক, ছাত্র, জনতা সবাই বিরাট প্রতিরোধের সৃষ্টি করে। ফলে, মিলিটারির গুলিতে তিনটি অমূল্য প্রাণ নষ্ট হয় এবং বহু লোক আহত হয়।’

বাণীতে তিনি বলেন, ‘আমি তার কয়েকদিন মাত্র পূর্বে ৭ই মার্চ তারিখে ডাক দিয়েছিলাম, যার কাছে যা আছে, তাই দিয়ে প্রতিরোধ গড়ে তোল। জয়দেবপুরবাসীরা তা অক্ষরে অক্ষরে পালন করে। আমি তাদের মোবারকবাদ জানাই।’

তিনি বলেন, ‘কোন মহৎ কাজই ত্যাগ ব্যতিত হয় না। জয়দেপুরের নিয়ামত, মনু, খলিফা ও চান্দনা চৌরাস্তায় হুরমতের আত্মত্যাগও বৃথা যায় নাই। শহীদদের রক্ত কখনো বৃথা যায় না। তাই আজ লাখ শহীদের আত্মত্যাগের ফলে স্বাধীন সার্বভৌম বাংলাদেশ প্রতিষ্ঠিত হয়েছে।’

বঙ্গবন্ধু বলেন, ‘দেশকে স্বাধীন করার সংগ্রাম শেষ হয়েছে। আসুন আজ আমরা সকলে কাঁধে কাঁধ মিলিয়ে দেশ গড়ার সংগ্রামে লিপ্ত হই।’ তিনি জয় বাংলা বলে বাণীটি শেষ করেন।

সূত্র: বাসস

 

;

চার ঘণ্টা পর পঞ্চগড় এক্স‌প্রেস ট্রেনের ব‌গি উদ্ধার, ট্রেন চলাচল স্বাভা‌বিক



ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪, টাঙ্গাইল
চার ঘণ্টা পর পঞ্চগড় এক্স‌প্রেস ট্রেনের ব‌গি উদ্ধার, ট্রেন চলাচল স্বাভা‌বিক

চার ঘণ্টা পর পঞ্চগড় এক্স‌প্রেস ট্রেনের ব‌গি উদ্ধার, ট্রেন চলাচল স্বাভা‌বিক

  • Font increase
  • Font Decrease

বঙ্গবন্ধ‌ু সেতুপূর্ব রেল‌স্টেশ‌নে লাইনচ‌্যুত হওয়া পঞ্চগড় এক্স‌প্রেস ট্রেনের ব‌গি দুর্ঘটনার চার ঘণ্টা পর উদ্ধার ক‌রে‌ছে রেলও‌য়ে কর্তৃপক্ষ।

সোমবার (১৮ মার্চ) দিবাগত রাত ২টা ৩০ মিনিটের দি‌কে পঞ্চগড় এক্স‌প্রেস ট্রেনের ক্ষ‌তিগ্রস্থ ব‌গি রেল প্রক‌ল্পের ক্রেনের সহায়তায় উদ্ধার করা হয়।

বঙ্গবন্ধ‌ু সেতুপূর্ব স্টেশন মাস্টার খায়রুল ইসলাম বিষয়টি নিশ্চিত করে জানান, ট্রেন‌টি দুর্ঘটনার পর প্রথমে ব‌গিগু‌লো স‌রি‌য়ে নেওয়া হয়। এরপর ক্ষ‌তিগ্রস্ত ব‌গি ক্রেন দি‌য়ে উপ‌রে তু‌লে লাইনে তোলা হয়। এরপ‌র ট্রেন চলাচল স্বাভাবিক হয়। এখন বি‌ভিন্ন স্টেশ‌নে আটকে পড়া ট্রেনগু‌লো ছেড়ে আসছে।

 

;

পথশিশুদের প্রতি দৃষ্টিভঙ্গি বদলাতে হবে: সমাজকল্যাণ মন্ত্রী



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম
সমাজকল্যাণ মন্ত্রী ডা. দীপু মনি

সমাজকল্যাণ মন্ত্রী ডা. দীপু মনি

  • Font increase
  • Font Decrease

সমাজকল্যাণ মন্ত্রী ও সংসদ সদস্য ডা. দীপু মনি বলেছেন, পথশিশুদের স্বাভাবিক জীবন যাপন নিশ্চিত করতে সরকার কাজ করছে। পথশিশুদের প্রতি সমাজের দৃষ্টিভঙ্গি বদলাতে হবে।

সোমবার (১৮ মার্চ) রাজধানীর শিল্পকলা একাডেমী মিলনায়তনে চাইল্ড সেনসেটিভ সোশ্যাল প্রোটেকশন ইন বাংলাদেশ প্রকল্পের অধীনে পথশিশুদের পরিস্থিতি বিষয়ক গবেষণা পত্রের মোড়ক উন্মোচন অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে বক্তব্যে তিনি একথা বলেন।

