রোগীর এন্টি এইচসিভি (আইসিটি) পরীক্ষায় অতিরিক্ত টাকা নেওয়ায় রাজশাহীর আমানা হাসপাতাল লিমিটেডকে ২০ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়েছে। জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তরের রাজশাহী বিভাগীয় কার্যালয়ের সহকারী পরিচালক হাসান-আল-মারুফ এ অভিযান চালান।
তিনি জানান, মনিটরিংয়ের অংশ হিসেবে মঙ্গলবার (২১ জুন) দুপুরে নগরীর লক্ষ্মীপুর ঝাউতলা মোড়ের আমানা হাসপাতালে যান তিনি। এ সময় তিনি দেখেন, চার্টে এন্টি এইচসিভি (আইসিটি) পরীক্ষার ফি লেখা আছে ৬০০ টাকা। কিন্তু এক রোগীর কাছ থেকে ভাউচার নিয়ে দেখা যায়, এই পরীক্ষাটি করতে নেওয়া হয়েছে এক হাজার টাকা। এ কারণে প্রতিষ্ঠানটিকে ২০ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়েছে।
প্রতিষ্ঠানের ব্যবস্থাপক তাৎক্ষণিক জরিমানার অর্থ পরিশোধ করেছেন। ভবিষ্যতের জন্য হাসপাতালটিকে সতর্ক করা হয়েছে বলেও জানান ভোক্তা অধিকারের কর্মকর্তা হাসান-আল-মারুফ।
কালুরঘাট সেতু হবে পদ্মা সেতুর আদলে, ব্যয় ৬৩৪১ কোটি টাকা
স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, চট্টগ্রাম
কালুরঘাট সেতু হবে পদ্মা সেতুর আদলে, ব্যয় ৬৩৪১ কোটি টাকা
জাতীয়
চট্টগ্রামের কালুরঘাট সেতু। নাম শুনলেই যেন অপেক্ষা আর শঙ্কার কথা মনে এসে যায়। চোখে ভাসে দীর্ঘ লাইনের সারি সারি গাড়ি। আবার ট্রেন আসলে থমকে যায় লাশবহণকারী গাড়িও। অবশেষে এতসব শঙ্কা ও অপেক্ষার বিদায় দিয়ে আলোর মুখ দেখছে শতবর্ষী এই সেতু।
৬ হাজার ৩৪১ কোটি টাকা ব্যয়ে পদ্মা সেতুর আদলে তৈরি হবে কালুরঘাট সেতু। ২০২৩ সালের প্রথম দিকে শুরু হতে পারে এই সেতুর কাজ। ৭৮০ মিটারের সেতুটির নির্মাণে সময় লাগবে ৪ বছর। পদ্মাসেতুর মতো এ সেতুর ওপরে চলবে গাড়ি আর নিচে ট্রেন। দুটুই চলবে দুই লাইনে। অর্থাৎ ট্রেন-গাড়ি একই সময়ে আসা যাওয়া করতে পারবে।
বুধবার (৬ জুলাই) সকাল ১১টার দিকে রেলওয়ে পূর্বাঞ্চলের সদর দপ্তর সিআরবিতে কালুরঘাট রেল কাম সড়ক সেতুর অগ্রগতি নিয়ে বৈঠকে নতুন সেতুর প্রস্তাবিত নকশা, টেন্ডার, ব্যয় ও নির্মাণসহ আনুষঙ্গিক বিষয়ে সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা হয়।
