লক্ষ্মীপুরে স্কুল শিক্ষিকার জমি জবরখলের অভিযোগ

লক্ষ্মীপুরে স্কুল শিক্ষিকার জমি জবরখলের অভিযোগ
লক্ষ্মীপুর পৌরসভার ৯ নম্বর ওয়ার্ডের সমসেরাবাদ এলাকার আহম্মেদ নুর বেগম নামে এক সাবেক এক স্কুল শিক্ষিকার জমি জবরখলের অভিযোগ উঠেছে গোলাম কবির মিয়া নামে তার এক প্রতিবেশীর বিরুদ্ধে।
দখলকারী গোলাম কবির ওই জমির সীমানা প্রাচীর ভেঙে জমিটি তার দখলে রেখেছেন। এ নিয়ে পৌর কর্তৃপক্ষের কাছে লিখিত অভিযোগ জানিয়েছেন আহম্মেদ নুর বেগম। তিনি সমসেরাবাদ গ্রামের হামিদ উল্যা মিয়া বাড়ির মৃত সেলিম মিয়ার স্ত্রী।
আহম্মেদ নুর বেগম জানান, ৭৫ নম্বর সমসেরাবাদ মৌজার ৮৬৫ নম্বর খতিয়ানে সাবেক ১২৩০ দাগে প্রায় সাড়ে ৩ শতাংশ জমি গোলাম কবির দখল করে রেখেছেন। ওই দাগের ১৬০ শতাংশ জমির মধ্যে তার স্বামী মৃত সেলিম মিয়া ৪৩ শতাংশ জমির মালিক। ওয়ারিশ সূত্রে এখন তিনি এবং তার সন্তানরা ওই জমি মালিক। ২০০০ থেকে তারা ওই জমি দখলে ছিলেন।
তিনি বলেন, চাকরি থেকে অবসর নিয়ে তিনি এখন ঢাকাতে বসবাস করেন। এ সুবাদে প্রতিবেশী গোলাম কবির তাদের জমি সীমানায় থাকা প্রচীর ভেঙে সেখান দিয়ে চলাচলের পথ তৈরী করেছে। জমির একাংশে একটি টিনের ঘর তৈরী করে সেটি অবৈধভাবে দখল করেছেন। এছাড়া ওই জমিতে থাকা বাঁশ ঝাড়ের বাঁশ এবং গাছপালা কেটে নিয়েছেন তিনি।
তিনি জানান, গোলাম কবির বাদি হয়ে ২০২০ সালের ১৬ সেপ্টেম্বর অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে ১৪৪/১৪৫ ধারায় একটি মামলা দায়ের করেন। এতে তার ছেলে মো. নাহিম, নাদিম ও তাকে বিবাদী করা হয়।
এর ভিত্তিতে ওই বছরের ২৪ ডিসেম্বর পৌর ভূমি অফিসের ভূমি সহকারী কর্মকর্তা শম্ভু লাল মজুমদার সদর উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) বরাবরে একটি তদন্ত প্রতিবেদন দেন। এতে বিরোধকৃত জমি বিবাদীদের দখলে ছিলো এবং বিবাদীর বৈধ মালিকানা রয়েছে বলে প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়। প্রতিবেদনের প্রেক্ষিতে তাদের বিরুদ্ধে দায়েরকৃত ১৪৪/১৪৫ মামলাটি আদালত খারিজ করে দেন।
আদালতের আদেশ উপেক্ষা করে পরবর্তীতে গোলাম কবির ওই জমিটি জবরদখল করে নেয়।
আহম্মেদ নুর বেগমের অভিযোগ, তারা বাড়িতে না থাকার সুবাদে গোলাম কবির জোরপূর্বক তাদের মালিকানাধীন প্রায় সাড়ে ৩ শতাংশ জমি তাদের দখলে নেন। অথচ তাদের(গোলাম কবির) কোন বৈধ কাগজপত্র নেই। আমি বিধবা এবং অসহায়। সে সুযোগ কাজে লাগিয়ে আমাদের জমি দখল করে নিয়েছে।
অবৈধ দখল থেকে জমি উদ্ধারে প্রশাসনের সহযোগীতা কামনা করেন ওই শিক্ষিকা।
এদিকে গোলাম কবির মামলার বরাত দিয়ে উল্লেখ করেন, ১২৩০ দাগের আন্দরে ১.৬১ একর জমির মধ্যে ৪১ শতাংশ এবং খরিদ সূত্রে ১২ শতাংশসহ মোট ৬৩ শতাংশ জমির মালিক তিনি। দীর্ঘ ৬০ বছর থেকে তিনি ওই জমি ভোগ করে আসছেন।