সমালোচনাকারীদের পদ্মা সেতু ঘুরে দেখে আসার আহ্বান প্রধানমন্ত্রীর
‘স্বপ্ন ছুঁয়েছে’ পদ্মার এপার-ওপারসমালোচনাকারীদের পদ্মা সেতু ঘুরে দেখে আসার আহ্বান জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, আমাদের দেশের অনেক অর্থনীতিবিদ ও জ্ঞানীগুণী পদ্মা সেতু হবে না বলে সমালোচনা করে বিভিন্ন বক্তব্য দিয়েছিলেন। তারা বলেছিলেন পদ্মা সেতু আওয়ামী লীগের আমলে হবে না, সরকার যদি ভিন্ন অর্থ সংস্থানে পদ্মা সেতু নির্মাণ করতে যায় তাহলে গুণগত মান ঠিক থাকবে না। যারা সমালোচনা করেছে তাদের আত্মবিশ্বাসের অভাব। সমালোচনাকারীদের আজ আমি বলব, পদ্মা সেতুর উদ্বোধন অনুষ্ঠানে আসেন, আমরা আমন্ত্রণ জানাব, জানালাম। পদ্মা সেতু ঘুরে দেখে যান।
বুধবার (২২ জুন) গণভবনে অনুষ্ঠিত এ সংবাদ সম্মেলনে প্রধানমন্ত্রী এসব কথা বলেন। পদ্মাসেতু উদ্বোধন, বন্যা পরিস্থিতি, দ্রব্যমূল্যসহ দেশের সার্বিক পরিস্থিতি নিয়ে সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করা হয়।
পদ্মা সেতু নিয়ে ষড়যন্ত্র প্রসঙ্গে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেন, ব্যক্তিস্বার্থে কেউ দেশের এত বড় ক্ষতি করতে পারে তা আমার জানা ছিল না। ব্যাংকের এমডি পদের লোভে একজন ব্যক্তি বিশ্বব্যাংকের অর্থায়ন আটকে দেন। তার সঙ্গে আরও কিছু ব্যক্তি সহায়তা করেছেন। তাদের ষড়যন্ত্রে ও মিথ্যা তথ্যে বিশ্বব্যাংক একটা পর্যায়ে পদ্মা সেতু প্রকল্প থেকে সরে যায়।
তিনি বলেন, ব্যাংকের একটা এমডি পদ এতটা গুরুত্বপূর্ণ হয়ে উঠে ওই ব্যক্তির কাছে। পদটা চলে যাওয়ায় তিনি দেশের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র শুরু করলেন।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, বিশ্বব্যাংক সরে যাওয়ার পর আমি সংসদে দাঁড়িয়ে বলেছিলাম যে, দেশের টাকায় পদ্মা সেতু হবে। সব চ্যালেঞ্জ মোকাবিলা করে আজ পদ্মা সেতু দৃশ্যমান।
সরকারপ্রধান বলেছেন, বিশেষজ্ঞদের পরামর্শে অত্যাধুনিক নকশায় ও দৃষ্টিনন্দন স্থাপত্যশৈলী দিয়ে পদ্মা সেতু নির্মাণ করা হয়েছে। এই দোতলা সেতুর মান নিয়ে প্রশ্ন তোলার সুযোগ নেই।
শেখ হাসিনা বলেন, সকল ষড়যন্ত্র-প্রতিবন্ধকতা মোকাবিলা করে পদ্মা সেতু নির্মিত হয়েছে। মহান রাব্বুল আলামিনের কাছে লাখো শুকরিয়াই । আমি বাংলাদেশের মানুষকে ধন্যবাদ জানাতে চাই- তাঁরা আমার পাশে ছিলেন। তাঁদের সহযোগিতার জন্যই আজ পদ্মা সেতু মাথা উঁচু করে দাঁড়িয়েছে।
করোনা পরিস্থিতি অনেকটা স্বাভাবিক হওয়ার পর সাংবাদিকদের উপস্থিতিতে এটিই প্রধানমন্ত্রীর প্রথম সংবাদ সম্মেলন। করোনাকালে সরকার প্রধানের সংবাদ সম্মেলনগুলোতে ভার্চুয়ালি যুক্ত ছিলেন সাংবাদিকরা।