পদ্মা সেতু উদ্বোধনে মানতে হবে যেসব ট্রাফিক নির্দেশনা



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, ঢাকা
পদ্মা সেতু উদ্বোধনে মানতে হবে যেসব ট্রাফিক নির্দেশনা

পদ্মা সেতু উদ্বোধনে মানতে হবে যেসব ট্রাফিক নির্দেশনা

  • Font increase
  • Font Decrease

স্বপ্ন বাস্তবায়নের দ্বারপ্রান্তে দক্ষিণাঞ্চলের মানুষ। আর কয়েক ঘণ্টা পরই খুলছে স্বপ্নের পদ্মা সেতুর দুয়ার। সেতুর উদ্বোধনে উপলক্ষে নিরাপত্তার চাদরে ঢেকে ফেলা হয়েছে পুরো সেতু এলাকা। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা কর্তৃক আগামী ২৫ জুন পদ্মা সেতু উদ্বোধন উপলক্ষে বাংলাদেশ পুলিশের পক্ষ থেকে বেশ কিছু ট্রাফিক নির্দেশনা দেয়া হয়েছে।

শুক্রবার (২৪ জুন) বিশেষ এই ট্রাফিক নির্দেশনা ঘোষণা করে বাংলাদেশ পুলিশ।

মাওয়ায় সুধী সমাবেশে আমন্ত্রিত অতিথিদের ঢাকা থেকে মাওয়াগামী রুট:

১. ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ও নিউমার্কেট এলাকা থেকে আগত  আমন্ত্রিত অতিথিদের গমনাগমন রুট: ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ সংলগ্ন চাঁনখারপুল (নিমতলী) মেয়র হানিফ ফ্লাইওভারে প্রবেশ মুখ-যাত্রাবাড়ী অংশের

বামলেন-ধোলাইপাড় টোলপ্লাজা-ধোলাইপাড় ক্রসিং জুরাইন ফ্লাইওভার-বুড়িগঙ্গা সেতু-মাওয়া এক্সপ্রেস।

২. জিরো পয়েন্ট (বঙ্গবন্ধু এভিনিউ গুলিস্তান) থেকে আমন্ত্রিত অতিথিদের গমনাগমন রুট: জিরো পয়েন্ট-গুলিস্তান আহাদ পুলিশবক্স সংলগ্ন মেয়র হানিফ ফ্লাইওভার প্রবেশ মুখ-যাত্রাবাড়ী অংশের বামলেন- ধোলাইপাড়-টোলপ্লাজা-ধোলাইপাড় ক্রসিং-জুরাইন ফ্লাইওভার-বুড়িগঙ্গা সেতু-মাওয়া এক্সপ্রেস।

৩. মতিঝিল শাপলা চত্বর ও ইত্তেফাক থেকে আমন্ত্রিত অতিথিদের গমনাগমন রুট: মতিঝিল শাপলা চত্বর-ইত্তেফাক ক্রসিং-হাটখোলা মোড় সংলগ্ন মেয়র হানিফ ফ্লাইওভারের প্রবেশ মুখ-যাত্রাবাড়ী অংশের

বাম লেন-ধোলাইপাড়-টোলপ্লাজা-ধোলাইপাড় ক্রসিং-জুরাইন ফ্লাইওভার-বুড়িগঙ্গা সেতু-মাওয়া এক্সপ্রেস।

৪. কমলাপুর, টিটিপাড়া থেকে আমন্ত্রিত অতিথিদের গমনাগমন রুট: কমলাপুর, টিটিপাড়া ক্রসিং- গোলাপবাগ মোড় ইনগেট সংলগ্ন মেয়র হানিফ ফ্লাইওভারের প্রবেশ মুখ-যাত্রাবাড়ী অংশের বামলেন- ধোলাইপাড়-টোলপ্লাজা-ধোলাইপাড় ক্রসিং-জুরাইন ফ্লাইওভার-বুড়িগঙ্গা সেতু-মাওয়া এক্সপ্রেস।

(অনুষ্ঠানস্থলে নির্ধারিত সময়ের মধ্যে পৌঁছানোর উদ্দেশ্যে পর্যাপ্ত সময় হাতে নিয়ে ঢাকা মহানগরী হতে যাত্রা শুরু করার জন্য বিশেষভাবে অনুরোধ করা হলো)।