বৈঠক শেষে রেলওয়ে পূর্বাঞ্চলের মহাব্যবস্থাপক জাহাঙ্গীর হোসেন বলেন, কালুরঘাট সেতু নিয়ে কোরিয়ান এক্সিম ব্যাংক ফিজিবিলিটি স্টাডি করছে। আমাদের যেটা জানানো হয়েছে সেটি হচ্ছে, ব্রিজের ওপরের ডেকে থাকবে সড়ক আর নিচের ডেকে থাকবে রেললাইন। দুটুই দুই লাইনের হবে। প্রাথমিকভাবে ব্রিজের দৈর্ঘ্য আমাদের বলা হয়েছে ৭৮০ মিটার, ভায়াডাক্ট ৫ দশমিক ৬২ মিটার। স্পেন হবে ১০০ মিটার। ব্রিজের উচ্চতা হবে ১২ দশমিক ২ মিটার। আগামী আগস্ট মাসে ফাইনাল প্রকল্পের সম্ভাব্যতা যাচাইয়ের রিপোর্ট জমা দেবে। এরপর টেন্ডার হবে। আমাদের বলা হয়েছে টেন্ডারের পর নির্মাণকাল প্রায় ৪ বছর। আমাদের টেন্ডার শেষ করতে প্রায় ৬-৮ মাস সময় লাগবে। তারপর ইডিসিএফ ফান্ড দেবে। ফান্ড দিলে কাজ শুরু হবে। সে ক্ষেত্রে ৬ হাজার ৩৪১ কোটি টাকার মতো মোট খরচ হবে বলে আমাদের বলা হয়েছে।
বৈঠক শেষে সংসদ সদস্য বীর মুক্তিযোদ্ধা মোছলেম উদ্দিন আহমেদ বলেন, কালুরঘাট নতুন সেতু নির্মাণের জন্য ২০১০ সালে কর্ণফুলী তৃতীয় সেতু যখন উদ্বোধন করতে এসেছিলেন আমাদের প্রধানমন্ত্রী। সেদিন আমরা সিডিএ'র মাঠে একটা জনসভা করেছিলাম। সেখানে তিনি ঘোষণা করেছিলেন যে, কালুরঘাটেও নতুন একটি সেতু নির্মাণ করে দিবেন। যেটাতে একসাড়ে গাড়ি এবং ট্রেন চলতে পারবে।
কিন্তু দীর্ঘ এগারো বছর সময় গিয়ে আমার আগেও যিনি এমপি ছিলেন তিনিও চেষ্টা করেছিলেন, হয়নি। এবং দুর্ভাগ্য হচ্ছে বিভিন্ন জটিলতার কারণে এটি একনেকে গিয়েও ফেরত আসছে। তখন কিন্তু খরচও অনেক কম ছিল। যা হউক শেষ পর্যন্ত আমি দায়িত্বে আসার পর এটি নিয়ে যখন আবার কাজ শুরু করলাম। পরে এটি নকশার জন্য টেন্ডার হলো। মধ্য দিয়ে মাননীয় প্রধানমন্ত্রী একনেকের মিটিংয়ে বললেন এটি আবার রিভাইস করে আনার জন্য। মধ্যদিয়ে কিছু ভুল বুঝাবুঝি হয়ে লেখা হয়েছিল যে দুইটা সেতু করার জন্য। একটা রেলসেতু আরেকটা সকড়সেতু।
তিনি আরও বলেন, পরবর্তী সময়ে এরা আবার ওইটা নকশা করে যখন প্রধানমন্ত্রীর কাছে নিয়ে যায়। তখন তিনি বলেন, আমি তো এরকম বলিনি। একটি সেতু হবে। সেটিতে সড়ক ও ট্রেনসেতু থাকবে। প্রধানমন্ত্রী অগ্রাধিকার প্রকল্পের এক নম্বরে দিয়েছেন, এক্সজিম ব্যাংক ফান্ড দেবেন। এবং সরকারের সাথে তাদের কয়েকবার বৈঠকও হয়েছে।
