সীতাকুণ্ডে আগুন: ডিএনএ টেস্টের পর মরদেহ হস্তান্তর

  সীতাকুণ্ডে ডিপোতে আগুন
  • ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, চট্টগ্রাম
  • |
  • Font increase
  • Font Decrease

সীতাকুণ্ডে আগুন: ডিএনএ টেস্টের পর মরদেহ হস্তান্তর

সীতাকুণ্ডে আগুন: ডিএনএ টেস্টের পর মরদেহ হস্তান্তর

চট্টগ্রামের সীতাকুণ্ড উপজেলার ভাটিয়ারি এলাকার বিএম ডিপোর আগুন ১৫ ঘণ্টা পার হলেও এখনো নিয়ন্ত্রণে আসেনি। ভয়াবহ বিস্ফোরণে ফায়ার সার্ভিসের সাত কর্মকর্তাসহ এখন পর্যন্ত ৩৮ জন নিহত হয়েছেন। আহত হয়েছেন প্রায় তিন শতাধিক মানুষ।

এদিকে নিহতদের নিতে স্বজন হাসপাতালে ভিড় করছেন। তবে চট্টগ্রামে সীতাকুণ্ডে বিএম কন্টেইনারে ভয়াবহ বিস্ফোরণে নিহতদের প্রত্যেকের ময়নাতদন্ত ও ডিএনএ টেস্ট করা হবে বলে জানিয়েছেন নগরের চকবাজার জোনের সহকারী পুলিশ কমিশনার মো. শহিদুল ইসলাম।

বিজ্ঞাপন

তিনি বলেন, নিহতদের পরিবার ও স্বজনদের অনেকে হাসপাতালে মরদেহ শনাক্তের পর নিয়ে যেতে চাইছেন। তবে নিহতদের সবার ময়নাতদন্ত ও ডিএনএ টেস্ট করা হবে। যাবতীয় নিয়ম অনুসরণ করে পরিবার ও স্বজনদের মরদেহ হস্তান্তর করা হবে।

সীতাকুণ্ডের আগুন নিয়ন্ত্রণে ফায়ার সার্ভিসের ২৫টি ইউনিট কাজ করছে। আগুন নিয়ন্ত্রণ ও উদ্ধার তৎপরতায় সহযোগিতার কাজে যোগ দিয়েছে বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর একটি দল।

বিজ্ঞাপন

শনিবার (৪ জুন) রাত নয়টার দিকে বিএম কন্টেইনার ডিপোর লোডিং পয়েন্টের ভেতরে আগুনের সূত্রপাত হয়। কুমিরা ফায়ার সার্ভিসের তিনটি ইউনিটের সদস্যরা ঘটনাস্থলে গিয়ে প্রথমে আগুন নিয়ন্ত্রণের চেষ্টা করেন। রাত পৌনে ১১টার দিকে এক কন্টেইনার থেকে অন্য কন্টেইনারে আগুন ছড়িয়ে পড়ে। রাসায়নিক থাকায় একটি কন্টেইনারে বিকট শব্দে বিস্ফোরণ ঘটে। এতে ফায়ার সার্ভিস, পুলিশ, স্থানীয় শ্রমিকসহ অনেকে হতাহত হন। পুড়ে যায় ফায়ার সার্ভিসের একটি গাড়িও।

ধীরে ধীরে ফায়ার সার্ভিসের আরও ইউনিট আগুন নেভানোর কাজে যোগ দেন। তবে ডিপোতে হাইড্রোজেন পারক্সাইড থাকার কারণে আগুন নিয়ন্ত্রণে আনা যাচ্ছে না বলে জানিয়েছেন ফায়ার সার্ভিসের মহাপরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মো. মাইন উদ্দিন। ঘটনাস্থল পরিদর্শনে গিয়ে এ কথা জানিয়েছেন ডিজি।