মাদারীপুরের শিবচরে (কাঠালবাড়ী) অনুষ্ঠেয় জনসমাবেশে অংশগ্রহণকারী অতিথিদের গমনাগমন নির্দেশনা

রাজশাহী বিভাগের রাজশাহী, নাটোর, নওগাঁ, চাঁপাইনবাবগঞ্জ, পাবনা, সিরাজগঞ্জ, বগুড়া, জয়পুরহাট জেলা এবং রংপুর বিভাগের কুড়িগ্রাম, রংপুর, লালমনিরহাট, গাইবান্ধা, দিনাজপুর, পঞ্চগড়, ঠাকুরগাঁও, নীলফামারী জেলা সড়কের যানবাহন গমনাগমনের জন্য পাটুরিয়া-দৌলতদিয়া ফেরি হয়ে লালনশাহ সেতু অথবা যমুনা সেতু ব্যবহার করবেন। তবে প্রতিকূল আবহাওয়ায় ফেরি পারাপার ব্যাহত হতে পারে বিধায় লালনশাহ সেতু ব্যবহার করা সমীচীন।

চট্টগ্রাম বিভাগের চট্টগ্রাম, কুমিল্লা, কক্সবাজার, নোয়াখালী, ব্রাহ্মণবাড়িয়া, চাঁদপুর, লক্ষ্মীপুর, ফেনী, খাগড়াছড়ি, রাঙ্গামাটি, বান্দরবান জেলা সড়কের যানবাহন গমনাগমনের জন্য চাঁদপুর-শরীয়তপুর ফেরীঘাট ব্যবহার করবেন।

ময়মনসিংহ বিভাগ, সিলেট বিভাগ এবং ঢাকা ও পার্শ্ববর্তী জেলা হতে আগত যানবাহন ঢাকা মহানগরীতে প্রবেশের পরিবর্তে কালিয়াকৈর-নবীনগর-পাটুরিয়া হয়ে গমনাগমন করবেন।

মুন্সীগঞ্জে উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে আগত অতিথিদের জন্য গমনাগমন নির্দেশনা

লাল স্টিকারযুক্ত অতিথিদের গাড়ি ড্রপিং পয়েন্টে গমনের পূর্বে বামের লেন ব্যবহার করবেন এবং গাড়ি পার্কিংয়ের জন্য পদ্মা সেতু (উত্তর) থানার পূর্বে অবস্থিত রেল ব্রিজের নিচে মাঠে গমন করবেন।

নীল স্টিকারযুক্ত অতিথিদের গাড়ি ড্রপিং পয়েন্টে প্রবেশের পূর্বে মাঝের লেন ব্যবহার করবেন এবং গাড়ি পার্কিং এর জন্য চন্দ্রের বাড়ি চৌরাস্তা সংলগ্ন ওয়ারি স্কুলের মাঠে গমন করবেন।

সবুজ স্টিকারযুক্ত অতিথিদের গাড়ি ড্রপিং পয়েন্টে গমনের পূর্বে ডানের লেন ব্যবহার করবেন এবং গাড়ি পার্কিংয়ের জন্য মাওয়া-শিমুলিয়া ফেরিঘাটে গমন করবেন।

মুন্সীগঞ্জের মাওয়া প্রান্তে জেলা থেকে মাদারীপুরের শিবচরে (কাঠালবাড়ী) অনুষ্ঠেয় জনসমাবেশে অংশগ্রহণকারী অতিথিদের জন্য নির্দেশনা: ঢাকা-মাওয়া এক্সপ্রেসওয়ের সার্ভিস রোড ব্যবহার করে ছনবাড়ি হতে বামের রোড ব্যবহার করে সিরাজদিখানগামী রোডে গমন করবেন।

সিরাজদিখানগামী রোডের কুসুমপুর বাজার হতে ডানে প্রবেশ করে নওপাড়া হয়ে লৌহজং থানার সামনে দিয়ে শিমুলিয়া মোড় ও মাওয়া চৌরাস্তা হয়ে পুরান মাওয়া ফেরিঘাটে গমন করবেন।

