সিলেটে এখনও অর্ধ লক্ষাধিক মানুষ আশ্রয়কেন্দ্রে



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

বন্যার পানি কমলেও সিলেট জেলার ৬০৬টি আশ্রয়কেন্দ্রে এখনও প্রায় ৫০ হাজার বন্যার্ত মানুষ রয়েছেন।

সরকারি হিসাবে নগরীর আশ্রয়কেন্দ্রগুলোতে ৭ হাজার ৫০৭ জন এখনও রয়েছেন। পুরো জেলায় সব মিলে ৫৭৬টি আশ্রয়কেন্দ্রে ৪৯ হাজার ৭৭২ জন বন্যার্ত মানুষ রয়েছেন। এ ছাড়া ১ হাজার ২৬৫টি গবাদি পশু রয়েছে এখানে।

গত ২৪ ঘণ্টায় ১২ হাজারের মতো মানুষ আশ্রয়কেন্দ্র থেকে বাড়ি ফিরেছেন। যারা এখনও ফিরতে পারেননি তারা ঘরে ফেরার অপেক্ষা করছেন। পরিস্থিতি স্বাভাবিক হওয়ার অপেক্ষায় বসে আছেন আশ্রয় কেন্দ্রগুলোতে।

সিলেটের জেলা প্রশাসক মো. মজিবুর রহমান জানিয়েছেন, রোববার সন্ধ্যায় জেলা প্রশাসনের সর্বশেষ তথ্য অনুযায়ী বন্যা আশ্রয়কেন্দ্রে এখনও প্রায় ৫০ হাজার মানুষ অবস্থান করছেন। এরমধ্যে সবচেয়ে বেশি আশ্রিত সিলেটের বিশ্বনাথ উপজেলায়। ওখানে মোট ৫৩টি আশ্রয়কেন্দ্রে অবস্থান করছেন ৭ হাজার ৭৪০ জন বানভাসী। এরপরেই অবস্থান সিলেট সিটি করপোরেশনের। মহানগরীর মোট ২৫টি আশ্রয়কেন্দ্রে আছেন ৭ হাজার ৭৪০ জন।

বিয়ানীবাজার উপজেলার মোট ৭৩টি আশ্রয় কেন্দ্রে বানবাসীর সংখ্যা ৬ হাজার ৯৭৮ জন। সিলেট শহরতলীর দক্ষিণ সুরমা উপজেলার ৭৪টি আশ্রয় কেন্দ্রে অবস্থান করছেন ৬ হাজার ২৪২ জন বানভাসী। বালাগঞ্জে ৬৮টি আশ্রয় কেন্দ্রে আছেন ৪ হাজার ৯৮৩ জন, সিলেট সদরে বর্তমানে ৩৪টি আশ্রয় কেন্দ্রে আছেন ৫৩৮ পরিবারের প্রায় ২ হাজার ৫শ জন।এছাড়া গোলাপগঞ্জে মোট ৪৮ আশ্রয় কেন্দ্রে ২ হাজার ৯৮৫, কোম্পানীগঞ্জে ৫টি আশ্রয়কেন্দ্রে ৮৯৫, ফেঞ্চুগঞ্জে ২০টি আশ্রয় কেন্দ্রে ২ হাজার ৪৩২, গোয়াইনঘাটে ১৩ আশ্রয়কেন্দ্রে ৪৮০, জৈন্তাপুরের ১৩ আশ্রয়কেন্দ্রে ১ হাজার ৫০৪, কানাইঘাটে ৪৭ আশ্রয় কেন্দ্রে ২ হাজার ৫৭ ও জকিগঞ্জের ৫৬ আশ্রয়কেন্দ্রে ৩ হাজার ৪৫৬ জন বানভাসী অবস্থান করছেন।

বানভাসী মানুষের জন্য সরকারি ও বেসরকারিভাবে ব্যক্তি ও প্রতিষ্ঠানের উদ্যোগে বিপুল পরিমাণ ত্রাণসামগ্রী বিতরণ অব্যাহত আছে। ত্রাণ বিতরণ কার্যক্ষম আরও সুশৃঙ্খল করতে ও ত্রাণ বিতরণ কার্যক্রম সমন্বয়ের জন্য প্রত্যেক উপজেলায় আলাদা সমন্বয় কমিটি গঠনের সিদ্ধান্ত হয়েছে। প্রশাসন, সেনাবাহিনী ও জনপ্রতিনিধিদের সমন্বয়ে এই কমিটি করার জন্য সব উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তাকে বলা হয়েছে।