মোছলেম উদ্দিন বলেন, আমি দায়িত্ব নেয়ার পর থেকে করোনাকালিন সংকটের মধ্যেও প্রতিনিয়ত প্রন্ত্রণালয় ও স্থানীয় রিসোর্ট ডিভিশন, যারা অর্থায়নের জন্য বিদেশের সাথে কথা বলেছিল। তাদের সাথে সচিব, মন্ত্রী, প্রধানমন্ত্রী মিলে বারবার কথা বলার পরে পুনরায় টেন্ডার হয়েছে। ভাগ্যভাল ওই টেন্ডারে আগে যারা স্টাডি করেছিল তারাই আবার কাজটি পেয়েছে। ফলে খুব কম সময়ে ডিজাইনটা সাবমিট করছে। তবে এর আগে রেলসহ অন্যান্যদের সাথে আলাপ করে আরও সুন্দর ও পরিপুষ্টভাবে তৈরি করে সরকারের কাছে জমা দেওয়ার জন্য তারা কিছু সময় নিয়েছে। আগামী আগাস্টে তারা সেটি জমা দিবেন। এই জন্য আজকে রেলের সাথে একটি চূড়ান্ত বৈঠক হয়েছে।
তাদেরকে আমরা আরেকটা প্রস্তাব দিলাম, দুই পাশে গাড়ি ওঠা নামার জন্য তারা যে স্থানটি ঠিক করেছে। এটি সরজমিনে দেখে রেলের আরও জায়গা আমাদের মতে মানুষে দখলে আছে সেগুলো সহ নিয়ে এটি করার জন্য তাদেরকে একটি সুপারিশমালা দিয়েছি। এ জন্য আগামীতে হয় তো আরেকবার কালুরঘাটে বা জানালি হাটের ওইদিকে একটি বৈঠক হবে। এটি পদ্মাসেতুর আদলে ব্রিজটা হচ্ছে। নিচ দিয়ে রেললাইন যাবে। তবে আসা যাওয়ার জন্য রেললাইন দুইটা থাকবে। খুবই সুন্দর একটা ডিজাইন করছে। কিন্তু প্রায় ৬ হাজার কোটি টাকার মতো খরচ বেড়েছে।
তবে নতুন সেতুটি আগের স্থান থেকে আরেকটু আগের দিকে অর্থাৎ হালদা নদীর ৭০ মিটার উজানের দিকে হবে বলেও জানান এই সংসদ সদস্য।
মেট্রোরেলের ৬টি কোচ ও ২টি ইঞ্জিন নিয়ে মোংলা বন্দরে
জাতীয়
জাপানের কোবে বন্দর থেকে মেট্রোরেলের দশম চালানের ৬টি কোচ, ২ ইঞ্জিন ও ৪৮ প্যাকেজ মেশিনারী পণ্য নিয়ে ছেড়ে আসা বিদেশি জাহাজ এমভি এসপিএম ব্যাংকক মোংলা বন্দরের ৭ নম্বর জেটিতে ভিড়েছে। বুধবার সন্ধ্যা সাড়ে ৬টায় জাহাজ মোংলা বন্দরে জেটিতে ভিড়েছে।
রাতে জাহাজ থেকে শুধু মেশিনারী প্যাকেজ পণ্য নামানো হবে। আর কোচ ও ইঞ্জিন বৃহস্পতিবার ভোর ৬ থেকে নামানো হবে বলে জানিয়েছেন জাহাজটির স্থানীয় শিপিং এজেন্ট।
বিদেশি জাহাজটির স্থানীয় শিপিং এজেন্ট এনশিয়েন্ট স্টিম শিপ কোম্পানীর ব্যবস্থাপক মোঃ ওয়াহিদুজ্জামান জানান, বুধবার বিকেল সাড়ে ৬টায় ৬টি কোচ ও ২টি ইঞ্জিনসহ বিভিন্ন ধরণের মেশিনারী পণ্যের ৪৮টি প্যাকেজ নিয়ে জাপান থেকে গত ৩ জুন ছেড়ে আসা এসপিএম ব্যাংকক জাহাজ মোংলা বন্দরে ভিড়েছে। বন্দরের ৭ নম্বর জেটিতে অবস্থান নেয়া এ জাহাজ হতে সন্ধ্যা থেকে রাতভর শুধু মেশিনারী পণ্যের প্যাকেজ নামানো হবে। আর বৃহস্পতিবার ভোর ৬টা থেকে সাবধানে গুরুত্বপূর্ণ ভারী ও মূল্যবান কোচ এবং ইঞ্জিন নামানো হবে।