মাদারীপুরের শিবচরে (কাঠালবাড়ী) অনুষ্ঠিত জনসমাবেশে অংশগ্রহণকারী সম্মানিত অতিথিদেরকে সকাল ৮টার আগেই পুরান মাওয়া ফেরিঘাটে প্রবেশ করার জন্য অনুরোধ করা হলো। সকাল সাড়ে ৯টা পর্যন্ত লঞ্চে চলাচল করতে পারবেন।

বিধি নিষেধ

শনিবার (২৫ জুন) পদ্মা সেতু উদ্বোধন উপলক্ষে ২৪ জুন সকাল ৬টা থেকে ২৬ জুন  সকাল ৬টা পর্যন্ত পদ্মা সেতুর সঙ্গে সংযুক্ত মহাসড়কে কাভার্ড ভ্যান এবং ট্রাক চলাচল বন্ধ থাকবে। এজন্য, ঢাকা মহানগরী এলাকা থেকে মুন্সীগঞ্জ জেলার মাওয়াগামী কাভার্ড ভ্যান এবং ট্রাককে ২৪ জুন সকাল ৬টা হতে ২৬ জুন সকাল ৬টা পর্যন্ত পাটুরিয়া দৌলতদিয়া এবং চাঁদপুর-শরীয়তপুর রুটে ফেরিতে চলাচলের জন্য অনুরোধ করা হলো।

   

পার্বত্য এলাকায় কৃষকদের তিল চাষে আগ্রহী করতে সুপারিশ



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম
ফাইল ছবি

ফাইল ছবি

  • Font increase
  • Font Decrease

পার্বত্য এলাকায় কৃষকদের তিল চাষে আগ্রহী করতে মন্ত্রণালয়কে সুপারিশ করেছে দ্বাদশ জাতীয় সংসদের পার্বত্য চট্রগ্রাম বিষয়ক মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত কমিটি।

বৃহস্পতিবার (২৫ এপ্রিল) রাঙ্গামাটি জেলা পরিষদ সম্মেলন কক্ষে দ্বাদশ জাতীয় সংসদের পার্বত্য চট্রগ্রাম বিষয়ক মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত কমিটি'র দ্বিতীয় বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়।

বৈঠকে সভাপতিত্ব করেন বীর বাহাদুর উ শৈ সিং। কমিটির সদস্য পার্বত্য চট্রগ্রাম বিষয়ক প্রতিমন্ত্রী কুজেন্দ্র লাল ত্রিপুরা, দীপংকর তালুকদার, শেখ আফিল উদ্দিন, মো. মঈন উদ্দিন এবং বেগম জ্বরতী তঞ্চঙ্গ্যাঁ বৈঠকে অংশগ্রহণ করেন। বৈঠকে তিন পার্বত্য উন্নয়ন বোর্ড কর্তৃক গৃহীত বিভিন্ন প্রকল্প সম্পর্কে একটি রিপোর্ট উপস্থাপন, তিন পার্বত্য জেলায় প্রাথমিক শিক্ষার সর্বশেষ অগ্রগতি ও তিন পার্বত্য জেলার পর্যটন শিল্পের অগ্রগতি সম্পর্কে একটি রিপোর্ট উপস্থাপন এবং বিবিধ বিষয়ে আলোচনা করা হয়।

কমিটি তিন পার্বত্য জেলায় এনজিওগুলোর যে সকল কার্যক্রম পরিচালনা করে, সেগুলোর উদ্দেশ্য ও বাজেট সংক্রান্ত তথ্য অবশ্যই জেলা পরিষদ ও আঞ্চলিক পরিষদকে অবহিত করার বিষয়ে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ গ্রহণ করতে মন্ত্রণালয়কে সুপারিশ করে। বৈঠকে পার্বত্য এলাকায় কৃষকদের তিল চাষে আগ্রহী করতে বিনামূল্যে তিলের বীজ সরবরাহের জন্য মন্ত্রণালয়কে সুপারিশ করা হয়। বৈঠকে পার্বত্য অঞ্চলে বিশুদ্ধ পানির সংকট নিরসনে বৃষ্টির পানি ধরে রেখে সারা বছর ব্যবহারের ব্যবস্থা করার একটি প্রকল্প প্রণয়নের জন্য কমিটি কর্তৃক মন্ত্রণালয়কে সুপারিশ করা হয়।

পার্বত্য চট্রগ্রাম বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব; বান্দরবান, রাঙ্গামাটি ও খাগড়াছড়ি জেলা পরিষদের চেয়ারম্যানগণ; পার্বত্য চট্রগ্রাম আঞ্চলিক পরিষদের সদস্য; চট্রগ্রাম উন্নয়ন বোর্ডের ভাইস চেয়ারম্যান; প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তরের মহাপরিচালকসহ মন্ত্রণালয় এবং বাংলাদেশ জাতীয় সংসদ সচিবালয়ের সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন।

;

দুই সেরা বলীই খেলছেন না জব্বারের বলীখেলায়



স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, চট্টগ্রাম ব্যুরো
দুই সেরা বলীই খেলছেন না জব্বারের বলীখেলায়

দুই সেরা বলীই খেলছেন না জব্বারের বলীখেলায়

  • Font increase
  • Font Decrease

আবদুল জব্বারের বলীখেলা মানেই একটা সময় ছিল দিদার বলীর দাপট। বছরের পর বছর ধরে রামুর এই বলী এই ঐতিহাসিক বলীখেলায় চ্যাম্পিয়ন হয়েছিলেন। তবে তিনি এখন অতীতের পাতায়। এরপর থেকে তাঁর জায়গাটা নেন চকরিয়ার তরিকুল ইসলাম ওরফে জীবন বলী ও কুমিল্লার শাহজালাল বলী। টানা তিন বছর ধরে এই দুজন শিরোপা ভাগাভাগি করে আসছেন। কিন্তু এই দুই সেরা বলীই কিনা এবার খেলছেন না।

অথচ জীবন ও শাহজালাল-দুজনেই বলীখেলায় অংশ নিতে নিবন্ধনও করেছিলেন। শুরু থেকে ছিলেন লালদীঘি মাঠেও। কিন্তু শেষ মুহূর্তে দুজনেই কিনা নাম প্রত্যাহার করে নিলেন।

কেন দুই বলীর এমন আত্মঘাতী সিদ্ধান্ত, সেই প্রশ্নের উত্তর খুঁজতে গিয়ে পাওয়া গেল ক্ষোভের গন্ধ।

জানতে চাইলে জীবন বলী বার্তা২৪.কমকে বলেন, আমি একটু অসুস্থ। ইনজুরড হওয়ায় আমার বদলে কুমিল্লার হোমনার বিখ্যাত বলী বাঘা শরীফের নাম প্রস্তাব করেছিলাম। কিন্তু কমিটি সেটা মেনে নেয়নি। সেটি মানতে পারিনি। পরে ক্ষোভে নামই বাদ দেন।
শাহজালাল বলীও একই কারণে নাম প্রত্যাহার করেন।

পরে অবশ্য দুই বলী সরে যাওয়ায় সুযোগ পান বাঘা শরীফ। সুযোগ পেয়েও কাজে লাগান এই বলী। চ্যালেঞ্জ ও সেমিফাইনাল রাউন্ড জিতে ফাইনালে ওঠেন বাঘা শরীফ। আর এতে জীবন ও শাহাজালাল- দুই বলীর সমর্থনই যায় বাঘা শরীফের কোর্টে।

;

ফেনীতে তিনতলা ভবনের ছাদ থেকে পড়ে শিশুর মৃত্যু



ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, ফেনী
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

ফেনীর ফুলগাজীতে তিনতলা ভবনের ছাদ থেকে পড়ে ১০ বছর বয়সী এক শিশুর মৃত্যু হয়েছে। নিহত মিনহাজ মুন্সীরহাট ইউনিয়নের কমুয়া চৌধুরী বাড়ির আবদুল মতিন চৌধুরীর দ্বিতীয় ছেলে। সে স্থানীয় একটি কিন্ডারগার্টেনের ৪র্থ শ্রেণির ছাত্র।

বুধবার (২৪ এপ্রিল) বিকালে উপজেলার মুন্সীরহাট এলাকার ভাই ভাই অটো রাইস মিল সংলগ্ন একটি ভবনে এ দুর্ঘটনা ঘটে।

পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, মিনহাজের বাবা প্রবাসে থাকায় সে মায়ের সঙ্গে ওই এলাকায় ভাড়া বাসায় থাকতেন। বুধবার বাসার ছাদের রেলিংয়ে উঠে পাশের আরেকটি ভবনের রেলিংয়ে পা দেওয়ার চেষ্টা করতে গিয়ে অসতর্কতাবশত নিচে পড়ে যায়।