সমাজসেবা অধিদপ্তরের মহাপরিচালক ড. আবু সালেহ মোস্তফা কামাল এতে সভাপতিত্ব করেন। অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন মহিলা ও শিশু বিষয়ক প্রতিমন্ত্রী সিমিন হোসেন (রিমি)।

সমাজকল্যাণ মন্ত্রী বলেন, যারা পথেই থাকে তাদের নিরাপত্তা ঝুঁকি রয়েছে। তাদের অসহায়ত্ব অনেক বেশি রকমের, তারা হয়তোবা সমস্যার সম্মুখীন হয়, অনেক রকমের নির্যাতনেরও শিকার হয়। রাতের অন্ধকারে খুবই অনিরাপদ একটা অবস্থার মধ্যে থাকে। আর যারা রাতে পরিবারের কাছে ফিরে, এদেরও নানা সমস্যা থাকে। নানা কারণে পথশিশু হয়। পরিবারের ভেঙে যাওয়া, অতিদারিদ্র্য ও নানাবিধ সমস্যার কারণে শিশুরা পথে থাকে। তারপরও তারা নানা ধরণের সমস্যার সম্মুখীন হয়।

মন্ত্রী পথশিশুদের প্রতি ইতিবাচক মনোভাব রাখা ও মহানুভব হওয়ার বিষয়ে আলোকপাত করতে গিয়ে বলেন, পথ চলতি মানুষ কিভাবে তাদের সাথে আচরণ করে, তার প্রভাবও তাদের উপরে পড়ে। আমাদের প্রত্যেককে তাদের প্রতি এমপ্যাথি দেখাতে হবে। আমরা কতজন এ শিশুদেরকে একবার ভালো করে দেখি? আমরা হয়তো জীবন বদলে ফেলতে পারবো না, কিন্তু যে কয়েক সেকেন্ডের জন্য তাদের সাথে আমাদের একটা যোগাযোগ ঘটলো, সেই কয়েকটা সেকেন্ডে তাদের প্রতি যদি আমাদের সহমর্মিতা থাকে, তাদের প্রতি আচরণে, আমাদের কথায় তার জীবনে একটা পরিবর্তন এনে দিতে পারে। আমরা যেভাবে আচরণ করি সাধারণত তার কারণে তাদের মধ্যে মধ্যে একটা হীন মনোভাব তৈরি হয়। সে মনে করে নিজে কোন একটা অপরাধ করছে, মনে করে সে ভীষণ রকম খারাপ কিছু বা তুচ্ছ। আমরা যদি এই বাচ্চাগুলোকে স্বপ্ন দেখাতে পারি, তাহলে তারা স্বপ্নের দিকে নিজেদের নিয়ে যাবার ক্ষেত্রে অনেকদূর এগিয়ে যাবে। যদি তাদের প্রতি আচরণটাই সেই রকম ইতিবাচক না হয় তাহলে তারা স্বপ্ন দেখতে সক্ষম হবে না।

এসময় তিনি সরকারের পাশাপাশি ব্যক্তি উদ্যোগেও পথশিশুদেরকে সমাজের মূলধারায় আনতে কাজ করার আহ্বান জানান।

মন্ত্রী পথশিশুদের উপর উন্মোচিত গবেষণা পত্রটি সম্পর্কে তার মূল্যায়নে বলেন, এ বিষয়টিতে যদিও সরকার অত্যন্ত সজাগ এবং ইতোমধ্যে সমাজকল্যাণ ও মহিলা ও শিশু মন্ত্রণালয়ের মাধ্যমে পথশিশুদের আশ্রয়, শিক্ষা, চিকিৎসা, প্রশিক্ষণ ও পুনর্বাসনে অনেক কাজ চলমান রয়েছে। তারপরও এ গবেষণায় তাদের প্রকৃত অবস্থা সম্পর্কে আরও পরিষ্কার ধারণা পাওয়া গেল, যা ভবিষ্যতে নীতি নির্ধারণী বিষয়ে কাজ করতে সহায়ক ভূমিকা পালন করবে। মন্ত্রী গবেষণাটির সাথে সংশ্লিষ্ট সকলকে ধন্যবাদ জানান।

এর আগে মন্ত্রী পথশিশুদের পরিস্থিতি বিষয়ক গবেষণা পত্রের মোড়ক উন্মোচন করেন।

;

রোহিঙ্গাদের জন্য ইউএনডিপি’র বড় তহবিল গঠনের জন্য প্রধানমন্ত্রীর আহ্বান



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম
রোহিঙ্গাদের জন্য ইউএনডিপি’র বড় তহবিল গঠনের জন্য প্রধানমন্ত্রীর আহ্বান

