টিসিবির পণ্য কালোবাজারে বিক্রি, আটক ২



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, নোয়াখালী
কবিরহাট থানা

কবিরহাট থানা

  • Font increase
  • Font Decrease

নোয়াখালীর কবিরহাট উপজেলায় ট্রেডিং করপোরেশন অব বাংলাদেশের (টিসিবি) পণ্য কালোবাজারে বিক্রি ও মজুদ রাখার অভিযোগে দুই জনকে আটক করেছে পুলিশ।

শনিবার (০২ জুলাই) রাত পৌনে ১১টার দিকে উপজেলার চাপরাশিরহাট বাজার থেকে তাদের আটক করে পুলিশ।

পুলিশ জানায়, শনিবার রাত পৌনে ১১টার দিকে গোপন সংবাদের ভিত্তিতে কবিরহাট উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) অমৃত দেবনাথ নেতৃত্বে টিসিবির পণ্য বেআইনিভাবে খুচরা বাজারে বিক্রির অভিযোগে উপজেলার চাপরাশিরহাট বাজারের হোসেন এন্ড বাদ্রার্স মুদি দোকানে অভিযান চালায় পুলিশ। এ সময় টিসিবির পণ্য অবৈধভাবে খুচরা বাজারে বিক্রির অভিযোগে মুদি দোকানদার বেলাল হোসেন (৪০) ও তার ভাই আনোয়ার হোসেনকে (৩৬) আটক করে পুলিশ। আটককৃতরা উপজেলার উপদ্দি লামছি গ্রামের আরব আলীর ছেলে।

এ সময় বেলালের দোকান থেকে টিসিবির ২ বস্তা চিনি এবং ৮ বস্তা মসুরের ডাল জব্দ করা হয়।

কবিরহাট উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) অমৃত দেবনাথ জানান, খোলা বাজারে ন্যায্যমূল্যে বিক্রির জন্য এসব ডাল ও চিনি আনা হয়। তা না করে টিসিবির পণ্য কালোবাজারে খুচরা বিক্রি করা হচ্ছিল। গোপন সংবাদের ভিত্তিতে অভিযান চালিয়ে টিসিবির পণ্যসহ অভিযুক্তদের আটক করা হয়। এ ঘটনায় আটককৃতদের বিরুদ্ধে কবিরহাট থানায় নিয়মিত মামলা দায়েরের বিষয়টি প্রক্রিয়াধীন রয়েছে বলেও জানান তিনি।

কবিরহাট থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. রফিকুল ইসলাম বলেন, দুইজনকে আটক করে থানায় নিয়ে আসা হয়েছে। পরবর্তীতে আটককৃতদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

   

‘সাইবার জগত নিরাপদ রাখতে বাংলাদেশ-ভারত একসঙ্গে কাজ করবে’



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম
তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক

তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক

  • Font increase
  • Font Decrease

তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক বলেছেন, শুধু দুই প্রতিবেশী দেশ নয়, গোটা বিশ্বের সাইবার জগতকে নিরাপদ রাখতে বাংলাদেশ ও ভারত একসঙ্গে কাজ করবে। আমরা যেভাবে পারস্পারিক সহযোগিতার মাধ্যমে দুই দেশ থেকে জঙ্গিবাদ ও সন্ত্রাস নির্মূল করেছি তেমনিভাবে সাইবার হামলা ও হুমকি মোকাবিলা করে সাইবার জগতকে নিরাপদ রাখব।

বুধবার (৪ অক্টোবর) সকালে রাজধানীর আগারগাঁও বাংলাদেশ কম্পিউটার কাউন্সিল (বিসিসি) মিলনায়তনে বাংলাদেশ ও ভারতের সহযোগিতামূলক যৌথ উদ্যোগের অংশ হিসেবে সাইবার-মৈত্রী ২০২৩ শীর্ষক কর্মসূচির আওতায় তিন দিনব্যাপী প্রশিক্ষণের সমাপনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তৃতায় তিনি এসব কথা বলেন।

