পাহাড়ে সন্ত্রাস দমনে এপিবিএন’র টহল শুরু

পাহাড়ে সন্ত্রাস দমনে এপিবিএন’র টহল শুরু
চলতি বছরের ২৬ মে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খানের ঘোষণার ৩৫ দিন পর আজ শুক্রবার (১ জুলাই) থেকে পার্বত্য রাঙামাটি জেলায় আনুষ্ঠানিকভাবে টহল কার্যক্রম শুরু করেছে আর্মড পুলিশ ব্যাটালিয়ন এপিবিএন কর্তৃপক্ষ।
প্রায় দুইশো সদস্য নিয়ে শুক্রবার (১ জুলাই) থেকে রাঙামাটি শহরে কার্যক্রম শুরু করা হয়েছে বলে নিশ্চিত করেছেন এপিবিএন ব্যাটালিয়নের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (১) ফজলুর করিম। আজ সারাদিনই রাঙামাটি শহরের বিভিন্ন এলাকায় এপিবিএনের গাড়ি টহল দিতে দেখা গেছে।
রাঙামাটির দায়িত্বে থাকা এপিবিএন এর অতিরিক্ত পুলিশ সুপার ফজলুর করিম জানান, সরকারের সিদ্ধান্ত মোতাবেক শুক্রবার থেকে আইনশৃঙ্খলা রক্ষায় রাঙামাটি শহরে কাজ শুরু করেছে এপিবিএনের রাঙামাটি ইউনিট। দুটি টহল দল শহর এলাকায় কাজ করবে। জনবল ও প্রয়োজনীয় গাড়িসহ আনুসাঙ্গিক সরঞ্জাম পাওয়ার পর পুরোদমে কাজ শুরু হবে। ইতিমধ্যেই শহরে কাজ করার মতো সরঞ্জামাদি তারা পেয়েছেন বলেও জানিয়েছেন তিনি।
এক প্রশ্নের জবাবে তিনি জানান, আমরা অন্যান্য আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর মতোই টহল কার্যক্রম পরিচালনা করবো। যদি কোনো ফৌজদারি অপরাধ আমাদের নজরে আসে সেক্ষেত্রে পুলিশের মাধ্যমেই প্রয়োজনীয় আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
পার্বত্য শান্তি চুক্তির পরে শর্তানুসারে ইতিমধ্যেই পার্বত্য চট্টগ্রাম থেকে বাংলাদেশ সেনা বাহিনীর ২৩৮টি ক্যাম্প প্রত্যাহার করা হয়। কিন্তু এরপরেও পার্বত্য চট্টগ্রামে খুন, গুম, অপহরণ, চাঁদাবাজি, বন্ধ না হওয়ায় পাহাড়ে অব্যাহত সশস্ত্র সন্ত্রাসীদের তৎপরতা কমাতে এবং চাঁদাবাজি, সংঘাত নিরসনসহ স্থানীয় জনসাধারনের জানমালের নিরাপত্তা নিশ্চিতের পাশাপাশি বিচ্ছিন্নতাবাদী সন্ত্রাসীগোষ্ঠির অপতৎপরতা বন্ধে পাহাড়ে প্রত্যাহারকৃত সেনা ক্যাম্পগুলোতে আর্মড পুলিশ ব্যাটালিয়নের সদস্যদের দিয়ে ক্যাম্প পরিচালনার সিদ্ধান্ত গ্রহণ করে সরকার।
তারই ধারাবাহিকতায় গত ২৬ মে রাঙামাটি পুলিশ লাইন্সে এপিবিএনের বিভিন্ন কার্যালয়ের ভিত্তিপ্রস্তুর স্থাপন অনুষ্ঠানে শান্তিচুক্তি অনুযায়ী সেনাবাহিনী যেসব ক্যাম্প ছেড়ে এসেছে, সেসব জায়গায় এপিবিএন মোতায়েনের সিদ্ধান্তের কথা জানিয়েছিলেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল।