প্রতিশ্রুতি দিলেও কথা রাখেনি কেউ!

প্রতিশ্রুতি দিলেও কথা রাখেনি কেউ!
ভোট আসলে নেতাকর্মীদের আনাগোনা বৃদ্ধি পায়। কদর বাড়ে নদী পাড়ের মানুষের। তাদের প্রতিশ্রুতি সাঁকোর স্থলে সেতু নির্মাণের। কিন্তু ভোটের পর সেই নেতাদের আর দেখা মেলে না। দুই যুগেও কথা রাখেনি কেউ। ফলে ২০ গ্রামের ৫০ হাজার মানুষের দুর্ভোগ যেন নিত্যসঙ্গী হয়ে দাঁড়িয়ে।
সরেজমিনে শুক্রবার (২৭ মে) দুপুরে গাইবান্ধার সুন্দরগঞ্জ উপজেলার তারাপুর ইউনিয়নের খোর্দ্দা নামাপাতা এলাকার বড়াইল নদীর ওপরে দেখা যায় একটি ভাঙা সাঁকোর চিত্র। এখানে মানুষের চলাচলে নানা ভোগান্তি চরমে পৌঁছাছে।
স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, সুন্দরগঞ্জের তারাপুর, উলিপুরের গুনাইগাছ ও বজরা ইউনিয়ন বাসিন্দাদের সংযোগ সড়ক এটি। এছাড়া আরও অন্যান্য এলাকার জনসাধারণ বুড়াইল নদীর সাঁকোই তাদের একমাত্র ভরসা। দীর্ঘ প্রায় দুই যুগ ধরে প্রায় ৫০ হাজার মানুষ চলাচল করছেন। ঝুঁকিপূর্ণ এই বাঁশের সাঁকো দিয়ে চলাফেরা করে আসলেও এরই মধ্যে ভেঙে পড়েছে সেটি। বিদ্যামান পরিস্থিতিতে যোগাযোগ ব্যবস্থা বিচ্ছিন্ন হয়েছে তাদের। এখানে একটি সেতু নির্মাণের দাবি জানানো হলে প্রতিশ্রুতি দিয়েছিন দায়িত্বশীল ব্যক্তিরা। কিন্তু সেই আশ্বাস এখনো পূরণ করেননি কেউ। এ নিয়ে স্থানীয়দের দুর্ভোগের সঙ্গে বেড়েছে চরম ক্ষুব্ধতা।
ভুক্তভোগি আমিনুল ইসলাম জানান, বুড়াইল এই নদীর ওপর বাঁশ-কাঠের সাঁকো স্থানীয় বাসিন্দাদের অর্থায়নে ও স্বেচ্ছাশ্রমে নির্মাণ করা হয়। এরই মধ্যে পানির চাপে সাঁকোটি ভেঙে গেছে। একারণে প্রায় ৫০ হাজার মানুষের চলাফেরা বন্ধ রয়েছে।
তিনি আরও বলেন, স্থানীয় সরকারের নির্বাচনে প্রার্থীরা ভোট চাইতে এসে এখানে সেতু নির্মাণের আশ্বাস দিয়ে থাকেন। কিন্তু ভোটে নির্বাচিত হলে তাদের আর দেখা পাওয়া যায় না।
সুন্দরগঞ্জের তারাপুর ইউনিয়ন পরিষদ (ইউপি) চেয়ারম্যান আমিনুল ইসলাম জানান, এখানে একটিু সেতু নির্মাণের জন্য উপজেলা পরিষদ সভায় একাধিকবার দাবি জানানো হয়েছে। হয়তো সেতুর কাজ হতে পারে।
সুন্দরগঞ্জ উপজেলা প্রকৌশলী মো. শামছুল আরেফীন জানান, ওইস্থানে সেতু স্থাপনের বিষয়ে সংশ্লিষ্টদের জানানো হয়েছে। বরাদ্দ পেলে কাজ করা হবে।
সুন্দরগঞ্জ আসনের সংসদ সদস্য ব্যারিস্টার শামীম হায়দার পাটোয়ারী বলেন, আপাতত ভাঙা সাঁকোটি নতুন করে নির্মাণ করা হবে। সেই সঙ্গে সেতু নির্মাণের তালিকা সংশ্লিষ্ট দপ্তরে পাঠানো হয়েছে।