বিমানের টরন্টো ফ্লাইটের টিকেট বিক্রি শুরু



স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, ঢাকা
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্স ২৭ জুলাই ঢাকা-টরন্টো-ঢাকা রুটে বাণিজ্যিক ফ্লাইট শুরুর টিকেট বিক্রি শুরু করছে। টরন্টো ফ্লাইটে ভ্রমণে ইচ্ছুকরা এখন থেকেই অগ্রিম টিকিট সংগ্রহ করতে পারবেন।

রোববার (২৬ জুন) প্রতিষ্ঠানটির এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।

এতে বলা হয়, যাত্রীরা দেশে বিদেশে অবস্থিত বিমানের যে কোন সেলস সেন্টার, বিমান অনুমোদিত যে কোন ট্রাভেল এজেন্সি, বিমানের বাণিজ্যিক ওয়েবসাইট www.biman-airlines.com ও কলসেন্টার ০১৯৯০৯৯৭৯৯৭ থেকে এ রুটের টিকেট ক্রয় এবং আনুষঙ্গিক সেবাসমূহ গ্রহণ করতে পারবেন। তবে কানাডাস্থ ট্রাভেল এজেন্সি থেকে টিকেট ক্রয়ের বিষয়টি এখনও অ্যাকটিভেশন পর্যায়ে রয়েছে।

ঢাকা-টরন্টো রুটে সপ্তাহে দুইটি ফ্লাইট পরিচালিত হবে। ঢাকা থেকে প্রতি বুধবার ও রোববার বিমানের ফ্লাইট টরন্টোর উদ্দেশ্যে যাত্রা করবে এবং একই দিন টরন্টো থেকেও ফিরতি ফ্লাইট ঢাকার উদ্দেশ্যে যাত্রা করবে। ঢাকা-টরন্টো রুটে বিমানের সর্বাধুনিক প্রযুক্তির ব্র্যান্ড নিউ বোয়িং ৭৮৭-৯ ড্রিমলাইনার উড়োজাহাজ ব্যবহৃত হবে।

যাত্রীরা ২০ জুলাইয়ের মধ্যে এ রুটের টিকেট ক্রয় করলে বাংলাদেশ থেকে যাত্রা শুরুর ক্ষেত্রে (একমুখী ও রিটার্ন উভয়ক্ষেত্রে) টিকেটের মূল ভাড়ার উপর ১৫ শতাংশ মূল্যছাড় পাবেন। তবে উক্ত সময়ের (২০ জুলাই) মধ্যে টিকেট ক্রয় করলে কানাডা থেকে যাত্রা শুরুর ক্ষেত্রে (একমুখী ও রিটার্ন উভয়ক্ষেত্রে) যাত্রীগণ মূল ভাড়ার উপর ২৫ শতাংশ মূল্যছাড় পাবেন সেক্ষেত্রে যাত্রীকে ২৭ জুলাই থেকে ২০ আগস্টের মধ্যে ভ্রমণ শুরু করতে হবে। ২০ আগস্টের পর ভ্রমণ শুরু করলে ১৫ শতাংশ ডিসকাউন্ট প্রযোজ্য হবে।

বাংলাদেশ থেকে যাত্রা শুরু করলে বিশেষ ভাড়া ও ফ্লাইটসূচি:

ইকোনমি ক্লাস:

একমুখী যাত্রার ক্ষেত্রে ১৫% ডিসকাউন্ট দিয়ে প্রতিটি টিকেটের সর্বনিম্ন মূল্য ট্যাক্সসহ ৯০ হাজার ৫১০ টাকা থেকে শুরু এবং ১৫% ডিসকাউন্ট দিয়ে রিটার্ন টিকেটের সর্বনিম্ন মূল্য ট্যাক্সসহ ১ লাখ ৫৩ হাজার ৩৭০ টাকা।

প্রিমিয়াম ইকোনমি ক্লাস

১৫% ডিসকাউন্ট দিয়ে একমুখী সর্বনিম্ন ভাড়া ট্যাক্সসহ ১ লাখ ২৭ হাজার ৩০০ টাকা থেকে শুরু এবং রিটার্ন টিকেটের সর্বনিম্ন মূল্য ১৫% ডিসকাউন্ট দিয়ে ট্যাক্সসহ ২ লাখ ৩৪ হাজার ৩৫৫ টাকা।

বিজনেস ক্লাস

১৫%ডিসকাউন্ট দিয়ে একমূখি সর্বনিম্ন ভাড়া ট্যাক্সসহ ১ লাখ ৬৪ হাজার ১০০ টাকা থেকে শুরু এবং রিটার্ন টিকেটের ক্ষেত্রে ১৫% ডিসকাউন্ট দিয়ে সর্বনিম্ন মূল্য ট্যাক্সসহ ৩ লাখ ৪ হাজার ৩০২ টাকা।

বি.দ্র. রেট অব এক্সচেঞ্জ অনুযায়ী মূল্য কিছুটা তারতম্য হতে পারে। বিমানের ওয়েবসাইট থেকে প্রোমোকোড BGWEB2022 ব্যবহার করে টিকেট ক্রয় করলে অতিরিক্ত ১০% ছাড় পাওয়া যাবে।

ফ্লাইটসূচি:

আগামী ২৭ জুলাই থেকে সপ্তাহে প্রতি বুধবার বিজি৩০৫ বাংলাদেশ সময় ভোর সাড়ে ৩টায় হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর থেকে টরন্টোর উদ্দেশ্যে যাত্রা করবে। যাত্রাপথে ফ্লাইটটি রিফুয়েলিং এর জন্য স্থানীয় সময় সকাল ৯টায় তুরস্কের ইস্তান্বুলে অবতরণ করবে। এক ঘণ্টা বিরতি শেষে ইস্তান্বুল থেকে রওনা দিয়ে স্থানীয় সময় দুপুর ১টা ৫৫ মিনিটে ফ্লাইটটি টরন্টো পৌঁছাবে।

সপ্তাহে প্রতি রোববার বিজি৩০৫ ঢাকা থেকে ভোর ৩টায় যাত্রা করে রিফুয়েলিং এর জন্য স্থানীয় সময় সকাল সাড়ে ৮টায় তুরস্কের ইস্তান্বুলে অবতরণ করবে। এক ঘণ্টা বিরতি শেষে ইস্তান্বুল থেকে রওনা দিয়ে স্থানীয় সময় দুপুর ১ টা ২৫ মিনিটে ফ্লাইটটি টরন্টো পৌঁছাবে।

টরন্টো থেকে যাত্রা শুরু করলে বিশেষ ভাড়া ও ফ্লাইটসূচি:

ইকোনমি ক্লাস:

টরন্টো থেকে আসার ক্ষেত্রে ২৫% ডিসকাউন্ট দিয়ে ইকোনমি ক্লাসের প্রতিটি টিকেটের একমুখী সর্বনিম্ন ভাড়া ট্যাক্সসহ ৬৯০ কানাডিয়ান ডলার থেকে শুরু এবং রিটার্ন টিকেটের সর্বনিম্ন মূল্য ২৫% ডিসকাউন্ট দিয়ে ট্যাক্সসহ ১২৩৩ কানাডিয়ান ডলার।

প্রিমিয়াম ইকোনমি ক্লাস

একমুখী সর্বনিম্ন ভাড়া ২৫% ডিসকাউন্ট দিয়ে ট্যাক্সসহ ১২৩০ কানাডিয়ান ডলার এবং রিটার্ন টিকেটের সর্বনিম্ন মূল্য ২৫% ডিসকাউন্ট দিয়ে ট্যাক্সসহ ২১৭৮ কানাডিয়ান ডলার।

বিজনেস ক্লাস

একমুখী সর্বনিম্ন ভাড়া ২৫% ডিসকাউন্ট দিয়ে ট্যাক্সসহ ১৮৬০ কানাডিয়ান ডলার এবং রিটার্ন টিকেটের সর্বনিম্ন মূল্য ২৫% ডিসকাউন্ট দিয়ে ট্যাক্সসহ ৩০৭৮ কানাডিয়ান ডলার।

বি.দ্র. রেট অব এক্সচেঞ্জ অনুযায়ী মূল্য কিছুটা তারতম্য হতে পারে। বিমানের ওয়েবসাইট থেকে প্রোমোকোড BGWEB2022 ব্যবহার করে টিকেট ক্রয় করলে অতিরিক্ত ১০% ছাড় পাওয়া যাবে।

ফ্লাইটসূচি:

প্রতি বুধবার স্থানীয় সময় সন্ধ্যা সাড়ে ৭টায় টরন্টো থেকে ঢাকার উদ্দেশ্যে যাত্রা করবে। যাত্রাবিরতি ছাড়াই ফ্লাইটটি একটানা ১৬ ঘণ্টা উড়ে বৃহস্পতিবার স্থানীয় সময় রাত সাড়ে ৯টায় হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে অবতরণ করবে।

সপ্তাহে প্রতি রোববার টরন্টো থেকে স্থানীয় সময় রাত ৯টায় উড্ডয়ন করে সরাসরি ঢাকায় পৌঁছাবে সোমবার স্থানীয় সময় রাত ১১টায়।

   

ঠাকুরগাঁওয়ে ট্রাকের ধাক্কায় নিহত ২



ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, ঠাকুরগাঁও
ছবি: বার্তা২৪.কম

ছবি: বার্তা২৪.কম

  • Font increase
  • Font Decrease

ঠাকুরগাঁওয়ে ট্রাকের ধাক্কায় মো. মনজুর রহমান (৫০) ও মোছা. মাহবুবা (৩৯) নামে দুই জন নিহত হয়েছেন।

মঙ্গলবার (১৯ মার্চ) দুপুরে পৌর শহরের আমতলী মোড় বঙ্গবন্ধু সড়কে এ দুর্ঘটনা ঘটে। বিষয়টি নিশ্চিত করেন- সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) এবিএম ফিরোজ ওয়াহিদ।

নিহত ব্যক্তিরা হলেন- ঠাকুরগাঁও পৌর শহরের গোবিন্দনগর বিসিক এলাকার মৃত আব্দুর রহমানের ছেলে মো. মনজুর রহমান ও পঞ্চগড় জেলার নতুনবস্তি এলাকার মো. ময়নুল হকের মেয়ে মোছা. মাহবুবা।

প্রত্যক্ষদর্শীদের বরাতে ওসি এবিএম ফিরোজ ওয়াহিদ জানান, দুপুরে একই মোটরসাইকেলে করে মো. মনজুর রহমান ও তার সহকর্মী মোছা. মাহবুবা বাসস্ট্যান্ডের দিকে যাচ্ছিলেন। এসময় পিছন থেকে একটি ট্রাক তাদের ধাক্কা দেয়। এতে তারা দুজনে গুরুত্ব আহত হন। তাদের উদ্ধার করে ঠাকুরগাঁও জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করা হলে সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তাদের দুজনের মৃত্যু হয়।

তিনি আরও জানান, ঘাতক ট্রাকটি পালিয়ে গেছে। ভিকটিমের মোটরসাইকেলটি থানা হেফাজতে রাখা হয়েছে। এবিষয়ে থানায় আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে বলে জানা গেছে।

;

চট্টগ্রামে তরমুজের দোকানে ভোক্তা অধিকারের হানা, ২ প্রতিষ্ঠানকে জরিমানা



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, চট্টগ্রাম
চট্টগ্রামে তরমুজের দোকানে ভোক্তা অধিকারের হানা

চট্টগ্রামে তরমুজের দোকানে ভোক্তা অধিকারের হানা

  • Font increase
  • Font Decrease

মূল্য তালিকা না থাকা ও বেশি দামে তরমুজ বিক্রি করায় চট্টগ্রামে দুই দোকানিকে ৩০ হাজার টাকা জরিমানা করেছে ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তর।

মঙ্গলবার (১৯ মার্চ) ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তর চট্টগ্রামের উপ পরিচালক মো. ফয়েজ উল্লাহর নেতৃত্বে এই অভিযান পরিচালিত হয়।

মো. ফয়েজ উল্লাহ বলেন, আজ নগরীতে তরমুজ বিক্রির প্রতিষ্ঠান তদারকি করা হয়। তদারকিকালে মূল্য তালিকা সংরক্ষণ না করায় দুই প্রতিষ্ঠানকে জরিমানা করা হয়।

তারা ক্রয় রশিদ ও বিক্রয় রশিদ দেখাতে পারেনি। মূল্য তালিকা সংরক্ষণ না করলে বিক্রেতারা ইচ্ছা মতো দাম নেন। বাজারে অস্বাভাবিক পরিস্থিতি সৃষ্টি করে। আমরা একজন ভোক্তার কাছে তথ্য পেয়েছি, একটু আগে তার কাছ থেকে এক পিচ তরমুজ ৮০০ টাকা চেয়েছেন।

;

পানির অভাবে প্রায় ২ লাখ হেক্টর জমির চাষ অনিশ্চিত



ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট,বার্তা২৪.কম,চুয়াডাঙ্গা
ছবি: বার্তা ২৪

ছবি: বার্তা ২৪

  • Font increase
  • Font Decrease

দীর্ঘ এক মাস ধরে বন্ধ রয়েছে দেশের বৃহত্তম সেচ প্রকল্প গঙ্গা-কপোতাক্ষ (জিকে)। ফলে পানিশূন্য হয়ে পড়েছে জিকে খাল। গত ১৯ ফেব্রুয়ারি সর্বশেষ পাম্পটি অকেজো হয়ে গেলে বন্ধ হয়ে যায় পানিপ্রবাহ। এতে এই প্রকল্পের আওতায় প্রায় ১ লাখ ৯৭ হাজার হেক্টর জমির চাষে সেচ অনিশ্চিত হয়ে পড়েছে। স্থানীয়ভাবে স্যালোমেশিন দিয়ে পানি উঠালেও তাতে কৃষকের খরচ ও দুর্ভোগ দুটোই বেড়েছে।

এদিকে জিকে সেচ প্রকল্পের অকেজো পাম্প দ্রুত সচলকরণের দাবিতে চুয়াডাঙ্গার আলমডাঙ্গায় মানববন্ধন করেছে কৃষক জোট। মঙ্গলবার (১৯ ফেব্রুয়ারি) বেলা সাড়ে ১১টার দিকে আলমডাঙ্গা পৌর এলাকার পানি শূন্য জিকে খালের মধ্যে অবস্থান নিয়ে এ মানববন্ধন করেন তারা। এতে অংশ নেন সেচ প্রকল্পের আওতাধীন কয়েকশ'  কৃষক। ঘণ্টাব্যাপী চলা এই কর্মসূচি থেকে এ অঞ্চলে প্রত্যেক কৃষকের বোরো ধানের জমিতে সেচের পানি নিশ্চিত করার আহ্বান জানানো হয়।

মানববন্ধন কর্মসূচিতে বক্তব্য দেন কৃষক জোটের চুয়াডাঙ্গা জেলা শাখার সাধারণ সম্পাদক অধ্যক্ষ শাহজাহান আলী, আলমডাঙ্গা উপজেলা কৃষক জোটের সভাপতি এমদাদুল হক, সাধারণ সম্পাদক আব্দুল মালেক, সহসভাপতি জান্নাতুল ফেরদৌস উষা, মহাসিন আলী, কৃষক জোটের প্রকল্প সমন্বয়কারী মশিউর রহমান, প্রকল্প কর্মকর্তা আসমা হেনা চুমকি প্রমুখ।

মানববন্ধনে বক্তারা বলেন, আলমডাঙ্গা ও চুয়াডাঙ্গা সদর উপজেলার কৃষকেরা বোরো মৌসুমে ধান চাষে জিকে খালের পানির ওপর সম্পূর্ণরূপে নির্ভরশীল। এই অঞ্চলের কৃষকদের দিনের পর দিন অবহেলা করা হচ্ছে। তারা ঠিকমতো পানি পাচ্ছে না। অতিকষ্টে তাদের ফসল ফলাতে হয়। মৌসুমের শুরুতেই সেচ পানির সংকট রয়েছে। দীর্ঘদিন সেচ পাম্প নষ্টের অজুহাতে কৃষকদের দুর্ভোগে ফেলে হয়রানির অভিযোগও করেন বক্তারা।


জানা যায়, গঙ্গা-কপোতাক্ষ (জিকে) সেচ প্রকল্পের আওতায় কুষ্টিয়া, চুয়াডাঙ্গা, ঝিনাইদহ ও মাগুরা জেলায় পানি সরবরাহ করে পানি উন্নয়ন বোর্ড (পাউবো)। প্রতি বছরের ১৫ জানুয়ারি থেকে ১৫ অক্টোবর পর্যন্ত ১০ মাস দিনরাত ২৪ ঘণ্টা পদ্মা নদী থেকে তিনটি পাম্পযোগে এ চারটি জেলায় পানি সরবরাহ করা হয়। বাকি দুই মাস রক্ষণাবেক্ষণের জন্য পাম্প বন্ধ রাখা হয়।

পাম্প দিয়ে ওঠানো পানি চার জেলায় ১৯৩ কিলোমিটার প্রধান খাল, ৪৬৭ কিলোমিটার শাখা খাল ও ৯৯৫ কিলোমিটার প্রশাখা খালে যায়। জিকে সেচ প্রকল্পের প্রধান এবং শাখা খালগুলোতে পানি থাকলে সেচ সুবিধাসহ আশপাশের টিউবওয়েল ও পুকুরে পানি স্বাভাবিক থাকে। পদ্মায় পানির স্তর স্বাভাবিক থাকলে প্রতি পাম্পে প্রতি সেকেন্ডে গড়ে ২৮ হাজার ৩১৬ দশমিক ৮৫ লিটার পানি সরবরাহ হয়ে থাকে।

তিনটি পাম্পের মধ্যে ২০১৭ সালে প্রথমটি ও ২০২১ সালে দ্বিতীয়টি যান্ত্রিকত্রুটির কারণে অকেজো হয়ে পড়ে। এরপর মাত্র একটি পাম্প দিয়ে পানি সরবরাহ ব্যবস্থা চালু রাখা হয়। কিন্তু সেটিও চলতি বছরের ১৯ ফেব্রুয়ারি যান্ত্রিকত্রুটির কারণে অকেজো হয়ে পড়েছে। ফলে বোরো মৌসুমের শুরুতেই পানি থেকে বঞ্চিত হয়েছেন এ অঞ্চলের কৃষকরা।

আলমডাঙ্গার ডাউকি ইউনিয়নের বাদেমাজু গ্রামের কৃষক আশাদুল হক জানান, বোরো মৌসুমের শুরুতে পানি না পাওয়ায় দেরিতে ধান রোপন করা হয়েছে। এ বছর সেচ খালের আওতাধীন ৯ বিঘা জমিতে ধান চাষ করেছি। কিন্তু হঠাৎ পানি শূন্য হয়ে গেছে খালটি। ধানি জমিতে দেখা দিয়েছে ফাটল। বিকল্প হিসেবে ডিজেল চালিত স্যালো মেশিনের সাহায্য পানি দেওয়া হচ্ছে। এতে প্রতিদিন ৫শ' টাকার তেল কিনতে হচ্ছে। এ বছর পানির অভাবে ধানের ফলন কম হবে, খরচও বৃদ্ধি পাবে। এতে কৃষকদের ব্যাপক লোকসান গুণতে হবে।  