জুনায়েদ আহম্মেদ পলক বলেন, প্রতিবেশী বন্ধু রাষ্ট্র যদি শক্তিশালী হয় এবং সেই রাষ্ট্র যদি পাশে থাকে তখন আমাদের আত্মবিশ্বাস বেড়ে যায়। বাংলাদেশ ও ভারত যখন একসঙ্গে শত্রু মোকাবিলা করে তখন লড়াইটা অনেক সহজ হয়। ১৯৭১ সালের মুক্তিযুদ্ধে বাংলাদেশ ও ভারত একসঙ্গে যুদ্ধ করেছে। কোভিড-১৯ মহামারি একসঙ্গে মোকাবিলা ও ডিজিটাল বাংলাদেশ বিনির্মাণেও দুই দেশ কাজ করেছে। আগামীতে স্মার্ট বাংলাদেশ ২০৪১ ভিশন বাস্তবায়নে আমরা একসঙ্গে কাজ করবো।

ভারতের সাইবার ইমার্জেন্সি রেসপন্স টিমকে (সিইআরটি) পাশে পেয়ে সাইবার হামলা মোকাবিলা ও অপরাধ দমনে আমরা অনেকটাই আত্মবিশ্বাসী বলে তিনি জানান।

প্রতিমন্ত্রী বলেন, বর্তমান আন্তঃসংযুক্তির বিশ্বে প্রযুক্তি রৈখিক গতির পরিবর্তে সূচকীয় গতিতে অগ্রসর হচ্ছে এবং তা আমাদের জন্য বিশাল সম্ভাবনা ও সুযোগ তৈরি করছে। এর পাশাপাশি সাইবার জগতের কার্যক্রম নিরবচ্ছিন্ন রাখার ক্ষেত্রে চ্যালেঞ্জ তৈরি করছে। এমন বাস্তবতায় সাইবার হামলা ও হুমকি মোকাবিলায় সাইবার মৈত্রীর মতো আরও উদ্যোগ গ্রহণের প্রয়োজনীয়তা রয়েছে বলে তিনি জানান।

তিন দিন ধরে প্রশিক্ষণে অংশগ্রহণকারীদের নিষ্ঠার সঙ্গে প্রশিক্ষণ গ্রহণের প্রশংসা করে তিনি বলেন, আপনাদের প্রতিশ্রুতি ও প্রচেষ্টায় আমাদের গুরুত্বপূর্ণ তথ্য অবকাঠামো সাইবার আক্রমণ থেকে সুরক্ষায় ভালো অবদান রাখবে।

বাংলাদেশে নিযুক্ত ভারতীয় হাইকমিশনার প্রণয় ভার্মা বলেন, বাংলাদেশ ও ভারতের সম্পর্ক এখন নতুন উচ্চতায়। দুই দেশের মধ্যে কানেক্টিভিটি, তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি, সাইবার সিকিউরিটি, স্টার্টআপসহ বিভিন্ন ক্ষেত্রে সহযোগিতামূলক সম্পর্ক সম্প্রসারিত হয়েছে। বাংলাদেশ ও ভারত আগেই তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি, সাইবার সিকিউরিটির ক্ষেত্রে সহযোগিতামূলক সকম্পর্ক বৃদ্ধিতে সমঝোতা স্মারক স্বাক্ষর করেছে। এরই ধারাবাহিকতায় বাংলাদেশের বিজিডি ই-গভ সার্ট এবং ভারতের সার্টের যৌথ উদ্যোগে তিন দিনের সাইবার মৈত্রী অনুষ্ঠিত হলো। ভবিষ্যতে সাইবার জগতে সক্ষমতা বৃদ্ধিতে এ ধরনের সহযোগিতামূলক উদ্যোগে অব্যাহত থাকবে বলেও তিনি জানান।

বিসিসি’র নির্বাহী পরিচালক রনজিত কুমারের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে আরও বক্তব্য রাখেন আইসিটি বিভাগের সচিব মো. সামসুল আরেফিন, সিইআরটি, ইন্ডিয়ার সিনিয়র ডিরেক্টর এস এস শর্মা। বিশ্বব্যাংকের অর্থায়নের এনহান্সিং ডিজিটাল গভর্নমেন্ট অ্যান্ড ইকোনমি (ইডিজিই) প্রকল্প আয়োজিত তিন দিনের প্রশিক্ষণে বাংলাদেশের গুরুত্বপূর্ণ তথ্য অবকাঠামোতে কর্মরত আইটি-সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাদের প্রশিক্ষণ দেন ভারতের সিইআরটি’র বিশেষজ্ঞরা।

