বিদেশ থেকে আনা ১৭ প্রাণী চিড়িয়াখানার দর্শনার্থীদের জন্য উন্মুক্ত
মিরপুর জাতীয় চিড়িয়াখানার জন্য নতুন করে ১৭টি প্রাণী বিদেশ থেকে আনা হয়েছে। কিন্তু কোয়ারেন্টাইন সময় ২১ দিন শেষ হওয়ার আগেই প্রাণীগুলো দর্শনার্থীদের জন্য উন্মুক্ত করা হয়েছে। কিন্তু নিয়মানুযায়ী কোয়ারেন্টাইন সময় পার হলেই দর্শনাথীদের জন্য উন্মুক্ত করতে হয়।
চিড়িয়াখানা সূত্র জানায়, দর্শনার্থীদের বিনোদনে নতুন মাত্রা যোগ করতে আফ্রিকাসহ বিশ্বের বিভিন্ন দেশ থেকে জাতীয় চিড়িয়াখানায় আনা হয়েছে সিংহ, পেনিক্যান, লামা ও উইল্ড বিস্ট।
এ বিষয়ে চিড়িয়াখানার কিউরেটর ডা. মুজিবুর রহমান বার্তা২৪.কমকে জানান, আমরা সম্প্রতি বেশ কিছু প্রাণী হাতে পেয়েছি। তবে এগুলো এখন কোয়ারেন্টাইন সময় পার করছে। কিছু প্রাণী গ্রহণ করা হয়েছে। কিছু প্রাণী ঠিকাদারদের কাছ থেকে গ্রহণ করা হয়নি। কোয়ারেন্টাইন সময়ে কোনও প্রাণি মারা গেলে ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান নতুন প্রাণী সরবরাহ করবে।
সংশ্লিষ্ট সূত্র জানায়, নতুন প্রাণীকে নিজেদের হাসপাতালে নিবির পরিচর্যা কেন্দ্রে না রেখে দর্শনার্থীদের জন্য উন্মুক্ত করা ঠিক হয়নি। এতে করে দর্শনার্থীরা বিরক্ত করলে নিজেদের মধ্যে মারামারিসহ অনাকাঙ্ক্ষিত বিপদ হতে পারে।
সূত্র আরও জানায়, গত ৩ জুন চার সিংহকে বুঝে নিয়েছে জাতীয় চিড়িয়াখানা কর্তৃপক্ষ। আর তিনটি পেনিক্যান, চারটি লামা, দুটি ক্যাঙ্গারু ও তিনটি উইল্ডিবিস্টকে এখনেও সরবরাহকারী প্রতিষ্ঠানের কাছ থেকে বুঝে নেওয়া হয়নি। গত ২৪ জুন এই প্রাণীগুলোকে শেডে দেওয়া হয়েছে। নিয়ম অনুযায়ী এদের ২১ দিন পর্যবেক্ষণে রাখা হবে। এরমধ্যে কোনো ধরনের সমস্যা হলে সরবরাহকারী প্রতিষ্ঠান এর দায়দায়িত্ব নেবে। ২১ দিন পর প্রাণীগুলোকে চিড়িয়াখানা কর্তৃপক্ষ বুঝে নেবে।
প্রতিটি লামা ৩ লাখ ৭৮ হাজার টাকা, পেনিক্যাল ২ লাখ ৪৪ হাজার টাকা, সিংহ ৮ লাখ ৭৫ হাজার টাকা, ক্যাঙ্গারু ৮ লাখ ৮০ হাজার টাকা আর উইল্ডিবিস্ট ৬ লাখ টাকায় সরবরাহ করা হয়েছে।
সংশ্লিষ্ট সূত্র জানায়, ২০১২ সালের মে মাস থেকে আগস্ট পর্যন্ত ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান ফেলকন ইন্টারন্যাশনাল ঢাকা চিড়িয়াখানার জন্য ৩০ প্রজাতির ২৩০টি প্রাণী সরবরাহ করেছিল। তখন প্রায় ৫ কোটি টাকার প্রাণী সংগ্রহ করা হয়েছিল।