এলজিইডি দেশের রোল মডেল হতে পারে: স্থানীয় সরকার মন্ত্রী



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, ঢাকা
স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রী মো. তাজুল ইসলাম

স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রী মো. তাজুল ইসলাম

  • Font increase
  • Font Decrease

দেশের সরকারি প্রতিষ্ঠানগুলোর মধ্যে স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদফতর (এলজিইডি) রোল মডেল হতে পারে বলে জানিয়েছেন স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রী মো. তাজুল ইসলাম।

রোববার (২৯ মে) রাজধানীর আগারগাঁওয়ে এলজিইডি ভবনে আয়োজিত স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদফতরের উন্নয়নমূলক কর্মকাণ্ড নিয়ে পর্যালোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি একথা জানান।

মন্ত্রী বলেন, গ্রামীণ অবকাঠামো উন্নয়নের পাশাপাশি এলজিইডি শহর ও নগর অঞ্চলেও ভৌত অবকাঠামো উন্নয়নে ভূমিকা রাখছে। নিজ অধিদফতরের কার্যক্রমের পাশাপাশি অত্যন্ত দক্ষতার সাথে বেশ কয়েকটি মন্ত্রণালয় ও বিভাগের প্রকল্প বাস্তবায়ন করে আসছে। বর্তমানে যে সকল উন্নয়নমূলক কর্মকাণ্ড হাতে নেওয়া হয়েছে তা অন্যান্য সরকারের আমলের চেয়ে অনেকগুণ বেশি। দেশের অবকাঠামো উন্নয়নে এই প্রতিষ্ঠানটির অনস্বীকার্য।

তিনি জানান, সকল প্রকল্পের কাজ নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে শেষ করতে হবে। অজুহাত দিয়ে প্রকল্পের সময় বৃদ্ধি করা যাবে না। স্বচ্ছত ও জবাবদিহিতার বিষয়ে কোনো কম্প্রোমাইজ করা হবে না। নিম্নমানের কাজ কোনোভাবেই গ্রহণযোগ্য নয়। নিম্নমানের কাজ ও অনিয়মের সাথে জড়িতদের ছাড় দেয়া হবে না।

মো. তাজুল ইসলাম প্রকল্প পরিচালকদের নিয়মিত সাইট ভিজিট এবং কাজের গুণগত মান যাচাই-বাছাই করার জন্য নির্দেশ প্রদান করেন। এছাড়া, মাঠ পর্যায়ের কর্মকাণ্ড নিয়মিত মনিটরিং করার জন্য সকল স্তরের কর্মকর্তাদের নির্দেশনা প্রদান করেন তিনি।

টেকসই উন্নয়নে বিকল্প নেই। এজন্য নির্মাণ সামগ্রীর গুণগতমান অক্ষুন্ন রাখতে হবে উল্লেখ করে মন্ত্রী বলেন, ইতিমধ্যে ইটের গুণগত মান নিশ্চিত করার জন্য প্রত্যেক জেলা প্রশাসকের নিকট চিঠি দেওয়া হয়েছে। কোন ইটভাটার মালিক যদি গুণগত মানসম্পন্ন ইট উৎপাদন না করে তাহলে তাদের লাইসেন্স বাতিল করে দেয়া হবে।

মন্ত্রী বলেন, গ্রামীণ, ইউনিয়ন পরিষদ এবং উপজেলা রাস্তা ও ব্রিজের স্ট্রাকচারাল ডিজাইন নির্ধারণ করে দেওয়া হয়েছে। রাস্তায় কি পরিমাণ এবং কি ধরনের গাড়ি চলাচল করবে তা আমলে নিয়ে ভবিষ্যৎ পরিকল্পনা করে অবকাঠামোগত কাজ করতে হবে।

মো. তাজুল ইসলাম বলেন, দেশের অর্থনৈতিক দিক বিবেচনা করে গুরুত্ব অনুযায়ী নতুন নতুন প্রজেক্ট নিতে হবে। যেসব প্রকল্পের প্রয়োজনীয়তা কম সেগুলো জরুরি ভিত্তিতে না নেওয়ার জন্য সকল প্রকল্প পরিচালকদের দৃষ্টি আকর্ষণ করেন তিনি।

কর্মকর্তাদের পারফরমেন্স মূল্যায়ন করার ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য প্রধান প্রকৌশলীকে নির্দেশনা দিয়ে তিনি বলেন, শুধু শাস্তি দিলে হবে না যারা ভালো কাজ করবে তাদেরকে পুরস্কৃত করতে হবে। নতুবা ভালো কাজে আগ্রহী হবে না। দক্ষ জনবল তৈরি করতে ট্রেনিং ইনস্টিটিউট করা হয়েছে। প্রতিষ্ঠানকে সুষ্ঠুভাবে পরিচালিত করতে হলে দক্ষ জনবল বিকল্প নেই বলেও মন্তব্য করেন স্থানীয় সরকার মন্ত্রী।

এসময় এলজিইডির উন্নয়নমূলক কার্যক্রমের উপর একটি উপস্থাপনা প্রদান করা হয়। উপস্থাপনায় এলজিইডির বিভিন্ন ইউনিটের কার্যক্রম সম্পর্কে মন্ত্রীকে অবহিত করেন প্রধান প্রকৌশলী।

এর আগে, মন্ত্রী স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তী উপলক্ষে ‘স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তী সৌধ’ এর উদ্বোধন করেন।

এলজিইডির প্রধান প্রকৌশলী সেখ মোহাম্মদ মহসিনের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন স্থানীয় সরকার বিভাগের সচিব মোহাম্মদ মেজবাহ্ উদ্দিন চৌধুরী। এছাড়া, স্থানীয় সরকার বিভাগ ও এলজিইডির ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাগণ উপস্থিত ছিলেন।

   

প্রীতি উরাংয়ের হত্যার ঘটনায় বিচার চায় সচেতন নাগরিক সমাজ



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, ঢাকা
ছবি: বার্তা২৪.কম

ছবি: বার্তা২৪.কম

  • Font increase
  • Font Decrease

ক্ষুদ্র নৃ গোষ্ঠী শিশু প্রীতি উরাংয়ের মৃত্যুর ঘটনায় জড়িতদের বিরুদ্ধে দ্রুত বিচারের দাবি জানিয়েছে সচেতন নাগরিক সমাজ।

বৃহস্পতিবার (২৫ এপ্রিল) প্রেসক্লাবের আব্দুস সালাম মিলনায়তনে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে এই দাবি জানান তারা।

‘নিজেরা করি’র সমন্বয়কারী অ্যাড. খুশী কবির বলেন, প্রীতি উরাংয়ের মৃত্যু মেনে নেওয়া যায় না। আপনাদের (সাংবাদিকদের) মাধ্যমে আমরা সবাই সোচ্চার হয়ে প্রীতি উরাংয়ের সুষ্ঠু বিচার ও নিরপেক্ষ তদন্ত চাই। সেইসঙ্গে আমরা সরকারকে স্পষ্টভাবে বলতে চাই সবার নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে।

লিখিত বক্তব্যে ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের সহযোগী অধ্যাপক ফারহা তানজীম তিতিল বলেন, “গৃহকর্মীদের সুরক্ষা এবং কল্যাণের জন্য বারবার সরকারের কাছে নাগরিক সমাজের পক্ষ থেকে দাবি ও অনুরোধ জনানো হলেও বাস্তবে আমরা এর কোনো প্রতিফলন দেখতে পাচ্ছি না। সাম্প্রতিক সময়ে গৃহকর্মীদের নির্যাতনের অসংখ্য ঘটনা আমাদেরকে এর প্রয়োজনীয়তার কথা বারবার মনে করিয়ে দিচ্ছে। এই বছরের ৬ ফেব্রুয়ারি ঢাকার মোহাম্মদপুরে সৈয়দ আশফাকুল হকের বাসায় ক্ষুদ্র নৃ গোষ্ঠী এই শিশুটির অস্বাভাবিক মৃত্যু ঘটেছে। ঘটনার সময় সৈয়দ আশফাকুল হক ইংরেজি দৈনিক ‘দ্য ডেইলি স্টার’ পত্রিকার নির্বাহী সম্পাদক হিসেবে কর্মরত ছিলেন। গত ৪ এপ্রিল তিনি চাকরিচ্যুত হন।