;

কেমন আছেন আশ্রয়ণ প্রকল্পের মানুষজন



শরীফ ইকবাল রাসেল, ডিস্ট্রিক করেসপন্ডেন্ট, বার্তা ২৪.কম, নরসিংদী
ছবি: বার্তা২৪.কম

ছবি: বার্তা২৪.কম

  • Font increase
  • Font Decrease

মালেছা বেগম (৫৫), বাবা মায়ের সংসারে অনেকটা অভাবের মধ্যেই কেটেছে জীবন। তিন বেলা যে কবে খেয়েছেন তা তিনি বলতেই পারছিলেন না। ভাই-বোন ছোট থাকায় বাবা অন্যের বাড়িতে কাজ করে তাদের মুখে খাবার তুলে দিতেন। এক পর্যায়ে যখন বাবার একার আয়ে সংসার চলছিল না তখন বাধ্য হয়ে বাড়ি-ভিটা বিক্রি করে দেন।

বিয়ের পর মালেছা বেগম একটি কবরস্থানে কলাপাতা আর পলিথিনে ঘেরা ঘরে স্বামীকে নিয়ে প্রায় ৩০ বছর কাটিয়েছেন। সেখানেই ছেলে-মেয়েরা জন্মলাভ করেন। আর বড় হতে থাকেন। এরই মধ্যে একমাত্র উপার্জনকারী স্বামী তাদের ছেড়ে চলে যান। বাধ্য হয়ে ছেলে-মেয়েদের মুখে আহার তুলে দিতে অন্যের বাড়িতে কাজ শুরু করেন মালেছা।

মালেছা বেগমের দোকান

বিষয়টি প্রশাসনের নজরে আসলে শিলমান্দি এলাকায় আশ্রয়ণের একটি ঘর ও দুই শতাংশ জমির দলিল তুলে দেন মালেছার হাতে। এই বাড়ি পেয়ে মহাখুশি মালেছা বেগম। শুধু খুশি নয়, তিনি এখন নামাজ পড়ে প্রধানমন্ত্রীর জন্য দোয়াও করেন। মালেছা বেগমের আয়ের পথ তৈরি করতে উপজেলা পরিষদের উদ্যোগে স্থানীয় ইউনিয়ন পরিষদের সহায়তায় নিজ ঘরের বারান্দায় একটি দোকান ঘর তৈরি করে দেন। এই দোকানের মাধ্যমে তিনি এখন পরিবার চালিয়ে মহাখুশি।

নরসিংদী রেলওয়ে স্টেশন এলাকায় সকাল থেকে রাত পর্যন্ত হকারের কাজ করেন শিপলু সরকার। পাঁচ ভাই বোনের সংসারে সকলের মুখে আহার তুলে দেয়াটা তার একার পক্ষে কষ্টকর হয়ে পড়ে। বাবার কোনো স্থায়ী জায়গা নেই। ভাড়া বাড়িতে থাকেন শিপলু সরকারের পরিবার। এ অবস্থায় প্রধানমন্ত্রীর উপহারের ঘর আর দুই শতাংশ জমি পান তিনি।

আশ্রয়ণ প্রকল্পে বৃদ্ধ দম্পতি রান্না করছেন

তিনি বলেন, আমি কোনো দিন স্বপ্নেও ভাবেনি পাকা ঘর পাবো বিনা পয়সায়। প্রধানমন্ত্রীর এমন উদ্যোগে যেনো অসহায় ভূমিহীন মানুষের স্বপ্নের একমাত্র আশ্রয়স্থল।

আশ্রয়ণ প্রকল্পে রয়েছে একটি প্রাথমিক ও মাধ্যমিক বিদ্যালয়। এ বিদ্যালয়ে লেখাপড়া করছেন এই আশ্রয়ণে বসবাসকারীদের ছেলে-মেয়েরা। তাই তারা প্রধানমন্ত্রীসহ স্থানীয় প্রশাসনের দীর্ঘায়ু কামনা করেন।