এসব মালামাল নামিয়ে দিয়ে বিদেশি জাহাজটি বৃহস্পতিবার বিকেলেই এ বন্দর ত্যাগ করবে। জাহাজ থেকে সরাসরি বার্জে (নৌযান) নামানো এসব মালামাল নদী পথেই ঢাকার উত্তরার দিয়াবাড়ী ডিপোতে নেয়া হবে বলে জানান তিনি।
তিনি বলেন, এ পর্যন্ত মোংলা বন্দর দিয়ে মেট্রোরেলের ৬২টি কোচ ও ৩০টি ইঞ্জিন এসেছে। আগামী আগস্টে আরো ১২টি কোচ-ইঞ্জিন আসবে বলেও জানান তিনি।
গাজীপুরের সাবেক মেয়র ও আওয়ামী লীগ থেকে আজীবন বহিষ্কৃত জাহাঙ্গীর আলম ও তার আত্মীয় পরিজনসহ ঘনিষ্ঠ সহচরদের দুর্নীতি-অনিয়মের অনুসন্ধানসহ তাদের সকলের সম্পদের হিসাব চেয়ে সঠিক অনুসন্ধান ও তদন্ত করে আইনের আওতায় এনে কার্যকরী ব্যবস্থা গ্রহণ করতে দুদক চেয়ারম্যান বরাবর আবেদন জমা দিয়েছেন একজন বীর মুক্তিযোদ্ধা।
বুধবার (৬ জুলাই) দুদক কার্যালয়ে জমা দেওয়া ওই অভিযোগপত্রে বলা হয়- দুর্নীতি, ক্ষমতার অপব্যবহার ও রাষ্ট্রবিরোধী কর্মকাণ্ডসহ অসংখ্য পরিবারকে সর্বশান্ত করে শত শত কোটি টাকা লুটপাটের মাস্টারমাইন্ড গাজীপুরের সাবেক মেয়র জাহাঙ্গীর আলম। সাবেক এই আওয়ামী লীগ নামধারী আজীবন বহিষ্কৃত নেতার অজানা উত্থানপতনের তথ্য-উপাত্ত জাতির সামনে তুলে ধরাসহ প্রশাসনের দৃষ্টিতে অনুসন্ধানের স্বার্থে আলোকপাত করছি।
জানা গেছে, দুদক ইতোমধ্যে একাধিক টিম দিয়ে জাহাঙ্গীর আলম ও তার পরিবারসহ তাদের সাথে সম্পৃক্ত ও আত্মীয়-স্বজনদের আয়ের উৎস এবং সম্পদের হিসাব খুঁজতে কাজ শুরু করেছে। গাজীপুর সিটি কর্পোরেশনের কাউন্সিলর ও কর্মকর্তা/কর্মচারী ও এলাকার বিভিন্ন শ্রেণী-পেশার মানুষের তথ্যের ভিত্তিতে অনুসন্ধানী রির্পোটসহ বিভিন্ন দপ্তরে পাঠানো ফাইলে পাওয়া সীমাহীন দুর্নীতি, লুটপাট ও স্বেচ্ছাচারিতার অভিযোগ উঠে এসেছে।
জানা গেছে, জাহাঙ্গীরের অর্থ আয়ের বড় খাত হলো গাজীপুর ও ময়মনসিংহ এলাকার বিভিন্ন গার্মেন্টসের ঝুট-সুতার কারবার এবং জমি বেচাকেনা ও কমিশন বাণিজ্য। এ ছাড়া গাজীপুর এলাকায় বিভিন্ন কারখানার লাইসেন্স আটকে চাঁদা নেওয়ার অভিযোগও রয়েছে তার বিরুদ্ধে। জাহাঙ্গীর আলম ও তার সঙ্গী-সাথীদের বিরুদ্ধে দুদকের অনুসন্ধান শুরু হওয়ায় ‘কৌশলী’ জাহাঙ্গীরও থেমে নেই। নিজেকে বাঁচাতে এবং তার পদ-পদবি ফিরে পাওয়ার নেশায় মাঠে নেমেছেন।