তিনি বলেন, প্রীতি উরাংয়ের অস্বাভাবিক মৃত্যুকে ঘিরে তাকে হত্যা করার অভিযোগ উঠেছে। এই ঘটনার সুষ্ঠু, স্বাধীন, নিরপেক্ষ, প্রভাবমুক্ত, পক্ষপাতহীন ও স্বচ্ছ তদন্ত এবং দ্রুত বিচারের মাধ্যমে দোষীদের কঠোর শাস্তি চাই আমরা। ওই বাসার আরো কয়েকজন শিশু গৃহকর্মী নির্যাতনের শিকার হয়েছে, সেইসব ঘটনার সুষ্ঠু, নিরপেক্ষ ও পক্ষপাতহীন তদন্ত ও সুষ্ঠু বিচারের দাবিতে আমরা সোচ্চার।

লিখিত বক্তব্যে তিতিল আরও বলেন, “সৈয়দ আশফাকুল হকের মোহাম্মদপুরের ওই ফ্ল্যাট থেকে গত বছর আগস্টে ৭ বছরের আরো একজন গৃহকর্মী পড়ে গিয়েছিল বা লাফ দিয়েছিল। সে বেঁচে আছে। পরপর ঘটে যাওয়া একই রকমের দুটি ঘটনা আমাদেরকে উদ্বিগ্ন করে। গণমাধ্যমে এই সংক্রান্ত তেমন অনুসন্ধানী কিছু পাচ্ছিলাম না। ফলে আমরা সরেজমিনে এই সম্পর্কে জানার চেষ্টা করি। আমাদের মধ্য থেকে কয়েকজন ব্রাহ্মণবাড়িয়া, মৌলভীবাজার, মোহাম্মদপুর, স্থানীয় থানা এবং সংশ্লিষ্ট হসপিটালে গিয়ে বিস্তারিত তথ্য জানার চেষ্টা করেছেন।

তিতিল বলেন, আমাদের কাছে প্রতীয়মান হয়েছে যথাযথ তদন্ত হলে অভিযোগের সত্যতা মিলবে। তাই সরকারের কাছে বিষয়টিকে বিশেষ গুরুত্ব দিয়ে ঘটনার নিরপেক্ষ, দ্রুত, সুষ্ঠু, পক্ষপাতহীন, প্রভাবমুক্ত ও স্বচ্ছ তদন্ত করে প্রকৃত অপরাধীদের বিচার সম্পন্ন করার দাবি জানাচ্ছি আজকের সংবাদ সম্মেলনে। হুবহু এক ঘটনার পুনরাবৃত্তি দুর্ঘটনা হতে পারে না। ‘অবহেলাজনিত মৃত্যুর’ মামলা দিয়ে হত্যা অপরাধকে আড়াল বা লঘু করা হচ্ছে, আমরা এমন আশঙ্কা করছি। আমাদের অনুসন্ধানে জেনেছি মৃত্যুর সময় প্রীতির বয়স ছিল ১৩ বছর (২০১৮ সালে ৭ বছর বয়সে প্রাক- প্রাথমিক স্কুল ছাড়ার বিবেচনায়)। তার স্কুলের নথি হারিয়ে গেছে বলে শিক্ষকরা জানিয়েছেন।

তিনি আরও বলেন, অভিযোগ রয়েছে সৈয়দ আশফাকুল হকের স্ত্রী তানিয়া খন্দকার প্রায়ই তার বাসায় কর্মরত গৃহকর্মীদের মারধর করতেন। একটি টিভি চ্যনেলে প্রীতিকে পরীক্ষাকারী একজন ডাক্তার বলেছেন, প্রীতির গলায় আঘাতের চিহ্ন রয়েছে। পায়ুপথের আকৃতি অস্বাভাবিকভাবে বড়। দুর্গামণি বাউরি নামে ওই বাড়ির আরেকজন শিশু গৃহকর্মী জানিয়েছে, সৈয়দ আশফাকুল হক তাকে বেল্ট দিয়ে মেরেছে। তার মাথায় রক্ত জমে গিয়েছিল। প্রীতিকে আট তলা থেকে ফেলে দিয়ে হত্যা করার অভিযোগ করেছে এলাকাবাসী। প্রীতির বাবা অভিযোগ করেছেন, ওই গৃহে কাজ করার সময় সৈয়দ আশফাকুল হকের পরিবার প্রীতিকে মা-বাবার সঙ্গে কথা বলতে দিত না। তারা পারিশ্রমিকও পেয়েছেন সামান্য।