পরে স্থানীয়রা তাকে উদ্ধার করে প্রথমে ফুলগাজী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স পরে ফেনী জেনারেল হাসপাতালে নিয়ে যায়। অবস্থা গুরুতর হওয়ায় কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেওয়ার পরামর্শ দেন। পথিমধ্যে চট্টগ্রাম সিটি গেইট এলাকায় পৌঁছালে তার মৃত্যু হয়।

স্থানীয় ইউপি সদস্য আজিজুল হক মজুমদার টিপু বলেন, সকালে খেলতে গিয়ে মিনহাজ ছাদ থেকে পড়ে যায়। তার বাবা ছেলের মৃত্যুর খবর পেয়ে দুবাই থেকে বাড়ি চলে এসেছেন। তিনি আসার পর উপজেলার পূর্ব দরবারপুরে পারিবারিক কবরস্থানে মিনহাজকে দাফন করা হয়।

ফুলগাজী থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) নিজাম উদ্দিন বলেন, চট্টগ্রামে নেওয়ার পথে তার মৃত্যু হয়। নিহতের পরিবারের আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে ময়নাতদন্ত ছাড়াই তার মরদেহ দাফন করা হয়েছে।

;

জব্বারের বলীখেলায় অংশ নিচ্ছেন ৮০ বলী, লোকারণ্য লালদীঘি মাঠ 



স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, চট্টগ্রাম ব্যুরো
ছবি: বার্তা২৪.কম

ছবি: বার্তা২৪.কম

  • Font increase
  • Font Decrease

বৈশাখের কাঠফাটা রোদ উপেক্ষা করে শুরু হলো ঐতিহাসিক আবদুল জব্বারের বলীখেলা।

বৃহস্পতিবার (১৫ এপ্রিল) বিকেল চারটা ২৫ মিনিটে বলীখেলার ১১৫ তম আসর শুরু হলেও দুপুর থেকেই লোকে লোকারণ্য হয়ে ওঠে লালদীঘি মাঠ।

এবারের বলীখেলায় অংশ নিতে অন্তত ১০০ জন বলী আসেন। তাদের মধ্যে ৮০ জনকে নিবন্ধন করে আয়োজক কমিটি। প্রথম রাউন্ড শেষে চ্যালেঞ্জ রাউন্ড হয়। এরপরই হবে সেমিফাইনাল ও ফাইনাল।


যুবসমাজকে ব্রিটিশবিরোধী আন্দোলনে উদ্বুদ্ধ করতে ১৯০৯ সালে চট্টগ্রামের বকশিরহাটের ব্যবসায়ী আবদুল জব্বার সওদাগর চালু করেছিলেন বলীখেলা। সময়ের ব্যবধানে লালদীঘির মাঠে বসা ‘জব্বারের বলীখেলা’ হয়ে উঠেছে এই জনপদের অন্যতম আকর্ষণ। শুধু কি তাই? বলীখেলাকে কেন্দ্র করে বৃহত্তর চট্টগ্রামের সবচেয়ে বড় বৈশাখী মেলাটিও বসে এখানে। ১৯০৯ সাল থেকে দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের একবছর বাদ দিলে প্রতিবছর এই মেলা হয়ে আসলেও করোনার থাবা এই আনন্দ-উৎসব থামিয়ে দিয়েছিল ২০২০ সালে। পরের বছরেও এই মেলা হয়নি একই কারণে। ২০২২ সালেও ঐতিহাসিক এই আয়োজনের ভবিষ্যৎ ঝুলেছিল সুতার ওপর। শেষ পর্যন্ত সিটি মেয়র মো. রেজাউল করিম চৌধুরীর প্রচেষ্টায় সড়কের মাঝখানে অস্থায়ীভাবে রিং তৈরি করে আয়োজন করা হয় বলীখেলায়। গত বছর থেকে বলীখেলা ফিরেছে নিজের পুরনো ঠিকানা-লালদিঘী ময়দানে। এবারও সেখানেই হচ্ছে শতবর্ষী এই আসর।

বলীখেলাকে কেন্দ্র করে মাঠের আশপাশের এক কিলোমিটার এলাকাজুড়ে চলছে বৈশাখী মেলা।

;