বগুড়ায় ৪ মিনিটের ঝড়ে লন্ডভন্ড!
বগুড়ায় ৪ মিনিটের ঘূর্ণিঝড়ে লন্ডভন্ড হয়ে গেছে বিদ্যুৎ ব্যবস্থা। শহর এবং শহরতলীতে অসংখ্য গাছ ভেঙে বিদ্যুতের তারে পড়েছে। ফলে ভোর রাত থেকে বিদ্যুৎ সরবারহ বন্ধ হয়ে গেছে পুরো জেলাজুড়ে। এছাড়াও ঝড়ে অসংখ্য আধাপাকা ঘরবাড়ির টিনের চাল উড়ে যায়।
শনিবার (২১ মে) ভোর রাত ৪টায় ঘূর্ণিঝড় শুরু হয়।
বগুড়া আবহাওয়া অফিসের উচ্চ পর্যবেক্ষক সৈয়দ গোলাম কিবরিয়া জানান, শনিবার ভোর রাত ৪টায় ঘূর্ণিঝড় শুরু হয়। মাত্র ৪ মিনিট স্থায়ী ঘূর্ণিঝড়ে বাতাসের গতিবেগ ছিল ৮৮ দশমিক ৬ কিলোমিটার। তিনি বলেন, ৪টা ৪ মিনিটে বাতাসের গতিবেগ কমে আসলে শুরু হয় বৃষ্টিপাত। ভোর সাড়ে ৫টা পর্যন্ত দমকা বাতাসের পাশাপাশি ৩৬ মিলিমিটার বৃষ্টিপাত রেকর্ড করা হয়।
এদিকে মাত্র ৪ মিনিটের ঝড়ে বগুড়া শহরে বিয়াম মডেল স্কুল, আমর্ড পুলিশ ব্যাটালিয়ন স্কুল ও পুলিশ লাইন্স স্কুলে ১টি করে বড় গাছ ভেঙে পড়ে। এছাড়াও শহরের শহীদ খোকন পার্ক এবং এডওয়ার্ড পার্কে বেশ কিছু গাছ ভেঙে পড়ে। শহর এবং শহরতলীর বিভিন্ন এলাকায় টিনের ঘরবাড়ি চাল উড়ে গেছে। ঝড়ে বোরো ধানের ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে বলে কৃষি বিভাগ সূত্রে জানাগেছে।
কৃষি সম্প্রসারণ বগুড়া আঞ্চলিক অফিসের অতিরিক্ত পরিচালক ইউছুব রানা মন্ডল বলেন, বোরো ধান কাটা মাড়াই ভরা মৌসুমে ঝড়ে পাকা ধানের ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে। অন্যান্য ফসলের তেমন ক্ষয়ক্ষতি হয়নি।
নর্দান পাওয়ার সাপ্লাই কোম্পানির (নেসকো) নির্বাহী প্রকৌশলী ওমর ফারুক বলেন, ঝড়ে বিদ্যুৎ সরবরাহে ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে। বিভিন্ন স্থানে বৈদ্যুতিক খুঁটি উপড়ে পড়া ছাড়াও গাছের ডাল ভেঙে পড়েছে বিদ্যুতের তারে। ফলে ভোর রাত ৪টা থেকে পুরো জেলায় বিদ্যুৎ সরবরাহ বন্ধ রয়েছে। তিনি বলেন, সকাল থেকে কাজ চলছে, পর্যায়ক্রমে বিদ্যুৎ সরবরাহ স্বাভাবিক হবে।