আশ্রয়ণ প্রকল্পে গরু পালন

পলাশ উপজেলার গজারিয়া গ্রামের তোফাজ্জল হোসেনের মেয়ে খাদিজা বেগম। তিন বোন আর এক ভাইয়ের মধ্যে খাদিজাই সবার বড়। অতি দরিদ্র পরিবারের সন্তান হওয়ায় দশম শ্রেণি পর্যন্ত পড়লেও পরীক্ষা দেওয়া হয়নি। এরই মধ্যে নরসিংদী সদর উপজেলার আমদিয়া ইউনিয়নের পাকুড়িয়া গ্রামের আব্দুল্লাহ নামে এক নও মুসলিমের সঙ্গে বিয়ে দেন বাবা মা। স্বামী নও মুসলিম হওয়ায় জায়গা জমি না থাকায় অন্যের বাড়িতে ভাড়া থাকতেন। এরমধ্যে একটি ছেলে সন্তান লাভ করেন খাদিজা। ভাগ্যের নির্মম পরিহাস, ছেলের বয়স দুই বছর হওয়ার পর স্বামী আব্দুল্লাহ মারা যান। অনেকটাই অসহায় হয়ে পড়েন খাদিজা। চোখে মুখে যেনো অন্ধকার। এরপর প্রধানমন্ত্রীর দেওয়া ঘরে থেকে এক চিকিৎসকের দেয়া সেলাই মেশিন দিয়ে কাজ করে ছেলের লেখাপড়া চালিয়ে যাচ্ছেন।

আশ্রয়ণ প্রকল্পে খেলা করছে শিশুরা

মিনারা বেগম, মানিক মিয়া, বাচ্চু মিয়া, শাহিনুর বেগম ও নিলুফা বেগমও বসবাস করেন নরসিংদী সদর উপজেলার বিভিন্ন আশ্রয়ণ প্রকল্পের ঘরে। তাদের ঘরের সামনে রোপণ করেছেন নানা রকম শাকসবজি। পালন করছেন হাঁস-মুরগি, আবার কেউবা গরু-ছাগল।

নরসিংদী সদর উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) মেহেদী হাসান কাউসার জানান, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার স্বপ্নের একটি প্রকল্প গৃহহীনদের ঘর প্রদান।

আশ্রয়ণ প্রকল্পে শাকসবজির চাষ

এ বিষয়ে নরসিংদী সদর উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান আফতাব উদ্দিন ভূঁইয়া জানান, প্রধানমন্ত্রীর স্বপ্নের একটি প্রকল্প আশ্রয়ণ প্রকল্প। এই প্রকল্প বাস্তবায়নে রাত-দিন অক্লান্ত পরিশ্রম করা হয়েছে। যাদের ঘরবাড়ি বা জায়গা জমি কিছুই ছিল না তাদের আজ জমিসহ পাকা ঘর হয়েছে। শুধু তাই নয়, তারা যাতে ছেলে-মেয়ে নিয়ে চলতে পারেন তার জন্য উপজেলার বিভিন্ন দফতরের মাধ্যমে প্রশিক্ষণ দিয়ে অর্থ সহায়তাও দেওয়া হয়েছে।

;

দেশে ফিরেছেন প্রধানমন্ত্রী



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা

  • Font increase
  • Font Decrease

যুক্তরাষ্ট্র ও যুক্তরাজ্যে ১৬ দিনের সরকারি সফর শেষে দেশে ফিরেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।

বুধবার (৪ অক্টোবর) দুপুর ১২টা ২০ মিনিটে হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে পৌঁছান তিনি।

প্রধানমন্ত্রীর উপ-প্রেস সচিব হাসান জাহিদ তুষার এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।

তিনি জানান, বুধবার দুপুর ১২টা ২০ মিনিটে প্রধানমন্ত্রী ও তার সফরসঙ্গীদের বহনকারী বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্সের ফ্লাইটটি ঢাকা হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে অবতরণ করে।

এর আগে মঙ্গলবার লন্ডন সময় রাত ৯টা ১০ মিনিটে হিথ্রো বিমানবন্দর থেকে দেশের উদ্দেশে রওনা দেন সরকারপ্রধান। যুক্তরাজ্যে বাংলাদেশের হাইকমিশনার সাইদা মুনা তাসনিম বিমানবন্দরে প্রধানমন্ত্রীকে বিদায় জানান।

