সবার দৃষ্টি পদ্মা সেতুতে!

  ‘স্বপ্ন ছুঁয়েছে’ পদ্মার এপার-ওপার
  • সোহেল মিয়া, স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, রাজবাড়ী
  • |
  • Font increase
  • Font Decrease

সবার দৃষ্টি পদ্মা সেতুতে!

সবার দৃষ্টি পদ্মা সেতুতে!

দেশি-বিদেশি ষড়যন্ত্র আর সব ধরনের জল্পনা-কল্পনা ভেদ করে এখন সগৌরবে মাথা উচুঁ করে দাঁড়িয়ে রয়েছে ১৭ কোটি বাঙালির লালিত স্বপ্নের পদ্মা সেতু। হাতছানি দিচ্ছে অর্থনৈতিক মুক্তির। এ যেন বাঙালির স্বাধীনতা পরবর্তী আরেক বিজয়। ঘাত-প্রতিঘাত আর সমালোচকদের কড়া সমালোচনায় যখন পদ্মা সেতুর নিমার্ণ কাজ ব্যাহত হচ্ছিল ঠিক সময়ে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার দৃঢ় মনোবল আর সঠিক দিক নির্দেশনায় দুর্বার গতিতে এগিয়ে চলে পদ্মা সেতুর উন্নয়নের কাজের মহাযজ্ঞ।

বৈরী আবহাওয়া, নদীতে তীব্র স্রোত, বিশ্বব্যাপী মহামারি করোনার প্রভাব আর ষড়যন্ত্র সব কিছুকে শক্তভাবে মোকাবেলা করেই আজকের এই পদ্মা সেতু। কিছুদিন আগেও যারা গুজব ছড়িয়েছিলেন তাদের মুখেই এখন শোভা পাচ্ছে পদ্মা সেতুর গুণগান। বঙ্গবন্ধুর কন্যাকে যে দমিয়ে রাখা সম্ভব নয় সেটা তারা বুঝেই এখন সুর পাল্টাচ্ছেন। সব জায়গায় এখন পদ্মা সেতুর গল্প।

বিজ্ঞাপন

সবাই এখন স্বপ্নে বিভোর পদ্মা সেতু পাড়ি দেবার। আর মাত্র কয়েকটা দিন। সব কিছু ঠিক থাকলে চলতি মাসের ২৫ তারিখেই হবে স্বপ্নের সেতুর উদ্বোধন। সেতুর স্বপ্নদ্রষ্টা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা নিজেই উদ্বোধন করবেন বলে ইতিমধ্যে জানিয়েছেন সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ। উদ্বোধনকে ঘিরে এখন চলছে মহা সমারোহ। সেতুটিকে সাজাতে দিন রাত কাজ করছে সেতু কর্তৃপক্ষ।

যেদিন ঘোষণা করা হয়েছে ২৫ জুন হবে পদ্মা সেতুর উদ্বোধন সেদিন থেকেই বাংলার ১৭ কোটি মানুষ অধীর অপেক্ষায় রয়েছে দিনটির জন্য। কবে আসবে কাঙ্ক্ষিত ২৫ জুন। সবার দৃষ্টি এখন পদ্মা সেতুর দিকে। কি ঘটতে যাচ্ছে ঐ দিন। ইতিহাসের পাতায় স্বর্ণাক্ষরে নাম লেখাতে যাচ্ছে বাঙালি ও বাংলাদেশ। স্বাধীনতা পরবর্তী পদ্মা সেতুর উদ্বোধন হবে বাঙালি জাতির অর্থনৈতিক মুক্তির স্বাধীনতা। বাংলাদেশ আজ যে উন্নয়নের মহাসড়কে দাঁড়িয়ে আছে  নিজস্ব অর্থায়নে করা পদ্মা সেতুই সেটির জ্বলন্ত প্রমাণ।

বিজ্ঞাপন

শুধু সরকার দলীয় নেতাকর্মীই নয়, পদ্মা সেতু নিয়ে প্রতিদিন আলোচনা-সমালোচনায় ব্যস্ত দেশের বিরোধী দলগুলোর শীর্ষ পর্যায়ের নেতারা। পদ্মা সেতুর শুরুতে যেভাবে সমালোচনায় মুখর ছিলেন এখনো তারা সমান ভাবে পদ্মা সেতু ও সরকারের সমালোচনা করে ব্যস্ত সময় কাটাচ্ছেন। তবে নিন্দুকের মুখে ছাই মেরে সকল সমালোচনার কড়া জবাব দিয়ে সেতুর উদ্বোধনের সকল প্রস্তুতি সম্পন্ন করতে দিনরাত কাজ করছেন সেতু কর্তৃপক্ষ ও সরকার। 


তাই তো সবার দৃষ্টি এখন সেতুটির দিকে। শুধু দেশের মানুষের নয়;  বিশ্বের যে সকল দেশ ও আর্থিক প্রতিষ্ঠানগুলো পদ্মা সেতু নিমার্ণের শুরুতেই দুর্নীতির অভিযোগ তুলে সরকারের সমালোচনায় কঠোর অবস্থানে ছিলেন তারাও এখন দৃষ্টি রেখেছেন পদ্মা সেতুর দিকে। কি ঘটতে যাচ্ছে বাংলাদেশে তা জানার জন্য সবার দৃষ্টি এখন ২৫ তারিখের পদ্মা সেতুর দিকে। বিশ্বের সকল গণমাধ্যম এরই মধ্যে প্রশংসায় পঞ্চমুখ সেতুটির। সেই সাথে সরকারের সাহসিকতা ও সফলতা নিয়ে তারা তৈরি করছে আন্তর্জাতিক প্রতিবেদন। এই দৃষ্টি সবার থাকবে মাহেন্দ্রক্ষণ ২৫ জুন।

উল্লেখ্য,  ২০১৪ সালের ডিসেম্বরে পদ্মা সেতুর নির্মাণ কাজ শুরু হয়। তারপর স্বপ্নের সেতুর প্রথম স্প্যান বসানো হয়েছিল ২০১৭ সালে।মূল সেতু নির্মাণের জন্য কাজ করেছেন চীনের ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান চায়না মেজর ব্রিজ ইঞ্জিনিয়ারিং কোম্পানি (এমবিইসি) ও নদীশাসনের কাজ করেছেন দেশটির আরেকটি প্রতিষ্ঠান সিনো হাইড্রো করপোরেশন।