রোহিঙ্গাদের জন্য ইউএনডিপি’র বড় তহবিল গঠনের জন্য প্রধানমন্ত্রীর আহ্বান

  • Font increase
  • Font Decrease

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা রোহিঙ্গাদের সহায়তায় বড় আকারের আন্তর্জাতিক তহবিল গঠনের উদ্যোগ নিতে জাতিসংঘ উন্নয়ন কর্মসূচির (ইউএনডিপি) প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন।

সোমবার (১৮ মার্চ) রাজধানীর একটি হোটেলে সফররত ইউএনডিপির শুভেচ্ছা দূত ও সুইডেনের ক্রাউন প্রিন্সেস ভিক্টোরিয়ার সঙ্গে এক বৈঠকে তিনি এ কথা বলেন।

বৈঠক শেষে প্রধানমন্ত্রীর স্পিচরাইটার মো. নজরুল ইসলাম সাংবাদিকদের এ তথ্য জানান।

বৈঠকে রোহিঙ্গা ইস্যু ছাড়াও জলবায়ু পরিবর্তনসহ বিভিন্ন দ্বিপাক্ষিক ও বহুপাক্ষিক বিষয় নিয়ে আলোচনা হয়।

রোহিঙ্গাদের জন্য আন্তর্জাতিক তহবিলের হ্রাস পাওয়ার প্রবণতার প্রেক্ষাপটে প্রধানমন্ত্রী রোহিঙ্গাদের সহায়তায় যাতে আরও বড় পরিমাণ তহবিল আসে সে প্রচেষ্টা জোরদার করার জন্য ইউএনডিপির প্রতি আহ্বান জানান।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, বাংলাদেশ মানবিক কারণে বাস্তুচ্যুত রোহিঙ্গাদের আশ্রয় দিয়েছে এবং প্রয়োজনীয় সুযোগ-সুবিধা নিশ্চিত করে ভাষানচরে তাদের জন্য উন্নত আবাসনের ব্যবস্থা করেছে।

তিনি আরো বলেন, ভাষানচরে প্রায় এক লাখ রোহিঙ্গা বসবাস করতে পারে। ভাষানচরে আরও রোহিঙ্গাদের স্থানান্তর করতে ইউএনডিপির সহায়তা চেয়েছেন প্রধানমন্ত্রী।

এসময় শেখ হাসিনা বাংলাদেশে বিশেষত অর্থনৈতিক অঞ্চলে বৃহত্তর বিনিয়োগের জন্য সুইডিশ ব্যবসায়ীদের প্রতি আহ্বান জানান।

বাংলাদেশ জলবায়ু পরিবর্তনের সবচেয়ে ক্ষতিগ্রস্থ দেশ উল্লেখ করে তিনি বলেন, কার্বন নির্গমনে বাংলাদেশের অবদান নগণ্য হলেও দেশটি মারাত্মকভাবে ক্ষতির শিকার হচ্ছে। জলবায়ূ  পরিবর্তনের কারণে বাংলাদেশ বন্যা ও ঘূর্ণিঝড়ের মতো বিভিন্ন প্রাকৃতিক দুর্যোগের সম্মুখীন হয়ে থাকে। স্থানীয় জনগোষ্ঠী এবং তাদের জীবিকা রক্ষায় বাংলাদেশ একটি জলবায়ু ট্রাস্ট গঠন করেছে।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, তাঁর সরকারের প্রধান লক্ষ্য হচ্ছে দারিদ্র্য বিমোচন করা। এর ফলে ইতোমধ্যে দারিদ্র্যের হার ৪১ শতাংশ থেকে ১৮.৭ শতাংশে এবং চরম দারিদ্যের হার ২৫.১ শতাংশ থেকে ৫.৬ শতাংশে নেমে এসেছে।

তিনি বলেন, বাংলাদেশে যাতে কোন মানুষ গৃহহীন না থাকে সে লক্ষ্যে সরকার বিনামূল্যে সারা দেশে গৃহহীনদের ঘূর্ণিঝড় সহিষ্ণু ঘর বানিয়ে দিয়েছে। তাঁর সরকার দেশের উপকূলীয় এলাকায় সাইক্লোন সেন্টার নির্মাণ করেছে।

সুইডেনের ক্রাউন প্রিন্সেস ভিক্টোরিয়া বলেন, সুইডেন ও বাংলাদেশের মধ্যে দ্বিপাক্ষিক সম্পর্ক আরো গভীর করার ব্যাপক সুযোগ রয়েছে।

তিনি দুই দেশের মধ্যে বিশেষ করে বাণিজ্য, ব্যবসা ও বিনিয়োগের ক্ষেত্রে দ্বিপাক্ষিক সম্পর্ক আরো জোরদার করার ব্যাপারে তার আশাবাদ ব্যক্ত করেন।

চার দিনের সফরে ভিক্টোরিয়া আজ সোমবার ঢাকায় পৌঁছেছেন। তিনি কক্সবাজার ও ভাষানচরে রোহিঙ্গা ক্যাম্প পরিদর্শন করবেন।

 

 

;