এ বিষয়ে ভেড়ামারা যান্ত্রিক পাম্প হাউসের নির্বাহী প্রকৌশলী মিজানুর রহমান বলেন, বর্তমানে জিকে সেচ প্রকল্পের তিনটি পাম্পই যান্ত্রিকত্রুটির কারণে অকেজো হয়ে রয়েছে। সবশেষ গত ১৯ ফেব্রুয়ারি তিন নম্বর পাম্পটি অকেজো হয়ে যায়। ফলে বন্ধ রয়েছে পানি সরবরাহ। তিনি আরও বলেন, আমরা পাম্পগুলো সচলের ব্যবস্থা গ্রহণ করেছি। ইতিমধ্যে কাজ চলছে। তবে কবে নাগাদ এটি সচল হবে তা এখনি বলা সম্ভব না।

চলতি মৌসুমে পানি সরবরাহ স্বাভাবিক হওয়ার সম্ভাবনা আছে কি না জানতে চাইলে তিনি বলেন, তেমন সম্ভাবনা নেই। কারণ পাম্পটি চালু হলেও পদ্মা নদীতে বর্তমানে পানির লেভেল মোটামুটি অনেক কম। সব মিলিয়ে হয়ত এ মৌসুমে চালু করা সম্ভব হবে না।

;

২৪ ঘণ্টায় করোনায় একজনের মৃত্যু, শনাক্ত ৩১



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

দেশে গত ২৪ ঘণ্টায় করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে একজনের মৃত্যু হয়েছে। এসময় আরও ৩১ জনের দেহে এই ভাইরাস শনাক্ত হয়েছে।

মঙ্গলবার (১৯ মার্চ) স্বাস্থ্য অধিদপ্তর থেকে পাঠানো করোনাবিষয়ক এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।

বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, এ নিয়ে করোনায় মোট মৃত্যু হলো ২৯ হাজার ৪৯৩ জনের। করোনা আক্রান্তের সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ২০ লাখ ৪৯ হাজার ২১৯ জনে।

স্বাস্থ্য অধিদপ্তর জানায়, গত ২৪ ঘণ্টায় সারা দেশে ৮৮৫টি পরীক্ষাগারে ৬০২টি নমুনা পরীক্ষায় ৩১ জনের করোনা শনাক্ত হয়। তাদের মধ্যে ২৮ জনই ঢাকার রোগী। বাকি তিনজন চট্টগ্রামের। করোনা শনাক্তের হার ৫ দশমিক ১৫ শতাংশ। মহামারির শুরু থেকে এ পর্যন্ত মোট শনাক্তের হার ১৩ দশমিক শূন্য ৭ শতাংশ।

এদিকে, গত ২৪ ঘণ্টায় করোনা আক্রান্তদের মধ্য থেকে সুস্থ হয়েছেন আরও ৫২ জন। এ নিয়ে মোট সুস্থ রোগীর সংখ্যা বেড়ে দাঁড়াল ২০ লাখ ১৬ হাজার ৪১৪ জনে। সুস্থতার হার ৯৮ দশমিক ৪০ শতাংশ।

প্রসঙ্গত, ২০২০ সালের ৮ মার্চ দেশে করোনাভাইরাসে আক্রান্ত প্রথম রোগী শনাক্ত হয়। এর ১০ দিন পর ১৮ মার্চ করোনা আক্রান্ত হয়ে একজনের মৃত্যুর খবর জানায় স্বাস্থ্য অধিদপ্তর।

;