তিনি বলেন, প্রীতি উরাং নামের শিশুটি পড়ে যাবার আগে মতান্তরে ১২/১৩ মিনিট ঝুলে ছিল। সে বাঁচার আকুতি জানিয়েছিল। কিন্তু আশফাকুল হকের বাসা থেকে কেউ তাকে সাহায্য করেনি। এলাকার বহু মানুষ এই ঘটনার সাক্ষী। আশপাশের মানুষজন সাহায্যের জন্য এগিয়ে যেতে চাইলেও ওই বাড়ির নিরাপত্তারক্ষীরা তাদেরকে ভেতরে ঢুকতে দেয়নি। এজাহারে প্রীতির বয়স ১৩ বছরের বদলে ১৫ বছর বলে উল্লেখ করা উদ্দেশ্যমূলক বলে আমাদের মনে করার সঙ্গত কারণ আছে। কোন প্রভাবশালী মহলের চাপে তদন্তকে ভিন্নখাতে প্রবাহিত করা হলে আমরা তা মেনে নেব না।

এ সময় সরকারের কাছে বিভিন্ন দাবি তুলে ধরেন তারা। এগুলো হলো—

প্রীতি উরাংয়ের অস্বাভাবিক মৃত্যু বা হত্যার সুষ্ঠু স্বাধীন নিরেপক্ষ, পক্ষপাতহীন, প্রভাবমুক্ত ও স্বচ্ছ তদন্ত করে দোষী ব্যক্তিদের আইনের আওতায় এনে কঠোর শাস্তি নিশ্চিত করতে হবে।

প্রীতি উরাংয়ের মৃত্যুকে অবহেলাজনিত হত্যাকাণ্ড বিবেচনা করা হলে তাকে ইচ্ছাকৃতভাবে হালকা করা হবে। এ মামলা অবিলম্বে নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনের আওতায় এনে নারী শিশু নির্যাতন ট্রাইব্যুনালে বিচার করতে হবে। এর জন্য যথাযথ কর্তৃপক্ষের কিংবা প্রয়োজনে উচ্চ বিচার বিভাগীয় নির্দেশনা দেবার জন্য আমরা দাবি জানাচ্ছি।

প্রীতির পরিবারকে যথোপযুক্ত আর্থিক ক্ষতিপূরণ প্রদান করতে হবে। সেইসাথে তার পরিবারের নিরাপত্তা নিশ্চিত করার লক্ষ্যে সকল ব্যবস্থা গ্রহণ করতে হবে।

আশফাকুল হকের বাসায় নির্যাতিত অন্য যে শিশুটি বেঁচে আছে তার যথোপযুক্ত চিকিৎসা ও শিক্ষার ব্যবস্থা নিশ্চিত করাসহ উপযুক্ত ক্ষতিপূরণ দিতে হবে।

শিশুটির শরীরের বিশেষ ক্ষতটি পরীক্ষা করে প্রকৃত ঘটনার তদন্ত করতে হবে। প্রয়োজনে আইনি প্রক্রিয়ায় দোষীদের চিহ্নিত করে যথাযথ শাস্তি দিতে হবে।

সৈয়দ আশফাকুল হকের বাসায় ৩ জন শিশু গৃহসহকারী ছিল। তারা ৭, ৮ এবং ১১ বছর বয়সে কাজে যোগ দেয়। বাংলাদেশের শ্রম আইন অনুযায়ী ১৪ বছর পূর্ণ হয়নি এমন ব্যক্তি শিশু। শ্রম আইনের ৩৪ ধারা অনুয়ায়ী, কোন শিশুকে কোন পেশায় বা প্রতিষ্ঠানে শ্রমিক হিসেবে নিয়োগ করা যায় না। সৈয়দ আশফাকুল হক কিংবা তার পরিবারের অন্য কোন সদস্যের বিরুদ্ধে শিশুদের উপর কোন নির্যাতেনের যে দৃষ্টান্ত রয়েছে সেগুলোর বিষয়ে বস্তুনিষ্ঠ তদন্তের দাবি জানাচ্ছি আমরা। সেই সাথে আইনি প্রক্রিয়ায় তার বিচার ও শাস্তির দাবি জানাচ্ছি।

যে দারোয়ানরা বাড়ির মালিকের ইশারায় বা নির্দেশে প্রীতিকে ঝুলন্ত অবস্থা থেকে উদ্ধার করতে দেয়নি, তাদেরকেও নিরপেক্ষ বিচারের আওতায় এনে শাস্তি নিশ্চিত করতে হবে। এই সঙ্গে ডেইলি স্টারের মৌলভীবাজার প্রতিনিধি মিন্টু দেশোয়ারা এবং প্রীতির মামা ফুলসাই ওঁরাংকে তদন্তের আওতায় আনার দাবি জানাচ্ছি।

চা বাগান থেকে আনা শিশুদেরকে পাচার করা এবং যৌনদাস করার জন্য কোনো চক্র কাজ করেছে কিনা, সেটাও আলাদাভাবে তদন্ত করে দেখার দাবি জানাচ্ছি।

শিশুশ্রম বিষয়ক নীতিমালাকে আইনে পরিণত করার জোর দাবি করছি। শ্রমে নিয়োগের ক্ষেত্রে শিশুর বয়স ১৪ বছরের পরিবর্তে ১৬ বছর করার দাবি করছি সরকারের কাছে। সেই সাথে গৃহকর্মীদের সুরক্ষা ও কল্যাণ নীতিমালায় গৃহে নিয়োগের ক্ষেত্রে শিশুর বয়স ১৪ বছরের পরিবর্তে ১৬ বছর করার জন্য সরকারের কাছে দাবি জানাচ্ছি।

২০১৭ সালে আদালেতের নির্দেশনা অনুযায়ী শ্রম মন্ত্রণালয়, জেলা প্রশাসক এবং উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তাকে নিযে গৃহকর্মীদের অধিকার রক্ষায় সারাদেশে মনিটরিং সেল গঠনের যে নির্দেশনা দেয়া হয়েছিল তা অবিলম্বে কার্যকরের জোর দাবি জানাচ্ছি। একই সাথে গৃহ শ্রমিকদের অধিকার সুরক্ষায় প্রতিটি বাড়ি পরিদর্শনের ব্যবস্থা নিশ্চিত করতে হবে।

সংবাদ সম্মেলনে অন্যান্যদের মধ্যে লেখক প্রিসিলা রাজ, বাংলাদেশ হিন্দু, বৌদ্ধ, খ্রিস্টান ঐক্য পরিষদের নেতা অ্যাড. রাণা দাশগুপ্ত, অ্যাড. তবারক হোসেন, লেখক রেহনুমা আহমেদ, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক গীতি আরা নাসরীন, অধ্যাপক জোবাইদা নাসরিন, কণ্ঠশিল্পী ফারজানা ওয়াহিদ শায়ান প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।

;

বগুড়ায় ধান ক্ষেতে পানি দিতে দেরি হওয়ায় সেচপাম্প মালিক খুন



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা ২৪.কম, বগুড়া
ছবি: বার্তা২৪.কম

ছবি: বার্তা২৪.কম

  • Font increase
  • Font Decrease

বগুড়ার গাবতলীতে ধান ক্ষেতে পানি দিতে দেরি হওয়াকে কেন্দ্র করে ছুরিকাঘাতে সেচ পাম্পের মালিক আমিনুল ইসলাম (৪৩) খুন হয়েছেন।

বৃহস্পতিবার (২৪ এপ্রিল) সকাল সাড়ে ৯টার দিকে গাবতলী উপজেলার নেপালতলী ইউনিয়নের বুরুজ গ্রামের এ ঘটনা ঘটে।

নিহত আমিনুল ইসলাম বুরুজ গ্রামের মোজাফফর হোসেনের ছেলে। ছুরিকাঘাতের সাথে জড়িত হৃদয় (২৩) নামের এক যুবককে স্থানীয় লোকজন আটক করে পুলিশে দিয়েছেন।

গাবতলী মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আবুল কালাম আজাদ এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।