উল্লেখিত তথ্যবহুল ঘটনা এবং দুর্নীতি আর অবৈধ কর্মকাণ্ডের মূলহোতা জাহাঙ্গীর আলম, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে অসম্মান এবং প্রশ্নবিদ্ধ করার যে দুঃসাহস দেখিয়েছে; তার জন্য সে ও তার পরিবারসহ সহযোগী-দোসরদের বিরুদ্ধে আইনের সর্বোচ্চ শাস্তিসহ তাদের সকলের সম্পদের হিসাব নিয়ে অবৈধ সম্পদ বাজেয়াপ্ত করে রাষ্ট্রীয় মালিকানায় নেওয়ার কার্যকরী ব্যবস্থা নেওয়ার জোর দাবি জানাচ্ছি।
তবে তার ঘনিষ্ঠ এক বন্ধু এ বিষয়ে জানান, জাহাঙ্গীরের হাত অনেক লম্বা। হাইকমান্ডের আশীর্বাদ তার প্রতি আছে, অচিরেই দেখতে পাবেন। জাহাঙ্গীর আবার মেয়রের চেয়ারে বসবে এবং তার হাত দিয়েই গাজীপুর সিটির চার হাজার কোটি টাকার বাজেট প্রকল্প বাস্তবায়ন হবে।
সীতাকুণ্ডে বিস্ফোরণ: মাথার খুলি ও বুকের হাড়গোড় উদ্ধার
স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, চট্টগ্রাম
সীতাকুণ্ডে বিস্ফোরণ: মাথার খুলি ও বুকের হাড়গোড় উদ্ধার
জাতীয়
চট্টগ্রামের সীতাকুণ্ডের বিএম কন্টেইনার ডিপোতে বিস্ফোরণের এক মাস দুইদিন পর মাথার খুলি ও বুকের কিছুর হাড়গোড় উদ্ধার করা হয়েছে।
বুধবার (৬ জুলাই) দুপুর ২টার দিকে ডিপুর ভেতরে ধ্বংসস্তুপ শেডের মধ্য থেকে এসব দেহাবশেষ উদ্ধার করেছে পুলিশ।
এসব তথ্য নিশ্চিত করে সীতাকুণ্ড থানার পরিদর্শক (তদন্ত) সুমন বনিক বার্তা২৪.কমকে বলেন,বুধবার সকালে শেড পরিষ্কার করতে গিয়ে ওখানের কর্মীরা কিছু দেহাবশেষ দেখে আমাদের জানায়। আমরা গিয়ে দুপুর ২টার একটু আগে দেহাবশেষগুলো উদ্ধার করে চমেক হাসপাতালে পাঠিয়েছি। দেহাবশেষ বলতে কিছু হাড়গোড় পাওয়া গেছে। যা দেখে মনে হচ্ছে মাথার খুলি ও বুকের দিকের হাড়গোড়।
আজকে এবং পরশু সোমবার উদ্ধার দেহাবশেষ গুলোকে একটি করে দেহ ধরেই হিসাব করছি। সেই হিসাবে এখন পর্যন্ত সর্বমোট মৃতের সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ৫১ জন।
এরআগে সোমবার বিকেল পৌণে চারটার দিকে ডিপোর টিনশেডের নিচ থেকে কিছু দেহাবশেষ উদ্ধার করে চমেক হাসপাতালে পাঠানো হয়।