চট্টগ্রামে একদিনে ৬৬ জন করোনা আক্রান্ত



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, চট্টগ্রাম
ছবি: বার্তা২৪.কম

ছবি: বার্তা২৪.কম

  • Font increase
  • Font Decrease

বন্দরনগরী চট্টগ্রামে গত ২৪ ঘণ্টায় ৯৩৭টি নমুনা পরীক্ষা করে ৬৬ জনের করোনাভাইরাস শনাক্ত হয়েছে। নমুনা পরীক্ষার তুলনায় শনাক্তের হার ৭ দশমিক শূন্য ৪ শতাংশ।

সোমবার (২৭ জুন) জেলা সিভিল সার্জন কার্যালয় থেকে প্রকাশিত প্রতিবেদনে এসব তথ্য জানানো হয়।

এদিন চট্টগ্রামের ১২টি ল্যাবে এসব নমুনা পরীক্ষা করা হয়।

একই সময়ে বিআইটিআই ল্যাবে ১৭ নমুনা পরীক্ষা করে ৫টি পজিটিভ পাওয়া যায়, চমেক হাসপাতাল ল্যাবে ১৩৮টি নমুনায় ১৭টি, সিভাসু ল্যাবে ৪১টি নমুনায় ২টি, ইমপেরিয়াল ল্যাবে ৩৬টি নমুনায় ৪টি, ইপিক ল্যাবে ৩৯টি নমুনায় ১টি, শেভরন ল্যাবে ২৯টি নমুনায় ৯টি, মেট্রোপলিটন হাসপাতাল ল্যাবে ১১৮টি নমুনায় ৬টি এবং এশিয়ান হাসপাতাল ল্যাবে ২২টি নমুনায় পরীক্ষা ৫টি পজিটিভ আসে। সবমিলে এদিন নগরে নতুন শনাক্ত হয় ৫৪ জন। এদিন উপজেলায় রোগী শনাক্ত হয় ১২ জন।

এনিয়ে চট্টগ্রামে করোনায় শনাক্ত হয়েছেন ১ লাখ ২৭ হাজার ১২ জন। মৃত্যুর সংখ্যা ১ হাজার ৩৬২ জন।

পঞ্চগড়ে মোটরসাইকেল-ট্রাক্টরের সংঘর্ষ, নিহত ৩



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

পঞ্চগড়ের দেবীগঞ্জ উপজেলায় মোটরসাইকেল ও ট্রাক্টরের সংঘর্ষে তিনজন নিহত হয়েছেন। এ সময় গুরুতর আহত হয়েছেন অপর এক আরোহী।

বুধবার (৩১ মে) দেবীগঞ্জ থানার‍ ডিউটি অফিসার সহকারী উপপরিদর্শক (এএসআই) মমতাজ পারভীন এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন। এর আগে একই দিন সকাল সাড়ে ১০টায় উপজেলার দেবীডুবা ইউনিয়নের কালুরহাট কাটহারী এলাকার বোদা দেবীগঞ্জ মহাসড়কে এ ঘটনা ঘটে।

নিহতরা সবাই বোদা উপজেলার বাসিন্দা।

পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, বুধবার সকালে একই মোটরসাইকেলে চারজন বোদা থেকে দেবীগঞ্জ উপজেলা শহরের দিকে যাচ্ছিল। এ সময় তারা ওই এলাকায় পৌঁছালে একটি কাঠবোঝাই ট্রাক্টরের সঙ্গে মোটরসাইকেলটির সংঘর্ষ হয়। এ সময় চার মোটরসাইকেল আরোহী মহাসড়কে ছিটকে পড়লে ঘটনাস্থলেই দু’জন নিহত হন। পরে গুরুতর আহত দু’জনকে দেবীগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নেওয়া হলে চিকিৎসক তাদের রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে স্থানান্তরিত করেন। এ সময় সেখানে চিকিৎসাধীন আরও একজন মারা যান।

দেবীগঞ্জ থানার উপপরিদর্শক (এসআই) মোহাম্মদ আলী বলেন, বুধবার সকালে খবর পেয়ে ঘটনাস্থল থেকে দুজনের মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। রংপুরে চিকিৎসাধীন আরও একজনের মৃত্যু হয়।

;

ময়মনসিংহে পুকুরে ডু্বে দুই বোনের মৃত্যু



ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, ময়মনসিংহ
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

ময়মনসিংহের তারাকান্দায় পুকুরের পানিতে ডুবে দেড় বছর বয়সের আছিয়া ও রাবেয়া (৩)  নামে দুই বোনের মৃত্যু হয়েছে।