সিলেটের অতিরিক্ত বিভাগীয় কমিশনার (সার্বিক) দেবজিৎ সিংহ জানিয়েছেন, সংশ্নিষ্ট জেলা ও বিভাগীয় প্রশাসন উপজেলা পর্যায়ে সমন্বয় কমিটির কাজ তদারকি করবে।

   

মেঘনায় লঞ্চে আগুন, অল্পের জন্য রক্ষা



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, বরিশাল
ছবি: বার্তা২৪.কম

ছবি: বার্তা২৪.কম

  • Font increase
  • Font Decrease

ভোলা থেকে ঢাকাগামী এমভি কর্ণফুলী-৩ নামে একটি লঞ্চে আগুনের ঘটনা ঘটেছে। এসময় চালক কৌশলে লঞ্চটি একটি চরে ভেড়ালে বড় দুর্ঘটনা থেকে রক্ষা পায় শত শত যাত্রী। তাদের একটি চরে নামিয়ে দেওয়া হয়। ওই আগুনে কোনো প্রাণহানীর ঘটনা না ঘটলেও ‍চরম দুর্ভোগ পোহান যাত্রীরা। 

শনিবার (২০ এপ্রিল) সকাল সাড়ে ১০টার দিকে মেঘনা নদীর চাঁদপুর এলাকায় এ দুর্ঘটনা ঘটে।

লঞ্চের যাত্রীরা জানান, ভোলার ইলিশাঘাট থেকে প্রায় ৯০০ যাত্রী নিয়ে লঞ্চটি সকাল সাড়ে আটটার দিকে ঢাকার উদ্দেশে ছেড়ে যায়। দুই ঘণ্টা চলার পর হঠাৎ মধ্য মেঘনায় ইঞ্জিন রুমে আগুন ধরে। এ খবর ছড়িয়ে পড়লে যাত্রীরা আতঙ্কে লঞ্চের ভেতর ছোটাছুটি ও চিৎকার করতে থাকে।

তারা জানান, লঞ্চ স্টাফরা নদী থেকে পানি তুলে আগুন নিয়ন্ত্রণে আনার চেষ্টা করে ব্যর্থ হয়। পরে চালক লঞ্চটি কোনো মতে চাঁদপুর এলাকায় একটি চরের কাছে নিয়ে গেলে যাত্রীরা নদীতে লাফিয়ে পড়ে তীরে আশ্রয় নেয়। এসময় শত শত যাত্রীদের পানিতে ভিজে, রোদে পুড়ে চরম দুর্ভোগ পোহাতে হয়। বিশেষ করে নারী, শিশু, বৃদ্ধ ও অসুস্থরা চরম বিপাকে পড়েন। 

কর্ণফুলী লঞ্চের ভোলা অফিসের কর্মকর্তা লিটন জানান, আগুন নেভানো হয়েছে। যাত্রীদের চাঁদপুরে হরিনা এলাকা থেকে অন্য লঞ্চে করে ঢাকায় পৌঁছে দেওয়া হচ্ছে। তবে এখন পর্যন্ত লঞ্চের ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ জানা যায়নি। ক্ষতিগ্রস্ত লঞ্চটি ঢাকায় নিয়ে যাওয়া হবে। 

;

মোটরসাইকেল সড়কের বড় উপদ্রব: কাদের



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম
আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক, সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের

আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক, সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের

  • Font increase
  • Font Decrease

আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক, সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের বলেছেন, ইদানিংকালে মোটরসাইকেল দুর্ঘটনা বেড়েছে। এটা (মোটরসাইকেল) এখন সড়কের বড় উপদ্রব।

তিনি বলেন, সড়কের জন্য এখন কোনো দুর্ঘটনা হচ্ছে এমন দৃষ্টান্ত নেই। সড়ক বাংলাদেশে সর্বকালের সবচেয়ে ভাল অবস্থায় রয়েছে।

শনিবার (২০ এপ্রিল) দুপুরে আওয়ামী লীগ সভাপতির ধানমন্ডির রাজনৈতিক কার্যালয়ে এক সাংবাদিক বিফ্রিংয়ে ওবায়দুল কাদের এসব কথা বলেন।

এবছর ঈদযাত্রায় সড়ক দুর্ঘটনা বাড়ার বিষয়ে আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক বলেন, ইদানিংকালে মোটরসাইকেল দুর্ঘটনা বেড়েছে। এটা এখন সড়কের বড় উপদ্রব। এখন সড়কের জন্য কোন এক্সিডেন্ট হচ্ছে এমন কোন দৃষ্টান্ত নেই। সড়ক বাংলাদেশে সর্বকালের সবচেয়ে ভাল অবস্থায় রয়েছে। এখানে সমন্বয়ের সমস্যা আছে। বিভিন্ন রকমের স্টেক হোল্ডার আছে। এদের সকলের সমন্বয়টা জরুরি।

সড়ক দুর্ঘটনা প্রতিবেশী দেশসহ পৃথিবীর অনেক দেশেই হয় উল্লেখ করে ওবায়দুল কাদের বলেন, আজকে সৌদি আরবে, আমেরিকায় আমাদের চেয়েও বড় বড় দুর্ঘটনা হয়, সেটা নিয়ে সেখানে কোন উচ্চবাচ্চ হয় না। প্রতিবেশী দেশ ভারতে এক সঙ্গে অনেক হতাহত হয়। এরকম দুর্ঘটনা আকাঙ্ক্ষিত নয়। আমরাও চাই না কিন্তু আমাদের এখানে কিছু সমস্যা আছে। সমন্বয়ের অভাব আছে সেটা আমরা মনিটর করছি। আজকে রাস্তা ভাল হয়েছে, সেখানে একটা স্পিড আছে, স্পিডটা সবাই যদি মেনে চলতো তাহলে হয়তো এমনটি হতো না।

বিএনপিকে নিষিদ্ধ করার বিষয়ে এক প্রশ্নের জবাবে ওবায়দুল কাদের বলেন, নিষিদ্ধ করার সিদ্ধান্ত আমাদের এখনো হয়নি। তবে জনগণের কাছে আমরা বিএনপির সন্ত্রাসী রাজনীতির ব্যাপারে ঘৃণার আগুন ছড়িয়ে দিতে পারি। তাদেরকে জনগণ থেকে আরও বিচ্ছিন্ন, আরও অপ্রাসঙ্গিক করার বিষয়ে প্রয়াস আমরা চালাতে পারি। কারণ বিএনপি রাজনৈতিক দলের পরিচয় দেওয়ার মতো গ্রহণযোগ্যতা হারিয়ে ফেলেছে। বিএনপিকে কানাডার ফেডারেল আদালত পর্যন্ত সন্ত্রাসী দল হিসেবে চিহ্নিত করেছে। আসলে বিএনপি কোন রাজনৈতিক দলের কোন বৈশিষ্ট্য এখন প্রকাশ করে না। তাদের কর্মকাণ্ড সন্ত্রাসীদের মতো।

সংবাদ সম্মেলনে আরও উপস্থিত ছিলেন আওয়ামী লীগের যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক মাহবুব-উল-আলম হানিফ, আ ফ ম বাহাউদ্দীন নাছিম, সাংগঠনিক সম্পাদক বি এম মোজাম্মেল হক, এস এম কামাল হোসেন, সুজিত রায় নন্দী, দফতর সম্পাদক বিপ্লব বড়ুয়া, প্রচার ও প্রকাশনা সম্পাদক আব্দুস সোবহান গোলাপ, উপ-দফতর সম্পাদক সায়েম খান প্রমুখ।

;

কুষ্টিয়ায় অস্ত্র-গুলিসহ সাবেক চেয়ারম্যান আটক



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, কুষ্টিয়া
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

কুষ্টিয়ার মিরপুরে অস্ত্র ও গুলিসহ ইউনিয়ন পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান ও সাবেক যুবলীগ নেতাকে আটক করেছে পুলিশ।