নিহত আমিনুলের ছোট ভাই আব্দুর রহমান জানান, তার বড় ভাই সেচ পাম্প দিয়ে বাণিজ্যিকভাবে বিভিন্ন জনের জমিতে পানি সেচ দিয়ে থাকেন। একই গ্রামের আব্দুল মালেকের ছেলে দিপনের জমিতে সেচ দিতে দেরি হওয়াকে কেন্দ্র করে গত কয়েকদিন আগে আমিনুলের বিরোধ সৃষ্টি হয়। এর জের ধরে বৃহস্পতিবার সকাল সাড়ে ৯টার দিকে হৃদয় নামের ওই যুবক সেচ পাম্পের কাছে গিয়ে আমিনুলকে তাৎক্ষণিক দিপনের জমিতে সেচ দিতে বলে। এ নিয়ে তাদের মধ্যে তর্কবিতর্কের এক পর্যায় হৃদয় ছুরি বের করে আমিনুলের বুকে ও পাজরে আঘাত করে।

তিনি জানান, স্থানীয় লোকজন সঙ্গে সঙ্গে হৃদয়কে আটক করে এবং আমিনুলকে উদ্ধার করে বগুড়া শহীদ জিয়াউর রহমান মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করে দেন। সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় বেলা ১১টায় তিনি মারা যান। এদিকে আমিনুল মারা যাওয়ার খবর পেয়ে দিপন সপরিবারে বাড়ি ছেড়ে আত্মগোপন করেন।

গাবতলী মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) জানান, আটক হৃদয়ের বাড়ি বগুড়া শহরের নিশিন্দারা এলাকায়। গাবতলীর বুরুজ গ্রামের তার নানা বাড়ি।সেখানে বেড়াতে গিয়ে আমিনুলকে ছুরিকাঘাত করে। এ ঘটনায় মামলার প্রস্তুতি চলছে। আমিনুল ইসলামের মরদেহ ময়নাতদন্তের জন্য মর্গে রাখা হয়েছে।

;

পুলিশ হেফাজতে দুদক কর্মকর্তার মৃত্যু: আরও ১ আসামি গ্রেফতার



স্টাফ করেপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, চট্টগ্রাম
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

চট্টগ্রাম নগরীর চান্দগাঁও থানায় পুলিশ হেফাজতে দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) অবসরপ্রাপ্ত কর্মকর্তা ছৈয়দ মোহাম্মদ শহীদুল্লাহর মৃত্যুর ঘটনায় দায়ের হওয়া মামলার অন্যতম আসামি এসএম আসাদুজ্জামানকে (৫২) গ্রেফতার করেছে পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশন (পিবিআই)।

বৃহস্পতিবার (২৫ এপ্রিল) সকাল সাড়ে ১১টার দিকে নগরীর বায়েজিদ বোস্তামী থানাধীন মোজাফফর নগর এলাকা থেকে তাকে গ্রেফতার করে পুলিশ পিবিআই মেট্রো ইউনিটের একটি টিম।

গ্রেফতার আসাদুজ্জামান ওই মামলা ৫ নম্বর আসামি। তিনি চান্দগাঁও থানা এলাকার বাসিন্দা।

এর আগে গত ২৫ ডিসেম্বর রাতে বাকলিয়া থানার রাহাত্তালপুল এলাকা থেকে ঐ মামলার আসামি জসীম উদ্দীন ও গত ১২ ফেব্রুয়ারি নগরের চকবাজার এলাকা থেকে আসামি মো. লিটনকে গ্রেফতার করে পিবিআই।

পিবিআই চট্টগ্রাম মেট্রো ইউনিটের পরিদর্শক মো. ইলিয়াস খান বলেন, অবসরপ্রাপ্ত দুদক কর্মকর্তা ছৈয়দ মোহাম্মদ শহীদুল্লাহর মৃত্যুর ঘটনায় নির্যাতন ও হেফাজতে মৃত্যু (নিবারণ) আইনে করা মামলার আসামি এসএম আসাদুজ্জামানকে বায়েজিদ বোস্তামী এলাকা গ্রেফতার করা হয়েছে।

গত বছরের ১৬ অক্টোবর চট্টগ্রাম মহানগর দায়রা জজ ড. বেগম জেবুননেছার আদালতে মামলাটি দায়ের করেন ভুক্তভোগী শহীদুল্লাহর স্ত্রী ফৌজিয়া আনোয়ার। মামলাটি আমলে নিয়ে চান্দগাঁও থানায় রেকর্ড করে পিবিআইকে তদন্তের নির্দেশ দিয়েছিলেন আদালত।

ওই মামলায় চান্দগাঁও থানার তৎকালীন ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) খাইরুল ইসলাম, সহকারী উপ-পরিদর্শক (এএসআই) মো. ইউসুফ, এএসআই সোহেল রানা, থানার পরিদর্শক (তদন্ত) মো. মবিনুল হক, চান্দগাঁও থানা এলাকার বাসিন্দা এসএম আসাদুজ্জামান (৫২), মো. জসীম উদ্দীম (৩৭), মো. লিটন (৪৮), রনি আক্তার তানিয়া (২৬) ও কলি আক্তারসহ (১৯) মোট নয়জনকে আসামি করা হয়েছিল।

এজাহারে উল্লেখ করা হয়, ভুক্তভোগী ছৈয়দ মোহাম্মদ শহীদুল্লাহ ২০১৮ সালে দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) উপ-পরিচালক (ডিডি) পদ থেকে অবসর নেন। তিনি নগরের চান্দগাঁও থানার এক কিলোমিটার এলাকায় বসবাস করতেন। সেখানে জমি নিয়ে স্থানীয় কয়েকজনের সঙ্গে বিরোধের জের ধরে গত ২৯ আগস্ট ছৈয়দ মোহাম্মদ শহীদুল্লাহ ও তার শ্যালক মোহাম্মদ কায়সার আনোয়ারের বিরুদ্ধে আদালতে মামলা করেন রনি আক্তার তানিয়া নামে এক ব্যক্তি। আদালত মামলার শুনানি শেষে আদালতের বিচারক ওইদিনই অপরাধ আমলে নিয়ে অভিযুক্ত দুজনের বিরুদ্ধে সমন জারি করেন।

ওই সমন সংশ্লিষ্ট আদালতের বেঞ্চ সহকারী হারুন অর রশীদ গায়েব করে ফেলেন। ফলে আসামিরা আদালতে হাজির হওয়ার কোনো সমন পাননি। এরপর মামলার পরবর্তী তারিখ দেন আদালত। ওই তারিখে মামলার বাদী হাজির না হওয়ায় তার আইনজীবী সময়ের আবেদন করেন। কিন্তু ওইদিনই আদালত দুই আসামির বিরুদ্ধে ওয়ারেন্ট জারি করে দেন। এরপর গত ৩ অক্টোবর রাতে শহীদুল্লাহকে বাসা থেকে আদালতের ওয়ারেন্ট দেখিয়ে গ্রেফতার করে নগরের চান্দগাঁও থানা পুলিশ। থানায় নেওয়ার পর ভুক্তভোগী শহীদুল্লাহকে নির্যাতন করা হয়। একপর্যায়ে কয়েক ঘণ্টার মধ্যে ছৈয়দ মোহাম্মদ শহীদুল্লাহ’র মৃত্যু হয়।

;

তিস্তা মহা পরিকল্পনা বাস্তবায়নের দাবিতে মানববন্ধন



ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, লালমনিরহাট
ছবি: বার্তা২৪.কম

ছবি: বার্তা২৪.কম

  • Font increase
  • Font Decrease

তিস্তা মহাপরিকল্পনা বাস্তবায়নের দাবিতে লালমনিরহাটের হাতীবান্ধায় মানববন্ধন করেছে তিস্তা বাঁচাও নদী বাঁচাও সংগ্রাম কমিটি।

বৃহস্পতিবার (২৫ এপ্রিল) দুপুরে উপজেলা পরিষদের সামনে লালমনিরহাট-বুড়িমারী মহা সড়কে এ মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়।

এতে বক্তব্য রাখেন, তিস্তা বাঁচাও নদী বাঁচাও সংগ্রাম কমিটি-র সাধারণ সম্পাদক সফিয়ার রহমান, ডাউয়াবাড়ী ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মশিউর রহমান, পাটিকাপাড়া ইউনিয়ন পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান ওছমান গনি, সিঙ্গিমারী ইউনিয়নের সাবেক চেয়ারম্যান এম জি মোস্তফা ও সাংবাদিক আসাদুজ্জামান সাজু।

পরে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার মাধ্যমে প্রধানমন্ত্রী বরাবর স্মারকলিপি প্রদান করেন তিস্তাপাড়ের লোকজন।

;