প্রধানমন্ত্রী গত ৩০ সেপ্টেম্বর যুক্তরাষ্ট্রের রাজধানী ওয়াশিংটন ডিসি থেকে ব্রিটিশ এয়ারওয়েজর একটি বিমানযোগে যুক্তরাজ্যের রাজধানী লন্ডনে পৌঁছান।

এর আগে ১৭ থেকে ২৯ সেপ্টেম্বর নিউইয়র্ক ও ওয়াশিংটন ডিসিতে অবস্থানকালে প্রধানমন্ত্রী ৭৮তম জাতিসংঘ সাধারণ পরিষদের অধিবেশন এবং অন্যান্য উচ্চ-পর্যায়ের পক্ষ ও দ্বিপাক্ষিক অনুষ্ঠানে যোগ দেন এবং বাংলাদেশি প্রবাসীদের দেওয়া সংবর্ধনায় যোগ দেন। যুক্তরাষ্ট্র এবং ওয়াশিংটন ডিসিতে বাংলাদেশ দূতাবাস পরিদর্শন করেছেন।

;

‘৭৩'র পর সেরা কমিশন বর্তমান নির্বাচন কমিশন’



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম
অধ্যাপক হারুন-অর-রশিদ

অধ্যাপক হারুন-অর-রশিদ

  • Font increase
  • Font Decrease

১৯৭৩ সালের পর বর্তমান নির্বাচন কমিশন সেরা কমিশন বলে মন্তব্য করেছেন জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক উপাচার্য ও ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের রাষ্ট্রবিজ্ঞান বিভাগের অবসরপ্রাপ্ত অধ্যাপক হারুন-অর-রশিদ।

বুধবার (৪ অক্টোবর) রাজধানীর আগারগাঁওয়ে নির্বাচন ভবনের সম্মেলন কক্ষে দ্বাদশ নির্বাচনকে সামনে রেখে ‘অবাধ ভোটাধিকার, প্রার্থী ও পোলিং এজেন্টদের ভূমিকা’ শীর্ষক দিনব্যাপী কর্মশালায় তিনি এ মন্তব্য করেন।

অধ্যাপক হারুন-অর-রশিদ বলেন, কমিশনের একার পক্ষে নির্বাচন পরিচালনা করা সম্ভব না। এখানে সবার সহযোগিতা প্রয়োজন। বিশেষ করে মিডিয়ার সহযোগিতা। পাশাপাশি নির্বাচন পরিচালনা কাজে নিরাপত্তার জন্য প্রশাসন প্রয়োজন। সেক্ষেত্রে তাদের সহযোগিতা প্রয়োজন।

কর্মশালাটি নির্বাচন কমিশন সচিবালয়ের ফেসবুক পেজে সরাসরি সম্প্রচার এবং জুম অ্যাপের মাধ্যমে ভার্চুয়ালি সব আঞ্চলিক নির্বাচন কর্মকর্তা ও জেলা নির্বাচন কর্মকর্তাদের সংযুক্ত করা হয়েছে।

এছাড়া অনুষ্ঠানটি জেলা নির্বাচন অফিসের সম্মেলন কক্ষে প্রজেক্টরের মাধ্যমে সম্প্রচার এবং সংশ্লিষ্ট জেলায় বিদ্যমান নিবন্ধিত রাজনৈতিক দলসমূহের একজন করে প্রতিনিধি উপস্থিত থাকবেন। এতে আনুমানিক ৫০ জন রাজনৈতিক দলের প্রতিনিধি উপস্থিতির কথা বিবেচনায় রেখে প্রস্তুতি রাখা হয়।

কর্মশালায় সিইসি কাজী হাবিবুল আউয়ালের সভাপতিত্বে চার নির্বাচন কমিশনার উপস্থিত ছিলেন। এছাড়া সাবেক প্রধান নির্বাচন কমিশনার, সাবেক নির্বাচন কমিশনার ও নির্বাচন বিশেষজ্ঞদের মধ্যে ইসি সচিবালয়ের সাবেক কর্মকর্তা, বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক বক্তব্য রাখবেন।

;