শুক্রবার (১৯ এপ্রিল) রাতে মিরপুর উপজেলার বহলবাড়ীয়া এলাকায় মাদকবিরোধী অভিযানে গিয়ে বহলবাড়ীয়া ইউনিয়নের খাদিমপুর স্কুলমাঠ থেকে একটি বিদেশি পিস্তল ও ৪ রাউন্ড গুলিসহ তাকে আটক করা হয়।

আটককৃত সোহেল রানা বিশ্বাস (৪৭) বহলবাড়ীয়া ইউনিয়ন পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান ও উপজেলা যুবলীগের সাবেক যুগ্ম আহ্বায়ক।

মিরপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোস্তফা হাবিবুল্লাহ আটকের বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেন, ‘গোপন সংবাদের ভিত্তিতে গতকাল শুক্রবার রাতে বহলবাড়ীয়া এলাকায় মাদক অভিযানে যায় পুলিশ। এ সময় খাদিমপুর স্কুলমাঠ থেকে একটি বিদেশি পিস্তল ও ৪ রাউন্ড গুলিসহ সোহেল রানাকে আটক করা হয়। তার বিরুদ্ধে মিরপুর থানায় অস্ত্র আইনে একটি মামলা হয়েছে। তাকে গ্রেফতার দেখিয়ে আদালতের মাধ্যমে জেল হাজতে পাঠানো হয়েছে।’

এদিকে, সোহেল রানা বর্তমানে যুবলীগের কোনো দায়িত্বে নেই বলে জানিয়েছেন কুষ্টিয়া জেলা যুবলীগের সাধারণ সম্পাদক জিয়াউল হক স্বপন। তিনি বলেন, ‘সোহেল রানা বর্তমান কমিটির কেউ নন। তিনি উপজেলা যুবলীগের সাবেক যুগ্ম আহ্বায়ক ছিলেন।’

;

স্বামীর পুরুষাঙ্গ কেটে দ্বিতীয় স্ত্রীর আত্মহত্যা: পুলিশ



ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, সাতক্ষীরা
ছবি: বার্তা২৪.কম

ছবি: বার্তা২৪.কম

  • Font increase
  • Font Decrease

পারিবারিক কলহের জের ধরে সাতক্ষীরার কলারোয়ায় এক গৃহবধূ স্বামীর পুরুষাঙ্গ কেটে নিজেও আত্মহত্যা করেছেন বলে জানিয়েছে পুলিশ। গৃহবধূ ওই ব্যক্তির দ্বিতীয় স্ত্রী ছিলেন।

শনিবার (২০ এপ্রিল) ভোররাতে কলারোয়ার পাঁচপোতা গ্রামে এ ঘটনা ঘটে।

আজহারুল ইসলাম উপজেলার পাঁচপোতা গ্রামের বাসিন্দা।

কলারোয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) রফিকুল ইসলাম জানান, আজহারুল ইসলামের দুই স্ত্রী। তার প্রথম স্ত্রীর নাম রাশিদা খাতুন ও দ্বিতীয় স্ত্রীর নাম ঝর্না খাতুন। প্রথম স্ত্রীকে নিয়ে গত কয়েকদিন দিনে ধরে স্ত্রী ঝর্ণা খাতুনের সঙ্গে আজহারুল ইসলামের দ্বন্দ্ব চলছিল। তার জের ধরে শনিবার রাতে আজহারুল ইসলামকে ভাতের সঙ্গে ঘুমের ওষুধ খাওয়ান ঝর্না খাতুন। পরে ঘুমন্ত স্বামী আজহারুল ইসলামের হাত-পা বেঁধে তার পুরুষাঙ্গ কেটে ফেলেন তিনি। এ সময় ঝর্না খাতুনও ঘুমের ওষুধ খেয়ে অজ্ঞান হয়ে পড়েন। ভোররাতে ঘটনাটি জানাজানি হলে স্থানীয়রা তাদের উদ্ধার করে কলারোয়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করে। শারীরিক অবস্থার অবনতি হলে তাদেরকে সাতক্ষীরা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়।

সাতক্ষীরা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের রেজিস্টার ডা. মানস কুমার জানান, হাসপাতালে ভর্তি হওয়ার আগেই ঝর্না খাতুনের মৃত্যু হয়। এছাড়া আজহারুল ইসলামের অবস্থার অবনতি হওয়ায় তাকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।

;