মঙ্গলবার (৩০ মে) বিকাল ৫ টার দিকে উপজেলার বানিহালা ইউনিয়নের বানিহালা গ্রামে এই ঘটনা ঘটে।

নিহতরা তারাকান্দা গ্রামের আব্দুর রউফে মেয়ে।

স্থানীয় ও পুলিশ সূত্রে জানা যায়, মঙ্গলবার বিকালের দিকে ওই দুই শিশু বাড়িতে খেলাধুলা করছিল। খেলাধুলা করার একপর্যায়ে বাড়ির সবার অগোচরে পুকুরের পানিতে পড়ে যায়। এদিকে, দুই শিশুকে আশপাশে না দেখে পরিবারের সদস্যরা খুঁজতে শুরু করেন। কোথাও না পেয়ে পুকুরের পানিতে খুঁজতে শুরু করেন। পরে পুকুর থেকে মৃত অবস্থায় ওই দুই শিশুকে উদ্ধার করে তার স্বজনরা।

তারাকান্দা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্সকর্তা (ওসি) মো. আবুল খায়ের বলেন, স্থানীয়দের কাছে পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছে।

;

সিএনজি-মোটরসাইকেল সংঘর্ষে প্রাণ গেল সাবেক সেনা সদস্যের



ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, ময়মনসিংহ
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

ময়মনসিংহের গফরগাঁওয়ে সিএনজি ও মোটরসাইকেলের মুখোমুখি সংঘর্ষে শফিকুল ইসলাম (৫৫) নামে এক সাবেক সেনা সদস্যের মৃত্যু হয়েছে।

মঙ্গলবার (৩০ নভেম্বর) সন্ধ্যার পর ময়মনসিংহ গফরগাঁও সড়কের সালটিয়া ইউনিয়নের রৌহা এলাকায় এঘটনা ঘটে।

নিহত শফিকুল ইসলাম উপজেলার উস্থি ইউনিয়নের কান্দিপাড়া গ্রামের আলী নেওয়াজ ঢালীর ছেলে। তিনি সাবেক সেনা সদস্য।

নিহতের চাচাত ভাই 'লিমন মটরস' গফরগাঁওয়ের মালিক এনামুল হক লিমন বলেন, শফিকুল ইসলাম সেনাবাহিনী থেকে অবসর নেয়ার পর ময়মনসিংহ নগরীর আকুয়ার বাসায় সপরিবারে বসবাস করতেন। প্রায়ই গ্রামের বাড়ি কান্দিপাড়া গ্রামে আসতেন। ঘটনার দিন শফিকুল ইসলাম নিজ সন্ধ্যায় নিজ গ্রামের বাড়ি থেকে মোটরসাইকেল যোগে শহরের আকুয়ার বাসায় যাচ্ছিলেন। পথিমধ্যে ময়মনসিংহ গফরগাঁও সড়কের সালটিয়া ইউনিয়নের রৌহা এলাকায় আসতেই গফরগাঁওগামী একটি সিএনজির সাথে সংঘর্ষ হয়। এতে শফিকুল ইসলাম গুরুতর আহত হয়। পরে স্থানীয়রা তাকে উদ্ধার করে ময়মনসিংহ মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে আনা হলে কর্তব্যরত চিকিৎসক শফিকুল ইসলামকে মৃত ঘোষণা করেন।

গফরগাঁও থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) ফারুক আহমেদ বলেন, স্থানীয়দের কাছে খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছে। 

;

‘তামাক নিয়ন্ত্রণ আইনের যথাযথ বাস্তবায়ন ও প্রয়োগ নিশ্চিত করতে হবে’



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, ঢাকা
রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিন

রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিন

  • Font increase
  • Font Decrease

রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিন বলেছেন, বাংলাদেশ থেকে তামাক নির্মূল করতে হলে তামাকের উৎপাদন ও ব্যবহার দুটোই কমিয়ে আনতে হবে। একইসঙ্গে প্রয়োজনীয় সংশোধনী আনয়নসহ বিদ্যমান তামাক নিয়ন্ত্রণ আইনের যথাযথ বাস্তবায়ন ও প্রয়োগ নিশ্চিত করতে হবে উল্লেখ করে তিনি এ বিষয়ে সরকারের পাশপাশি নাগরিক সমাজ, পেশাজীবী সংগঠন, বেসরকারি সংস্থা ও গণমাধ্যমকে সমন্বিত প্রয়াস চালানোর আহ্বান জানান।

