পদ্মা সেতু: ইতিহাসের সাক্ষী হতে রাজবাড়ী ছাড়বেন লাখো মানুষ

  ‘স্বপ্ন ছুঁয়েছে’ পদ্মার এপার-ওপার
  • স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, রাজবাড়ী
  • |
  • Font increase
  • Font Decrease

ছবি: বার্তা২৪.কম

ছবি: বার্তা২৪.কম

২৫ জুন (শনিবার) বাঙালি জাতির জন্য একটি স্মরণীয় ও স্মৃতিময় দিন। এই দিনটির জন্য কোটি মানুষ অপেক্ষায় রয়েছেন। অপেক্ষার পালা প্রায় শেষের পথে। আর মাত্র বাকি তিনদিন। তিনদিন পরেই উদ্বোধন হবে ১৭ কোটি মানুষের স্বপ্নের পদ্মা সেতু। আর এটি উদ্বোধন করবেন পদ্মা সেতু নির্মাণের স্বপ্নদ্রষ্টা বঙ্গবন্ধু কন্যা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। এরই মধ্যে উদ্বোধনের সকল প্রস্তুতি সম্পন্ন করেছেন সরকার ও সেতু কর্তৃপক্ষ।

ইতিহাসের সাক্ষী হতে এদিন রাজবাড়ী ছাড়বেন প্রায় লাখো মানুষ। পদ্মা সেতুর উদ্বোধনকে ঘিরে রাজবাড়ীর পাঁচটি উপজেলার শহর থেকে প্রত্যন্ত গ্রামঞ্চলে চলছে নানা হিসাব-নিকাশ। পদ্মা সেতুর উদ্বোধনের দিনটি নিজেদের জীবনকে স্মরণীয় করে রাখার জন্য সবাই নিচ্ছেন প্রস্তুতি। এদিন লাখো মানুষ রাজবাড়ী থেকে পদ্মা সেতুর উদ্দেশ্যে রওনা হবেন।

বিজ্ঞাপন

পদ্মা সেতুর উদ্বোধনের দিনটি রাজবাড়ীবাসীকে সম্পৃক্ত করতে দিনরাত কাজ করছেন জেলা আওয়ামী লীগের শীর্ষ নেতৃবৃন্দ। এরই মধ্যে জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি রাজবাড়ী-২ আসনের সংসদ সদস্য বীর মুক্তিযোদ্ধা মো. জিল্লুল হাকিম নেতাকর্মীদের সাথে নিয়ে প্রতিনিয়ত মিটিং করে পরিকল্পনা করছেন কিভাবে সুন্দর ও সুষ্ঠুবে সবাইকে পদ্মা সেতুর উদ্বোধনের সাক্ষী করে রাখা যায়। সেতুর উদ্বোধন উপলক্ষে রাজবাড়ী জেলা আওয়ামী লীগের আয়োজনে দলীয় সকল সংগঠনের নেতাকর্মীদের সাথে মতবিনিময় ও প্রস্তুতি সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে।

১৪ জুন বিকালে জেলা আওয়ামী লীগ কার্যালয়ের হলরুমে জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি রাজবাড়ী-২ আসনের সংসদ সদস্য বীর মুক্তিযোদ্ধা মো. জিল্লুল হাকিমের সভাপতিত্বে মতবিনিময় সভায় জেলা আওয়ামী লীগের সহ সভাপতি রাজবাড়ী-১ আসনের সংসদ সদস্য আলহাজ্ব কাজী কেরামত আলী বক্তব্য রাখেন।

বিজ্ঞাপন
প্রস্তুতিমূলক সভা

সংসদ সদস্য মো. জিল্লুল হাকিম বার্তা২৪.কম-কে বলেন, ২৫ জুন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা পদ্মা সেতু উদ্বোধন করবেন। এ জন্য দেশের মানুষের মধ্যে ব্যাপক উৎসাহ-উদ্দীপনা বিরাজ করছে। আমার কাছে মনে হচ্ছে সেখানে ২০ থেকে ২৫ লাখ লোকের সমাগম ঘটবে। রাজবাড়ী থেকে আমরা বাসে করে ওই উদ্বোধন অনুষ্ঠানে যোগদান করে ইতিহাসের সাক্ষী হবো। যারা যেতে পারবেন না তাদের জন্য প্রতিটি উপজেলায় বড় পর্দায় দেখানো হবে। কেউ মোটরসাইকেল নিয়ে যাবেন না। রাজবাড়ী থেকে যে গাড়িগুলো যাবে তার প্রতিটিতে ভলান্টিয়ার থাকবে । আমরা শান্তিপূর্ণভাবে ওই অনুষ্ঠানে অংশগ্রহণ করবো। আশা করছি ওই দিন রাজবাড়ী থেকে লাখো মানুষ শরীক হবে প্রধানমন্ত্রীর জনসভায়।

সাবেক শিক্ষা প্রতিমন্ত্রী রাজবাড়ী-১ আসনের সংসদ সদস্য আলহাজ্ব কাজী কেরামত আলী বলেন, স্বপ্নের পদ্মা সেতু উদ্বোধন অনুষ্ঠানে আমরা রাজবাড়ী থেকে যোগদান করবো । এ উপলক্ষে প্রতিটি উপজেলা, পৌরসভা ও ইউনিয়নে বাস দেওয়া হবে । সবাই মিলে সুন্দরভাবে ওই অনুষ্ঠানে যোগ দিয়ে আমরা ইতিহাসের সাক্ষী হবো।