বুধবার (৩১ মে) ‘বিশ্ব তামাকমুক্ত দিবস' উপলক্ষে দেওয়া এক বাণীতে রাষ্ট্রপতি এ আহবান জানান।

বিশ্বের অন্যান্য দেশের মতো বাংলাদেশেও ‘বিশ্ব তামাকমুক্ত দিবস’ পালনের উদ্যোগকে স্বাগত জানিয়ে তিনি বলেন, তামাক এক প্রকার বিষ যা মানুষকে ক্রমান্বয়ে মৃত্যুর দিকে ধাবিত করে। তামাক চাষ হতে শুরু করে প্রক্রিয়াজাতকরণ এবং তামাকজাত পণ্য সেবন প্রতিটি পর্যায় জনস্বাস্থ্য, পরিবেশ ও অর্থনীতির জন্য ক্ষতিকর।

মো. সাহাবুদ্দিন বলেন, ধূমপান ও তামাক সেবন প্রতিরোধযোগ্য মৃত্যুর অন্যতম প্রধান কারণ। তামাকসৃষ্ট রোগে পৃথিবীতে প্রতিবছর ৭০ লক্ষাধিক মানুষ অকালে মারা যায়। ধূমপানকে বলা হয় মাদক সেবনের প্রবেশ পথ। তামাক ও ধূমপান শুধু ধূমপায়ীকে ক্ষতিগ্রস্ত করে না, পরোক্ষভাবে অধূমপায়ীকেও সমানভাবে ক্ষতিগ্রস্ত করে। বিশ্বব্যাপী জনসংখ্যা বৃদ্ধি, নগরায়নসহ বিভিন্ন কারণে খাদ্য উৎপাদনযোগ্য কৃষি জমি কমে আসছে। অপরদিকে জলবায়ু পরিবর্তন, রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধসহ বিভিন্ন সমস্যা খাদ্য উৎপাদনের ওপর বিরূপ প্রভাব ফেলছে।

এমতাবস্থায় খাদ্য নিরাপত্তা নিশ্চিত করার লক্ষ্যে সকল কৃষি জমিতে খাদ্যশস্য চাষ করার জন্য প্রয়োজনীয় উদ্যোগ গ্রহণ করা আবশ্যক জানিয়ে তিনি বলেন, সেজন্য খাদ্য উৎপাদনযোগ্য কৃষি জমিতে ক্ষতিকর নেশাদ্রব্য তৈরির উপকরণ ও তামাক চাষের পরিবর্তে খাদ্যশস্য চাষ করা, কৃষকের উৎপাদিত ফসলের বাজার নিশ্চিত করা এবং টেকসই ও পুষ্টিকর শস্য চাষ বৃদ্ধিতে সংশি¬ষ্ট কৃষকদের প্রয়োজনীয় কারিগরি সহায়তা প্রদানের মাধ্যমে উৎসাহিত করা জরুরি। এ প্রেক্ষিতে এবছর বিশ্ব তামাকমুক্ত দিবসের প্রতিপাদ্য নির্ধারণ করা হয়েছে ‘তামাক নয়, খাদ্য ফলান’ অত্যন্ত যথার্থ হয়েছে বলে তিনি মনে করেন।

রাষ্ট্রপতি বলেন, গবেষণায় দেখা গেছে, তামাক চাষে অনেক বেশি সার ও কীটনাশক ব্যবহার করতে হয়, যা ক্রমশ মাটির উর্বরতা হ্রাস করে। ফলে পরবর্তী সময়ে তামাক চাষের জমিতে খাদ্যশস্য উৎপাদন ভাল হয় না। এছাড়া কাঁচা তামাক পাতা চুল্লি¬তে আগুনের তাপে শুকানো ও বিড়ি-সিগারেট তৈরির জন্য বনজ সম্পদ ধ্বংস হয় এবং চুল্লির আশপাশের বায়ু মারাত্মক দূষিত হয়। তামাক সেবন ও ধূমপানের ফলে হৃদরোগ, স্ট্রোক, ক্যান্সার, ডায়াবেটিস, হাঁপানিসহ বিভিন্ন অসংক্রামক রোগের ঝুঁকি বৃদ্ধি পায়। তামাকের এই বহুমাত্রিক ক্ষতি বিবেচনায় নিয়ে তামাক চাষ কমাতে পারলে জাতিসংঘ ঘোষিত টেকসই উন্নয়ন অভীষ্ট (এসডিজি) অর্জনের পথ ত্বরান্বিত হবে।

;